গ্লোবাল ইনোভেশন ইনডেক্স ২০২০ এবং বাংলাদেশ
গোলাপ মুনীর
কর্নেল ইউনিভিার্সিটি, ওয়ার্ল্ড বিজনেস স্কুল ‘ইনসিয়াড’ (ওহংবধফ)
এবং জাতিসংঘের বিশেষায়িত সংস্থা ‘ওয়ার্ল্ড ইন্টেলেকচ্যুয়াল
প্রপার্টি অরগ্যানাইজেশন’ (ডবিøউআইপিও) যৌথভাবে গত সেপ্টেম্বরে
প্রকাশ করে ‘গ্লোবাল ইনোভেশন ইনডেক্স ২০২০’। এটি এ বিষয়ে
এদের সর্বশেষ ও ত্রয়োদশ বার্ষিক র্যাঙ্কিং। এরা ৮০টি সূচক বা
ইন্ডিকেটরের ওপর ভিত্তি করে এই ‘গেøাবাল ইনোভেশন ইনডেক্স’
(জিআইআই) প্রণয়ন করে। সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর উদ্ভাবন সক্ষমতা
বিবেচনা করেই তৈরি করা হয় এই ইনডেক্স।
এবারের এ ইনডেক্স বা সূচকের আপ্তবাক্য
হচ্ছে : ‘হু উইল ফিন্যান্স ইনোভেশন?’ তা
ছাড়া ‘ইনোভেশন ইজ অ্যা কি ড্রাইভার অব
ইকোনমিক ডেভেলপমেন্ট’ কথাটি স্বীকার
করে নিয়ে ১৩১টি দেশের ইনোভেশন অবস্থান
নির্ধারণ ও এ পরিস্থিতির সমৃদ্ধ বিশ্লেষণ
উপস্থাপন করাকে এই গেøাবাল ইনোভেশন
ইনডেক্সের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়। গত এক
দশকে এই সূচক প্রতিষ্ঠা পেয়েছে ইনোভেশনের
ক্ষেত্রে প্রতিনিধিত্বশীল রেফারেন্স হিসেবে এবং
বিভিনড়ব দেশের ‘অ্যাকশন টুল’ হিসেবেও। এই
ইনডেক্সের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট দেশগুলো মূল্যায়ন
করতে পারছে তাদের নিজেদের উদ্ভাবন
সক্ষমতা। এই গেøাবাল ইনোভেশন ইনডেক্সে
রয়েছে দুটি সাব-ইনডেক্স : ইনোভেশন
আউটপুট সাব-ইনডেক্স ও ইনোভেশন ইনপুট
সাব-ইনডেক্স। রয়েছে সাতটি পিলার বা স্তম্ভ। প্রতিটি ফিলারের রয়েছে
তিনটি সাব-পিলার তথা উপ-স্তম্ভ।
এবার বিশ্বের ১৩১টি দেশের ইনোভেশন ইনডেক্স তৈরি করা
হয়েছে। এসব দেশের মধ্যে সার্বিক সূচক বিবেচনায় বাংলাদেশ
১১৬তম স্থানে রয়েছে। ১৩১ দেশের মধ্যে ১১৬তম স্থানে থাকার
বিষয়টি থেকে স্পষ্ট ধরা পড়ে ইনোভেশন তথা উদ্ভাবন সক্ষমতায়
অন্যদের তুলনায় আমরা কতটুকু পিছিয়ে আছি। দেখা গেছে, উদ্ভাবন
সক্ষমতায় অবস্থানের দিক থেকে এমনকি আমরা নেপাল, শ্রীলঙ্কা ও
পাকিস্তানের চেয়েও পিছিয়ে আছি। এবারের এই র্যাঙ্কিংয়ে প্র ম,
দ্বিতীয় ও তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে যথাμমে সুইজারল্যান্ড, সুইডেন
ও যুক্তরাষ্ট্র।