• ভাষা:
  • English
  • বাংলা
হোম > ইয়ানডেক্স : রাশিয়ার বৃহত্তম প্রযুক্তি কোম্পানি
লেখক পরিচিতি
লেখকের নাম: গোলাপ মুনীর
মোট লেখা:২৩৩
লেখা সম্পর্কিত
পাবলিশ:
২০২১ - এপ্রিল
তথ্যসূত্র:
কমপিউটার জগৎ
লেখার ধরণ:
প্রযুক্তি
তথ্যসূত্র:
ডিজিটাল সিস্টেম
ভাষা:
বাংলা
স্বত্ত্ব:
কমপিউটার জগৎ
ইয়ানডেক্স : রাশিয়ার বৃহত্তম প্রযুক্তি কোম্পানি
ইয়ানডেক্স : রাশিয়ার বৃহত্তম প্রযুক্তি কোম্পানি

গোলাপ মুনীর

ইয়ানডেক্স (Yandex)। এটি আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে এ নামেই 
পরিচিত। কিন্তু রাশিয়ানেরা এ নামটি উচ্চারণ করে একটু 
ভিন্নভাবে: ‘জানডেক্স’। ইয়ানডেক্স হচ্ছে ইন্টারনেটভিত্তিক পণ্যসেবা 
সরবরাহকারী এবং মূলত রাশিয়ার প্রতিনিধিত্বকারী একটি বহুজাতিক 
করপোরেশন। এর রয়েছে বড় মাপেরসার্চ ইঞ্জিন, যার রয়েছে বিল্ট 
স্পিকার ও ভয়েস-অ্যাক্টিভেটেড পার্সোনাল অ্যাসিস্ট্যান্ট। ইয়ানডেক্সের 
মধ্যে আছে তথ্যসেবা, ই-কমার্স পরিবহন,ন্যাভিগেশন, মোবাইল 
অ্যাপ এবং অনলাইন বিজ্ঞাপন সুবিধা। এটি পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালাচ্ছে 
চালকবিহীন গাড়ি নিয়েও। ইয়ানডেক্স মোট ৭০টি পরিষেবা দিয়ে 
থাকে। হয়তো অনেকেই মনে করছেন, এত বড় মাপের কোম্পানি গড়ে 
ওঠা কেবল সিলিকন ভ্যালিতেই সম্ভব। আসলে তা নয়, এটি কার্যত 
গড়ে উঠেছে রাশিয়ায়। এটি অতি বড় মাপের প্রযুক্তি কোম্পানি হলেও 
আমাদেরমতো অনেক দেশেই এর পরিচিতি একদম নেই বললেই 
চলে। কারণ, এটি প্রধানত পণ্য ও সেবা সরবরাহ করে রাশিয়া ও 
স্বাধীন রাষ্ট্রের রাষ্ট্রমÐলে বা কমনওয়েলথে। সাবেক সোভিয়েত 
প্রজাতন্ত্র ভেঙে যাওয়ার পর গঠিত এগারটি স্বাধীন রাষ্ট্র আর্মেনিয়া, 
আজারবাইজান, বেলারুশ, কাজাখস্তান, কিরগিজস্তান, মলদোভা, 
রাশিয়া, তাজিকিস্তান, উজবেকিস্তান, তুর্কমেনিস্তান ও ইউক্রেন নিয়ে 
গঠিত রাষ্ট্রমÐল বা কমনওয়েলথ। এসব দেশে ইয়ানডেক্সএর সেবা 
সরবরাহ করেথাকে। কোম্পানিটির প্রতিষ্ঠাতা ও এ গ্রæপের বেশিরভাগ 
সদস্যের অবস্থান রাশিয়ায়।

ইতিহাসের আলোকে

ইয়ানডেক্সের সূচনা ১৯৯০-এর দশকে। তখন দুই বন্ধু আর্কাডি 
ভোলঝ এবং ইলিয়া সেগালোভিচ যৌথভাবে প্রতিষ্ঠা করেন ‘আর্কাডিয়া’ 
নামের একটিকোম্পানি। এরা প্যাটেন্ট ও পণ্যের শ্রেণিবিভাজনের জন্য 
ডেভেলপ করেন একটি এমএস-ডস সফটওয়্যার। তাদেরসফটওয়্যারের 
একটি ফিচার ছিল এটি রাশিয়ান মরফোলজিসহ ফুল-টেক্সট সার্চ 
সাপোর্ট করতো। ১৯৮৯ সালে ভোলঝ প্রতিষ্ঠা করেন ঈড়সঢ়ঃবশ 
ওহঃবৎহধঃরড়হধষনামের আরেকটি কোম্পানি। ১৯৯৩ সালে আর্কাডিয়া 
পরিণত হয় ‘কম্পটেক ইন্টারন্যাশনালে’র একটি উপ-বিভাগে।
আর্কাডি ভোলঝ ও ইলিয়া সেগালোভিচ পরস্পর স্কুল-জীবনের 
বন্ধু। ১৯৯৩ সালের দিকে এরা দুজন একসাথে কাজ করেন একটি সার্চ 
ইঞ্জিন সফটওয়্যার ডেভেলপের জন্য। এদের এই সার্চ সফটওয়্যারের 
জন্য এরা ‘ইয়ানডেক্স’ শব্দবাচ্যটি উদ্ভাবন করেন। এই ‘ইয়ানডেক্স’ 
শব্দটি দিয়েই তারা তাদের এই সার্চ টেকনোলজি বর্ণনা করতে শুরু 
করেন। ণবঃ অহড়ঃযবৎ রঘউঊঢবৎ হচ্ছে ণধহফবী-এর সম্প্রসারিত রূপ। 
ইয়ানডেক্স শব্দটির শুরুতে থাকা রাশিয়ান অক্ষর ‘Я’ (ণধ)-এর ইংরেজি 
সর্বনাম ‘আমি’ এবং Яহফবী একটি দ্বিভাষিক সর্বনাম ‘ইয়ানডেক্স’। 
১৯৯৩ থেকে ১৯৯৬ সালের মধ্যবর্তী সময়ে চলে কোম্পানির 
সার্চ টেকনোলজির উন্নয়নের কাজ। এরা তাদের সার্চিং বাইবেলে 
সার্চ সফটওয়্যার উন্মুক্ত করেন ১৯৯৭ সালের ২৩ সেপ্টেম্বরে। তা 
উপস্থাপন করা হয় মস্কোর ‘সফটটুল’ প্রদর্শনীতে। প্রথমদিকে এই
সার্চ ইঞ্জিন ডেভেলপ করা হয়েছিল কম্পটেকের মাধ্যমে। ২০০০ 
সালে আর্কাডি ভোলঝ একটি স্ট্যান্ডএলোন কোম্পানি হিসেবে 
ইয়ানডেক্স ইনকরপোরেট করেন। ১৯৯৮ সালে ইয়ানডেক্স এর সার্চ 
ইঞ্জিন সম্পর্কিত কনটেকচ্যুয়াল বিজ্ঞাপন দেয়া শুরু করে। ২০০৫ 
সালে ইয়ানডেক্স ইউক্রেনে এর অফিস খুলে এবং চালু করে িি.ি
ুধহফবী.ঁধ। ২০০৭ সালে ইয়ানডেক্স ইউক্রেনের ব্যবহারকারীদের 
জন্য চালু করে একটি কাস্টমাইজড সার্চ ইঞ্জিন। ২০০৭ সালের 
মে মাসে ইয়ানডেক্স কিয়েভে চালু করে এর উন্নয়ন কেন্দ্র। ২০০৮ 
সালে ইয়ানডেক্স এর উপস্থিতি সম্প্রসারণ করে ইউক্রেনে। মস্কো 
ডাটা সেন্টার ও ইউক্রেনের টঅ-ওঢ-এর মধ্যে ব্যান্ডউইডথ ৫ গুণ 
বাড়িয়ে দেয়া হয়। ২০০৯ সালে িি.িুধহফবী.ঁধ-এর সব সার্ভিস 
ইউক্রেনের বাজারের জন্য লোকালাইজেশনকরা হয়। ২০১০ সালে 
ইয়ানডেক্স ইউক্রেনের ব্যবহারকারীদের জন্য চালু করে এর মেট্রিক্সনেট 
প্রযুক্তিভিত্তিক চড়ষঃধাধ সার্চ ইঞ্জিন অ্যালগরিদম। ২০০৮ সালের ২০ 
জুন ইয়ানডেক্স সিলিকন ভ্যালিতে ইয়ানডেক্স ল্যাব গড়ে তোলার 
ঘোষণা দেয়। এর লক্ষ্য সার্চ ও বিজ্ঞাপন প্রযুক্তির উদ্ভাবন।
বিশ্বব্যাপী ইয়ানডেক্সকোম্পানির ১৮টি বাণিজ্যিক অফিস রয়েছে। 
২০০৮ সালে সিলিকন ভ্যালিতে খোলা হয় ইয়ানডেক্স ল্যাব। ২০১১ 
সালে এর অফিস খোলা হয় তুরস্কে। ২০১২ সালে ইউরোপীয় বিজ্ঞাপন 
গ্রাহকদের জন্য সুইজারল্যান্ডে এর প্রথম বিক্রয় অফিস খুলে। ২০১৪ 
সালে জার্মানির বার্লিনে একটি গবেষণা ও উন্নয়ন কেন্দ্র স্থাপন করা 
হয়। বাজারে রাশিয়ান ভাষায় কাজ করে, এমন চীনা কোম্পানিগুলোর 
সাথে কাজ করার জন্য ইয়ানডেক্স চীনের সাংহাইয়ে তাদের প্রথম 
অফিস চালু করে।

রাশিয়ার বৃহত্তম প্রযুক্তি কোম্পানি

এটি রাশিয়ার বৃহত্তম প্রযুক্তি কোম্পানি। বাজারে ৫২ শতাংশেরও 
বেশি শেয়ার নিয়ে এটি রুশ ভাষার ইন্টারনেটের বৃহত্তম সার্চ ইঞ্জিন। 
বিভিন্ন কোম্পানিতে ইয়ানডেক্সের বিনিয়োগ রয়েছে। এসব কোম্পানির 
মধ্যে আছে : ভিজি ল্যাবস, ফেইসডটকম, বেøক্কো, সিসমোটেক, 
মাল্টিশপ, সেলসপ্রেডিক্ট ও ডক+। ণধহফবী.ৎঁমূল পাতাটি রাশিয়ার
চতুর্থ জনপ্রিয় ওয়েবসাইট। উপরে উল্লিখিত ১১টি স্বাধীন রাষ্ট্রেও 
রয়েছে এর বৃহত্তম শেয়ার।
২০১৮ সালের প্রথম দিকে বিশ্বকে অনেকটাঅবাক করে 
দিয়ে এর এক সম্মেলনে নিজের বিশালতার বিষয়টি জানান দেয় 
ইয়ানডেক্স। তখন জানানো হয়, এটি কাজ করছেÑ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, 
চালকবিহীন গাড়ি, পার্সোনাল অ্যাসিস্ট্যান্ট, অনলাইন অনুবাদ, 
অভিধান, অনলাইন মার্কেট প্লেস ও স্মার্ট স্পিকার্স নিয়ে। বিশ্বে বেশ 
কয়েকটি ওয়েব সার্চ ইঞ্জিন রয়েছে। এর মধ্যে বড় বড় সার্চ ইঞ্জিনের 
তালিকায়রয়েছে: গুগল, মাইক্রোসফটের বিং, চীনের বাইডু এবং এ 
ক্ষেত্রে অগ্রনায়ক ইয়াহু। বিশ্বের সবচেয়ে প্রাধান্য বিস্তারকারী সার্চ 
ইঞ্জিন হচ্ছে গুগল। কিন্তু বড় বড় সার্চ ইঞ্জিনের তালিকায় স্থান করার 
মতো আরেকটি সার্চ ইঞ্জিন রয়েছে, যার নাম খুব কম মানুষই জানে। 
এটি কাজ করে মূলত রাশিয়ায় ও পাশের আরো কয়েকটি দেশে। 
গুগল, চীনের বাইডু, মাইক্রোসফটের বিং এবং এ ক্ষেত্রের অগ্রনায়ক 
ইয়াহুর পর ইয়ানডেক্স পৃথিবীর পঞ্চম বৃহত্তম সার্চ ইঞ্জিন। রাশিয়ার 
বাজারে ইয়ানডেক্সের মূল প্রতিদ্ব›দ্বী হচ্ছে গুগল, মেইলডটরু ও 
রাম্বলার। কোম্পানিটির দাবি, রুশ ভাষার ব্যবহারকারীদের জন্য 
ইয়ানডেক্সের সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো সার্চের ক্ষেত্রে রাশিয়ান 
বিভক্তি বা প্রত্যয় চিনতে পারার সক্ষমতা।

‘রাশিয়ান গুগলে’র চেয়েও বেশি

এটি এরই মধ্যে অভিহিত হতে শুরু করেছে ‘রাশিয়ান গুগল’ 
নামে। এটি একটি সার্চ ইঞ্জিনের চেয়ে আরো অনেক বেশি কিছু। এ 
কোম্পানির শুরু ১৯৯০-এর দশকে; ণধহফবী.ৎঁ হোমপেজ হিসেবে। 
এরপর থেকে এটি এর ব্যাপক বিস্তৃতি ঘটাতে সক্ষম হয়েছে একটি 
আইটি জায়ান্ট হিসেবে। এটি দৃষ্টি আকর্ষণ করতে সক্ষম হয়েছে 
পাশ্চাত্যের আইটি জায়ান্টগুলোর, যাদের কাছে এটি পরিচিতি পেয়েছে 
‘রাশিয়ান গুগল’ নামে। কিন্তু ইয়ানডেক্সের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান 
কর্মকর্তা আর্কাডি ভোলঝ ২০১৭ সালেই ঘোষণা দেনÑ ইয়ানডেক্স 
রাশিয়ান গুগলের চেয়েও আরো বেশি কিছু। এটি রাশিয়ার উবার, 
রাশিয়ার স্পটিফাই ও রাশিয়ার আরো অনেক কিছু। 
এর ৪ জিবি মেমরির একটি ইউএসবি ফ্লাশ ড্রাইভ সেই ২০১৮ 
সালের দিকে পাওয়া যেত কয়েক ডলার খরচ করে। ইয়ানডেক্স যখন 
প্রতিষ্ঠিত হয়, তখন এর চেয়ে আরো অনেক বেশি মেমরির একটি হার্ড 
ড্রাইভ কিনতে ব্যয় হতো কয়েক হাজার ডলার। তা হলে আন্দাজ করা 
যায় ১৯৯৭ সালে ইয়ানডেক্স সার্চ ইঞ্জিন স্থাপনের কী পরিমাণ মেমরি 
কিনতে হয়েছিল ভোলঝকে। শুরুতে এটি ছিল একটি প্রকল্প মাত্র। 
এর আরো এক দশক আগে টেলিযোগাযোগ কোম্পানি ঈড়সঢ়ঃবশ 
ঠড়ষড়ুয প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল। তখন এটি পরিণত হয় একটি আইটি 
জায়ান্টে। এবং এটি ২০১১ সালে এর আইপিও’র মাধ্যমে সংগ্রহ করে 
১৩০ কোটি ডলারের তহবিল, যা গুগলের ১৭০ কোটি ডলার সংগ্রহের 
চেয়ে খুব একটা কম নয়। 
ইয়ানডেক্স হতে পারে একটি রাশিয়ান এন্টারপ্রাইজ। কিন্তু কয় 
বছর আগে থেকেই এটি দৃষ্টি আকর্ষণ করতে শুরু করে বিশ্বেরবিগ 
আইটি প্লেয়ারদের। ফলে রাশিয়ার বাইরে অনেক দেশেইএটি একটি 
সুপরিচিত নাম। তবে অনেকে দেশের লোক এর নামও শোনেনি। 
কারণ,অনেক দেশে ইয়ানডেক্স পণ্য ও সেবা পৌঁছেনি ভাষাগত 
কারণে। গুগল ও মাইক্রোসফটে কাজ করতেন এমন অনেকেই 
এখন কাজ করছেন ইয়ানডেক্সের গবেষণা বিভাগের ব্যবস্থাপনায়। 
ইয়ানডেক্স স্পষ্টতই মনে করে গুগলই এর প্রধান প্রতিদ্ব›দ্বী। তবে এই 
প্রতিদ্ব›িদ্বতা শুধু প্রযুক্তি ও নানা ধারণা নিয়ে। আইটি খাতের ভেঞ্চার 
ইনভেস্টর ওলগা মাসলিখোভা বলেন, ‘আন্তর্জাতিক পর্যায়ে গুগলের
সাথে প্রতিযোগিতা না করার পথটিই বেছে নিয়েছে ইয়ানডেক্স। এটি 
মনোযোগ দিয়েছে রাশিয়ায় এর রিসোর্স বাড়িয়ে তোলার ব্যাপারে।’ 
তিনি আরো বলেন, ‘রাশিয়ার অর্থনৈতিক পরিস্থিতির বিষয়টি মাথায় 
রেখে আন্তর্জাতিকভাবে এর সম্প্রসারণে জটিলতা আছে বলে মনে 
করে ইয়ানডেক্স। তাই ইয়ানডেক্স হরাইজেন্টাল স্কেলিং বেছে নিয়েছে 
সেইসব স্থানে, যেখানে আগে থেকেই এটি কাজ করে আসছে।’
এর পেছনে যেসব মেধাবীজন কাজ করছেন, অপরিহার্যভাবে 
এরা সবাই রাশিয়ান নন। ড্যাভিড ট্যালবট এখন কাজ করছেন 
ইয়ানডেক্সে, যিনি ইয়ানডেক্সের ট্র্যান¯েøট সার্ভিসের প্রধান। তিনি 
গুগলের এক সাবেক ভাষা গবেষক। ট্যালবট কাজ করছেন মিখাইল 
বিলেনকোর নেতৃত্বাধীন টিমে। বিলেনকো এর আগে ডেভেলপ 
করেছেন মাইক্রোসফটের মেশিন-লার্নিংয়ের একটি প্ল্যাটফরম। এখন 
তিনি গবেষণা করছেন ইয়ানডেক্সে এবং বর্তমানে সেখানকার মেশিনলার্নিং বিভাগের প্রধান হিসেবে।
ট্যালবট যখন ইয়ানডেক্সে যোগ দেন,এবং ‘গুগল ট্র্যান¯েøটে’র 
পরপরই ইয়ানডেক্স অনলাইন ট্র্যান¯েøটরে একটি নিউরোনেট সিস্টেম 
ব্যবহার শুরু হয়, তখন কিছুটা বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছিল। তখন ট্যালবট 
বিবিসিকে বলেছিলেন আর্কিটেক্সার ছিল ভিন্ন। এর অর্থ ছিল, ইংরেজি 
থেকে রুশ ভাষায় অনুবাদে এটি আরো ভালো করতে পারে। ২০১৭ 
সালে ইয়ানডেক্স চালু করে এর নিজস্ব মেশিন লার্নিং লাইব্রেরি। তখনই 
এটি এর পণ্য ডেভেলপমেন্টে সহায়তার জন্য উন্মুক্ত করে এর নিজস্ব 
ক্লাউড সার্ভিস।

এর সার্ভিসগুলো

২০০১ সালে এই কোম্পানি চালু করে ‘ইয়ানডেক্স ডিরেক্ট 
অনলাইনঅ্যাডভার্টাইজিং নেটওয়ার্ক’। ২০০৯ সালের জানুয়ারিতেরুশ 
ল্যাঙ্গুয়েজ বিল্ডসের জন্য ডিফল্ট সার্চ প্রোভাইডার হিসেবে ‘মজিলা 
ফায়ারফক্স ৩.৫’ গুগলের স্থানে প্রতিস্থাপিত হয় ইয়ানডেক্স। ২০০৯ 
সালের আগস্টে এই কোম্পানি এর সার্চ রেজাল্টে চালু করে ফ্রি 
লিগ্যাল মিউজিক প্লেয়ার। ২০১০ সালের সেপ্টেম্বরে এটি চালু করে 
এর ইয়ানডেক্স মিউজিক সার্ভিস। এবং এর ক্যাটালগ সম্প্রসারিত 
করে ৫৮ হাজার পারফরমার থেকে ৪ লাখ ট্র্যাকে। ২০১০ সালের 
১৯ মে এই কোম্পানি চালু করে এর ‘ইংলিশ ওনলি’ ওয়েব সার্চ 
ইঞ্জিন। ২০১৭ সালের ১০ অক্টোবরে কোম্পানিটি অ্যানড্রয়িড, ওএস 
আর মাইক্রোসফট উইন্ডোজের জন্য চালু করে এর ইন্টেলিজেন্ট 
অষরংধ (অষরপব) নামের পার্সোনাল অ্যাসিস্ট্যান্ট। ২০১৩ সালের 
মার্চে কোম্পানিটি এর মোবাইল ট্র্যান¯েøশন অ্যাপে সংযোজন 
করে একটি ইংরেজি ইউজার ইন্টারফেস। একই বছরের জুলাইয়ে 
‘মেইলডটআরইউ’ এর সার্চ রেজাল্ট পেজে দেয়া শুরু করে ইয়ানডেক্স

ডিরেক্ট বিজ্ঞাপন। ২০১৮ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি কোম্পানিটি মস্কোতে 
এর অটোনোমাস কারের প্রথম পরীক্ষার শো-অফ করে।

ইয়ানডেক্সের এগিয়ে চলা

২০০৭ সালের মার্চে এটি কিনে নেয় রাশিয়ান সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং 
সার্ভিস সড়রশৎঁম.ৎঁ; ২০০৮ সালের জুনে ইয়ানডেক্স ম্যাপ সার্ভিসের 
সাথে একীভ‚ত হয় রুশ রোড ট্রাফিক মনিটরিং এজেন্সি ঝগওখরহশ; 
২০০৮ সালের সেপ্টেম্বরে অধিকারে আনে পুন্টো সুইচার সফটওয়্যার 
প্রোগ্রাম, একটি অটোমেটিক রুশ থেকে ইংরেজি কীবোর্ড লে-আউট 
সুইচার। ২০১০ সালের সেপ্টেম্বরে কোম্পানিটি ‘ফেসডটকম’-এ 
বিনিয়োগ করে ৪৩ লাখ ডলার। ২০১২ সালে ফেসবুক কিনে নেয় 
‘ফেসডটকম’। ২০১১ সালের নভেম্বরে ৩ কোটি ৮০ লাভ ডলার দিয়ে 
কিনে নেয় ‘এসপিবি সফটওয়্যার’ নামের সফটওয়্যার ডেভেলপার। 
ইয়ানডেক্স ২০১২ সালের জুনে ১০ লাখ ডলার দিয়ে সিসমোটেকের 
২৫ শতাংশ শেয়ার কিনে নেয়। ২০১০ সালের ডিসেম্বরে এই কোম্পানি 
তাদের সাথে সুষ্ঠুভাবে কাজ করবে, এমন স্টার্টআপ খুঁজে বের করার 
জন্য চালু করে ‘ইয়ানডেক্সডটস্টার্ট’ এবং কিনে নেয় ‘ওয়েবভিজর’এর বিহেভিয়ার টেকনোলজি। ২০১১ সালের ২৬জানুয়ারি এর 
বিজনেস ডিরেক্টরিতে সূচনা করে প্রিমিয়াম রিপ্লেসমেন্ট অপরচ্যুনিটি, 
এতে বিজ্ঞাপনদাতাদের স্থানীয় ছোট ব্যবসায়ের ওপর আলোকপাত 
করা হয়। ইয়ানডেক্স ২০১১ সালের ২৭ জানুয়ারি কর্তৃত্ব গ্রহণ করে 
‘লগিনজা’ নামের সিঙ্গল সাইন-ইন সার্ভিসের। ২০১১ সালের আগস্টে 
ইয়ানডেক্স নিউজ ডেলিভারি স্টার্টআপ ‘দ্য টুইটেড টাইমস’ কিনে 
নেয়। এ বছরের সেপ্টেম্বরে ইয়ানডেক্স তুরস্কের জন্য একটি সার্চ ইঞ্জিন 
ও আরো কয়েক ধরনের সার্ভিস চালু করে। ২০১৩ সালের অক্টোবরে 
ইয়ানডেক্স রাশিয়ার বৃহত্তম মুভি সার্চ ইঞ্জিন করহড়চড়রংশকিনে নেয়। 
২০১৪ সালের ফেব্রæয়ারিতে ইয়ানডেক্স ‘মাল্টিশিপ’-এ বিনিয়োগ করে 
কয়েক লাখ ডলার। সে বছরের ১৪ মার্চ এটি কিনে নেয় ইসরাইলের 
জিওলোকেশন স্টার্টআপ করঃখড়পধঃবএবং ইসরাইলে চালু করে একটি 
গবেষণা ও উন্নয়ন কার্যালয়। ২০১৪ সালের জুনে সাড়ে ১৭ কোটি 
ডলার দিয়েকিনে নেয় অনলাইন মার্কেট প্লেস ‘অচেটডটরু’ এবং 
অটোমোবাইলের ক্লাসিফাইড অ্যাডভার্টাটাইজিং ওয়েবসাইট। ২০১৫ 
সালের ডিসেম্বরে ইয়ানডেক্স নিজের করে নেয় ইন্টারনেট সিকিউরিটি 
কোম্পানি ‘অ্যাগনিটাম’। ২০১৭ সালের জুনে এ কোম্পানি ৫০ লাখ 
ডলার বিনিয়োগ করে ডক+
-এ। সে বছরের ডিসেম্বরে ইয়ানডেক্স 
কিনে নেয় ফুড ডেলিভারি ‘ফুডফক্স’। ২০১৮ সালের ৭ ফেব্রæয়ারি 
ইয়ানডেক্স ইবার ইয়ানডেক্স এনভি তাদের ব্যবসায় একীভ‚ত করে 
রাশিয়া, কাজাখস্তান, আজারবাইজান, আর্মেনিয়া, বেলারুশ ও 
জর্জিয়ায়। ইবার সাড়ে ২২ কোটি ডলার ব্যয় করে এই ভেঞ্চারের ৩৬.৬ শতাংশ শেয়ারের মালিক হয়। অপরদিকে, ইয়ানডেক্স ১০ 
কোটি ডলার বিনিয়োগ করে মালিক হয় ৫৯.৩ শতাংশ শেয়ারের। 
২০১৮ সালের মে মাসে ঝনবৎনধহশও ইয়ানডেক্স ‘বিটুসি ই-কমার্স 
ইকোসিস্টেম’ ডেভেলপ করার ভেঞ্চার সম্পন্ন করে। সে বছরের 
অক্টোবরে ইয়ানডেক্স কিনে নেয় ডিল অ্যাগ্রিগেটর সার্ভিস ‘এডাডিল’।
বাস্তব সড়কে সেলফ-ড্রাইভিং কার নামানোর ক্ষেত্রে ইয়ানডেক্সের 
অবস্থান সামনের কাতারে। এর সেলফ-অটোনোমাস ট্যাক্সি রাশিয়ার 
তাতারাস্তান অঞ্চলের রাজধানী কাজানে চালু করা হয় একটি প্রকল্প 
হিসেবে।ইনোপোরিস নামে অভিহিত ছোট্ট এ শহর এর আইটিক্লাশ্চার হিসেবে পরিচিত। এখন এই শহরের লোকেরা হ্যান্ডস-ফ্রি 
ড্রাইভ করতে পারে এই শহরজুড়ে। এটি সামান্য ব্যতিক্রম ছাড়া অনেকটা গুগলের ‘ওয়েমো’র মতো।

টেক-ব্রিলিয়ান্ট তৈরি

ইয়ানডেক্স এর অনেক টেক-ব্রিলিয়ান্টকে নিয়ে আসে রাশিয়ার 
সর্বোত্তম টেকনিক্যাল হাই স্কুল থেকে। এগুলোই হতে পারে 
প্রতিশ্রæতিশীল প্রযুক্তিবিদদের হাব। রাশিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর নজর 
নেই ব্যবসায়ের দিকে। ইয়ানডেক্সে যারা কাজ করেন, তারা নিজেদের 
‘ইয়ানডেক্সোআইড’ (ণধহফবীড়রফ) নামে পরিচয় দেয়। আগামী 
প্রজন্মের ইয়ানডেক্সোআইড তৈরি করাও কোম্পানিটির অন্যতম একটি 
লক্ষ ্য। তাই ইয়ানডেক্স পরিচালনা করে এর নিজস্ব লাইসিয়াম। এই 
লাইসিয়ামে শিশুদের শেখানো হয় প্রোগ্রামিংয়ের বেসিক তথা প্রাথমিক 
বিষয়গুলো। ‘ইয়ানডেক্স ডাটা অ্যানালাইসিস স্কুল’ সেই ২০০৭ সাল 
থেকে উপরের ক্লাসের ও ¯œাতকোত্তর শিক্ষার্থীদের জন্য পরিচালনা 
করছে বিনামূল্যের কোর্স। এ ছাড়া ইয়ানডেক্সের যৌথ শিক্ষা কর্মসূচি 
রয়েছে সুনির্দিষ্ট কিছু রুশ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে।
বিগডাটা ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিয়ে কাজ করার জন্য ইয়ানডেক্স শুধু 
তরুণ ডেভেলপার ও অ্যানালিস্টদের শিক্ষিত করে তোলার প্রয়াসই 
চালায় না। এটি বাকি তরুণদের যথাযথভাবে কাজের উপযোগী 
করে গড়ে তোলার প্রয়াসও চালায়। ইয়ানডেক্সের ঞড়ষড়শধপ্ল্যাটফরম 
সবাইকে সুযোগ করে দেয় কোম্পানির অ্যালগরিদম শিক্ষাদান করে 
অর্থ উপার্জনের। এর ওয়েবসাইটে আপনি শত শত কাজ করতে 
পারবেন। প্রতিটি কাজ করে যেকেউ তার বিশেষজ্ঞতার মান অনুযায়ী 
অর্থ উপার্জন করতে পারেন। আপনার শুধু থাকা চাই কর্মমুখী চোখকান-মস্তিষ্ক। যন্ত্রকে আপনার বলার দরকার কোনো হাই স্কুল ডিপ্লোমা 
আছে কী নেই।
ইয়ানডেক্সের পাবলিক অ্যাঙ্গেজমেন্ট তথা জনসংশ্লিষ্টতার 
এখানেই শেষ নয়। ২০১৮ সালে এই কোম্পানি চালু করে ঘধৎড়ফহধুধ 
কধৎঃধ (‘অ ঢ়ঁনষরপ সধঢ়’ রহ ঊহমষরংয) নামের একটি মোবাইল অ্যাপ, 
অপরিহার্যভাবে একটি ইয়ানডেক্স ম্যাপ এডিটর। গুগল ম্যাপের মতো 
ইয়ানডেক্সের একটি ম্যাপ অ্যাপ রয়েছে। ঘধৎড়ফহধুধ কধৎঃধহচ্ছে 
ইয়ানডেক্সের ম্যাপ সার্ভিসের একটি টুল। এটি এর ব্যবহারকারীকে 
এর উন্নয়নে সহায়তা করে। সবাই বর্তমান সংস্করণের মানচিত্র 
সম্পাদনার পরামর্শ দিতে পারে। সবাই বিশ্বব্যাপী তা স্ক্যান করতে 
পারে এবং নয়া মানানসই ডাটা আপলোড করতে পারে। এটি হচ্ছে 
ক্রাউডসোর্সিং কার্টোগ্রাফি।
আগামী দিনে ইয়ানডেক্স চালু করতে পারে আরো কিছু 
উচ্চাকাক্সক্ষী প্রকল্প। ভোলঝ তেমনটিই জানিয়েছেন। একে করে 
তোলা হতে আরো সহজতর ব্যবহারের উপযোগী। একটি পিজ্জা 
চান? সে জন্য পিজ্জাওয়ালার ফোন নম্বর খোঁজার দরকার নেই। 
ইয়ানডেক্স দিয়ে কল করে পিজ্জার অর্ডার দিন আর বাড়িতে বসে তা 
পেয়ে যান। এ জন্য প্রয়োজন স্মার্টফোনের বাটনে পুশ করাও আপনার 
পার্সোনাল অ্যাসিস্ট্যান্ট ‘আলিসা’কে বলা। আপনার আদেশ পালনে
ইয়ানডেক্সের আলিসা হচ্ছে অ্যাপলের সিরি অথবা অ্যামাজনের 
‘আলেক্সা’র সমকক্ষ। ২০১৮ সালের মে মাসে ইয়ানডেক্স চালু করে 
‘ইয়ানডেক্স ডায়ালগ’। এটি অপরিহার্যভাবে এমন একটি প্ল্যাটফরম, 
যেটি দক্ষতা সংযোজনের জন্য তৃতীয়পক্ষকে সুযোগ দেয়। এর ফলে 
আলিসা বিশেষ কিছু কাজ করতে সক্ষম হয়।
ইয়ানডেক্স গুরুত্বের সাথে উন্নয়ন সাধন করে চলেছে কৃত্রিমবুদ্ধিমত্তা 
প্রযুক্তির। এটি আন্তর্জাতিক গবেষণা গোষ্ঠীগুলোতে সহায়তা করছে 
বৈজ্ঞানিক সমীক্ষা চালানোর ব্যাপারে। এই কোম্পানি চালু করেছে 
‘ইয়ানডেক্স অটোপয়েট’Ñ নামের একটি অ্যালগরিদম, যা কবিতা 
লিখে বিখ্যাত কবিদের কবিতার স্টাইল অনুসরণ কিংবা নকল করে। 
এরা অনেক আগেই ইমোজিতে ট্র্যান¯েøশন সূচনা করেছে ও সংযোজন 
করেছে লর্ড অব দ্য রিং থেকে এলবিশ (দুষ্ট, ক্ষতিকর) ল্যাঙ্গুয়েজ। 
এমনকি ইয়ানডেক্সের এআই সঙ্গীত রচনাও করতে পারে। 
২০১৭ সালের একটি সম্মেলনে আলেক্সান্ডার স্ক্রিয়াবিনের স্টাইলে 
সফটওয়্যারের মাধ্যমে রচিত একটি অর্কেস্ট্রা পারফর্ম করা হয়। এই 
গীতিকারের জন্মদিন পালন উপলক্ষে এটি পারফর্ম করা হয়। 
ইয়ানডেক্স সহায়তা করেছে একটি অনলাইন হিস্ট্রিক্যাল 
প্রজেক্টকে: এটিকে ‘১৯১৭-ফ্রি হিস্ট্রি’ নামের সামাজিক গণমাধ্যমে 
আকার দিতে। এই প্রকল্প রুশ বিপ্লবের শতবর্ষ পূর্তিদিন পালন 
করেএবং এর লক্ষ্য ছিল রুশ বিপ্লবের সময় রাশিয়ান নগরীগুলোকে 
কী ঘটেছিল তা উদঘাটন করা।
স্পষ্টতই ইয়ানডেক্সের লক্ষ্য ‘সেরা’ কোম্পানিতে পরিণত হওয়া। 
আর সে লক্ষ্যেই চলছে এর অব্যাহত এগিয়ে চলা। এটি এখন কাজ 
করছে মেশিন ট্র্যান¯েøশনের ক্ষেত্রে। এটি টেকনোলজি স্টাফ সরবরাহ 
করতে পারে চাহিদা মতো। এটি আপনাকে সরবরাহ করতে পারে 
খাবার। ডেকে দিতে পারে একটি ক্যাব। এ থেকে পাচ্ছেন হোম সিনেমার 
সুযোগ। এটি আপনাকে সহায়তা করে নিজে নিজে শেখার কাজে। 
সহায়তা দেয় আপনার ট্রেন চলায়। আসলে আপনার জীবনের সবকাজে 
এটি হতে পারে আপনার সহায়ক। রাশিয়ার অনলাইন জীবনের সাথে 
এর সংশ্লিষ্টতা এত বেশি যে, অনেকেই ইয়ানডেক্সের সুবাদে ভাবতে শুরু
করেছেন, তাদের স্মার্টফোনই হচ্ছে সবচেয়ে প্রিয় বস্তু।

ইয়ানডেক্স কি একচেটিয়া?
ইয়ানডেক্সের এই সর্বব্যাপিতায় প্রশ্ন জেগেছে: ইয়ানডেক্স রাশিয়া 
ও সংশ্লিষ্ট দেশগুলোতে পরিণত হয়েছে একটি মনোপলিতে? টেক 
ভেঞ্চার তহবিল ‘মিস্টেমা ভিসি’-এর অংশীদার ইসকান্দর গিনিয়াতুল্লিন 
তেমনটি মনে করেন না। তিনি বলেন, ‘উবারের সাথে ইয়ানডেক্সের 
একীভ‚ত হওয়ার ঘটনাটি ঘটেছে এই দুই কোম্পানির প্রতিযোগিতা 
সূত্র ধরে। কিন্তু ইয়ানডেক্স যা করে, তা হলো এমনসব নতুন ক্ষেত্রে 
পদার্পণ, যেগুলো বর্তমান বিশ্বে খুবই সম্ভাবনাময় ও প্রতিশ্রæতিশীল।’
আলেক্সান্ডার ল্যারিয়ানোভস্কি ‘আন্তর্জাতিক উন্নয়ন বিভাগের 
প্রধান হিসেবে ৭ বছর কাটিয়েছেন ইয়ানডেক্সে। তিনিও একই ধারণা 
পোষণ করেন। তিনি বলেন, ‘আমাদের পর্যবেক্ষণ হচ্ছে বিশ্বের অন্যান্য 
কোম্পানি ও ইয়ানডেক্সের কাহিনী মোটামুটি একই। সব কোম্পানিরই 
কাজ হচ্ছেÑ হয় উন্নয়ন, না হয় পিছিয়ে পড়া। ইয়ানডেক্স এ থেকে 
ব্যতিক্রম নয়। ভোলঝও বলেছেন, তার কোম্পানি রাশিয়ার বাইরে 
সার্চ ইঞ্জিনের সাথে প্রতিযোগিতায় যাবে না
পত্রিকায় লেখাটির পাতাগুলো
লেখাটির সহায়ক ভিডিও
২০২১ - এপ্রিল সংখ্যার হাইলাইটস
চলতি সংখ্যার হাইলাইটস
অনুরূপ লেখা