• ভাষা:
  • English
  • বাংলা
হোম > ডাইনেস্টি ওয়ারিওরস ৬- এম্পায়ারস ‍এবং স্পাইডারম্যান- ওয়েব অব শ্যাডোস
লেখক পরিচিতি
লেখকের নাম: সৈয়দ হাসান মাহমুদ
মোট লেখা:১৪৪
লেখা সম্পর্কিত
পাবলিশ:
২০০৮ - ডিসেম্বর
তথ্যসূত্র:
কমপিউটার জগৎ
লেখার ধরণ:
গেমকমপিউটার গেম, 
তথ্যসূত্র:
গেমের জগৎ
ভাষা:
বাংলা
স্বত্ত্ব:
কমপিউটার জগৎ
ডাইনেস্টি ওয়ারিওরস ৬- এম্পায়ারস ‍এবং স্পাইডারম্যান- ওয়েব অব শ্যাডোস

ডাইনেস্টি ওয়ারিওরস ৬- এম্পায়ারস

জাপানের যুদ্ধভিত্তিক গেমগুলোর মাঝে ডাইনেস্টি ওয়ারিওর ও সামুরাই সিরিজের গেমগুলো সবার আগে বিবেচনায় আসে। গেমগুলোর কাহিনীর মাঝে কিছুটা পার্থক্য থাকলেও গেম খেলার ধরন প্রায় একইরকমের। এই গেমগুলোর ধরনকে বলা হয় হ্যাক অ্যান্ড স্ল্যাশ, যা অ্যাকশন গেমের একটি ভাগ। প্রায় সব গেমেই থাকে অনেকগুলো করে চরিত্র এবং প্রত্যেকের থাকে আলাদা বৈশিষ্ট্য। নিজের পছন্দমতো চরিত্র নিয়ে খেলার বিশেষ সুযোগ থাকে এই গেমগুলোতে, যা অন্য গেমে সচরাচর দেখা যায় না। জাপানের ঐতিহাসিক কাহিনী নিয়ে নির্মিত এসব গেমের কদর খুবই বেশি। অনেকে একটানা অ্যাকশন পছন্দ করেন না, একঘেয়ে লেগে যায়, আবার অনেকে আছেন লাগাতার মারামারি করায় অভ্যস্ত। তাই এই গেম কারো ভালো লাগতে পারে, আবার কারো কাছে বিরক্তির কারণও হতে পারে।



ডাইনেস্টি ওয়ারিওর সিরিজের গেমগুলোর মধ্যে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে জাপানের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি। তাদের বাড়িঘর, যুদ্ধ পোশাক, বাহন, অস্ত্র-শস্ত্র, যুদ্ধকৌশল, খাবার-দাবার সব কিছু দারুণভাবে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে গেমের পরিবেশে। ডাইনেস্টি ওয়ারিওর সিরিজের গেমগুলো জাপানে শিন সাঙ্গোকুমুশো নামে পরিচিত। এই সিরিজের এ পর্যমত্ম ৬টি পর্ব বের হয়েছে। নতুন এই পর্বের ডেভেলপার হচ্ছে ওমেগা ফোর্স ও পাবলিশ করেছে কোয়েই নামের প্রতিষ্ঠান। এম্পায়ারস নামের এই গেমের কভারে এবার দেয়া হয়েছে ঝাউ ইয়ুন নামের চরিত্রের ছবি। তাই বলে সে-ই যে গেমের প্রধান চরিত্র তা কিন্তু নয়। সবগুলো চরিত্রকে নিয়ে ভালো খেলা যাবে যদি ঠিকমতো খেলা যায়।

কিছুদিন আগে বের হয়েছিল ওয়ারিওর ওরোচি নামের একটি জাপানি গেম। এটি ছিল সামুরাই ও ডাইনেস্টি ওয়ারিওর গেম দুটির সংমিশ্রণ। আগেই বলা হয়েছে গেমের কাহিনী সব সিরিজেই একই রকমের এবং সেই সাথে খেলার ধরনও। তাই গেমের কাহিনী নিয়ে তেমন কিছু বলার নেই বললেই চলে। তবে এবার প্রথম এই সিরিজের গেমে ক্যারেক্টারকে নিয়ে সিঁড়ি বেয়ে প্রাচীর ডিঙ্গাতে ও পানিতে সাঁতার কাটতে দেখা যাবে। প্রত্যেক চরিত্রের জন্য রয়েছে আলাদা মুভি, তাই আপনার সব চরিত্র নিয়ে খেলার আগ্রহ জাগবে। খেলার আগে প্লেয়ার নির্বাচন করাটা বিশেষ ব্যাপার। কারণ আপনার খেলার ধরন ও দক্ষতার ওপরে ভিত্তি করে প্লেয়ার নির্বাচন করলে ভালো খেলতে ও খেলার পুরো মজা উপভোগ করতে পারবেন। হাল্কা অস্ত্র নিয়ে খেললে খুব দ্রুততার সাথে যুদ্ধ করতে ও অনেক বেশি যুদ্ধকৌশল অবলম্বন করতে পারবেন কিন্তু এতে শত্রুর ক্ষতি কম হবে। তার মানে শত্রুকে ঘায়েল করতে সময় লাগবে। কিন্তু ভারি অস্ত্র নিয়ে খেললে খেলার গতি কমে যাবে ঠিকই, কিন্তু প্রতিপক্ষকে দারুণ শায়েসত্মা করা যাবে। অস্ত্রের ধরনের ওপরে রয়েছে খেলার ভিন্নতা। তীরন্দাজ চরিত্র নিয়েও খেলা যায় কিন্তু তাকে নিয়ে সামনে চলে আসা প্রতিপক্ষকে মারা একটু কঠিন।

গেমে রয়েছে প্রায় ৪১টি চরিত্র। তাদের প্রত্যকের রয়েছে আলাদা অস্ত্র ও ভিন্ন ভিন্ন সুবিধা। খেলার সময় যত প্রতিপক্ষকে মারবেন তার বদলে পাওয়ার গজ বাড়বে এবং তা পূর্ণ হলে কম্বো মারতে পারবেন। সাধারণ সৈন্য মারতে তেমন একটা বেগ পেতে না হলেও প্রতিপক্ষের সেনাপতি বা দলপতিকে শিক্ষা দিতে একটু কষ্ট করতে হবে। গেমে ঘোড়ায় চড়ে মারামারি করার ব্যবস্থাও রয়েছে। গেমের গ্রাফিক্স ও সাউন্ড ইফেক্টের বাহবা না দিলেই নয়। গেমে রয়েছে ক্যারেক্টার, বেস ও ব্যাটল এনসাইক্লোপিডিয়া। এতে করে আপনি জাপানের যুদ্ধের ইতিহাসের দারুণ এক পরিচয় পাবেন। গেমের মেনুর কারুকাজ ও জাপানি মিউজিক গেমে এনে দিয়েছে নতুন এক আমেজ যা সবার মন কাড়বে। গেমটি চালাতে লাগবে পেন্টিয়াম ৪, ১.৬ গি.হা. প্রসেসর, ৫১২ মে.বা. র্যা ম, পিক্সেল শ্রেডার ২.০ সাপোর্টেড ১২৮ মে.বা. গ্রাফিক্স কার্ড ও ৫ গি.বা. হার্ডডিস্ক।
...............................................................................

স্পাইডারম্যান- ওয়েব অব শ্যাডোস



মারভেল কমিকসের অন্যতম জনপ্রিয় চরিত্রের নাম হচ্ছে স্পাইডারম্যান। মুখোশধারী এই মাকড়সামানবকে নিয়ে বের হয়েছে অনেক কমিকস, টিভি সিরিয়াল, অ্যানিমেশন মুভি, কার্টুন। স্পাইডারম্যানের কাহিনী নিয়ে বের হয়েছে ৩টি মুভি, যার সবই ব্যবসাসফল। অসাধারণ শারীরিক ক্ষমতা, শক্তিশালী ষষ্ঠ ইন্দ্রিয়, হাত দিয়ে জাল ছোড়া, দেয়াল বেয়ে ওঠা এই সব একমাত্র এই চরিত্র দিয়ে সম্ভব। সেই ১৯৭৮ সাল থেকে শুরু করে আজ পর্যমত্ম বিভিন্ন কন্সোল ও পিসির জন্য স্পাইডারম্যানের ২৭টিরও বেশি গেম বের হয়েছে। গত মাসে বের হওয়া স্পাইডারম্যানের নতুন এই গেমটির নাম দেয়া হয়েছে ওয়েব অব শ্যাডোস। পিসির জন্য নতুন এই গেমটি ডেভেলপ করেছে ট্রেয়ার্ক ও সাবা গেমস এবং পাবলিশ হয়েছে বরাবরের মতো অ্যাক্টিভেশনের ব্যানারে।



গেমের কাহিনীতে রয়েছে নতুনত্বের ছোঁয়া। গেমের প্রথমে শহরে দুইটি গ্যাংস্টারের মাঝে চলা বিরোধ থামাতে হবে স্পাইডারম্যানকে। কিন্তু গেমের মূল ভিলেনের চরিত্রে রয়েছে ভেনম। পুরো শহরের মাঝে আতঙ্কের সৃষ্টি করবে ভেনম ও তার সাঙ্গোপাঙ্গরা মিলে। ভেনমের সংস্পর্শে যারা আসবে তারা পরিণত হবে সিমবায়োটে। তারাও ভেনমের মতো আচরণ করবে ও দারুণ শক্তিশালী হয়ে উঠবে। এমনকি স্পাইডারম্যান নিজেও আক্রামত্ম হবে ভেনমের বিষাক্ত ছোবলে। স্পাইডারম্যানের থাকবে দুটি ভিন্ন সত্তা, একটি ভালো ও অপরটি খারাপ। খেলার সময় প্রতি মিশনে ভালো বা খারাপ পথ বেছে নিয়ে খেলতে হবে। যখন ইচ্ছে লাল-নীল পোশাকের স্পাইডারম্যানের বদলে গাঢ় নীল রঙের ভেনমসদৃশ পোশাকে রদবদল করা যাবে। লাল-নীল পোশাকের স্পাইডারম্যানের চলাফেরার গতি ও ক্ষিপ্ততা থাকবে অনেক বেশি এবং তার মারামারির কৌশলও হবে অনেক সাবলীল। গতির দিকে গাঢ় নীল স্পাইডারম্যান পিছিয়ে থাকলেও তার গায়ে রয়েছে অসম্ভব জোর। আকারে বড় ও শক্তিশালী শত্রুর মোকাবেলা করার ক্ষেত্রে তার এই ক্ষমতাকে কাজে লাগাতে হবে। তাই প্রয়োজনমতো চরিত্র রদবদল করে খেলার মধ্য দিয়ে পাবেন দারুণ এক স্বাদ।

গেমে স্পাইডারম্যানকে সাহায্য করার জন্য থাকবে কিছু হিরো ও ভিলেন চরিত্র। খেলার সময় বিপদে পড়লে তাদের ডেকে নিতে পারবেন সাহায্য করার জন্য। হিরোদের মধ্যে রয়েছে উলভরাইন, মুন নাইট, লিউক কেজ ও ভিলেনদের মধ্যে রয়েছে ব্ল্যাক ক্যাট, রাইনো, ভালচারসহ আরো অনেকে। গেমের অন্যান্য চরিত্রের মধ্যে রয়েছে মেরি জেন, ব্ল্যাক উইডো, কিংপিন, ইলেক্ট্রো, নিক ফুরিসহ আরো অনেকে। গেমে রয়েছে নানারকম কম্বো যা প্রতি মিশনের পর আপগ্রেড হবে। কম্বো মারার সময় স্লোমোশন ইফেক্ট খুবই নজরকাড়া ও অতুলনীয় হয়েছে। দেয়াল বেয়ে ওঠা ও জালে ভর করে চলার মাঝেও আনা হয়েছে বৈচিত্র্য।

গেমের অসাধারণ কিছু বৈশিষ্ট্যের মধ্যে প্রথমেই রয়েছে এর পুরোপুরি ত্রিমাত্রিক ম্যাপ। এই ম্যাপের সাহায্যে x,y,z অ্যাক্সিসে ম্যাপ তুলে ধরা হয়েছে। যার ফলে বিল্ডিংয়ের উচ্চতাও দেখা যায় খুব সহজেই, যা আগের কোনো স্পাইডারম্যান সিরিজের গেমে ব্যবহার করা হয়নি। গেমটিকে বানানো হয়েছে ১০০ ভাগ ত্রিমাত্রিকভাবে যা দেখতে খুবই বাস্তবসম্মত হয়েছে। গেমের গ্রাফিক্স এতই সুন্দর ও সাবলীল হয়েছে যে কেউ দেখলে তা মুভি বলে মনে করবেন। ইনগেম গ্রাফিক্স ও মুভি গ্রাফিক্সের কোনো পার্থক্য নেই। নিজের চোখে না দেখলে বিশ্বাস করতে কষ্ট হবে এই গেমের গ্রাফিক্সের কারুকাজ। গেমটি চালানোর জন্য লাগবে ইন্টেল পেন্টিয়াম ৪, ২.৮ গি.হা. প্রসেসর বা এএমডি এথলন ২৮০০+, ১ গি.বা. র্যা ম (ভিসতায় ১.৫ গি.বা.), ২৫৬ মে.বা. গ্রাফিক্স কার্ড (জিফোর্স ৭৩০০ মানের বা পিক্সেল শ্রেডার ৩.০ সমর্থিত) ও হার্ডডিস্কে ৮.৫ গি.বা. ফাঁকা স্থান।

ফিডব্যাক : shmt_21@yahoo.com
পত্রিকায় লেখাটির পাতাগুলো
২০০৮ - ডিসেম্বর সংখ্যার হাইলাইটস
চলতি সংখ্যার হাইলাইটস