• ভাষা:
  • English
  • বাংলা
হোম > ৩য় মত
লেখক পরিচিতি
লেখকের নাম: কজ
মোট লেখা:১০৪১
লেখা সম্পর্কিত
পাবলিশ:
২০০৯ - ফেব্রুয়ারী
তথ্যসূত্র:
কমপিউটার জগৎ
লেখার ধরণ:
পিসি
তথ্যসূত্র:
৩য় মত
ভাষা:
বাংলা
স্বত্ত্ব:
কমপিউটার জগৎ
৩য় মত



পিপি-জিপি নিয়োগ প্রসঙ্গে আইনমন্ত্রী সমীপে

দীর্ঘ ২ বছর পর বাংলাদেশে নির্বাচনের মাধ্যমে সরকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। নতুন সরকার মানেই নতুন কিছু পরিবর্তন। সেই সূত্রে বাংলাদেশের বিচার ব্যবস্থায় পরিবর্তন হবে বিশেষ করে অ্যাটর্নি জেনারেলসহ উচ্চ আদালতের সব অ্যাটর্নি কর্মকর্তা, জেলা পর্যায়ে পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) ও সরকারি উকিলসহ (জিপি) অন্যান্য আইন কর্মকর্তা। ইতোমধ্যে দৌড়ঝাঁপ শুরু হয়ে গেছে নতুন নিয়োগের প্রত্যাশায়। যদিও এখনো নতুন নিয়োগের ঘোষণাই আসেনি, এমনকি কর্মরত পিপি-জিপিরাও এখনো কোনো ধরনের নোটিস পাননি যে, তাদের নিয়োগ কবে বাতিল করা হবে কিংবা কবে তাদের মেয়াদ শেষ হবে। আইন অনুযায়ী অর্থাৎ লিগ্যাল রিমেমব্যাষ্ণমারর্ক ম্যানুয়াল ১৯৬০ মতে বর্তমানে নিযুক্ত পিপি-জিপিদের মেয়াদ যাই হোক না কেন, তাদের মেয়াদ শেষ করতে দেয়া উচিত।

উল্লেখ্য, বর্তমান আইনমন্ত্রী টেকনোক্র্যাট কোঠায় মন্ত্রী হয়েছেন। যতদূর জানা গেছে, বর্তমান আইনমন্ত্রী মহাজোটের শরিকভুক্ত কোনো রাজনৈতিক দলের সাথেই যুক্ত নন। বরং আন্তর্জাতিক গণতান্ত্রিক আইনজীবী সমিতির প্রেসিডিয়াম সদস্য ও বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক আইনজীবী সমিতির সভাপতি। একই সাথে আইনমন্ত্রী সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির বর্তমান সভাপতি এবং পূর্বেও সভাপতি ছিলেন। এমনকি আইনজীবীদের কেন্দ্রীয় সংগঠন বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের বর্তমান ও পূর্বের একাধিকবার নির্বাচিত প্রতিনিধি। আইনের জগৎ সম্পর্কে তাকে বোঝানোর কিছুই নেই। আইনের শাসন, ১৯৭২ সালের সংবিধানের চেতনা পুনর্প্রতিষ্ঠা ও বাস্তবায়ন, সাম্প্রদায়িকতাবিরোধী ভূমিকা পালন ও আইন প্রণয়ন, জঙ্গিবাদ প্রতিরোধ এবং যুদ্ধাপরাধীদের বিচার নিষ্পত্তিকরণে পিপি-জিপিদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ যদি তার জীবন আদর্শ মন্ত্রী হিসেবে বাস্তবায়ন করতে চান, তাহলে মহাজোটের প্রধান শরিক আওয়ামী লীগের বাধার মুখে পড়তে পারেন। কারণ, পিপি-জিপি নিয়োগের সুপারিশ সংশ্লিষ্ট জেলার আওয়ামী লীগের মন্ত্রী, সংসদ সদস্য, নেতারাই করবেন। তাতে দলবাজির মাধ্যমে নিয়োগ হওয়া পিপি-জিপিরা কোনো মতেই সৎ আদর্শ যোগ্যতাসম্পন্ন হবে অতীতের ইতিহাস ভঙ্গ করে, সেই আশায় নিশ্চিত গুড়েবালি।

সরকার কেবল ক্ষমতায় আরোহণ করেছে। এখনো তাদের মেজাজ বিরোধীদলীয় ভূমিকার মতোই। তাই সরকারের নমুনা পর্যবেক্ষণ করে অন্তত কয়েক মাস পরে আইন কর্মকর্তা নিয়োগের বিষয়টি চিন্তা করা উচিত। অন্যদিকে পিপি-জিপি নিয়োগের জন্য স্থায়ী অ্যাটর্নি সার্ভিসের বিষয় আলোচনা হলেও এখনো বিষয়টি স্পষ্ট না হওয়ায় আপাতত সাধারণ পরীক্ষার মাধ্যমে বিষয়টি নিষ্পত্তি করা যেতে পারে। অন্তত নৈর্ব্যত্তিক প্রশ্ন পদ্ধতির মাধ্যমে। ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্নে বিভোর মানুষ, কিন্তু ডিজিটাল বাংলাদেশ কিভাবে গঠন করা হবে এমন নির্দেশনা এখনো পর্যন্ত নেই। যেভাবেই হোক, আইন আদালতকেও ডিজিটাল করতে হবে। ইতোপূর্বে বাংলাদেশের সব আইন একত্রে ওয়েবসাইটে প্রকাশিত হয়েছে। আইন কমিশন, আইন মন্ত্রণালয়েরও নিজস্ব ওয়েবসাইট চালু আছে। বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে দেশের কয়েকটি জেলার আদালতসমূহে পাইলট প্রজেক্টের কাজ চলছে দীর্ঘদিন ধরে, সেখানে ইতোমধ্যে ডিজিটাল পদ্ধতির কাজ চলছে। পর্যায়ক্রমে সারাদেশে তাই হবে। আর ডিজিটাল মানেই হচ্ছে ইন্টারনেট, কমপিউটার ইত্যাদি। কোনোরকম যাচাইবাছাই ছাড়া দলীয় আইনজীবীদের দিয়ে কি ডিজিটাল আদালত, ডিজিটাল বিচারব্যবস্থা চালু করা সম্ভব? আমি বলছি না যে, মহাজোট দলীয়রা ইন্টারনেট বা কমপিউটার চালাতে জানেন না। বরং ঢের বেশি জানেন, কিন্তু নিয়োগ প্রক্রিয়াটি অতীতের মতো হলে আমি হলফ করে বলতে পারি কমপিউটার, ইন্টারনেট জানা কেউ নিয়োগ পাবেন না যদি সঠিক-পরিচ্ছন্ন মন্ত্রিসভা যেভাবে গঠিত হয়েছে তেমন নিয়ম মানা না হয়।

আসাদুল্লাহ বাদল
আইনজীবী, জজকোর্ট, গাজীপুর
............................................................................................

সাধারণ ব্যবহারকারীদের উপযোগী প্রচ্ছদ প্রতিবেদন চাই

আমি কমপিউটার জগৎ-এর একজন নিয়মিত পাঠক। হালের ক্রেজ মোবাইল ফোন, উচ্চ প্রযুক্তির মোবাইল সেট এখন মানুষের হাতে হাতে। কিন্তু এর প্রয়োজনীয় বিভিন্ন ফাংশন সম্পর্কে অনেকেই অজ্ঞ, তাই মোবাইল ফোনবিষয়ক একটি প্রচ্ছদ প্রতিবেদন ছাপালে আমরা কৃতজ্ঞ থাকবো। প্রচ্ছদ প্রতিবেদনে থাকবে মোবাইল ফোনের ক্যামেরা, মিউজিক, প্রয়োজনীয় সফটওয়্যার, ওয়াপসাইট, জিপিআরএস, মেনু সেটিংয়ের মাধ্যমে ওয়াপ সেট করার নিয়ম, এফএম রেডিওগুলোর প্রত্যেকটি শহরের এফএম, এমএমএস, প্রয়োজনীয় বিভিন্ন ফাংশন যেমন : থ্রিজি, মোবাইল ট্র্যাকার, মোশন সেন্সর, টিভি আউটপুট ইত্যাদি সম্পর্কে ধারণা। সাধারণ কমপিউটার ব্যবহারকারীরা ছোটখাটো সমস্যার কারণে বিপাকে পড়ে যায় সার্বিক গাইডলাইন না পাওয়ার কারণে। আবার নতুন কমপিউটারেও সমস্যা দেখা দেয় সার্বিক যত্ন না নেয়ার কারণে। তাই কমপিউটার জগৎ-এর কাছে আমাদের প্রত্যাশা, কমপিউটার জগৎ যেন সাধারণ ব্যবহারকারীদের উপযোগী করে টিপস, ট্রিকস ও ট্রাবলশূটিং বিষয়ে প্রচ্ছদ প্রতিবেদন প্রকাশ করে। এ প্রচ্ছদ প্রতিবেদনে থাকবে কমপিউটারের বিভিন্ন যন্ত্রাংশের সমস্যার সমাধান, কেসিং, মনিটর, প্রিন্টার, কী-বোর্ড ইত্যাদির সঠিক ব্যবহার ও যত্ন নেয়ার নিয়ম।

ফ্রিল্যান্স আউটসোর্সিংবিষয়ক লেখাগুলো খুব ভালো লাগে, গুগল অ্যাডসেন্সবিষয়ক লেখাও প্রয়োজন। আর টিপস অ্যান্ড ট্রিকস, ওয়েব গাইড, সফটওয়্যার গাইড, মোবাইল রিভিউ ইত্যাদি বিষয়ের ওপর নিয়মিত বিভাগ চাই। আশা করি কর্তৃপক্ষ বিষয়টি ভেবে দেখবেন। অবশেষে কমপিউটার জগৎ-এর অব্যাহত সাফল্য কামনা করে শেষ করছি।

মো: মামুনুর রহমান
হাটহাজারী, চট্টগ্রাম
............................................................................................

কমপিউটার জগৎ নামে তথ্য ও প্রযুক্তিভিত্তিক টিভি চ্যানেল চাই

অধ্যাপক মরহুম আবদুল কাদের-এর স্বপ্নকে বাসত্মবায়ন করতে হলে শুধু একটি ম্যাগাজিনই যথেষ্ট বলে আমি মনে করি না। কারণ কমপিউটার জগৎ ছাড়া কমপিউটার প্রযুক্তিবিষয়ক অন্যান্য পত্রিকার পাঠক আমাদের দেশে খুব কম। তাই কমপিউটার ও তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ে আগ্রহ ও গণসচেতনতা সৃষ্টিতে এমন একটি টিভি চ্যানেল তৈরি করা হোক, যেখানে প্রচার করা হবে কমপিউটার সম্পর্কিত যাবতীয় তথ্য এবং এই ধরনের চ্যানেলে প্রচার করা হবে সারাবিশ্বের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিভিত্তিক নানা রকম তথ্য। এই ধরনের শিক্ষাভিত্তিক একটি চ্যানেলই হবে এদেশের সফলতার প্রতীক ও গর্ব। বিটিভিতে এক সময় প্রচার করা হতো ‘কমপিউটার প্রতিদিন’ নামে একটি অনুষ্ঠান, সেটাও বন্ধ হয়ে গেছে। আমি একজন ডিপ্লোমা কমপিউটার ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে একটি তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক টিভি চ্যানেল আশা করি, যেখান থেকে প্রচার করা হবে বিভিন্ন ধরনের প্যাকেজ প্রোগ্রাম। শুধু প্যাকেজ প্রোগ্রাম থাকলেই হবে না, এসব প্রোগ্রামের উপস্থাপনা হবে সহজবোধ্য, যাতে সবাই বুঝতে পারে। আর একজন ছাত্রের পাশে যদি একটি কমপিউটার থাকে, তাহলে এরকম একটি চ্যানেল হবে তার জন্য গৃহশিক্ষক। তাই আমি কর্তৃপক্ষের কাছে বলতে চাই, শুধু মুখে বড় বড় বাণী শোনালে এদেশ ডিজিটাল বাংলাদেশে পরিণত হবে না। কমপিউটার জগৎ-এর মতো অন্যান্য মিডিয়াকেও এগিয়ে আসতে হবে। সেই সাথে এগিয়ে আসতে হবে দেশের প্রতিটি মানুষকেও।

মো: আ: আলীম
আলমডাঙ্গা, চুয়াডাঙ্গা

পিপি-জিপি নিয়োগ প্রসঙ্গে আইনমন্ত্রী সমীপে

দীর্ঘ ২ বছর পর বাংলাদেশে নির্বাচনের মাধ্যমে সরকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। নতুন সরকার মানেই নতুন কিছু পরিবর্তন। সেই সূত্রে বাংলাদেশের বিচার ব্যবস্থায় পরিবর্তন হবে বিশেষ করে অ্যাটর্নি জেনারেলসহ উচ্চ আদালতের সব অ্যাটর্নি কর্মকর্তা, জেলা পর্যায়ে পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) ও সরকারি উকিলসহ (জিপি) অন্যান্য আইন কর্মকর্তা। ইতোমধ্যে দৌড়ঝাঁপ শুরু হয়ে গেছে নতুন নিয়োগের প্রত্যাশায়। যদিও এখনো নতুন নিয়োগের ঘোষণাই আসেনি, এমনকি কর্মরত পিপি-জিপিরাও এখনো কোনো ধরনের নোটিস পাননি যে, তাদের নিয়োগ কবে বাতিল করা হবে কিংবা কবে তাদের মেয়াদ শেষ হবে। আইন অনুযায়ী অর্থাৎ লিগ্যাল রিমেমব্যাষ্ণমারর্ক ম্যানুয়াল ১৯৬০ মতে বর্তমানে নিযুক্ত পিপি-জিপিদের মেয়াদ যাই হোক না কেন, তাদের মেয়াদ শেষ করতে দেয়া উচিত।

উল্লেখ্য, বর্তমান আইনমন্ত্রী টেকনোক্র্যাট কোঠায় মন্ত্রী হয়েছেন। যতদূর জানা গেছে, বর্তমান আইনমন্ত্রী মহাজোটের শরিকভুক্ত কোনো রাজনৈতিক দলের সাথেই যুক্ত নন। বরং আন্তর্জাতিক গণতান্ত্রিক আইনজীবী সমিতির প্রেসিডিয়াম সদস্য ও বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক আইনজীবী সমিতির সভাপতি। একই সাথে আইনমন্ত্রী সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির বর্তমান সভাপতি এবং পূর্বেও সভাপতি ছিলেন। এমনকি আইনজীবীদের কেন্দ্রীয় সংগঠন বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের বর্তমান ও পূর্বের একাধিকবার নির্বাচিত প্রতিনিধি। আইনের জগৎ সম্পর্কে তাকে বোঝানোর কিছুই নেই। আইনের শাসন, ১৯৭২ সালের সংবিধানের চেতনা পুনর্প্রতিষ্ঠা ও বাস্তবায়ন, সাম্প্রদায়িকতাবিরোধী ভূমিকা পালন ও আইন প্রণয়ন, জঙ্গিবাদ প্রতিরোধ এবং যুদ্ধাপরাধীদের বিচার নিষ্পত্তিকরণে পিপি-জিপিদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ যদি তার জীবন আদর্শ মন্ত্রী হিসেবে বাস্তবায়ন করতে চান, তাহলে মহাজোটের প্রধান শরিক আওয়ামী লীগের বাধার মুখে পড়তে পারেন। কারণ, পিপি-জিপি নিয়োগের সুপারিশ সংশ্লিষ্ট জেলার আওয়ামী লীগের মন্ত্রী, সংসদ সদস্য, নেতারাই করবেন। তাতে দলবাজির মাধ্যমে নিয়োগ হওয়া পিপি-জিপিরা কোনো মতেই সৎ আদর্শ যোগ্যতাসম্পন্ন হবে অতীতের ইতিহাস ভঙ্গ করে, সেই আশায় নিশ্চিত গুড়েবালি।

সরকার কেবল ক্ষমতায় আরোহণ করেছে। এখনো তাদের মেজাজ বিরোধীদলীয় ভূমিকার মতোই। তাই সরকারের নমুনা পর্যবেক্ষণ করে অন্তত কয়েক মাস পরে আইন কর্মকর্তা নিয়োগের বিষয়টি চিন্তা করা উচিত। অন্যদিকে পিপি-জিপি নিয়োগের জন্য স্থায়ী অ্যাটর্নি সার্ভিসের বিষয় আলোচনা হলেও এখনো বিষয়টি স্পষ্ট না হওয়ায় আপাতত সাধারণ পরীক্ষার মাধ্যমে বিষয়টি নিষ্পত্তি করা যেতে পারে। অন্তত নৈর্ব্যত্তিক প্রশ্ন পদ্ধতির মাধ্যমে। ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্নে বিভোর মানুষ, কিন্তু ডিজিটাল বাংলাদেশ কিভাবে গঠন করা হবে এমন নির্দেশনা এখনো পর্যন্ত নেই। যেভাবেই হোক, আইন আদালতকেও ডিজিটাল করতে হবে। ইতোপূর্বে বাংলাদেশের সব আইন একত্রে ওয়েবসাইটে প্রকাশিত হয়েছে। আইন কমিশন, আইন মন্ত্রণালয়েরও নিজস্ব ওয়েবসাইট চালু আছে। বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে দেশের কয়েকটি জেলার আদালতসমূহে পাইলট প্রজেক্টের কাজ চলছে দীর্ঘদিন ধরে, সেখানে ইতোমধ্যে ডিজিটাল পদ্ধতির কাজ চলছে। পর্যায়ক্রমে সারাদেশে তাই হবে। আর ডিজিটাল মানেই হচ্ছে ইন্টারনেট, কমপিউটার ইত্যাদি। কোনোরকম যাচাইবাছাই ছাড়া দলীয় আইনজীবীদের দিয়ে কি ডিজিটাল আদালত, ডিজিটাল বিচারব্যবস্থা চালু করা সম্ভব? আমি বলছি না যে, মহাজোট দলীয়রা ইন্টারনেট বা কমপিউটার চালাতে জানেন না। বরং ঢের বেশি জানেন, কিন্তু নিয়োগ প্রক্রিয়াটি অতীতের মতো হলে আমি হলফ করে বলতে পারি কমপিউটার, ইন্টারনেট জানা কেউ নিয়োগ পাবেন না যদি সঠিক-পরিচ্ছন্ন মন্ত্রিসভা যেভাবে গঠিত হয়েছে তেমন নিয়ম মানা না হয়।

আসাদুল্লাহ বাদল
আইনজীবী, জজকোর্ট, গাজীপুর
............................................................................................

সাধারণ ব্যবহারকারীদের উপযোগী প্রচ্ছদ প্রতিবেদন চাই

আমি কমপিউটার জগৎ-এর একজন নিয়মিত পাঠক। হালের ক্রেজ মোবাইল ফোন, উচ্চ প্রযুক্তির মোবাইল সেট এখন মানুষের হাতে হাতে। কিন্তু এর প্রয়োজনীয় বিভিন্ন ফাংশন সম্পর্কে অনেকেই অজ্ঞ, তাই মোবাইল ফোনবিষয়ক একটি প্রচ্ছদ প্রতিবেদন ছাপালে আমরা কৃতজ্ঞ থাকবো। প্রচ্ছদ প্রতিবেদনে থাকবে মোবাইল ফোনের ক্যামেরা, মিউজিক, প্রয়োজনীয় সফটওয়্যার, ওয়াপসাইট, জিপিআরএস, মেনু সেটিংয়ের মাধ্যমে ওয়াপ সেট করার নিয়ম, এফএম রেডিওগুলোর প্রত্যেকটি শহরের এফএম, এমএমএস, প্রয়োজনীয় বিভিন্ন ফাংশন যেমন : থ্রিজি, মোবাইল ট্র্যাকার, মোশন সেন্সর, টিভি আউটপুট ইত্যাদি সম্পর্কে ধারণা। সাধারণ কমপিউটার ব্যবহারকারীরা ছোটখাটো সমস্যার কারণে বিপাকে পড়ে যায় সার্বিক গাইডলাইন না পাওয়ার কারণে। আবার নতুন কমপিউটারেও সমস্যা দেখা দেয় সার্বিক যত্ন না নেয়ার কারণে। তাই কমপিউটার জগৎ-এর কাছে আমাদের প্রত্যাশা, কমপিউটার জগৎ যেন সাধারণ ব্যবহারকারীদের উপযোগী করে টিপস, ট্রিকস ও ট্রাবলশূটিং বিষয়ে প্রচ্ছদ প্রতিবেদন প্রকাশ করে। এ প্রচ্ছদ প্রতিবেদনে থাকবে কমপিউটারের বিভিন্ন যন্ত্রাংশের সমস্যার সমাধান, কেসিং, মনিটর, প্রিন্টার, কী-বোর্ড ইত্যাদির সঠিক ব্যবহার ও যত্ন নেয়ার নিয়ম।

ফ্রিল্যান্স আউটসোর্সিংবিষয়ক লেখাগুলো খুব ভালো লাগে, গুগল অ্যাডসেন্সবিষয়ক লেখাও প্রয়োজন। আর টিপস অ্যান্ড ট্রিকস, ওয়েব গাইড, সফটওয়্যার গাইড, মোবাইল রিভিউ ইত্যাদি বিষয়ের ওপর নিয়মিত বিভাগ চাই। আশা করি কর্তৃপক্ষ বিষয়টি ভেবে দেখবেন। অবশেষে কমপিউটার জগৎ-এর অব্যাহত সাফল্য কামনা করে শেষ করছি।

মো: মামুনুর রহমান
হাটহাজারী, চট্টগ্রাম
............................................................................................

কমপিউটার জগৎ নামে তথ্য ও প্রযুক্তিভিত্তিক টিভি চ্যানেল চাই

অধ্যাপক মরহুম আবদুল কাদের-এর স্বপ্নকে বাসত্মবায়ন করতে হলে শুধু একটি ম্যাগাজিনই যথেষ্ট বলে আমি মনে করি না। কারণ কমপিউটার জগৎ ছাড়া কমপিউটার প্রযুক্তিবিষয়ক অন্যান্য পত্রিকার পাঠক আমাদের দেশে খুব কম। তাই কমপিউটার ও তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ে আগ্রহ ও গণসচেতনতা সৃষ্টিতে এমন একটি টিভি চ্যানেল তৈরি করা হোক, যেখানে প্রচার করা হবে কমপিউটার সম্পর্কিত যাবতীয় তথ্য এবং এই ধরনের চ্যানেলে প্রচার করা হবে সারাবিশ্বের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিভিত্তিক নানা রকম তথ্য। এই ধরনের শিক্ষাভিত্তিক একটি চ্যানেলই হবে এদেশের সফলতার প্রতীক ও গর্ব। বিটিভিতে এক সময় প্রচার করা হতো ‘কমপিউটার প্রতিদিন’ নামে একটি অনুষ্ঠান, সেটাও বন্ধ হয়ে গেছে। আমি একজন ডিপ্লোমা কমপিউটার ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে একটি তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক টিভি চ্যানেল আশা করি, যেখান থেকে প্রচার করা হবে বিভিন্ন ধরনের প্যাকেজ প্রোগ্রাম। শুধু প্যাকেজ প্রোগ্রাম থাকলেই হবে না, এসব প্রোগ্রামের উপস্থাপনা হবে সহজবোধ্য, যাতে সবাই বুঝতে পারে। আর একজন ছাত্রের পাশে যদি একটি কমপিউটার থাকে, তাহলে এরকম একটি চ্যানেল হবে তার জন্য গৃহশিক্ষক। তাই আমি কর্তৃপক্ষের কাছে বলতে চাই, শুধু মুখে বড় বড় বাণী শোনালে এদেশ ডিজিটাল বাংলাদেশে পরিণত হবে না। কমপিউটার জগৎ-এর মতো অন্যান্য মিডিয়াকেও এগিয়ে আসতে হবে। সেই সাথে এগিয়ে আসতে হবে দেশের প্রতিটি মানুষকেও।

মো: আ: আলীম
আলমডাঙ্গা, চুয়াডাঙ্গা
পত্রিকায় লেখাটির পাতাগুলো
লেখাটি পিডিএফ ফর্মেটে ডাউনলোড করুন
২০০৯ - ফেব্রুয়ারী সংখ্যার হাইলাইটস
চলতি সংখ্যার হাইলাইটস