কমপিউটারের অপারেটিং সিস্টেম, সফটওয়্যার বা হার্ডওয়্যারে বিভিন্ন কারণে দেখা দিতে পারে বিভিন্ন রকমের সমস্যা। এসব সমস্যা নিরূপণের জন্য কিছু পর্যায়ক্রমিক কাজ করতে হয়, যাকে বলা হয়ে থাকে ট্রাবলশূটিং। একজন কমপিউটার ব্যবহারকারীর ট্রাবলশূটিং সম্পর্কে কিছুটা জ্ঞান থাকা আবশ্যক, যাতে সে কমপিউটারের সাধারণ সমস্যাগুলো নিজেই সমাধান করতে পারেন।
কমপিউটারের ট্রাবলশূটিংকে সাধারণত দুই ভাগে ভাগ করা হয়ে থাকে : হার্ডওয়্যার ট্রাবলশূটিং ও সফটওয়্যার ট্রাবলশূটিং।
হার্ডওয়্যার ট্রাবলশূটিং :
কমপিউটারের বিভিন্ন অংশ যেমন- ইনপুট ডিভাইস, আউটপুট ডিভাইস, প্রসেসিং ডিভাইস, পাওয়ার সাপ্লাই ডিভাইস, পেরিফেরাল পোর্টসহ বিভিন্ন ধরনের যান্ত্রিক সমস্যার সমাধানের লক্ষ্যে নেয়া পদক্ষেপগুলোকে বা সমাধান করার প্রক্রিয়াকে হার্ডওয়্যার ট্রাবলশূটিং বলা হয়।
সফটওয়্যার ট্রাবলশূটিং :
হার্ডওয়্যার ও সফটওয়্যার একে অপরের সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। এ দুটির পারস্পরিক সম্পর্কের ভিত্তিতে কাজ করতে সক্ষম হয় কমপিউটার। হার্ডওয়্যারের কারণেও কমপিউটারে সফটওয়্যার সমস্যাগুলো দেখা দিতে পারে। তাই হার্ডওয়্যারের সাথে সামঞ্জস্য রেখে কমপিউটারে সফটওয়্যার ব্যবহার করতে হবে। যেমন- কম ক্ষমতার প্রসেসর ও কম র্যা মযুক্ত পিসিতে হাই ডেফিনিশন মুভি বা উচ্চমানের গেম চালাতে গেলে তা লো মেমরি বা অত্যধিক তাপ উৎপাদন সমস্যার সৃষ্টি করবে। আবার হার্ডওয়্যারের জন্য উপযুক্ত ড্রাইভার ও আপডেট ব্যবহার না করলে সে হার্ডওয়্যার কাজ না করা বা ধীর গতিতে চলা ইত্যাদি সমস্যার সৃষ্টি হয়। সফটওয়্যার সমস্যাগুলো দেখা দেয় এমন কিছু প্রোগ্রামের তালিকায় রয়েছে- অপারেটিং সিস্টেম, অ্যাপ্লিকেশন সফটওয়্যার, অ্যান্টিভাইরাস সফটওয়্যার, গ্রাফিক্স সফটওয়্যার, ডাটাবেজ সফটওয়্যার, প্রোগ্রামিং সফটওয়্যার, মাল্টিমিডিয়া সফটওয়্যার, ইউটিলিটি সফটওয়্যার, ড্রাইভার সফটওয়্যার ইত্যাদি। বিভিন্ন প্রোগ্রামের মাঝে সৃষ্ট এ সমস্যাগুলো সমাধানের প্রক্রিয়াকেই বলা হয় সফটওয়্যার ট্রাবলশূটিং।
ট্রাবলশূটিং বিষয়ে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপারটি হচ্ছে সমস্যা সঠিকভাবে শনাক্ত করা।
কমপিউটার সমস্যা ও সমাধান
আমি এক্সপি প্রফেশনাল সার্ভিস প্যাক ২ ব্যবহার করি এবং পিসির ডেস্কটপে ফাইল রেখে কাজ করতে পছন্দ করি। তাই আমার ডেস্কটপ ভরা আইকন। আমার সমস্যা হচ্ছে কিছুদিন পর পর ডেস্কটপ ক্লিন করার অপশন দেখায় মনিটরের নিচে ডান কোণায়। ভুলে একবার ক্লিন অপশনে সম্মতি জানানোয় ডেস্কটপের অনেক আইকন মুছে গেছে। ডেস্কটপ ক্লিক করার এ ব্যাপারটি থেকে পরিত্রাণের উপায় কি? ডেস্কটপে বেশি ফাইল রেখে কাজ করলে কি সমস্যা হয়?
-আসাদুজ্জামান, কোনাবাড়ী, ঢাকা।
ডেস্কটপ ক্লিনআপ উইজার্ড ডিজ্যাবল করে এ সমস্যার সমাধান করা যায় খুব সহজেই। এ কাজ করার জন্য ডেস্কটপে রাইট বাটন ক্লিক করে Properties সিলেক্ট করতে হবে। এরপর Display Properties ডায়ালগ বক্স থেকে Desktop ট্যাব নির্বাচন করে Customize Desktop-এ ক্লিক করতে হবে। Desktop Items ডায়ালগ বক্সে থাকা Run Desktop Cleanup Wizard every days days লেখার পাশ থেকে টিক চিহ্ন তুলে দিয়ে Ok চেপে ডায়ালগ বক্সটি বন্ধ করতে হবে। তাহলেই এ সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে। ডেস্কটপে বেশি ফাইল না রাখাটাই ভালো। এতে কমপিউটারের গতি কিছুটা কমে যেতে পারে। তাই সবসময় ব্যবহার করা হয় এমন প্রোগ্রামগুলোর আইকন ডেস্কটপে রাখা যেতে পারে অথবা প্রোগ্রামের ওপরে রাইট বাটন ক্লিক করে Pin to Start Menu সিলেক্ট করে স্টার্ট মেনুর সাথে তা সংযুক্ত করে নেয়া সম্ভব।
আমার কমপিউটার কেনা হয়েছে ৬ মাস আগে। আমার কমপিউটারে আমি উইন্ডোজ এক্সপি ব্যবহার করি। প্রথমদিকে কমপিউটার যত তাড়াতাড়ি চালু হতো এখন তা হয় না। কমপিউটার চালুর পর তা পুরোপুরি সচল হতে প্রায় ৪-৫ মিনিট লেগে যায়। ডেস্কটপ আসার পর অনেকক্ষণ ধরে হ্যাং হয়ে থাকে। মাই কমপিউটার বা অন্য কোনো প্রোগ্রাম চালু করা যায় না। ডান পাশে নিচের দিকে বারে থাকা আইকনগুলো সব আসার পর কাজ করা যায়। এ সমস্যা কিভাবে দূর করবো?
-সাইফুল ইসলাম, শান্তিনগর, ঢাকা।
অনেক হোম ইউজারই এ সমস্যাটিতে ভুগে থাকেন। মূলত এটি তেমন জটিল কোনো সমস্যা নয়। সাধারণত অনেক দিন ধরে একই উইন্ডোজ ব্যবহার করলে এবং অনেক সফটওয়্যার একসাথে ইনস্টল করলে এ ধরনের সমস্যা হতে পারে। টাস্কবারের ডান দিকের আইকনগুলো আসতে দেরি হওয়ার কারণ হচ্ছে স্টার্টআপে একই সাথে অনেক প্রোগ্রাম জমা হয়ে গেছে। পিসি চালু হওয়ার সময় সব প্রোগ্রাম লোড করার পর তা পুরোপুরিভাবে চালু হয়। স্টার্টআপ ক্লিন করে খুব সহজেই এ সমস্যা দূর করা সম্ভব। এজন্য Start মেনু থেকে Run অপশনে গিয়ে msconfig লিখে এন্টার চাপলে System Configuration নামের একটি উইন্ডো আসবে। সেখান থেকে Startup ট্যাবে গেলে স্টার্টআপে থাকা সব প্রোগ্রাম প্রদর্শিত হবে। এখন সেখান থেকে কোন প্রোগ্রামগুলো জরুরি সেগুলো রেখে বাকিগুলো থেকে টিক চিহ্ন উঠিয়ে দিয়ে Ok করে বের হয়ে আসুন। পিসি রিস্টার্ট করতে চাইলে রিস্টার্ট করাই ভালো। তারপরও পিসি ধীরে চললে পিসি থেকে অপ্রয়োজনীয় কিছু প্রোগ্রাম আনইনস্টল করে দেখা যেতে পারে। এ জন্য Start মেনু থেকে Control panel অপশনে গিয়ে Add/Remove Programs-এ ক্লিক করলে পিসিতে কি কি সফটওয়্যার ইনস্টল করা আছে তার একটি তালিকা দেখাবে। সেখান থেকে অপ্রয়োজনীয় সফটওয়্যারগুলো আনইনস্টল করুন। আরেকটি কথা সবসময় খেয়াল রাখা দরকার তা হচ্ছে- কখনো কোনো গেম বা সফটওয়্যার যে ড্রাইভে ইনস্টল করা আছে সেখান থেকে সরাসরি ফোল্ডারসহ ডিলিট করা উচিত নয়, কারণ তাতে করে সেই গেম বা প্রোগ্রামটি পুরোপুরিভাবে পিসি থেকে ডিলিট হয়ে যায় না। সবসময় Add/Remove Programs ব্যবহার করে সব প্রোগ্রাম বা গেম আনইনস্টল করা উচিত। তা নাহলে রেজিস্ট্রিতে সেই প্রোগ্রামগুলো জমা হতে থাকবে। যার ফলে পিসি স্লো হয়ে যাবে এবং সেই সাথে উইন্ডোজ ড্রাইভে অযথাই জায়গা দখল করে রাখবে। এছাড়া ইচ্ছে করলে সিস্টেম ইউটিলিটি সফটওয়্যার ব্যবহার করা যেতে পারে, যেমন- TuneUp Utilities 2010, CCleaner নামের সফটওয়্যার ব্যবহার করে খুব সহজেই পিসির বিভিন্ন সমস্যার সমাধান করা যায়।
আমার কমপিউটারের সিপিইউ চালু হবার পর সবুজ বাতি জ্বলে কিন্তু কোনো লাল বাতি জ্বলে না। অন্যান্য কমপিউটারে দেখেছি সবুজ বাতির সাথে লাল রঙের একটি বাতি পিটপিট করে জ্বলে। আমার পিসিতে এমন হয় না কেনো? এটি কি কমপিউটারের কোনো সমস্যা?
-মেহেদী হাসান, ধানমন্ডি, ঢাকা।
সাধারণত কেসিংয়ের সামনে সবুজ বাতি হচ্ছে পাওয়ার ইন্ডিকেটর যা পিসি চালু করার পর জ্বলে ওঠে। কিন্তু লাল বাতিটি জ্বলে তখনই যখন হার্ডডিস্ক সচল থাকে। পিটপিট করে জ্বলা মানে হার্ডডিস্ক ঠিকমতো কাজ করছে। লাল বাতিটি মাদারবোর্ডের সাথে কানেকশন না দেয়ার কারণে জ্বলে না। আপনার পিসিতে হয়তো এ কানেকশনটি দেয়া নেই। এ কানেকশনটি দেয়ার জন্য কেসিং খুলে মাদারবোর্ডের ফ্রন্ট প্যানেল থেকে বের হওয়া তারগুলোর মধ্যে থেকে LED HDD লেখা ছোট কানেক্টরটি খুঁজে বের করে সেটিকে মাদারবোর্ডের যথাস্থানে লাগিয়ে দিলেই হবে। মাদারবোর্ডের মডেলভেদে লাগানোর জায়গা ভিন্ন হতে পারে। তাই মাদারবোর্ডের ম্যানু দেখে শনাক্ত করে নিতে হবে যে LED HDD কানেক্টরটি কোন জায়গায় সংযুক্ত করতে হবে বা কানেক্টরটি জায়গামতো লাগানোর জন্য কমপিউটারের ব্যাপারে অভিজ্ঞ কারো সহায়তা নেয়া যেতে পারে।
আমি পিসিতে উইন্ডোজ সেভেন ব্যবহার করছি কিছুদিন হলো। এতে একসাথে কয়েকটি প্রোগ্রাম চালালে পিসি স্লো হয়ে যায় এবং এক সময় ‘virtual memory is too low’ এই ধরনের মেসেজ প্রদর্শন করে। আমার এক বন্ধু বলেছে, এটি র্যাসমের জন্য হচ্ছে। উল্লেখ্য, আমার র্যাতম হচ্ছে ডিডিআর ৫১২ মেগাবাইট। আমি কিভাবে এ সমস্যার সমাধান করতে পারি?
-সৌরভ, নারায়ণগঞ্জ।
এটি তেমন মারাত্মক কোনো সমস্যা নয়। সাধারণত কোনো প্রোগ্রাম চালু থাকলে সেটি র্যাডমে জায়গা দখল করে থাকে, আবার অনেক সময় এমন হতে পারে যে অনেক প্রোগ্রাম একসাথে চালু করার ফলে র্যা মের জায়গা সেগুলোর জন্য যথেষ্ট হচ্ছে না, সে জন্য অপারেটিং সিস্টেম পিসির হার্ডড্রাইভের কিছু পরিমাণ জায়গা ভার্চুয়াল মেমরি হিসেবে ব্যবহার করে, যা অনেকটা র্যা্মের মতো কাজ করে ও প্রোগ্রামগুলো একসাথে চালানোর জন্য সহায়তা করে। কিন্তু যখন র্যা ম ও ভার্চুয়াল মেমরি দুটোই প্রোগ্রাম চালানোর জন্য যথেষ্ট জায়গা সরবরাহ করতে পারে না, তখনই ভার্চুয়াল মেমরি লো ধরনের মেসেজ প্রদর্শন করে। এ ধরনের সমস্যার ক্ষেত্রে সবচেয়ে ভালো হয় র্যাবমের পরিমাণ বাড়িয়ে নেয়া। আর যদি এ মুহূর্তে নতুন র্যা।ম কেনা সম্ভব না হয়, তাহলে নিচের পদ্ধতি অনুসরণ করে পিসির ভার্চুয়াল মেমরির পরিমাণ বাড়িয়ে নিলে আশা করা যায় আপনার সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।
উইন্ডোজ সেভেনে এ কাজটি করার জন্য প্রথমে Start মেনু থেকে Control panel-এ গিয়ে System লেখা আইকনে ক্লিক করতে হবে (যদি কন্ট্রোল প্যানেলের আইকনগুলো Large icons ভিউ মোডে থাকে)। কন্ট্রোল প্যানেলের আইকনগুলো Category ভিউ মোডে থাকলে System & Security লেখা আইকনে ক্লিক করার পর পরবর্তী উইন্ডো থেকে System অপশন সিলেক্ট করতে হবে। তারপরের উইন্ডোতে আসবে সেখানকার বাম দিকের প্যানেল থেকে Advanced system settings লেখা খুঁজে বের করে সেটিতে ক্লিক করলে System properties নামের একটি উইন্ডো চালু হবে। সেখানে Advanced ট্যাব সিলেক্ট করা অবস্থায় উপরের দিকে Performance লেখার ডান পাশে Settings… বাটনে ক্লিক করতে হবে। এখন নতুন উইন্ডো থেকে আবার Advanced ট্যাবে গিয়ে নিচের দিকে Virtual memory লেখা বক্সের পাশে Change বাটনটি ক্লিক করতে হবে। পরবর্তী উইন্ডো থেকে Automatically manage paging file size for all Drives লেখাটি থেকে টিক চিহ্ন উঠিয়ে দিয়ে নিচের দিকে Custom Size লেখার নিচে Initial size (MB) বা Maximum size (MB) যেকোনো ঘরে ১০২৪ লিখে Set বাটনে ক্লিক করুন এবং Ok করে বের হয়ে এলেই কাজ হয়ে যাবে। উল্লেখ্য, উইন্ডোজ সেভেন ব্যবহার করার জন্য ১ গিগাবাইট মেমরির নিচে র্যা(ম ব্যবহার করা ঠিক নয়। এতে পারফরমেন্স ভালো পাওয়া যায় না। সেই সাথে বেশি প্রোগ্রাম চালানোর সময় সমস্যার সৃষ্টি করে। তাই আপনার মেশিনে ৫১২ মেগাবাইট র্যা মে উইন্ডোজ সেভেন না চালানোই ভালো।
আমি পেন্টিয়াম থ্রি ব্যবহার করি। আমার পিসির র্যাডম ছিলো ১২৮ মেগাবাইট। বন্ধুর কাছ থেকে ১২৮ মেগাবাইটের আরেকটি র্যাাম কিনে তাতে লাগিয়েছি কিন্তু পিসিতে র্যাাম শো করছে না। র্যাাম ঠিক আছে কারণ তা বন্ধুর পিসিতে কাজ করে। কি জন্য এ সমস্যা হচ্ছে জানাবেন কি?
-আবদুল্লাহ্, লালবাগ, ঢাকা।
সিস্টেমে র্যাসম শো না করার দুটি কারণ হতে পারে। প্রথমত, র্যাকমের বাস স্পিড বেশি যা আপনার মাদারবোর্ড সাপোর্ট করছে না। মাদারবোর্ডের ম্যানুয়াল দেখে জেনে নিতে হবে তা কত বাস স্পিডসম্পন্ন র্যাবম সাপোর্ট করে। আগের র্যাকমের মতো বাস স্পিডের বা মাদারবোর্ড সাপোর্ট করে এমন বাস স্পিডের র্যাসম চিপ লাগিয়ে নিলে তা কাজ করবে। দ্বিতীয়ত, র্যা ম চিপটি র্যাাম স্লটে ঠিকভাবে না বসলেও এ ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে।
কমপিউটার জগৎ ট্রাবলশূটার টিম
কমপিউটার ব্যবহারকারীদের প্রতিনিয়তই কোনো না কোনো সমস্যায় পড়তে হয়। সফটওয়্যার, হার্ডওয়্যার, নেটওয়ার্ক, সিস্টেম সিকিউরিটি, ভাইরাস সমস্যা বা কমপিউটার সম্পর্কিত যেকোনো সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে কমপিউটার জগৎ এ সংখ্যা থেকে শুরু করছে ‘পিসি’র ঝুটঝামেলা’ নামে নতুন এক বিভাগ। আপনাদের সমস্যাগুলো আমাদের মেইলে jhutjhamela@comjagat.com বা কমপিউটার জগৎ; কক্ষ নম্বর-১১, বিসিএস কমপিউটার সিটি, রোকেয়া সরণি, আগারগাঁও, ঢাকা-১২০৭, ঠিকানায় চিঠি লিখে জানান প্রতিমাসের ২০ তারিখের মধ্যে। মেইল করে কোনো সমস্যা পাঠানো হলে তার সমাধান ২-১ দিনের মধ্যেই মেইল করে জানিয়ে দেয়া হবে।
আপনাদের মেইল ও চিঠির ওপর ভিত্তি করে বাছাই করা গুরুত্বপূর্ণ কিছু সমস্যা ও এর সমাধান প্রেরকের নাম-ঠিকানাসহ ম্যাগাজিনের এ বিভাগে ছাপানো হবে।
সফটওয়্যার বা হার্ডওয়্যার সমস্যা লিখে পাঠানোর সময় পিসি’র কনফিগারেশন এবং অপারেটিং সিস্টেমের নাম অবশ্যই উলে¬খ করতে হবে। এছাড়া পিসিতে ব্যবহার হওয়া অ্যান্টিভাইরাস সফটওয়্যার, পিসি কবে কেনা ইত্যাদি উলে¬খ করা দরকার।
আপনার কমপিউটারের সমস্যার সমাধানের উপায় নিয়ে প্রতিসংখ্যায় আপনাদের সামনে উপস্থিত হবে কমপিউটার জগৎ ট্রাবলশূটার টিম।
কজ ওয়েব
ফিডব্যাক : jhutjhamela@comjagat.com