• ভাষা:
  • English
  • বাংলা
হোম > মোবাইল ফোন কনটেন্ট নির্মাতাদের প্রথম প্রতিযোগিতা হবে বাংলাদেশে
লেখক পরিচিতি
লেখকের নাম: এম. এ. হক অনু
মোট লেখা:২৩
লেখা সম্পর্কিত
পাবলিশ:
২০০৯ - অক্টোবর
তথ্যসূত্র:
কমপিউটার জগৎ
লেখার ধরণ:
নোকিয়া
তথ্যসূত্র:
রির্পোট
ভাষা:
বাংলা
স্বত্ত্ব:
কমপিউটার জগৎ
মোবাইল ফোন কনটেন্ট নির্মাতাদের প্রথম প্রতিযোগিতা হবে বাংলাদেশে

মালয়েশিয়া এয়ারলাইন্সে করে গত ১৫ সেপ্টেম্বর নোকিয়ার আমন্ত্রণে ভোর ৫টায় কুয়ালালামপুর আন্তর্জাতিক এয়ারপোর্টে পৌঁছাই। সেখান থেকে ট্রেনে কুয়ালালামপুরের হিলটন হোটেলে যাই। হোটেলের আনুষ্ঠানিকতা শেষে রুমে পৌঁছে ফ্রেশ হয়ে সকালের নাস্তার জন্য রেসেত্মারাঁয় যাই। সেখানে দেখা নোকিয়া ইমার্জিং এশিয়ার কমিউনিকেশন ম্যানেজার মৌটুসী কবিরের সাথে। নাস্তার টেবিলে উনি জানিয়ে দেন বিস্তারিত কর্মসূচি। জানলাম আজকের সারাদিনের আয়োজন সম্পর্কে। সকাল ৯টায় রেজিস্ট্রেশন সেরে যোগ দিই নোকিয়ার আয়োজনে কাঙ্ক্ষিত ‘ওয়ানকানেক্টেডওয়ার্ল্ড’ অনুষ্ঠানে। সেখানে ফোরাম নোকিয়া সম্পর্কে বর্ণনা করা হয়। ফোরাম নোকিয়া ডেভেলপার সহযোগিতার ক্ষেত্রে একটি বিশ্ব সংগঠন। টুলস, টেকনিক্যাল ইনফরমেশন, সাপোর্ট ও অভি স্টোরসহ ডিস্ট্রিবিউশন চ্যানেল নিয়ে এটি মোবাইল কনটেন্ট ও এপ্লিকেশন ডেভেলপারদের সাথে যুক্ত হয়। আগ্রহীরা এ সম্পর্কে আরো বিস্তারিত জানতে www.forum.nokia.com ওয়েবসাইট ঘুরে আসতে পারেন।


সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের পর কেনি ম্যাথার্স (বামে) কর্মমর্দন
করছেন নাজরিন হাসানের সাথে

এরপর নোকিয়ার অভি স্টোর প্রসঙ্গে বর্ণনা করা হয়। অভি স্টোর হচ্ছে নোকিয়ার অনলাইন স্টোর যেখানে গেইমস, ভিডিও, পডকাস্ট, প্রডাকটিভিটি টুলস, ওয়েব ও লোকেশন-বেইজড সার্ভিস ও আরো অনেককিছু পাওয়া যায়। ১৮০টিরও বেশি দেশের গ্রাহকরা অভি স্টোর সক্রিয়ভাবে ব্যবহার করছেন এবং এতে ৬৫টি দেশের ডেভেলপার কনটেন্ট তৈরি করেন। এটি জনপ্রিয় নোকিয়া ডিভাইসের জন্য সম্প্রতি ৫৫০০-এরও বেশি কনটেন্ট আইটেমের হোস্ট হিসেবে কাজ করছে। বিশ্ব জুড়ে নোকিয়া সার্ভিসের সাড়ে ৫ কোটি সক্রিয় গ্রাহক আছে। এরা অভি সার্ভিসসুবিধা ব্যবহার করে। এদের সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলছে। এই সম্পর্কে আরো বিস্তারিত www.store.ovi.com জানা যাবে।

দুপুরের খাবারের পর চলে যাই সম্মেলনকক্ষের পাশের কক্ষে। সেখানে চলছিল মোবাইল ফোন কনটেন্ট মেলা। বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে আসা ৮টি প্রতিষ্ঠান তাদের কনটেন্ট পণ্য প্রদর্শন করছে। প্রতিষ্ঠানগুলো হচ্ছে- ব্রেক ডিজাইন, সেলসিটি, গ্রোভি ম্যাপ, হারিয়ান ম্যাট্রো, সিন চিউ মিডিয়া, স্টারহাব, স্টার পাবলিকেশন্স এবং টুসিটুপি।

এদের ওয়েবসাইটগুলো- www.breakdesign.com, www.dc2go.net, www.groovymap.com, www.hmetro.com.my, www.sinchew-i.com, www.thestar.com.my, www.2c2p.com, www.starhub.com

তারপরে দুপুর তিনটার দিকে বাংলাদেশ থেকে আসা বিভিন্ন গণমাধ্যমের সাংবাদিকদের সাথে একান্ত মতবিনিময়ে বসেন এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের ফোরাম নোকিয়ার ডেভেলপার রিলেশন্স অ্যান্ড মার্কেটিং বিভাগের প্রধান কেনি ম্যাথার্স। তিনি বলেন, বাংলাদেশের বিশাল বাজারকে সামনে রেখে প্রথমবারের মতো মোবাইল ফোন কনটেন্ট নির্মাতাদের বিশেষ প্রতিযোগিতার আয়োজন করতে যাচ্ছে বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ মোবাইল ফোন প্রস্ত্ততকারী কোম্পানি নোকিয়া। আগামী বছরের প্রথম দিকে বাংলাদেশেই এই প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হবে। নির্মাতারা এগিয়ে এলে জনপ্রিয় অভি মেইলেও বাংলা কনটেন্ট পাওয়া সম্ভব হবে। এ ব্যাপারে কেউ নোকিয়ার সাথে যোগাযোগ করতে চাইলে নোকিয়ার নিজস্ব ওয়েবসাইটের মাধ্যমেও যোগাযোগ করতে পারবেন। তবে এক্ষেত্রে বিনিয়োগকারী ও আগ্রহী উদ্যোক্তাদের এগিয়ে আসতে হবে।


নোকিয়া ‍এন ৯৭

কেনি ম্যাথার্স বলেন, প্রতিযোগিতার আগে সিঙ্গাপুর থেকে বিশেষজ্ঞরা বাংলাদেশে এসে স্থানীয়দের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করবে। এ বছরেই প্রশিক্ষণের কাজ শুরু হবে। তিনি বলেন, এই প্রথম এরা এ ধরনের প্রতিযোগিতার আয়োজন করতে যাচ্ছে। ম্যাথার্স জানান, বর্তমানে ইংরেজি ছাড়াও স্প্যানিশ, ডাচ, ইতালীয় ও রুশ ভাষায় অভি মেইলের কনটেন্ট পাওয়া যায়। চীনা ভাষায় কনটেন্ট নেয়ার জন্য এরা এখন সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে কাজ করছেন। খুব শিগগিরই এ ভাষার কনটেন্ট অভি স্টোরে পাওয়া যাবে। চীনা ভাষার পরেই বাংলাসহ আরো কয়েকটি ভাষার দিকে তাদের নজর রয়েছে বলে জানান তিনি। বাংলাদেশে বর্তমানে মোবাইল ফোন গ্রাহকের সংখ্যা প্রায় পাঁচ কোটি এবং এর অন্তত ৭০ শতাংশ গ্রাহক নোকিয়া সেট ব্যবহার করে। সেক্ষেত্রে অভি মেইলের কনটেন্ট বাংলা ভাষায় দেয়া গেলে স্বল্পশিক্ষিত লোকদের পক্ষে তা ব্যবহার করা সম্ভব হবে। নোকিয়া কর্তৃপক্ষ জানায়, এ দিকটি মাথায় রেখেই কাজ করছে তারা।


নোকিয়া ‍এক্স ৬

অনুষ্ঠানে মালয়েশিয়ার স্থানীয় বিনিয়োগকারী কোম্পানি ‘ক্র্যাডল ইনভেস্টমেন্ট প্রোগ্রাম’-এর সাথে বিশেষ সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করে নোকিয়া। এই চুক্তির ফলে আগামী এক বছরে ক্র্যাডল কনটেন্ট ডেভেলপ খাতে ৩০ লাখ টাকার সমপরিমাণ অর্থ বিনিয়োগ করবে। নোকিয়ার এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের ডেভেলপার রিলেশন্স অ্যান্ড মার্কেটিং বিভাগের প্রধান কেনি ম্যাথার্স এবং ক্র্যাডলের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নাজরিন হাসান সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর করেন।


নোকিয়া এক্স ৩

দিনব্যাপী এ অনুষ্ঠানে নোকিয়া সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া ও ব্রুনেইয়ের জেনারেল ম্যানেজার বার্ক ছাড়াও নোকিয়া ফোরাম এবং কনটেন্ট ডেভেলপাররা বক্তৃতা করেন। অনুষ্ঠানে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া অঞ্চলের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা ও মোবাইল কনটেন্ট ডেভেলপাররা অংশ নেন। এছাড়া মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর, ভিয়েতনাম, নেপাল, বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশের শতাধিক সাংবাদিক এতে অংশ নেন।

CJ WEB

Feedback anu@comjagat.com
পত্রিকায় লেখাটির পাতাগুলো
অনান্য লিঙ্কস
লেখাটির সহায়ক ভিডিও
চলতি সংখ্যার হাইলাইটস
অনুরূপ লেখা