• ভাষা:
  • English
  • বাংলা
হোম > ডিজিটাল বাংলাদেশ : তাৎপর্য ও রূপকল্প
লেখক পরিচিতি
লেখকের নাম: ডা: মুহাম্মদ লুৎফর রহমান
মোট লেখা:২
লেখা সম্পর্কিত
পাবলিশ:
২০০৯ - অক্টোবর
তথ্যসূত্র:
কমপিউটার জগৎ
লেখার ধরণ:
ডিজিটাল বাংলাদেশ
তথ্যসূত্র:
প্রযুক্তি ধারা
ভাষা:
বাংলা
স্বত্ত্ব:
কমপিউটার জগৎ
ডিজিটাল বাংলাদেশ : তাৎপর্য ও রূপকল্প

অন্তর্নিহিত তাৎপর্য স্পষ্ট না হলেও ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ শব্দযুগল ব্যাপকভাবে পরিচিতি পেয়েছে। ইংরেজি ডিজিট শব্দের বিশেষণ হলো ডিজিটাল। ডিজিটের বাংলা অর্থ অঙ্ক; এখানে অঙ্ক অর্থ গণিত শাস্ত্র নয়। ব্যাপকভাবে ব্যবহার হওয়া দশমিক পদ্ধতির গণনার দশটি অঙ্ক : ০ হতে ৯; এই দশটি অঙ্কের ভিত্তিতে ডিজিটাল যন্ত্রপাতির বাস্তবায়ন প্রায় অসম্ভব। বস্ত্তত কমপিউটার, ক্যালকুলেটর, মোবাইল ফোনসেটসহ সব ধরনের ডিজিটাল যন্ত্রপাতি ০ এবং ১ এই দুটি অঙ্কের ভিত্তিতে তৈরি করা হয়। আধুনিক সভ্যতা ডিজিটাল যন্ত্রপাতির ওপর বহুলাংশে নির্ভরশীল। ডিজিটাল যন্ত্রপাতির ব্যবহার বাড়িয়ে দেশকে উন্নতির শিখরে নিয়ে যাওয়াই ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’-এর অন্তর্নিহিত তাৎপর্য।

‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ শব্দযুগলের সাথে ‘ভিশন ২০২১’ শব্দযুগলের সম্পর্ক টানা হয়েছে। ইংরেজি ভিশন শব্দের অর্থ দূরদৃষ্টি। বাংলাদেশের স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছর পূর্তির বছর ২০২১ সাল। ডিজিটাল যন্ত্রপাতি এবং তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি, অর্থাৎ আইসিটির বহুল ব্যবহারের মাধ্যমে বাংলাদেশকে ২০২১ সালে সমৃদ্ধশালী রাষ্ট্রে পরিণত করা বর্তমান মহাজোট সরকারের অন্যতম প্রধান লক্ষ্য। ২০০৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহারে ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ ছিল একটি আকর্ষণীয় বিষয়। সরকার ২০২১ সালের মধ্যে সমৃদ্ধশালী ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নের লক্ষ্য স্থির করেছে। কমপিউটার ও ইন্টারনেটের বহুল ব্যবহার এ দেশের জনগণের দীর্ঘদিনের প্রত্যাশা। জনসাধারণের প্রত্যাশার সাথে সরকারের প্রত্যাশার মিলনের ফলে সমৃদ্ধশালী ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়ন সম্ভব হবে বলে সবাই আশাবাদী।

এই লেখার ক্ষুদ্র পরিসরে ডিজিটাল বাংলাদেশের তাৎপর্যসহ স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছরে, অর্থাৎ ২০২১ সালে ডিজিটাল বাংলাদেশের রূপরেখা, প্রয়োজনীয় প্রযুক্তি এবং ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নের কৌশল নিয়ে সংক্ষেপে আলোকপাত করা হয়েছে।

ডিজিটাল বাংলাদেশের রূপরেখা

কেমন হবে ডিজিটাল বাংলাদেশের রূপরেখা? ২০২১ সালে বাংলাদেশের সমৃদ্ধির রূপরেখা বা অবস্থা স্পষ্টভাবে নির্ধারণ করা হয়নি। বিভিন্ন আলোচনা, টকশো, পত্রপত্রিকার লেখালেখি থেকে ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নের জন্য নানারকম আয়োজন ও কার্যক্রমের বর্ণনা পাওয়া যায়। তবে এজন্য স্পষ্ট লক্ষ্য নির্ধারণ করে পর্যায়ক্রমে সে লক্ষ্য বাস্তবায়নের কার্যক্রম গ্রহণ করা প্রয়োজন। এ প্রসঙ্গে মালয়েশিয়ার সুপারকরিডরের পরিকল্পনা ও বাস্তবায়ন কৌশল হতে পারে একটি অনুসরণীয় উদাহরণ। ১৯৯১ সালে গৃহীত এই দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা অনুযায়ী ২০২০ সালে মালয়েশিয়া পরিণত হবে একটি উন্নত রাষ্ট্রে।

এ প্রসঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি বিষয় হলো : ই-গভর্নেন্স, ই-কমার্স, ই-এডুকেশন, ই-মেডিসিন, ই-অ্যাগ্রিকালচার ইত্যাদি। অর্থাৎ ডিজিটালপ্রযুক্তি বা আইসিটিনির্ভর প্রশাসনব্যবস্থা, ব্যবসায়-বাণিজ্য, শিক্ষাব্যবস্থা, চিকিৎসাব্যবস্থা, কৃষি ব্যবস্থাপনা ইত্যাদি। ডিজিটালপ্রযুক্তির ব্যাপক প্রসার ছাড়া পশ্চাৎপদ বাংলাদেশকে ২০২১ সালের মধ্যে সমৃদ্ধশালী মাঝারী আয়ের দেশে পরিণত করা সম্ভব হবে না।

ডিজিটালপ্রযুক্তি ব্যবহার করে দ্রুতগতিতে সরকারের সেবামূলক কার্যক্রম জনগণের মধ্যে পৌঁছে দেয়া সম্ভব। মোবাইল ফোন অথবা ইন্টারনেটের মাধ্যমে দ্রুত তথ্য বিনিময় সম্ভব। ইন্টারনেট ব্যবহার করে ঘরে বসে অফিস ও ব্যবসায় বাণিজ্য পরিচালনা উন্নত দেশে একটি বিবর্ধমান ট্রেন্ড, এবং এর ফলে প্রচলিত নয়টা-পাঁচটা অফিস-সময়ের গুরুত্ব ক্রমাগত কমে আসছে। এই ব্যবস্থা পরিবহন ব্যয় ও সময় সাশ্রয়ে সহায়ক এবং বড় বড় শহরে জানজট কমাতে সহায়ক। তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় তথ্যের স্বচ্ছতা বিধানের মাধ্যমে দুর্নীতি ও অদক্ষতা নির্ণয় করা সহজ হয়। ২০২১ সালে ডিজিটাল বাংলাদেশ হবে ক্ষুধামুক্ত, দারিদ্র্যমুক্ত, দুর্নীতিমুক্ত, সুশিক্ষিত, সুদক্ষ এবং সমৃদ্ধশালী বাংলাদেশ। সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা এবং তার বাস্তবায়ন কৌশল ছাড়া কল্পনার এই ‘সোনার বাংলা’ বাস্তবায়ন সম্ভব হবে না।

ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নে প্রয়োজন

ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নের জন্য কী প্রয়োজন? সংক্ষেপে বলতে হয়, কাজের প্রতিটি ক্ষেত্রে তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তির সঠিক ব্যবহার, অর্থাৎ কমপিউটার, ফোন ও ইন্টারনেটের সঠিক ও বহুল ব্যবহার। আরও প্রয়োজন এসব বিষয়ে প্রশিক্ষিত দক্ষ জনবল। পৃথিবীর আর দশটি দেশের তুলনায় এসব ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অর্জন নৈরাশ্যজনক। বর্তমানে দেশে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা শতকরা এক ভাগের মতো। বিশাল জনগোষ্ঠী এখনো পার্সোনাল কমপিউটার ছুঁয়ে দেখেনি। এখনো এক-তৃতীয়াংশ জনগণ সাধারণ শিক্ষা থেকে বঞ্চিত। ডিজিটাল বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান উপাদান ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েবের ব্যবহার উল্লেখ করার মতো নয়। মোবাইল ফোনের অগ্রগতি সমেত্মাষজনক মনে হলেও বিশ্ব পরিস্থিতির তুলনায় অনেক পেছনে। বর্তমানে পনেরো কোটি জনসংখ্যার জন্য ফোনের সংখ্যা প্রায় পাঁচ কোটি, অর্থৎ টেলিফোনের ঘনত্ব প্রায় শতকরা তেত্রিশ ভাগ। পৃথিবীর অনেক দেশে এই ঘনত্ব শতকরা একশ’ ভাগের উপরে এবং কয়েকটি দেশে শতকরা দুইশ’ ভাগের বেশি। পার্শ্ববর্তী থাইল্যান্ডে এই ঘনত্ব শতকরা সোয়াশ’ ভাগ। উন্নয়নশীল দেশে মোবাইল ফোনের গুরুত্ব অনেক। কথা বলা ও টিভি দেখা ছাড়াও এসএমএস, ই-মেইল ও ওয়েব ব্রাউজিংয়ের জন্য মোবাইল ফোনের ব্যবহার দ্রুত বেড়ে চলেছে।

ডিজিটালপ্রযুক্তির জন্য প্রয়োজন বিদ্যুৎশক্তি। আর বিদ্যুতের উৎপাদন ও ব্যবহারের বিচারে বিশ্বে আমাদের অবস্থান একেবারে পেছনের সারিতে। ডিজিটালপ্রযুক্তি ও বিদ্যুতের ব্যবহার, প্রযুক্তিগত শিক্ষার অবস্থা প্রভৃতির বিবেচনায় ২০২১ সালে সমৃদ্ধশালী ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়ন মোটেই সহজ কাজ নয়। তবে সরকারের দৃঢ়প্রত্যয় এবং সঠিক পরিকল্পনা প্রণয়ন ও তার বাস্তবায়ন কৌশল এই লক্ষ্য অর্জনে জাতিকে সক্ষম করবে।

ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নে করণীয়

ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নের জন্য অনেক কিছু করার প্রয়োজন হবে। উল্লেখযোগ্য কয়েকটি বিষয় হলো : গ্রাম, ইউনিয়ন ও উপজেলাসহ দেশব্যাপী ইন্টারনেট ও টেলিফোনের ব্যাপক সম্প্রসারণ, তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহারে সক্ষম জনবল সৃষ্টি এবং সে জন্য শিক্ষাব্যবস্থায় আমূল পরিবর্তন। আরো প্রয়োজন ওয়েবের ব্যবহার সম্প্রসারণসহ ই-গভর্নেন্সের ব্যাপক সম্প্রসারণ এবং ইন্টারনেট তথ্যভান্ডারের জন্য বাংলা ভাষার বহুল ব্যবহার। দেশের বিশাল জনগোষ্ঠীর প্রয়োজনে দেশে মোবাইল ফোন এবং ল্যাপটপ কমপিউটার উৎপাদনের প্রচেষ্টা নেয়া দরকার। আশার কথা যে, এসব বিষয় নিয়ে বর্তমানে সরকারের উদ্যোগ লক্ষণীয়। তথ্যপ্রযুক্তি শিক্ষাসহ শিক্ষাব্যবস্থাকে ঢেলে সাজানোর প্রচেষ্টা চলছে। এছাড়া ই-মেইল, ভিডিও কনফারেন্সিং ও ই-গভর্নেন্সসহ প্রশাসনে তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহারের প্রচেষ্টা চলছে। টেন্ডার প্রক্রিয়া নিয়ে বর্তমান অস্বস্তিকর অবস্থা কার না অজানা। ইন্টারনেটের মাধ্যমে টেন্ডার প্রক্রিয়া পরিচালনা এই অস্বস্তিকর অবস্থা হতে দেশকে কিছুটা হলেও মুক্তি দিতে পারে।

সরকারি সেবা জনসাধারণের নিকট দ্রুত পৌঁছে দেয়ার জন্য প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ অফিস ও প্রতিষ্ঠানে উপযুক্ত জনবল ও যন্ত্রপাতি সজ্জিত তথ্যকেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করা প্রয়োজন। মোবাইল ফোন, এসএমএস, ই-মেইল ও ইন্টারনেটের মাধ্যমে এসব কেন্দ্র থেকে দ্রুত রাষ্ট্রীয় সেবা জনগণের কাছে পৌঁছে দেয়া সম্ভব। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, একজন কৃষক মোবাইল ফোনে কথা বলে অথবা এসএমএস করে ফসলের রোগবালাই সম্পর্কে দ্রুত বিশেষজ্ঞ পরামর্শ নিতে পারেন। এভাবে সেবা যোগানোর জন্য নির্ভরযোগ্য কৃষি তথ্যকেন্দ্র, চিকিৎসা তথ্যকেন্দ্র, কর তথ্যকেন্দ্র, শিক্ষা তথ্যকেন্দ্র, আবহাওয়া তথ্যকেন্দ্র, পরিবহন তথ্যকেন্দ্র এবং এ ধরনের অন্যান্য তথ্যকেন্দ্র চালু করার ব্যবস্থা করা দরকার।

বিদ্যুৎ ডিজিটাল ব্যবস্থার চালিকাশক্তি। বিদ্যুৎশক্তির উৎপাদন ও পরিবহন সমস্যা সমাধান নিয়ে জাতি শঙ্কামুক্ত নয়। বিশ্বে বিদ্যুৎ উৎপাদনের জ্বালানি দ্রুত ফুরিয়ে যাচ্ছে। এই অবস্থায় সৌরশক্তি ব্যবহার করে বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য সর্বাত্মক প্রচেষ্টা করা প্রয়োজন। এ ব্যাপারে জনগণকেও আগ্রহ নিয়ে এগিয়ে আসতে হবে। তাছাড়া দেশের কয়লাসম্পদ ব্যবহার করে আরো বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র স্থাপন সমস্যার সমাধানে সহায়ক হবে। এজন্য উত্তরবঙ্গে অবস্থিত দ্বিতীয় কয়লাক্ষেত্র হতে কয়লা উৎপাদন শুরু করা প্রয়োজন।

ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়ন কৌশল

বাংলাদেশের বেশিরভাগ মানুষ গ্রামে বাস করে। ডিজিটাল বাংলাদেশে এই বিপুল জনগোষ্ঠী উপকৃত হবে, এটাই স্বাভাবিক। ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নের জন্য গ্রাম, ইউনিয়ন, উপজেলা, জেলা এবং রাজধানী এই পাঁচ স্তরবিশিষ্ট উন্নয়ন প্রকল্প চালু করতে হবে। এই প্রচেষ্টার কেন্দ্রবিন্দু হবে উপজেলা। উপজেলা সদরের সব অফিসকে দ্রুত ডিজিটাল অফিসে রূপান্তর করে ইউনিয়ন ও জেলা সদরের সাথে ইন্টারনেট সংযোগ স্থাপন করা দরকার। এজন্য উপজেলা সদরে অবস্থিত সব অফিসে প্রয়োজনীয় সরঞ্জামসহ জনবল সৃষ্টি করা প্রয়োজন। মোবাইল ইন্টারনেটপ্রযুক্তি ব্যবহার করে এ কার্যক্রম শুরু করা সম্ভব।

উপজেলা সদরে কেন্দ্রীয় তথ্যকেন্দ্রসহ উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়ন অফিসে তথ্য সেবাকেন্দ্র স্থাপন করা প্রয়োজন। এমনকি হাইস্কুল ও কলেজ হতেও এ ধরনের তথ্যকেন্দ্র পরিচালনা করা যায়। এ ধরনের তথ্যকেন্দ্রে মুদ্রণ ও মুভি প্রদর্শনসহ বিভিন্ন ধরনের ইন্টারনেট সেবার ব্যবস্থা থাকবে। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, উৎসব অথবা অনুষ্ঠানের ছবি স্ক্যান করে অথবা মোবাইল ফোনে গৃহীত ছবি দেশ-বিদেশ দ্রুত পাঠানোর ব্যবস্থা থাকতে পারে এসব তথ্যকেন্দ্রে।

উপসংহার

২০২১ সাল আসতে এখনো এক যুগ বাকি এবং এই সময়ে প্রযুক্তি আরো উন্নত হবে। সাথে সাথে দেশের জনসংখ্যা বেড়ে যাওয়া, প্রাকৃতিক দুর্যোগ এবং বৈশ্বিক উষ্ণতা বেড়ে যাওয়ার প্রভাবে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বাড়লে দেশের বিশাল এলাকা তলিয়ে যাওয়া প্রভৃতি বিষয় বিবেচনায় আনতে হবে। বর্তমানে সাজানো ডিজিটাল বাংলাদেশের রূপকল্পকে সময় সময় আধুনিকায়নের মাধ্যমে যুগোপযোগী করার প্রয়োজন হবে।

যুগে যুগে পরিবর্তনের মাধ্যমে প্রস্তরযুগ, কৃষিযুগ, যন্ত্রযুগ পেরিয়ে মানবসভ্যতা এখন তথ্যযুগে। বর্তমান তথ্যযুগে দ্রুত এবং সময় মতো কর্ম সম্পাদন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। শুধু সরকারি প্রচেষ্টায় সোনার বাংলা, অর্থাৎ ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়ন সম্ভব হবে না। সরকারের সহায়তায় এবং জনসাধারণের অংশগ্রহণের মাধ্যমে ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়ন করতে হবে। এজন্য সঠিক সময়ে সঠিক পরিকল্পনা গ্রহণ ও তা বাস্তবায়নে ব্যর্থ হলে তার পরিণতি হবে ভয়াবহ।

কজ ওয়েব

ফিডব্যাক : irahmin44@gmail.com
পত্রিকায় লেখাটির পাতাগুলো
লেখাটি পিডিএফ ফর্মেটে ডাউনলোড করুন
লেখাটির সহায়ক ভিডিও
চলতি সংখ্যার হাইলাইটস
অনুরূপ লেখা