গত সংখ্যায় অনলাইন থ্রিডি শপ নিয়ে আলোচনা করা হয়েছিল। আশা করি অনেকে মার্কেটিং বা অনলাইন বিক্রির কাজ শুরু করেছেন। যারা ব্যক্তিগতভাবে বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর জানতে আমাকে মেইল পাঠিয়েছেন এবং পাঠাচ্ছেন তাদের সমাধান দেয়ার চেষ্টা করেছি এবং এটা অব্যাহত থাকবে। চলতি সংখ্যা থেকে নিয়মিত টিউটরিয়াল নিয়ে আলোচনা আবার শুরু হচ্ছে। এ সংখ্যায় আমরা থ্রিডি এক্স ম্যাক্সে আগুনের ইফেক্ট তৈরির কৌশল দেখানো হয়েছে। আগুন বা আতশবাজি তৈরির মোট তিনটি পদ্ধতি সম্পর্কে আলোচনা করা হব।
১ম পদ্ধতি
ম্যাক্স পার্টিক্যাল সিস্টেম এর ‘স্নো’ অবজেক্টটি খুব একটা ব্যবহার করা হয় না। কিন্তু আগুনের ইফেক্ট তৈরিতে এটা বেশ কার্যকর।
১ম ধাপ
চিত্র-০১
চিত্র-০২
ম্যাক্স ইন্টারফেসের কমান্ড প্যানেল > ক্রিয়েট > জিয়োমেট্রি > স্ট্যান্ডার্ড পিরিমিটিভসের ড্রপ-ডাউন লিস্ট হতে ‘পার্টিক্যাল সিস্টেমস্’কে সিলেক্ট করুন; চিত্র-০১। পার্টিক্যাল অবজেক্টগুলো দেখতে পাবেন যার মধ্যে ‘স্নো’ পার্টিক্যালটিও আছে। ‘স্নো’ কে সিলেক্ট করে টপ ভিউ পোর্টের সেন্টারে একটি ‘স্নো’ পার্টিক্যাল তৈরি করুন। একে Y এক্সিসে ১৮০ ডিগ্রি ঘুরিয়ে নিন। অর্থাৎ নিম্নগামীকে উর্ধ্বগামী করতে হবে; চিত্র-০২।
২য় ধাপ
চিত্র-০৪
চিত্র-০৫
‘স্নো ০১’-কে সিলেক্ট অবস্থায় কমান্ড প্যানেল > মডিফাই ট্যাবে ক্লিক করে ‘স্নো’ প্যারামিটারস্ রোল আউটকে অ্যাকটিভেট করুন। প্যারামিটারস্ পার্টিক্যালস > ভিউপোর্ট কাউন্ট=৩০০, রেন্ডার কাউন্ট=৩০০, ফ্লেক সাইজ=২.৬ ইঞ্চি, স্পিড=১০, ভ্যারিয়েশন=৩ টাইপ করুন। ‘রেন্ডার’ অপশনে ‘ফেসিং’-কে সিলেক্ট করুন। টাইমিং > স্টার্ট=-১০০ (যদি কন্টিনিউয়াস দেখতে চান), লাইফ = ১৪০। এমিটার > উইথ = ৪ ফুট টাইপ করুন; চিত্র-০৩, ০৪। টাইম কনফিগারেশন হতে অ্যানিমেশন লেন্থ ২৫০ ফ্রেম করুন; চিত্র-০৫। আগুনের শিখাকে আরও রিয়েলিস্টিক করার জন্য ‘স্নো’ গ্রিজমোটিকে Z এক্সিসে ২০০ ডিগ্রি পরিমাণ রোটেট করে অ্যানিমেশন করতে পারেন।
৩য় ধাপ
আগুনের ইফেক্টটি কোনো স্থানে দাউ দাউ জ্বলতে থাকা অথবা বিস্ফোরণের ফলে উৎপন্ন আগুনের ইফেক্ট হিসেবে রূপ দিতে চাইলে আগুনের মেটিরিয়াল তৈরি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও সময়সাপেক্ষ কাজ। জ্বলন্ত আগুনের উৎস বা বিস্ফোরণের ধরন হিসেবে আপনাকে মেটিরিয়ালটি তৈরি করতে হবে।
চিত্র-৬
চিত্র-৭
চিত্র-৮
চিত্র-৯
চিত্র-১০
কীবোর্ডের M প্রেস করে মেটিরিয়াল এডিটর উইন্ডোটি ওপেন করুন এবং এর একটি খালি স্লট সিলেক্ট করে নাম দিন ‘Fire Effect’। মেটিরিয়াল প্যারামিটারসের ডিফিউজ কালার বাটনের ডানের ‘রেডিও/ম্যাপ’ বাটনে ক্লিক করে মেটিরিয়াল/ম্যাপ ব্রাউজার ওপেন করুন । ম্যাপ মেটিরিয়াল হিসেবে ‘পার্টিক্যাল এজ’-কে সিলেক্ট করে ওকে করুন; চিত্র-০৬। ‘পার্টিক্যাল এজ’ মেটিরিয়াল অ্যাকটিভেট হবে এর এজ ০১ = ১০%, এজ ০২ = ৫০% এবং এজ ০৩ = ৮৫% টাইপ করুন। কালার ০১ আর ডানের ‘নান’ ম্যাপ বাটনে ক্লিক করে মেটিরিয়াল/ ম্যাপ ব্রাউজার হতে ‘ নয়েজ’ কে এসাইন করুন; ০৭ নয়েজ প্যারামিটারে নয়েজ টাইপ হিসেবে ‘টারবুনেন্স’, সাইজ = ৩০, ফেস = ৫.৫ টাইপ করুন। কালার ১-এর কালার বাটনে ক্লিক করে কালার সিলেক্টও হতে অরেঞ্জ কালার (R = 250, G = 160, B = 0) এবং ২ বাটনে মেরুন বা এর কাছাকাছি (R = 150, G = 35, B = 35) কোনো রঙ তৈরি করুন; চিত্র-০৮। গো টু প্যারেন্ট বাটনে ক্লিক করে পার্টিক্যাল এজ মেটিরিয়ালে ফিরে গিয়ে কালার ২-এর নান বাটনে ক্লিক করে আবার ‘নয়েজ’ ম্যাপ অ্যাপ্লাই করুন, এর নয়েজ প্যারামিটারসের মানগুলো আগেরটির মতোই বসিয়ে নিন, শুধু কালার বাটন দুটি রঙ পরিবর্তন না করে এদের বামে Swap বাটনে ক্লিক করে রঙ দুটি উল্টিয়ে দিন অর্থাৎ ১নং বাটনে কালোর স্থলে সাদা এবং ২নং বাটনে সাদার স্থলে কালো রিপ্লেস হবে। এবার সাদাকে পরিবর্তন করে অ্যাস কালার করুন। কালোর কোনো পরিবর্তন করবেন না; চিত্র-০৯। একইভাবে পার্টিক্যাল এজের ৩নং কালার বাটনের নান বাটনে নয়েজ অ্যাপ্লাই করে নয়েজের প্যারামিটারের মান আগের দুটির অনুরূপ টাইপ করুন আর কালার ২-এর রঙ অ্যাস করুন অথবা পার্টিক্যাল এজের ২নং কালারের নান বাটনে এসাইন করা অ্যাস কালারটি কপি করে এখানে পেস্ট করতে পারেন। কালার ১ বাটনের কালো রঙ অপরিবর্তিত থাকবে; চিত্র-১০।
৪র্থ ধাপ
চিত্র-১১
চিত্র-১২
চিত্র-১৩
চিত্র-১৪
চিত্র-১৫
চিত্র-১৬
চিত্র-১৭
চিত্র-১৮
এতক্ষণে আমরা ডিফিউজ মেটিরিয়ালটি তৈরি করলাম। এবার অপাসিটি ম্যাপটি তৈরি করতে হবে। মেটিরিয়ালটি স্নো পার্টিক্যালে অ্যাসাইন করে একবার দেখে নিতে পারেন; চিত্র-১১। কিছুটা আগুন-ধোঁয়ার ইফেক্ট আসলেও এর এজগুলো পুরোপুরি সার্প রয়ে গেছে। এজগুলো ব্লার করার জন্যই মূলত অপাসিটি ম্যাপের প্রয়োজন। অপাসিটি ম্যাপ তৈরির জন্য আমাদেরকে মূল ‘ফায়ার ইফেক্ট’ মেটিরিয়ালে ফিরে যেতে হবে এবং অপাসিটির নান/রেডিও বাটনে ক্লিক করে মেটিরিয়াল/ম্যাপ ব্রাউজার হতে পার্টিকেল এজ ম্যাপটি ডিফিউজে যেভাবে অ্যাপ্লাই করা হয়েছিল (চিত্র-০৬) সেভাবে অ্যাপ্লাই করুন, এর নাম দিন Opacity। পার্টিক্যাল এজ প্যারামিটারসের কালার ৩-এর রঙ ডিপ গ্রে করে দিন R = G = B = 111 কালার ১-এর নান বাটনে গ্রেডিয়েন্ট ম্যাপ অ্যাপ্লাই করুন; চিত্র-১২, ১৩। গ্রেডিয়েন্ট প্যারামিটারসের গ্রেডিয়েন্ট টাইপ হিসেবে লিনিয়ারের পরিবর্তে রেডিয়ালকে চেক করে দিন। এবার কালার ২-এর নান বাটনে ক্লিক করে নয়েজ অ্যাপ্লাই করুন; চিত্র-১৪। নয়েজ প্যারামিটারস রোল-আউটের নয়েজ টাইপে পরিবর্তন এনে ট্যাবুলেন্সকে চেক করুন, সাইজ = ৩০.০, ফেজ = ৩ করে দিন এবং ১ ও ২-এর বামের Swap বাটনে একবার ক্লিক করুন। এর ফলে রঙ দুটি স্থান পরিবর্তন করে ১নং-এ সাদা এবং ২নং-এ কালো রঙ আসবে; চিত্র-১৫। গ্রেডিয়েন্ট প্যারামিটারে ফিরে গিয়ে কালার ২-এর নয়েজ ম্যাপকে ড্র্যাগ করে কালার ৩-এর নান বাটনের ওপর ছেড়ে দিলে ‘কপি (ইনস্ট্যান্ট) ম্যাপ’ এডিট বক্স আসবে। এর ‘কপি’-কে চেক করে ওকে করুন; চিত্র-১৬। কালার ৩-এ নয়েজ ম্যাপের নাম দেখাবে। গো টু প্যারেন্ট বাটনে ক্লিক করে অপাসিটি পার্টিক্যাল ম্যাপে ফিরে গিয়ে একইভাবে কালার ১-এর গ্রেডিয়েন্ট ম্যাপটি কালার ২-এর নান বাটনে কপি করে দিন; চিত্র-১৭। এখন আর একবার রেন্ডার করে দেখুন পার্টিকেল এজগুলো আগের মতো সার্প নেই; চিত্র-১৮। (বাকি অংশ পরের সংখ্যায়)
কজ ওয়েব
ফিডব্যাক : tanku3dyahoo.com