জেমস ক্যামেরনের সৃষ্ট অবিস্মরণীয় চরিত্র এলিয়েন ও প্রিডেটরের ওপরে বানানো হয়েছে অনেক গেম। এ দুই চরিত্রের মাঝে দ্বন্দ্ব নিয়ে এবছর বের হয়েছে একটি গেম- যার নাম এলিয়েনস ভার্সেস প্রিডেটর। সায়েন্স ফিকশনভিত্তিক ফার্স্ট পারসন শূটিং গেমটি ডেভেলপ করেছে রেবেলিয়ন ডেভেলপমেন্টস এবং পাবলিশ করেছে সেগা। গেমটি বানাতে ব্যবহার করা হয়েছে আসুরা নামের গেম ইঞ্জিন। এলিয়েন নামের এক বিশাল মাথা ও লম্বা লেজবিশিষ্ট ডাইনোসরের মতো প্রাণী, প্রিডেটর নামের কুৎসিত চেহারার মানবসদৃশ শিকারি প্রাণী এবং কলোনিয়াল মেরিনস নামের মানবজাতির মাঝে যুদ্ধ নিয়ে গেমের কাহিনী গড়ে উঠছে।
প্লট
গেমটিতে তিনটি জাতি- এলিয়েন, প্রিডেটর ও কলোনিয়াল মেরিন নিয়ে আলাদা ক্যাম্পেইন রয়েছে। একটি নির্দিষ্ট কাহিনীকে ঘিরে প্রত্যেক জাতির গেম শুরুর কাহিনীর আঙ্গিকতা ভিন্ন হবে। প্রত্যেক জাতির আলাদা গেমপ্লে ও প্লট রয়েছে যা গেমের মূল আকর্ষণ। মেরিন ক্যাম্পেইনে প্রিডেটরদের আক্রমণে ধ্বংস হয়ে যাওয়া মহাকাশযানের এক সৈন্যের ভূমিকায় খেলতে হবে। রুকি নামের সেই সৈন্যকে নিয়ে লড়তে হবে প্রিডেটর ও এলিয়েনদের বিরুদ্ধে। এলিয়েন ক্যাম্পেইনে প্রথমে মানুষের হাতে ল্যাবরেটরিতে বন্দী অবস্থায় থাকবে এলিয়েন। গেমারকে কৌশলে বন্দিদশা থেকে মুক্তি পেয়ে সেখান থেকে পালানো ও মানুষের হাতে বন্দী এলিয়েন রানীকে উদ্ধার করার কাজ করতে হবে। প্রিডেটর ক্যাম্পেইনে গেমারকে নবীন এক প্রিডেটরের ভূমিকায় শিকার ও আত্মরক্ষার ট্রেনিং করার জন্য অজানা এক গ্রহে অভিযান চালাতে হবে।
গেমপ্লে
এলিয়েন নিয়ে খেলার সময় সামনাসামনি লড়াই করতে হবে ধারালো নখযুক্ত থাবা ও কাঁটাযুক্ত লেজের সাহায্যে। এলিয়েনরা দেয়াল বেয়ে চলতে পারে অনায়াসে, ষষ্ঠ ইন্দ্রিয় ব্যবহার করে শত্রুর অবস্থান ও প্রিডেটরের অদৃশ্য বা ক্লোকড অবস্থায় থাকার পরও তাদের শনাক্ত করতে পারে, খুব দ্রুত চলাফেরা ও কিছুটা দূর থেকে শত্রুর ওপর ঝাঁপিয়ে পড়তে পারে এবং অন্ধকারে মিশে গিয়ে নিজেকে আড়াল করতে পারে। সামনাসামনি লড়াইয়ের জন্য প্রিডেটরদের হাতে রয়েছে ২টি করে ৪টি ধারালো ব্লেড এবং দূর থেকে আক্রমণ করার জন্য রয়েছে প্লাজমা ক্যানন, চাকতি ও ছোট আকারের বর্শা। তারা থার্মাল ভিশনের মাধ্যমে অনেক দূর থেকে লুকানো শত্রু শনাক্ত করতে পারে এবং ফোকাস জাম্পিংয়ের মাধ্যমে গাছের এক ডাল থেকে অন্য ডাল বা নির্দিষ্ট কিছুটা দূরত্ব অতিক্রম করতে সক্ষম। কলোনিয়াল মেরিনদের নিয়ে খেলার ব্যাপারটা সাধারণ ফার্স্ট পারসন শূটিং গেমের মতোই। অস্ত্রের তালিকায় তাদের রয়েছে পালস রাইফেল, ফ্লেমথ্রোয়ার ও অটো-ট্র্যাকিং স্মার্টগান। আঁধারে বিচরণের জন্য তাদের কাঁধে সংযুক্ত থাকবে বাতি, কোনো স্থান আলোকিত করার জন্য প্লেয়ার ও লুকানো শত্রুর গতিবিধি বোঝার জন্য মোশন ট্র্যাকার ব্যবহার করতে পারবে।
নতুন ফিচারসমূহ
গেমের নতুন ফিচারের মধ্যে রয়েছে ক্লোজ-আপ কিল বা শত্রুকে টেনে স্ক্রিনের সামনে এনে আঘাত করা, তিনটি ভিন্নধর্মী ক্যাম্পেইনের উপস্থিতি, শ্বাসরুদ্ধকর মাল্টিপ্লেয়ার মোড ইত্যাদি।
দুর্বলতা
গেমে প্লেয়ারকে কন্ট্রোল করার ব্যাপারটা খুব একটা সাবলীল নয়। গেমের লেভেল ডিজাইন আহামরি কিছু নয়। গেমের গ্রাফিক্স কোয়ালিটি মোটামুটি মানসম্পন্ন। এছাড়াও গেম খেলার সময় বেশ কিছু সমস্যায় পড়তে হবে।
সিস্টেম রিকোয়ারমেন্ট
গেমটি চালাতে ন্যূনতম ৩.২ গিগাহার্টজের পেন্টিয়াম ৪ মানের প্রসেসর, ১ গিগাবাইট র্যাকম, ১৫ গিগাবাইট হার্ডডিস্ক স্পেস ও ডিরেক্টএক্স ৯.০ সাপোর্টেড ১২৮ মেগাবাইট মেমরির গ্রাফিক্স কার্ড (ন্যূনতম জিফোর্স ৬৬০০/এটিআই এক্স১৬০০) লাগবে।
কজ ওয়েব