মেট্রো ২০৩৩ নামের গেমটি মূলত ফার্স্ট পারসন শূটিং ও সারভাইভাল গেম। গেমটি বানানো হয়েছে রাশিয়ান ঔপন্যাসিক দিমিত্রি গ্লুখোভস্কির লেখা উপন্যাস মেট্রো ২০৩৩-এর কাহিনীর প্রেক্ষাপটে। গেমটি ডেভেলপ করেছে ইউক্রেনের ফোরএ গেমস এবং পাবলিশ করেছে টিএইচকিউ নামের প্রতিষ্ঠান। গেমটি বানাতে ব্যবহার করা হয়েছে ফোরএ গেম ইঞ্জিন। গেমটির নাম হবার কথা ছিল দ্য লাস্ট রিফুজি, কিন্তু তাতে কিছু বাকবিতা সৃষ্টি হওয়ায় উপন্যাসের নামেই অবমুক্ত করা হয়।
প্লট
গেমের কাল্পনিক কাহিনী গড়ে উঠেছে ভবিষ্যতের এক ভয়ানক যুদ্ধে তছনছ হয়ে যাওয়া রাশিয়ার রাজধানী মস্কোকে ঘিরে। গেমের নায়কের নাম হচ্ছে আর্টয়োম। যার জন্ম হয়েছে যুদ্ধের আগেই, কিন্তু সে যুদ্ধের বিভীষিকার হাত থেকে রক্ষা পায় পাতাল রেলওয়ে টানেলে আশ্রয় নিয়ে। সেই পাতাল রেলের রাস্তা বা মেট্রোতেই সে বেড়ে ওঠে। একসময় সে অনুভব করে সেই অন্ধকার কুঠুরি থেকে বের হয়ে মুক্ত আকাশ দেখার সময় হয়ে এসেছে। ধ্বংসসত্মূপে পরিণত হওয়া শহরের বিপজ্জনক রাস্তায় সে বের হয়ে আসে। তাকে বুঝতে হয় প্যারানরমাল কিছু শত্রুপক্ষের সাথে, যারা দ্য ডার্ক ওয়ানস নামে পরিচিত। নানারকমের বিপজ্জনক প্রাণীর পাশাপাশি তাকে দুর্বল করে দিতে থাকবে বৈরী পরিবেশ। তার বেঁচে থাকার সংগ্রামই হচ্ছে গেমের মূল প্রতিপাদ্য বিষয়।
গেমপ্লে
অন্যান্য সারভাইভাল শূটিং গেমের মতোই এ গেমের খেলার ধরন। তবে এ গেমের ব্যতিক্রমধর্মী কিছু বিষয়ের মধ্যে রয়েছে গেমের বৈরী পরিবেশ, প্রতিমুহূর্তে মৃত্যুর আশঙ্কা, শক্তিশালী ও ধূর্ত শত্রুপক্ষ, গোলাবারুদ ও অস্ত্রের অপ্রতুলতা ইত্যাদি। গেমে বিষাক্ত গ্যাসের হাত থেকে মুক্তি পেতে প্লেয়ারকে গ্যাস মাস্ক পরে থাকতে হবে এবং কিছুক্ষণ পর পর তা বদল করতে হবে। অস্ত্র ও গোলাবারুদ খুব হিসেব করে খরচ করতে হবে। কারণ সামান্য একটু ভুলের কারণে আসতে পারে ভয়ানক বিপর্যয়।
নতুন ফিচারসমূহ
গেমের নতুন কিছু বিষয়ের মধ্যে রয়েছে অর্থ বা বিনিময়ের প্রথা হিসেবে কোনো নোট বা মুদ্রার পরিবর্তে মিলিটারি গ্রেড বুলেটের ব্যবহার। এ বুলেটের বিনিময়ে কিনতে হবে অস্ত্র ও গোলাবারুদ। গেমে আলাদা কোনো লাইফ মিটার বা ইন্ডিকেটর দেয়া হয়নি, তার বদলে ব্যবহার করা হয়েছে হার্টবিট কমানো বাড়ানো ও স্ক্রিনে রক্তের দাগের পরিমাণ দেখে লাইফ কতটুকু আছে তা দেখার ব্যবস্থা। নির্দিষ্ট সময় পর পর গ্যাস মাস্ক বদলাতে হবে এবং সেই সময় নির্ণয় করার জন্য ব্যবহার করতে হবে স্টপওয়াচ। গেমের মাঝে মাঝে কাট-সিনের মাধ্যমে গেমের কাহিনীর ধারাবাহিকতা দেখানো হবে, যা গেমারকে গেমের মিশন সম্পন্ন করার ব্যাপারে সাহায্য করবে।
দুর্বলতা
গেমে লাইফ ইন্ডিকেটর বা মিটার না থাকায় বেশ সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে। গ্যাস মাস্ক বদল করার সময় নির্ণয় করা ও স্টপওয়াচের দিকে নজর রাখার ব্যাপারটি বেশ ঝামেলার। তেমন একটা নতুনত্বের ছোঁয়া না থাকায় গেমটি একই ধাঁচের অন্যান্য গেমের চেয়ে খুব একটা ভালোমানের হয়নি।
সিস্টেম রিকোয়ারমেন্ট
গেমটি চালাতে লাগবে ইন্টেল কোর টু ডুয়ো ২.৪ গিগাহার্টজ মানের প্রসেসর, ১ গিগাবাইট র্যারম, ১২ গিগাবাইট হার্ডডিস্ক স্পেস ও পিক্সেল শ্রেডার ৩.০ সমর্থিত গ্রাফিক্স কার্ড (জিফোর্স ৮৮০০/রাডেওন ৩৮৫০ সিরিজ)।
কজ ওয়েব