ফার্স্ট পারসন শূটিং গেমগুলোর মাঝে ব্যাটলফিল্ড সিরিজের গেমগুলো বেশ নামকরা। ঐতিহাসিক যুদ্ধের ওপরে নির্মিত এ সিরিজের গেমগুলো হচ্ছে- ব্যাটলফিল্ড ১৯৪২, দ্য রোড টু রোম, সিক্রেট ওয়েপন অব ওয়ার্ল্ড ওয়ার ২, ব্যাটলফিল্ড ভিয়েতনাম ও ব্যাটলফিল্ড ১৯৪৩। আধুনিক যুদ্ধবিদ্যার সম্পর্কিত গেমগুলো হচ্ছে- ব্যাটলফিল্ড ২, স্পেশ্যাল ফোর্স, ইউরো ফোর্স, আরমোরেড ফুরি, মডার্ন কমব্যাট ও ব্যাড কোম্পানি। নতুন বছরে বের হয়েছে ব্যাড কোম্পানি গেমটির সিক্যুয়াল ব্যাটলফিল্ড- ব্যাড কোম্পানি ২। গেমটি ডেভেলপ করেছে ইএ ডিজিটাল ইলুশনস ও পাবলিশ করেছে ইলেকট্রনিক আর্ট (ইএ)। গেমটি বানাতে ব্যবহার করা হয়েছে ফ্রস্টবাইট নামের গেম ইঞ্জিন। এ সিরিজের আরো কয়েকটি গেম হচ্ছে- ব্যাটলফিল্ড ২১৪২, নদার্ন স্ট্রাইক, হিরোস ও অনলাইন।
প্লট
১৯৪৪ সালের প্রেক্ষাপটে একদল কমান্ডো বাহিনী অনুপ্রবেশ করবে ইম্পেরিয়াল জাপানিজ নেভি কর্তৃক পরিচালিত জাপান সাগরের ছোট একটি দ্বীপে। সেই দ্বীপে একজন জাপানি বিজ্ঞানী গোপন এক শক্তিশালী অস্ত্রের ওপরে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালাচ্ছিলেন, যার কোডনেম অরোরা। কমান্ডোরা সেখানে পৌঁছে বিজ্ঞানীকে বন্দী করার আগেই সে সাবমেরিনের সাহায্যে পালিয়ে যায় দ্বীপ থেকে। সেই মহাশক্তিশালী অস্ত্রের ব্যাপারে খোঁজ লাগানোর জন্য ইউএস আর্মি অভিযান চালাবে, যার নাম হবে অপারেশন অরোরা।
গেমপ্লে
খেলা শুরুর আগে গেমারকে ক্যারেক্টারের জন্য অ্যাসল্ট, ইঞ্জিনিয়ার, রেকন ও মেডিক- এ চারটি ক্লাস থেকে একটি ক্লাস নির্বাচন করতে হবে। একেক ক্লাসের ক্ষমতার মধ্যে কিছুটা পার্থক্য রয়েছে, যেমন- ইঞ্জিনিয়ার ক্লাসে প্লেয়ার কোনো কিছু রিপেয়ার করতে পারবে ও টেকনিক্যাল বিষয়গুলো ভালো জানবে এবং মেডিক ক্লাস তার স্কোয়াডের প্রাণশক্তি দিতে পারবে ও আহত সঙ্গীর ক্ষত সারাতে পারবে দ্রুত। মাল্টিপ্লেয়ার মোডে চারটি খেলার ধরন রয়েছে। এগুলো হচ্ছে- রাশ, কনকোয়েস্ট, স্কোয়াড ডেথম্যাচ ও স্কোয়াডরাশ।
নতুন ফিচারসমূহ
গেমের ম্যাপগুলো অনেক বড় ও মিশনগুলো বেশ সময়সাপেক্ষ। গেমে প্রায় ১৫টির মতো যানবাহন রয়েছে। তার মধ্যে নতুন কয়েকটি হচ্ছে- ইউএইচ সিক্সটি ব্ল্যাক হাউক, চার চাকার বাইক, ৩ জন ধারণক্ষমতার পেট্রোল বোট, পার্সোনাল ওয়াটার ক্রাফট, ইউএভি হেলিকপ্টারসহ আরো অনেক কিছু। অস্ত্রের তালিকায় রয়েছে ৪০ মিমি গ্রেনেড লঞ্চার, স্মোক গ্রেনেড, মাগনাম বুলেট, ১২ গজ স্লাগ, সিরামিক বডি আর্মোর ইত্যাদি। গেমের পরিবেশের বৈচিত্র্যতা ও প্রাণবন্ততা বেশ লক্ষণীয়। দক্ষিণ আমেরিকা ও রাশিয়ার সীমান্তবর্তী পাহাড়ী অঞ্চলের পটভূমিতে বানানো হয়েছে গেমের পরিবেশ। অনলাইন মাল্টিপ্লেয়ার মোড দারুণ প্রতিযোগিতামূলক ও রোমাঞ্চকর করে বানানো হয়েছে। গেমের সাউন্ড সিস্টেমেও আনা হয়েছে বেশ পরিবর্তন, যা আগের তুলনায় বেশ ভালোমানের।
দুর্বলতা
গেমটি মোটামুটি নিখুঁত করে বানানোর চেষ্টা করা হয়েছে, তাই গেমটির দুর্বলতার তালিকাটি শূন্যই বলা চলে। অন্যান্য শূটিং গেমের মতো একই ধাঁচে বানানো ও তাতে কোনো নতুনত্বের ছোঁয়া নেই, এ ব্যাপারটিকেই শুধু এ গেমের দুর্বলতার তালিকায় ফেলা যায়।
সিস্টেম রিকোয়ারমেন্ট
গেমটি খেলার জন্য দরকার হবে ইন্টেলের কোর টু ডুয়ো মানের প্রসেসর (ডুয়েল কোরেও চলবে, তবে ভালো পারফরমেন্স পাওয়া যাবে না), ২ গিগাবাইট র্যা ম, ১০ গিগাবাইট হার্ডডিস্ক স্পেস, ডিরেক্টএক্স ৯ সাপোর্টেড ২৫৬ মেগাবাইট মেমরির গ্রাফিক্স কার্ড (জিফোর্স ৭৮০০ জিটি/এটিআই এক্স১৯০০) এবং মাল্টিপ্লেয়ার মোডে খেলার জন্য ১২৮ কিলোবাইট/সেকেন্ড গতির ইন্টারনেট কানেকশন লাগবে।
কজ ওয়েব