বর্তমানে অ্যাডভেঞ্চার ধাঁচের গেমের সংখ্যা বেশ কম, কিন্তু আগে অ্যাডভেঞ্চার গেমগুলো বেশ জনপ্রিয় ছিলো, তাদের মধ্যে সাইবেরিয়া, জার্নি, রিটার্ন টু মিস্টেরিয়াস আইল্যান্ড, সিংকিং আইল্যান্ড, ব্রোকেন সোর্ড ইত্যাদি ছিল অন্যতম। এ ধরনেরই আরেকটি গেম হচ্ছে দ্য রোড টু এল ডোরাডো। গেমটি মূলত ২০০০ সালে মুক্তি পাওয়া The Road to El Dorado অ্যানিমেশন মুভির ওপর ভিত্তি করে বানানো হয়েছে।
প্লট
গেমের কাহিনীর পটভূমি হচ্ছে ১৫১৯ সালের স্পেনের একটি শহর। গেমের প্রথমেই দেখানো হবে টুলিও ও মিগুয়েল নামের দুই বন্ধু পরস্পরের সাথে বাক্যালাপ করছে এবং তারা দুইজনে মিলে গেমারকে তাদের একটি অভিযানের কথা শোনাবে। তাদের এই অভিযান শুরু হবে স্পেনের একটি শহরের বাজার থেকে। সেখানে দেখা যাবে দুই বন্ধুই পলাতক আসামি হিসেবে শহরে অবস্থান করছে, যার ফলে শহরের মূল ফটকের প্রহরীদের সামনে দিয়ে শহরে প্রবেশ করতে পারছে না, আবার টাকার অভাবে টোল দিয়ে বন্দরে জাহাজেও যেতে পারছে না, কারণ টাকা বলতে তাদের কাছে আছে মাত্র এক পেসেটা (স্পেনের মুদ্রা)। ফলে তাদের নিয়ে গেমারকে এক জুয়াড়ির সাথে জুয়া খেলতে হবে, খেলায় জুয়াড়ির কাছ থেকে তারা আরো কিছু পেসেটা ও রহস্যাবৃত ও কাল্পনিক স্বর্ণনগরী এল ডোরাডোর একটি ম্যাপ পাবে এবং তারপর তাদের নিয়ে গেমারকে নানা বুদ্ধি খাটিয়ে শহর থেকে বের করে জাহাজে উঠাতে হবে। টুলিও ও মিগুয়েলের সাথে গেমারকেও এই কাল্পনিক রহস্যাবৃত স্বর্ণনগরীর সন্ধান করতে হবে। ম্যাপ দেখে বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে বিভিন্ন পাজল সমাধান করার মধ্য দিয়ে তাদের নিয়ে একসময় গেমার স্বর্ণনগরীর সন্ধান পেয়ে যাবে এবং তারা এটি বুঝতে পারবে যে শহরটি কাল্পনিক নয়, এর অস্তিত্ব সত্যি সত্যিই রয়েছে। সেখানে তারা ইউটোপিয়ান নামের নতুন একটি সভ্যতার সাথে পরিচিত হবে, যারা পুরনো অন্যান্য সভ্যতা যেমন- মায়ান, এজটেক, আটলান্টিস, ইনকা ইত্যাদির সমন্বয়ে গঠিত একটি মিশ্র সভ্যতা। সেখানকার মানুষ টুলিও ও মিগুয়েলকে দেখে দেবতা ভেবে বসে এবং তাদের দেবতা বানিয়ে পুজো করা শুরু করে, সেই সাথে তাদের আর নিজের দেশে ফিরতে দিতে অস্বীকৃতি জানায়। তাদের এই দেবত্ব নিয়ে সেখানকার ওঝা বা পুরোহিতের সাথে তাদের মনোমালিন্য হয় এবং তারা বিভিন্ন ষড়যন্ত্রের শিকার হয়। গেমারকে বিভিন্ন ষড়যন্ত্রের হাত থেকে টুলিও ও মিগুয়েলকে বাঁচাতে হবে এবং তাদের সেখান থেকে পালাতে সহায়তা করতে হবে।
গেমপ্লে
গেমটিতে প্রথমে টুলিও ও মিগুয়েলকে নিয়ে খেলা যাবে এবং পরে আরমাডিলো নামের ইঁদুর আকৃতির একটি প্রাণীকে নিয়েও খেলা যাবে। গেমের কন্ট্রোলিং একটু কঠিন হলেও কিছুক্ষণ খেলার পর আর সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে না। গেমটি মূলত ডায়ালগনির্ভর, কারণ দুই বন্ধুর আলাপচারিতা শুনে গেমারকে তার পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। এছাড়া গেমের মূল আকর্ষণই হচ্ছে গেমের বাক্যালাপ, কারণ তাদের দুইজনের কথা বলার ধরন বেশ হাস্যকর এবং মজার যা গেমারকে অনাবিল আনন্দ দেবে। এছাড়া গেমটির অন্যতন আকর্ষণ হচ্ছে এর বিভিন্ন পাজল, কারণ প্রতিটি পাজলই খুব মজার ও বুদ্ধিদীপ্ত।
সিস্টেম রিকোয়ারমেন্ট
গেমটি চালানোর জন্য ন্যূনতম কমপিউটার কনফিগারেশন হচ্ছে ইন্টেল পেন্টিয়াম ৪, ১.৫ গিগাহার্টজ বা সমমানের এএমডি অথলন প্রসেসর, ১২৮ মেগাবাইট র্যা ম, ৮০০ মেগাবাইট হার্ডডিস্ক স্পেস, ডিরেক্টএক্স ৯.০ সি সাপোর্টেড ৬৪ মেগাবাইট মেমরির গ্রাফিক্স কার্ড এবং ডিরেক্টএক্স ৯.০ সি কম্প্যাটিবল সাউন্ডকার্ড।
কজ ওয়েব