• ভাষা:
  • English
  • বাংলা
হোম > ইউনিকোড কনসোর্টিয়ামের সদস্যপদ লাভ ও অন্যান্য প্রসঙ্গ
লেখক পরিচিতি
লেখকের নাম: সম্পাদক
মোট লেখা:৩১৭
লেখা সম্পর্কিত
পাবলিশ:
২০১০ - জুলাই
তথ্যসূত্র:
কমপিউটার জগৎ
লেখার ধরণ:
সম্পাদনা
তথ্যসূত্র:
সম্পাদকীয়
ভাষা:
বাংলা
স্বত্ত্ব:
কমপিউটার জগৎ
ইউনিকোড কনসোর্টিয়ামের সদস্যপদ লাভ ও অন্যান্য প্রসঙ্গ

ইউনিকোড কনসোর্টিয়ামের সদস্য হলো বাংলাদেশ সরকার। বিজ্ঞান এবং তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় সদস্যপদ লাভের জন্য যে আবেদন করে তার প্রেক্ষাপটে এ কনসোর্টিয়াম গত ৩০ জুন বাংলাদেশ সরকারের এ সদস্যপদ লাভের ব্যাপারটি নিশ্চিত করে। পরের দিন থেকে এ সদস্যপদ কার্যকর হবে। নিঃসন্দেহে এটি বাংলাদেশের তথ্যপ্রযুক্তি জগতে একটি মাইলফলক। উল্লেখ্য, ইউনিকোড বিশ্বজুড়ে স্বীকৃত আন্তর্জাতিক বর্ণ সঙ্কেতায়ন ব্যবস্থা। এ ব্যবস্থার মূলে রয়েছে ইউনিকোড কনসোর্টিয়াম। এ কনসোর্টিয়াম একটি বহুজাতিক সংস্থা, যা কমপিউটারে বিভিন্ন ভাষালিপির আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত প্রমিত মানের ব্যবস্থা করে। বাংলাদেশের ইউনিকোডের সদস্যপদ লাভের ফলে বাংলাদেশে বাংলা ভাষালিপি ইউনিকোডে অন্তর্ভুক্ত হবে। এর ফলে কমপিউটারে বাংলাভাষায় ঝামেলাহীনভাবে লেখালেখি, তথ্যবিনিময়সহ আরো নানা ধরনের সুবিধা ভোগের সুযোগ আমরা পাব। বিভিন্ন দেশের ভাষাভাষী মানুষ দীর্ঘদিন ধরে এ সুবিধা পেয়ে আসছে। কিন্তু এতদিন বাংলাদেশের বাংলাভাষা ভারতের একটি আঞ্চলিক ভাষা হিসেবে বিবেচিত হয়ে আসছিল শুধু এই সদস্যপদ বাংলাদেশ লাভ না করার কারণে। এর আগে ভারতের পক্ষ থেকে আঞ্চলিক ভাষা হিসেবে বাংলা ভাষালিপিকে ইউনিকোডে রেজিস্ট্রেশন করা হয়। ফলে কমপিউটারে বাংলা ব্যবহার করা গেলেও বেশকিছু বর্ণমালা বাদ রয়ে যায়। আশা করা যায়, বাংলাদেশ সরকারের এই সদস্যপদ লাভের ফলে কমপিউটারে বাংলাভাষা ব্যবহারে যাবতীয় সমস্যার অবসান ঘটবে। ইউনিকোড কনসোর্টিয়ামের সদস্য হিসেবে আমরা এখন থেকে বেশকিছু সুবিধা পাব। এর মধ্যে আছে ইউনিকোডের উন্নয়নমূলক ও বাস্তবায়ন সম্পর্কিত যাবতীয় কারিগরি কাজে ভূমিকা পালনের অধিকার, কারিগরি কমিটিতে ভোটাধিকার, বিভিন্ন শিল্পের প্রমিত মান, প্রটোকল, ডাটা ফরমেট ইত্যাদির সাথে ইউনিকোডের সমন্বয় সাধনে ভূমিকা পালন, ইউনিকোডবিষয়ক তথ্যাদি ও ডকুমেন্টেশনে প্রবেশাধিকার। মোট কথা, এর ফলে কমপিউটারে বাংলাভাষার প্রমিত মাত্র ব্যবহারে এই সদস্যপদ নতুন দুয়ারের উন্মোচন করলো। এই সদস্যপদ আমাদের জন্য অনেক আগেই পাওয়া উচিত ছিল।

সুখের কথা, বাংলাদেশের শাসনক্ষমতায় আজ এমন একটি সরকার অধিষ্ঠিত, যে সরকার ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠনের ব্যাপারে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এ সরকারের হাতে আছে রূপকল্প-২০২১। এ রূপকল্পের মাধ্যমে এ সরকার ২০২১ সালের মধ্যে এমন এক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করতে চায়, যেখানে অর্থনীতির চালিকাশক্তি হবে উন্নত প্রযুক্তি এবং উচ্চতম প্রবৃদ্ধি। তথ্যপ্রযুক্তিতে বিকশিত হয়ে সেই বাংলাদেশ পরিচিত হবে ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ হিসেবে। তবে এটুকু স্পষ্ট, যদি তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তির ছোঁয়া জনজীবনে না লাগে, তাহলে এই ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তোলা সম্ভব হবে না। বিষয়টি থেকে যাবে একটি স্লোগান হিসেবে। তাই এ সরকারের উচিত বাজেটে আইসিটি খাতে পর্যাপ্ত তহবিলের বরাদ্দ দেয়া। ভুললে চলবে না, অগ্রাধিকারমূলক এই আইসিটি খাতই সবচেয়ে কার্যকরভাবে দেশকে অর্থনৈতিক ও সামগ্রিকভাবে সমৃদ্ধ দেশে পরিণত করতে পারে। ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়তে হলে এদেশে তথ্যপ্রযুক্তি খাতের বেশকিছু সংশ্লিষ্ট শীর্ষপ্রতিষ্ঠান, যথা বিসিএস ও বেসিস ২০১০-১১ অর্থবছরের বাজেট ঘোষণার প্রাক্কালে বাজেটে অন্তর্ভুক্তির জন্য বেশকিছু প্রস্তাব রাখে। এসব বাজেটপ্রস্তাব কমপিউটার জগৎ মে, ২০১০ সংখ্যার প্রচ্ছদ প্রতিবেদনে বিস্তারিত তুলে ধরা হয়েছে। কিন্তু এবারের বাজেটে এসব প্রস্তাবের সুনির্দিষ্ট কোনো অন্তর্ভুক্তি নেই। হাইটেক পার্ক স্থাপন, দ্বিতীয় সাবমেরিন ক্যাবল সংযোগ স্থাপন ইত্যাদি সম্পর্কে বাজেটে সুস্পষ্ট কোনো দিকনির্দেশনা নেই। আমরা আশা করব, সরকার বিষয়গুলো গুরুত্বের সাথে বিবেচনায় আনবে।

সম্প্রতি কমিউনিকএশিয়ার একুশতম মেলা বসেছিল সিঙ্গাপুরে। কমপিউটার জগৎ-প্রতিনিধি ঘুরে এসেছেন এই বড় মাপের প্রযুক্তিমেলায়। সিঙ্গাপুর থেকে ফিরে তার লেখা কমিউনিকএশিয়াবিষয়ক প্রচ্ছদ প্রতিবেদনে রয়েছে এর বিস্তারিত বিবরণ। তাছাড়া এ সংখ্যার অন্যতম প্রচ্ছদ প্রতিবেদন হিসেবে থাকছে ‘গেমিং পিসির বায়িং গাইড’ শীর্ষক প্রতিবেদনটি। আশা করছি, দুটি প্রতিবেদনই পাঠকদের কাছে সুখপাঠ্য হবে।

কজ ওয়েব
পত্রিকায় লেখাটির পাতাগুলো
লেখাটির সহায়ক ভিডিও
চলতি সংখ্যার হাইলাইটস