• ভাষা:
  • English
  • বাংলা
হোম > অধ্যাপক মরহুম আবদুল কাদেরকে সম্মানিত করায় ডি-নেট ও আইসিটি মন্ত্রণালয়কে ধন্যবাদ
লেখক পরিচিতি
লেখকের নাম: সম্পাদক
মোট লেখা:৩১৭
লেখা সম্পর্কিত
পাবলিশ:
২০১০ - সেপ্টেম্বর
তথ্যসূত্র:
কমপিউটার জগৎ
লেখার ধরণ:
‘সি’
তথ্যসূত্র:
সম্পাদকীয়
ভাষা:
বাংলা
স্বত্ত্ব:
কমপিউটার জগৎ
অধ্যাপক মরহুম আবদুল কাদেরকে সম্মানিত করায় ডি-নেট ও আইসিটি মন্ত্রণালয়কে ধন্যবাদ

সম্প্রতি বেসরকারি সেবা সংস্থা ডি-নেট ও বাংলাদেশ সরকারের আইসিটি মন্ত্রণালয় এদেশে প্রথমবারের মতো আয়োজন করে ‘ই-কনটেন্ট ও উন্নয়নের জন্য আইসিটি পুরস্কার’ নামের সমন্বিত এক প্রতিযোগিতা। আইসিটি’র ক্ষেত্রে উদ্ভাবনাকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে দাঁড় করানোর লক্ষ্যেই আয়োজিত হয়েছিল এ প্রতিযোগিতা। ২০২১ সালের মধ্যে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তোলায় এ প্রতিযোগিতা খুবই ইতিবাচক ভূমিকা পালন করবে বলে আমাদের বিশ্বাস। দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার জন্য ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়াটাও অপরিহার্য। অতএব বাংলাদেশে এ ধরনের একটি প্রতিযোগিতার আয়োজন করায় আয়োজকেরা ধন্যবাদ পাবার দাবি রাখে।

এই প্রতিযোগিতায় মোট ১৪টি বিষয়ের ওপর ৯৩টি নমিনেশন পেশ করা হয়। এর মধ্যে পুরস্কারের জন্য চূড়ান্ত বিবেচনার পর্বে ওঠে ৪৮টি নমিনেশন। আর পুরস্কার বিজয়ীর তালিকায় স্থান করে নেয় ৩২টি। এই ৩২ পুরস্কার বিজয়ী পুরস্কার লাভ করে ১৪টি বিভাগে। আর এই ১৪ বিভাগের পুরস্কার উৎসর্গ করা হয় ১৪ বিশিষ্ট ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের নামে। এসব ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রে আমাদের জাতীয় জীবনে বড় মাপের অবদান রেখে গেছেন বা রাখছেন, আর তাদের অবদানের স্বীকৃতি দেয়ার লক্ষ্যেই তাদের নামে এসব পুরস্কার উৎসর্গিত হয়েছে। এটি আয়োজকদের একটি দূরদর্শী পদক্ষেপ। কারণ, যারা তাদের অসাধারণ কর্মকান্ড দিয়ে জাতীয় অগ্রগতির জন্য কাজ করে গেছেন এবং এখনো কাজ করছেন, তাদের সম্মাননা জানানোর মধ্য দিয়ে গোটা জাতিকেই উজ্জীবিত করা যায়। জাতিগঠনমূলক কাজে সম্পৃক্ত করার ব্যাপারে ডি-নেট ও আইসিটি মন্ত্রণালয় নির্মোহ মনোভাব নিয়ে অত্যন্ত দূরদর্শিতার সাথে বেছে নিয়েছে উল্লিখিত এই ১৪ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে। এরা হচ্ছেন : অধ্যাপক রেহমান সোবহান, জাতীয় অধ্যাপক এম.আর. খান, মরহুম আবদুল্লাহ আল মুতী শরফুদ্দিন, মোস্তাফা মনোয়ার, মরহুম আবদুল আলীম, কবি শামসুর রাহমান, মোহাম্মদ কুদরাত-এ-খুদা, অধ্যাপক দ্বিজেন শর্মা, মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ, এঞ্জেলা গোমেজ, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, ইবিকা বিশ্বাস, ইকবাল জেড কাদির এবং অধ্যাপক মরহুম আবদুল কাদের।

আমরা বিশেষভাবে ডি-নেট ও আইসিটি মন্ত্রণালয়কে ধন্যবাদ জানাই এ কারণে যে, এসব বিশিষ্ট ব্যক্তির তালিকায় মাসিক কমপিউটার জগৎ-এর প্রতিষ্ঠাতা ও এদেশের তথ্যপ্রযুক্তি আন্দোলনের অগ্রপথিক অধ্যাপক মরহুম আবদুল কাদেরের নাম অন্তর্ভুক্ত করে তাকে জাতীয় পর্যায়ে এভাবে সম্মানিত করায়। এদেশের তথ্যপ্রযুক্তি খাতের সাথে জড়িত সবাই একবাক্যে স্বীকার করেন, এদেশের তথ্যপ্রযুক্তি খাতকে এগিয়ে নেয়ার ক্ষেত্রে অধ্যাপক আবদুল কাদেরের অবদান সমান্তরাল। কিন্তু অধ্যাপক আবদুল কাদের তার জীবদ্দশায় ও তার মরণোত্তর সময়ে এক্ষেত্রে বহুল আলোচিত ব্যক্তিত্ব হলেও জাতীয় পর্যায়ের কোনো স্বীকৃতি লাভ করেননি। তার নিভৃতচারী চারিত্রিক ধারা ও অন্তর্মুখী স্বভাবের কারণেই হয়তো তেমনটি হয়নি। তিনি ছিলেন অতিমাত্রায় প্রচারবিমুখ। পার্থিব চাওয়া-পাওয়া তার ব্যক্তিজীবনে ছিল কম। তথ্যপ্রযুক্তি আন্দোলনের রসদ জুগিয়েছেন তিনি নেপথ্যে অবস্থান নিয়ে। সামনের কাতারে নিয়ে এসেছেন অন্য কোনো জনকে। ফলে তার অবদানের অনেক কথাই এদেশের নতুন প্রজন্মের কাছে অজানা থেকে গেছে। তাই প্রয়োজন অধ্যাপক আবদুল কাদেরকে জাতীয় পর্যায়ে আরো বেশিমাত্রায় তার কর্মের অবদানের প্রতি স্বীকৃতি জানানো। তার জীবন ও কর্ম জাতীয় পর্যায়ে নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরা। আমরা মনে করি, উল্লিখিত পুরস্কারের একটি বিভাগের পুরস্কার তার নামে উৎসর্গ করে সেই কাজটির শুভ সূচনা করল ডি-নেট ও আইসিটি মন্ত্রণালয়। তাই ডি-নেট ও আইসিটি মন্ত্রণালয়কে জানাই আবারো ধন্যবাদ।

এবার একটি ভিন্ন প্রসঙ্গ, আমাদের আইসিটি খাতকে এগিয়ে নেয়ার জন্য অপরিহার্য তিনটি অনুষঙ্গ হচ্ছে : হার্ডওয়্যার, সফটওয়্যার ও ম্যানওয়্যার। ম্যানওয়্যার বলতে আইসিটি জনশক্তিকেই বোঝাতে চেয়েছি। আমাদের আইসিটি খাত সামনে কাঙ্ক্ষিত মাত্রায় এগিয়ে যেতে পারছে না দক্ষ আইসিটি জনশক্তির অভাবে। ইদানীং দেখা যাচ্ছে, বেশকিছু নামী-দামী আইটি কোম্পানি বাংলাদেশে তাদের অফিস খুলতে চাইছে। কেউ কেউ এরই মধ্যে অফিস খুলেও বসেছে। কিন্তু শোনা যাচ্ছে, এসব কোম্পানি তাদের চাহিদামতো আইসিটি জনশক্তি পাচ্ছে না। দক্ষ আইসিটি জনশক্তির কেনো এই অভাব? কিভাবে এই অভাব দূর করা যায়? তারই শেকড় সন্ধানের লক্ষ্যে আমরা গত ২১ আগস্ট আমাদের কার্যালয়ে এ বিষয়ে আয়োজন করি একটি গোলটেবিল আলোচনা অনুষ্ঠানের। এ আলোচনা অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত বিজ্ঞ আলোচকবর্গ তাদের নিজ নিজ অভিজ্ঞতাসিঞ্ছিত বক্তব্যের মাধ্যমে এ বিষয়ে বিভিন্ন দিক-নির্দেশনা তুলে ধরেছেন। তার বিস্তারিত তুলে ধরেই তৈরি হয়েছে এবারের প্রচ্ছদ প্রতিবেদন। আশা করি আগ্রহী পাঠক এ থেকে একটা দিক-নির্দেশনা পাওয়ার সুযোগ পাবেন।

আর মাত্র কয়টি দিন পর আমরা পালন করতে যাচ্ছি পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর। এই ঈদ-উল-ফিতর আমাদের সবার জীবনে বয়ে আনুক প্রত্যাশিত সুখ ও সমৃদ্ধি। ঈদের এই প্রাক-মুহূর্তে আমাদের সম্মানিত লেখক, পাঠক, অ্যাজেন্ট, বিজ্ঞাপনদাতা, শুভানুধ্যায়ী ও পৃষ্ঠপোষকদের প্রতি রইলো ঈদের আগাম শুভেচ্ছা। আবারো প্রত্যাশা, ঈদ সবার জীবনে বয়ে আনুক অনাবিল নতুন নতুন আনন্দ।

কজ ওয়েব
পত্রিকায় লেখাটির পাতাগুলো
লেখাটির সহায়ক ভিডিও
চলতি সংখ্যার হাইলাইটস