• ভাষা:
  • English
  • বাংলা
হোম > বিজ্ঞান ও আইসিটি মন্ত্রণালয় যখন দ্বিভাজিত
লেখক পরিচিতি
লেখকের নাম: সম্পাদক
মোট লেখা:৩১৭
লেখা সম্পর্কিত
পাবলিশ:
২০১০ - ডিসেম্বর
তথ্যসূত্র:
কমপিউটার জগৎ
লেখার ধরণ:
সম্পাদনা
তথ্যসূত্র:
সম্পাদকীয়
ভাষা:
বাংলা
স্বত্ত্ব:
কমপিউটার জগৎ
বিজ্ঞান ও আইসিটি মন্ত্রণালয় যখন দ্বিভাজিত

বিজ্ঞান এবং তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি খাতকে জাতীয় জীবনে অধিকমাত্রায় বিজড়িত করার মাধ্যমে জাতীয় অগ্রগমনকে বড়মাপে নিশ্চিত করে জাতীয় সমৃদ্ধ অর্জনের সবচেয়ে আলোচিত প্রতিশ্রুতি নিয়ে বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসীন হয়েছে। বর্তমান মহাজোট সরকার সে লক্ষ্যকে সামনে রেখে জাতির কাছে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ ২০২১ সালের মধ্যে দেশবাসীকে তথ্যপ্রযুক্তিসমৃদ্ধ ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ উপহার দেয়ার জন্য। এ লক্ষ্যে সরকার এরই মধ্যে ঘোষণা করেছে জাতীয় বিজ্ঞান ও আইসিটি নীতিমালা ২০০৯। ঘোষিত হয়েছে সরকারের ‘রূপকল্প ২০২১’। আমরা সরকারের এ উদ্যোগকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছি। তবে আমরা যেনো ভুলে না যাই, তথ্যপ্রযুক্তির শেকড় হচ্ছে বিশুদ্ধ বিজ্ঞান। সেজন্য তথ্যপ্রযুক্তিকে সতেজ-সজীব রাখার যাবতীয় উদ্যোগে আমরা যেনো বিশুদ্ধ বিজ্ঞানকে ভুলে শুধু তথ্যপ্রযুক্তি নিয়ে মাতামাতি না করি। যদি তেমনটি ঘটে তবে তথ্যপ্রযুক্তির বিকাশ ঘটবে না। কারণ, বিজ্ঞান যে সত্য উদ্ঘাটন করে, যে নিয়ম-সূত্র আমাদের জানায়, তার ওপর ভর করে উদ্ভাবিত হয় প্রযুক্তিপণ্য। সে জন্যই বলা হয় : Technology is the commercial extension of science। অতএব বিশুদ্ধ বিজ্ঞানকে বাদ দিয়ে প্রযুক্তি অচল। সুতরাং আমাদের প্রয়াস হবে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে হাতে-হাত ধরে চলার সুযোগ করে দেয়া। এক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজ হচ্ছে ব্যাপক গবেষণা। গবেষণা বাদ দিয়ে তথ্যপ্রযুক্তির উদ্ভাবন সম্ভব নয়। বৈজ্ঞানিক গবেষণাকর্মকে গুরুত্ব না দিয়ে, আমরা যদি শুধু তথ্যপ্রযুক্তি খাত এগিয়ে নিতে চাই, তবে আমরা কার্যত পরিণত হবো একটি ভেন্ডর জাতিতে। তখন বাইরে থেকে প্রযুক্তি আর প্রযুক্তিপণ্য আমদানি করে আমাদের বেঁচে থাকতে হবে। আর এটা নিশ্চিতভাবে তথ্যপ্রযুক্তি খাতের সত্যিকারের অগ্রগমন নয়। কারণ, এক্ষেত্রে জাতি হয়ে উঠবে এক পরনির্ভরশীল জাতি।

সে যা-ই হোক, জানা গেছে, মহাজোট সরকারের ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ গড়ার কার্যক্রমকে আরো জোরদার করতে বিজ্ঞান, তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়কে দুই ভাগে ভাগ করা হচ্ছে। আরো জানা গেছে, এরই মধ্যে ‘তথ্য ও যোগাযোগ বিভাগ’ নামে স্বতন্ত্র বিভাগ গঠনের প্র স্তাব করা হয়েছে। অন্যটির নাম হবে ‘বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিভাগ’। তবে পৃথক এ বিভাগটি একজন মন্ত্রীর অধীনেই থাকবে। সচিব থাকবেন দু’জন। ইতোমধ্যেই প্র স্তাবিত বিভাগের নাম ও অর্গানোগ্রামসহ আনুষঙ্গিক বিষয় উল্লেখ করে একটি প্র স্তাবনা মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পাঠানো হয়েছে প্রশাসনিক উন্নয়নসংক্রান্ত সচিব কমিটির বৈঠকে অনুমোদনের জন্য। তা মন্ত্রিসভার বৈঠকে অনুমোদিত হওয়ার অপেক্ষায়।

বলা হচ্ছে, বিজ্ঞান এবং তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ে আলাদা কোনো বিভাগ এবং প্রয়োজনীয়সংখ্যক বিশেষজ্ঞ না থাকায় রূপকল্প-২০২১ অনুযায়ী ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার বিভিন্ন পদক্ষেপ নিতে পারছে না সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়। সে প্রেক্ষাপটেই বিজ্ঞান এবং আইসিটি মন্ত্রণালয়ে এ আলাদা বিভাগ গঠনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। আমরা সরকারের এ উদ্যোগকে স্বাগত জানাই। যেহেতু গত ৩১ আগস্ট মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে সরকারের নীতিগত সিদ্ধান্ত অনুমোদনের এ প্র স্তাব প্রধানমন্ত্রীর কাছে পাঠানো হলে প্রধানমন্ত্রী তা অনুমোদন করেন। তাহলে ধরে নেয়া যায়, বিষয়টি শিগগিরই বাস্তব রূপ নেবে।

এর প্র স্তাবিত সাংগঠনিক কাঠামোমতে, এ নতুন বিভাগ গঠনের জন্য সচিব পর্যায়ের ২২টি পদ সৃষ্টি করা হচ্ছে। এর বিপরীতে ৮২ কর্মকর্তা-কর্মচারী সমন্বিতভাবে কাজ করবেন। সাংগঠনিক কাঠামোতে জনবল থাকবে নিম্নরূপ : সচিব একজন, অতিরিক্ত সচিব একজন, যুগ্মসচিব দুইজন, উপসচিব তিনজন, উপপ্রধান একজন, সহকারী প্রধান একজন, সিনিয়র সহকারী সচিব ও সহকারী সচিব দশজন, সিনিয়র সহকারী প্রধান একজন, সহকারী প্রধান একজন, সচিবের একান্ত সচিব একজন, ব্যক্তিগত কর্মকর্তা নয়জন, প্রশাসনিক কর্মকর্তা বারোজন, হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা একজন, ক্যাশিয়ার একজন, ক্যাশ সরকার একজন, সিনিয়র সিস্টেম অ্যানালিস্ট একজন, প্রোগ্রামার একজন, সহকারী প্রোগ্রামার একজন, মেইনটেন্যান্স ইঞ্জিনিয়ার, অফিস সহকারী কাম কমপিউটার অপারেটর তেরোজন, কমপিউটার অপারেটর একজন, ডাটা এন্ট্রি অপারেটর দুইজন ও ষোলোজন এমএলএসএস।

কজ ওয়েব
পত্রিকায় লেখাটির পাতাগুলো
লেখাটি পিডিএফ ফর্মেটে ডাউনলোড করুন
লেখাটির সহায়ক ভিডিও
চলতি সংখ্যার হাইলাইটস