• ভাষা:
  • English
  • বাংলা
হোম > পোর্টেবল উবুন্টু
লেখক পরিচিতি
লেখকের নাম: প্রকৌশলী মর্তুজা আশীষ আহমেদ
মোট লেখা:২২
লেখা সম্পর্কিত
পাবলিশ:
২০১১ - জানুয়ারী
তথ্যসূত্র:
কমপিউটার জগৎ
লেখার ধরণ:
লিনআক্স
তথ্যসূত্র:
লিনআক্স
ভাষা:
বাংলা
স্বত্ত্ব:
কমপিউটার জগৎ
পোর্টেবল উবুন্টু

প্রযুক্তির কল্যাণে এখন কমপিউটার ডেস্কটপের গন্ডি পেরিয়ে বহনযোগ্য পণ্যে পরিণত হয়েছে। এখনকার ল্যাপটপ অনেক হালকা। তারপরেও এটা সবসময় সব জায়গায় বহন করা সুবিধার হয় না। তবে এমন যদি হয়, অপারেটিং সিস্টেমের সাথে শুধু দরকারী ফাইল বহন করা হচ্ছে, তাহলে কেমন হয়? এক্ষেত্রে শুধু অপারেটিং সিস্টেমের পোর্টেবিলিটি পাওয়া যাবে। যেকোনো কমপিউটারের সাথে কানেক্ট করে দিলেই হলো। বাসায় যেভাবে এবং যে অবস্থায় অপারেটিং সিস্টেম চালানো হয়েছে ঠিক সেই অবস্থায় যেকোনো জায়গায় কাজ করা সম্ভব।



বর্তমানে লিনআক্সে ইনস্টলেশনের ঝামেলা নেই বললেই চলে। বুটেবল সিডি থেকে খুব সহজেই এখন লিনআক্সের লাইভ সিডি চালানো যায়। লাইভ সিডি হচ্ছে এমন একটি বুটেবল সিডি, যার সাহায্যে সরাসরি সিডি চালিয়েই প্রয়োজনীয় কমপিউটিং সম্পন্ন করা যায়। কোনো ধরনের অপারেটিং সিস্টেম ইনস্টলেশনের প্রয়োজন নেই। এ ধরনের লাইভ সিডির অনেক সীমাবদ্ধতা আছে। তবে সীমাবদ্ধতা থাকলেও অপারেটিং সিস্টেমে ঝামেলা হলে গুরুত্বপূর্ণ কাজ সমাধা করা যায়। লাইভ সিডির কনসেপ্ট এসেছে অপারেটিং সিস্টেমটি কেমন সেই সম্পর্কে ব্যবহারকারীদের একটি ধারণা দেবার প্রয়াস থেকে। কোনো ব্যবহারকারী চাইলে ইনস্টল না করেই লাইভ সিডি চালিয়ে দেখতে পারবেন। ফলে অপারেটিং সিস্টেম সম্পর্কে খুব সহজেই ধারণা পাওয়া যাবে।

সিডি বা ডিভিডি ছাড়া পেনড্রাইভ দিয়েও এই কাজটি করা যায়। এতে সুবিধা হলো পেনড্রাইভ যেকোনো কমপিউটারে লাগিয়ে সরাসরি অপারেটিং সিস্টেম বুট করে কাজ করা যায়। অর্থাৎ পুরো অপারেটিং সিস্টেম পোর্টেবল হয়ে যাবে। সেক্ষেত্রে পেনড্রাইভটি বড় ক্যাপাসিটির হলে অপারেটিং সিস্টেমের সাথে সাথে অ্যাপ্লিকেশন সফটওয়্যারও ইনস্টল করা অবস্থায় পাওয়া যাবে। লিনআক্স এবং উবুন্টুতে এই কাজ খুব সহজেই করা যায়। লিনআক্স ধারাবাহিকের এই সংখ্যায় দেখানো হয়েছে পেনড্রাইভ দিয়ে কিভাবে এ পোর্টেবল অপারেটিং সিস্টেম পাওয়া যেতে পারে।

প্রথমেই এমন একটি পেনড্রাইভ নির্বাচন করতে হবে, যার ধারণক্ষমতা অন্তত চার গিগাবাইট। এবারে পেনড্রাইভ থেকে গুরুত্বপূর্ণ সব ফাইল অন্য কোথাও সরিয়ে নিতে হবে। কারণ, পেনড্রাইভে অপারেটিং সিস্টেম ইনস্টল হবার আগে অপারেটিং সিস্টেম পেনড্রাইভ ফরমেট করে নেয়। এজন্য আগে থেকেই সাবধান থাকা উচিত। সেই সাথে যে পেনড্রাইভে এমন পোর্টেবল অপারেটিং সিস্টেমের জন্য কাজে লাগানো হবে, তা অন্য কোনো কাজে না লাগানোই ভালো।



পেনড্রাইভ থেকে পোর্টেবল অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহার করার জন্য উবুন্টুর ক্ষেত্রে ৯.০৪ ভার্সন বা তার পরবর্তী ভার্সন সাপোর্ট করবে। প্রথমেই এটা নিশ্চিত হয়ে নিতে হবে এই ভার্সন বা তার পরবর্তী কোনো ভার্সন সঠিকভাবে সিস্টেমে ইনস্টল করা থাকতে হবে। সেই সাথে অবশ্যই সিডি রমে বুটেবল উবুন্টুর ডিস্ক রাখতে হবে।



এ জন্য আগে থেকেই উবুন্টুর বুটেবল ডিস্ক যোগাড় করে রাখতে হবে। উবুন্টু ডাউনলোড করার জন্য http://ubuntu.com সাইটে ভিজিট করে ডাউনলোড করা যেতে পারে। ডাউনলোড করার পর, তা ডিভিডিতে রাইট করে ইনস্টল করতে হবে। তবে এটি বুটেবল ডিভিডি হিসেবেই রাইট করতে হবে। আর এসব ঝামেলায় যারা যেতে চান না, তাদের জন্য আছে সরাসরি সিডি/ডিভিডি পাবার ব্যবস্থা। এজন্য ভিজিট করুন shipit.ubuntu.com সাইটে। এখানে আপনার ঠিকানা দিয়ে দিলে বাসায় বসেই পেতে পারেন এর বুটেবল ডিস্ক।

পার্টিশনিং নিয়ে একটু আলোচনা করার প্রয়োজন আছে। মনে রাখতে হবে, ফাইল সিস্টেম নিয়ে সমস্যা থাকা চলবে না। অন্তত লিনআক্স থেকে উইন্ডোজ পার্টিশনে যাতে প্রবেশ করা যায়, সেই ব্যবস্থা করতে হবে। ডুয়াল বুটিং সাপোর্ট করে বলে সবাই একে উইন্ডোজের পাশাপাশি চালাতে পছন্দ করেন। এই ডুয়াল বুটিংয়ের কারণেই ফাইল সিস্টেম নিয়ে ব্যবহারকারীরা সমস্যায় পড়েন। মূল সমস্যা হয় উইন্ডোজ থেকে লিনআক্সের ফাইল সিস্টেমে এবং লিনআক্স থেকে উইন্ডোজ ফাইল সিস্টেমে যেতে। সব থেকে বেশি সমস্যা হয় এনটিএফএস ফাইল সিস্টেম নিয়ে। এনটিএফএস ফাইল সিস্টেমের দ্বিতীয় জেনারেশনের ফাইল সিস্টেম ভার্সন নিয়ে লিনআক্সে সমস্যা হয়। ওয়াইন ইনস্টল করার আগে তাই এনটিএফএস বা ফ্যাট ফাইল সিস্টেমে যেতে কোনো সমস্যা না হয়, সেভাবে লিনআক্স কনফিগার করে নিতে হবে।

সরাসরি ইন্টারনেট থেকে উইন্ডোজ অ্যাপ্লিকেশন ডাউনলোড করে ইনস্টল করতে চাইলে ফাইল সিস্টেম কনফিগার না করা থাকলেও সমস্যা হবে না। সিস্টেমে লিনআক্স ইনস্টলেশনের জন্য কমপিউটিং জটিলতা এড়ানোর জন্য আলাদা পার্টিশন তৈরি করা ভালো। পার্টিশন করার জন্য থার্ড পার্টি পার্টিশনিং টুল ব্যবহার করা যায়, যেমন পাওয়ারকোয়েস্ট পার্টিশন ম্যাজিক। পার্টিশন করার জন্য লিনআক্সের নিজস্ব প্রোগ্রাম আছে। কিন্তু পার্টিশনিং সহজ করার জন্যই পাওয়ারকোয়েস্ট পার্টিশন ম্যাজিক ব্যবহার করার জন্য বলা হয়েছে। অন্তত দুইটি পার্টিশন করতে হবে, একটি লিনআক্সের রুট এবং অন্যটি লিনআক্স সোয়াপ পার্টিশন। লিনআক্সের সোয়াপ পার্টিশনের জন্য আপনার সিস্টেমের রযাল মের দ্বিগুণ জায়গা দিতে হবে। আর রুট ফাইল সিস্টেমের জন্য ৫ গিগাবাইটের মতো জায়গা দিলেই চলবে। এসব মাথায় রেখেই উইন্ডোজ পার্টিশন থেকে জায়গা খালি করতে হবে। পার্টিশন ম্যাজিক থেকে খালি জায়গা বের করে রাইট বাটন ক্লিক করে ক্রিয়েট পার্টিশন সিলেক্ট করতে হবে।

নতুন পার্টিশনের সাইজ ৫ গিগাবাইট অ্যালোকেট করার পর পার্টিশনের ধরন সিলেক্ট করতে হবে লিনআক্স ইএক্সটি৩। আর পার্টিশন লজিক্যাল ড্রাইভ সিলেক্ট করে দেয়াই ভালো। এতে পার্টিশনের হিসেব রাখা সহজ হবে। এবারে খালি জায়গার বাকি অংশে একইভাবে রাইট বাটন ক্লিক করে ক্রিয়েট পার্টিশন সিলেক্ট করতে হবে। নতুন পার্টিশনের সাইজ বাকি থাকা পুরো অংশ র্যা।মের দ্বিগুণ বা কাছাকাছি অংশ অ্যালোকেট করে দিতে হবে। আর পার্টিশনের ধরন সিলেক্ট করতে হবে লিনআক্স সোয়াপ। তাহলে আপনার লিনআক্স ইএক্সটি৩ পার্টিশনের আইডেনটিটি হবে এইচডিএ৫ এবং লিনআক্স সোয়াপ পার্টিশনের আইডেনটিটি হবে এইচডিএ৬।

এবার লিনআক্সের কমান্ড লাইনে গিয়ে লিখতে হবে gksudo usb-creator-gtk. এরপরে পেনড্রাইভটি মাউন্ট করিয়ে দিতে হবে। সাধারণত ইউএসবি পোর্টে পেনড্রাইভ লাগালেই স্বয়ংক্রিয়ভাবে পেনড্রাইভ মাউন্ট। তবে মাউন্ট করা অবস্থায় পেনড্রাইভ আনমাউন্ট করা হলে আবার মাউন্ট করার জন্য পেনড্রাইভ ইউএসবি পোর্ট থেকে খুলে আবার লাগাতে হবে। অন্তত চার গিগাবাইটের পেনড্রাইভ ব্যবহার করাই ভালো হবে।

কমান্ড দেবার পরে উবুন্টুর ইমেজ ফাইল দেখিয়ে দিতে হবে। আগেই এর ইমেজ ফাইল কোথাও কপি (কোনো ফোল্ডারে) করে রাখতে হবে। লিঙ্ক চাইলে লিঙ্ক দিয়ে দিতে হবে। এরপরে কমান্ড লাইনে আরেকটি কমান্ড লিখতে হবে। সেটি হচ্ছে gksudo gparted। এই কমান্ড দিয়ে পেনড্রাইভ দেখিয়ে দিতে হবে, যাতে করে পেনড্রাইভে পোর্টেবল অপারেটিং সিস্টেমের ফাইল কপি হওয়া শুরু হয়।

কজ ওয়েব

ফিডব্যাক :
পত্রিকায় লেখাটির পাতাগুলো
লেখাটি পিডিএফ ফর্মেটে ডাউনলোড করুন
লেখাটির সহায়ক ভিডিও
চলতি সংখ্যার হাইলাইটস