কমপিউটার জগৎ ট্রাবলশূটার টিম
কমপিউটার ব্যবহারকারীদের নিত্যনতুন সমস্যায় পড়তে হয়। কিন্তু আমাদের এই নতুন বিভাগ ‘পিসির ঝুটঝামেলা’তে পিসির হার্ডওয়্যার, সফটওয়্যার, নেটওয়ার্ক, ভাইরাসজনিত সমস্যা, ভিডিও গেম সম্পর্কিত সমস্যা, পিসি কেনার ব্যাপারে পরামর্শ ইত্যাদিসহ যাবতীয় সব ধরনের কমপিউটারের সমস্যার সমাধান দেয়া হবে। আপনাদের সমস্যাগুলো আমাদের এই বিভাগের মেইল অ্যাড্রেসে (jhutjhamela@comjagat.com) বা কমপিউটার জগৎ, কক্ষ নম্বর-১১, বিসিএস কমপিউটার সিটি, রোকেয়া সরণি, আগারগাঁও, ঢাকা-১২০৭ ঠিকানায় চিঠি লিখে জানান প্রতিমাসের ২০ তারিখের মধ্যে। উলে¬খ্য, মেইলের মাধ্যমে পাঠানো সমস্যার সমাধান যত দ্রুত সম্ভব মেইলের মাধ্যমেই জানিয়ে দেয়া হবে এবং সেখান থেকে বাছাই করা কিছু সমস্যা ও তার সমাধান প্রেরকের নাম- ঠিকানাসহ ম্যাগাজিনের এই বিভাগে ছাপানো হবে। সফটওয়্যার ও হার্ডওয়্যারের সমস্যা পাঠানোর সময় পিসির কনফিগারেশন, অপারেটিং সিস্টেম, পিসিতে ব্যবহার হওয়া অ্যান্টিভাইরাস প্রোগ্রাম, পিসি কতদিন আগে কেনা এবং পিসির ওয়ারেন্টি এখনো আছে কি না- এসব গুরুত্বপূর্ণ বিষয় উলে¬খ করার অনুরোধ জানানো হচ্ছে।
সমস্যা : আমি এটিআই রেডিওন এইচডি ৫৭৫০ গ্রাফিক্স কার্ড কিনতে চাই। আমার পাওয়ার প্লাই ইউনিট (পিএসইউ) ৫০০ ওয়াট ক্ষমতার। পিসি কনফিগারেশন হচ্ছে-প্রসেসর : কোর আই থ্রি ৫৪০, মাদারবোর্ড : এইচ৫৫এমএক্সভি, র্যােম : ২ গিগাবাইট ডিডিআর৩, হার্ডডিস্ক : ৩২০+৮০ গিগাবাইট, অপটিক্যাল ড্রাইভ : ২৪এক্স আসুস ডিভিডি রাইটার। আমার এ পিসির জন্য ৫০০ ওয়াটের পাওয়ার সাপ্লাই ইউনিট কি যথেষ্ট?
-আশিক রহমান
সমাধান : আপনার পিসিতে যে পাওয়ার সাপ্লাই ইউনিট আছে তা কি আলাদা কিনেছেন নাকি ক্যাসিংয়ের সাথেই ছিল, তা আপনি উল্লেখ করেননি। আমরা ধরে নিচ্ছি, আপনি আলাদা পিএসইউ না কিনে ক্যাসিংয়ের সাথে যে পাওয়ার সাপ্লাই ইউনিট আছে তা দিয়েই কাজ চালাচ্ছেন। এক্ষেত্রে ক্যাসিংয়ের ব্র্যান্ড, মডেল ও দাম জানাটা জরুরি। এতে বোঝা যাবে ক্যাসিংয়ের সাথে দেয়া পিএসইউটি কতটা শক্তিশালী। সাধারণ মানের ক্যাসিংয়ের যে পাওয়ার সাপ্লাই ইউনিট দেয়া থাকে তাতে ৫০০ ওয়াট লেখা থাকলেও আসলে তা পাওয়া যায় না। নতুন কিছু ভালো ব্র্যান্ডের ক্যাসিং পাওয়া যায় যার দাম কিছুটা বেশি, কিন্তু এতে মানসম্পন্ন পিএসইউ লাগানো থাকে। এ ধরনের ক্যাসিংয়ের দাম বর্তমান বাজারদর অনুযায়ী ৩৫০০ টাকা থেকে শুরু। সার্ভার বা গেমিং পিসির জন্য আলাদা আরও শক্তিশালী পিএসইউযুক্ত ক্যাসিং বাজারে পাওয়া যায়। যদি আপনি সেগুলোর কোনোটিই না কিনে সাধারণ মানের ক্যাসিং কিনে থাকেন, আপনার পিসির জন্য তা উপযুক্ত নয়। এটি সাধারণ কাজের সময় সাপোর্ট দেবে, কিন্তু উঁচুমানের গেম খেলা বা প্রসেসর ও গ্রাফিক্স কার্ডের ওপর চাপ পড়ে এমন কাজ করতে গেলে পিএসইউ নষ্ট হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আপনার পিসির কনফিগারেশন অনুযায়ী ন্যূনতম ৫০০ ওয়াট ক্ষমতার পিএসইউ থাকা উচিত। তবে ভবিষ্যতে পিসি আপগ্রেড করার চিন্তা থাকলে ৬০০ ওয়াটের কেনাটা বেশি যুক্তিযুক্ত। যদি আপনার কেনা ক্যাসিংটি ভালোমানের না হয়ে থাকে তবে আপনার আলাদা পিএসইউ কিনে নেয়াটা বাঞ্ছনীয়। পাওয়ার সাপ্লাই ইউনিট ঠিকমতো লোড নিতে না পারলে অনেক সময় সিস্টেমেরও ব্যাপক ক্ষতি হতে পারে। বাজারে থার্মালটেক, আসুস, ডিলাক্স ইত্যাদি ব্র্যান্ডের ভালোমানের পাওয়ার সাপ্লাই ইউনিট পাওয়া যায়। পিসির সুরক্ষার জন্য অবশ্যই মানসম্পন্ন পিএসইউ ব্যবহার করা উচিত।
সমস্যা : আমি আসুসের পি৭এইচ৫৫এন মডেলের মাদারবোর্ড কিনেছি। এ মাদারবোর্ডের ফাংশন অন্যান্য মাদারবোর্ডের থেকে আলাদা। এতে আসুস এক্সপ্রেস গেট, টার্বো বুস্ট ইত্যাদি আছে। কিন্তু আমি বুঝতে পারছি না, এই ফাংশনগুলো কী কাজে লাগে? আমার পিসির কনফিগারেশন হচ্ছে-প্রসেসর : কোর আই থ্রি ৩.২০ গিগাহার্টজ, র্যা ম : ৪ গিগাবাইট, গ্রাফিক্স কার্ড : এক্সএফএস এনভিডিয়া জিফোর্স ৯৫০০ জিটি।
-অর্ণব
সমাধান : ব্র্যান্ড অনুযায়ী মাদারবোর্ডগুলোর মাঝে ফাংশন বা টেকনোলজির বেশ তারতম্য দেখা যায়। অনেক সময় একই ধরনের টেকনোলজি ব্র্যান্ডভেদে আলাদা নামে ব্যবহার করা হয়। আসুসের এক্সপ্রেস গেট নতুন এক ধরনের সফটওয়্যার প্যাকেজ, যা নতুন মডেলের মাদারবোর্ডগুলোর সাথে দেয়া থাকে। এ সফটওয়্যার প্যাকেজটি মাদারবোর্ডের ফার্মওয়্যারে (বায়োস) দেয়া থাকে, যা কমপিউটারের মূল অপারেটিং সিস্টেম চালু হওয়ার ৫ সেকেন্ডের মধ্যে পিসিতে ইনস্টল করা প্রোগ্রাম ব্যবহার করার সুযোগ দিয়ে থাকে, যেমন-ফটো ফোল্ডার ব্রাউজ, ওয়েব ব্রাউজ, স্কাইপ বা অন্যান্য মেসেঞ্জারে চ্যাটিং, মিনি গেম খেলার সুযোগ ইত্যাদি। হার্ডডিস্কের অপারেটিং সিস্টেম অন না হলে এ প্রোগ্রামের মাধ্যমের কিছুটা ডাটা ব্যাকআপ নেয়া যাবে। এক্সপ্রেস গেটকে মিনি অপারেটিং সিস্টেম হিসেবে আখ্যায়িত করা যায়। তবে এটি সিস্টেমে ৫০০ মেগাবাইটের মতো জায়গা দখল করবে। আসুসের মাদারবোর্ডের সাথে সফটওয়্যার প্যাকেজটি এনাবল করার ড্রাইভার প্রোগ্রাম দেয়া আছে, তা ইনস্টল করে নিলেই এ ফাংশনটি কাজ করবে।
টার্বো বুস্ট টেকনোলজির ইন্টেল প্রসেসরের ক্লকস্পিড বাড়াতে সাহায্যে করে অর্থাৎ ওভারক্লকিং করার জন্য বেশ কাজে দেয়। প্রসেসরের ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য এ ফাংশনটি ব্যবহার করা যাবে। ইন্টেলের প্রসেসরগুলোতেও এখন টার্বো বুস্ট টেকনোলজি ব্যবহার করা যাচ্ছে, যার ফলে প্রসেসরকে অনেক বেশি ওভারক্লক করা সম্ভব। প্রসেসর ওভারক্লক করার জন্য মাদারবোর্ডেরও তা সাপোর্ট করার ক্ষমতা থাকা লাগে, আসুসের টার্বো বুস্ট টেকনোলজি সেই ব্যাপারটিকেই আরও সহজ করে দিয়েছে। তবে ওভারক্লক করার আগে কুলিং সিস্টেম পর্যাপ্ত কি না, তা পরীক্ষা করে দেখতে হবে। প্রয়োজনে আলাদা কুলিং সিস্টেম কিনতে হতে পারে। প্রয়োজন না পড়লে প্রসেসর ওভারক্লক করা উচিত নয়, এতে সিস্টেমের ওপর চাপ পড়বে। আসুসের টেকনোলজিগুলো সম্পর্কে আরও বিস্তারিত জানার জন্য আসুসের ওয়েবসাইট ভিজিট করে দেখুন। আসুসের ওয়েবসাইটের ঠিকানা-www.asus.com।
সমস্যা : আমি ব্রায়ান লারা ক্রিকেট ২০০৭ গেমটি কিনেছি। কিন্তু গেমটি ইনস্টল করার পর তা খেলতে পারছি না। আমার পিসির কনফিগারেশন হচ্ছে-প্রসেসর : সেলেরন ডি ২.৮ গিগাহার্টজ, র্যা ম : ১ গিগাবাইট, হার্ডডিস্ক : ৮০ গিগাবাইট, গ্রাফিক্স কার্ড : ১২৮ মেগাবাইট ইন্টেল জিএমএ ৯৫০। গেম ঠিকমতো চালু হচ্ছে, কিন্তু ম্যাচ সিলেক্ট করে তা চালু করলেই গেম থেকে বের হয়ে ডেস্কটপে চলে আসে। এ সমস্যা হচ্ছে কি কারণে? সমস্যার সমাধান জানালে উপকৃত হব।
-মুশফিক, খুলনা
সমাধান : আপনার সিস্টেমের কনফিগারেশন গেমটি চালানোর জন্য চাওয়া ন্যূনতম কনফিগারেশনের তালিকার সাথে ম্যাচ করে। গেমটি চালানোর জন্য অনুমোদিত কনফিগারেশন হচ্ছে-প্রসেসর : পেন্টিয়াম ৪, ২.৪ গিগাহার্টজ, র্যা ম : ১ গিগাবাইট, গ্রাফিক্স কার্ড : ২৫৬ মেগাবাইট (ন্যূনতম এনভিডিয়া জিফোর্স ৬৮০০ বা এটিআই রেডিওন এক্স৮০০)। বলা যায়, ইন্টেলের গ্রাফিক্স মিডিয়া এক্সেলারেটর বা জিএমএ ৯৫০ গ্রাফিক্স কার্ড গেম খেলার উপযুক্ত গ্রাফিক্স কার্ড নয়। এটি পুরনো কিছু গেম ভালোই চালাতে পারে, কিন্তু সব ধরনের গেম চালাতে পারে না। এ গ্রাফিক্স কার্ডের উপযোগী নতুন গেমগুলো হয়তো সর্বনিম্ন গ্রাফিক্স ডিটেইলসে খেলা যাবে। তবে তার ড্রাইভার ও ডিরেক্টএক্স ভার্সন আপডেটেড থাকতে হবে। গেমটি চালু হয় ঠিকই, কিন্তু প্রচুর সময় নেয় লোড হতে। এই গ্রাফিক্স কার্ডের দুর্বলতার জন্য এমনটি হওয়া স্বাভাবিক। গ্রাফিক্স ড্রাইভার ও ডিরেক্টএক্স ভার্সন আপডেট করে এবং সেই সাথে গেমের সেটিংস কমিয়ে তা চালু করে দেখুন খেলা যায় কি না। গেম খেলার ইচ্ছে থাকলে ন্যূনতম পিক্সেল শেডার ৩.০ সাপোর্টেড ভালোমানের একটি গ্রাফিক্স কার্ড কিনে নিতে পারেন। আগের তুলনায় গ্রাফিক্স কার্ডের দাম এখন অনেক কম। নতুন গ্রাফিক্স কেনায় খরচ খুব একটা বেশি পড়বে না, তবে নতুন বের হওয়া অনেকগুলো গেমের মজা উপভোগ করতে পারবেন।
সমস্যা : আমি শুনেছি গিগাবাইটের কিছু মাদারবোর্ডের সাথে বিল্ট-ইন গ্রাফিক্স কার্ড হিসেবে এটিআই রেডিওন ৪২৫০ গ্রাফিক্স কার্ড দেয়া থাকে। কিন্তু আমি যদি আলাদা এক্সটারনাল গ্রাফিক্স কার্ড ব্যবহার করি তবে কি ক্রসফায়ার টেকনোলজি ব্যবহার করা যাবে? ক্রসফায়ার টেকনোলজির বিশেষত্ব সম্পর্কে বিস্তারিত জানালে খুশি হব।
-তানভীর আহমেদ
সমাধান : হ্যাঁ, গিগাবাইটের নতুন কিছু মাদারবোর্ডের সাথে বিল্ট-ইন গ্রাফিক্স কার্ড হিসেবে এটিআই রেডিওন ৪২৫০ চিপসেট ব্যবহার করা হচ্ছে। তবে সেটি এক্সটারনাল গ্রাফিক্স কার্ডের সমকক্ষ নয়। যখন কোনো সিস্টেমে এক্সটারনাল গ্রাফিক্স কার্ড ব্যবহার করা হয়, তখন বিল্ট-ইন গ্রাফিক্স কার্ড স্বয়ংক্রিয়ভাবে ডিজ্যাবল হয়। তাই সে গ্রাফিক্স কার্ডের সাথে আলাদা গ্রাফিক্স কার্ড দিয়ে ক্রসফায়ার করা যাবে না। ক্রসফায়ার টেকনোলজির সাহায্যে দুই বা ততোধিক গ্রাফিক্স কার্ডের মাঝে সমন্বয় সাধন করে তার ক্ষমতা বাড়ানো যায়। এজন্য মাদারবোর্ডে দুই বা ততোধিক গ্রাফিক্স কার্ড পোর্ট বা পিসিআই এক্সপ্রেস পোর্ট থাকতে হবে। যে গ্রাফিক্স কার্ডগুলো দিয়ে ক্রসফায়ার করতে হবে সেগুলো একই মেমরি, একই ব্র্যান্ড ও একই মডেলের হতে হবে। মূল কথা, ক্রসফায়ারে ব্যবহার করা গ্রাফিক্স কার্ডগুলো যমজ হতে হবে, তাহলেই তা ভালোভাবে কাজ করবে। বাজারে ২ গিগাবাইটের বেশি মেমরির গ্রাফিক্স কার্ড নেই। তাই দুটি ২ গিগাবাইট মেমরির গ্রাফিক্স কার্ড দিয়ে ক্রসফায়ার টেকনোলজির মাধ্যমে গ্রাফিক্স কার্ডের মেমরির পরিমাণ ৪ গিগাবাইট ও ক্লকস্পিড দ্বিগুণ করার পাশাপাশি পারফরমেন্স দ্বিগুণ করা সম্ভব। ক্রসফায়ার টেকনোলজি শুধু এটিআই সিরিজের গ্রাফিক্স কার্ডের সাহায্যে করা সম্ভব। এনভিডিয়ার গ্রাফিক্স কার্ড দিয়ে ক্রসফায়ার করা যায় না। এনভিডিয়ার গ্রাফিক্স কার্ডের জন্য রয়েছে এসএলআই টেকনোলজি।
সমস্যা : কমপিউটারের গতি অনেকটা ধীর হওয়ার জন্য প্রয়োজনের তাগিদেই দুই মাস পর উইন্ডোজ এক্সপি সেটআপ দেই। কিন্তু তারপর মাদারবোর্ডের ডিস্ক সেটআপ দিতে গিয়ে পড়ি সমস্যায়, একটি ফাইলে এরর দেখাচ্ছে এবং ওই ফাইলটি ছাড়া ইনস্টল করলে পুরোপুরি ইনস্টল হয় না এবং সাউন্ড সিস্টেম কাজ করছে না। পরে পিসি খুলে ভেতরের ধুলাবালি পরিষ্কার করি এবং আবার একই উইন্ডোজ নতুন করে সেটআপ দেই এবং পরে মাদারবোর্ডের ডিস্ক ইনস্টল করতে গিয়ে দেখি কোনো সমস্যা ছাড়াই সম্পূর্ণভাবে ইনস্টল হয়, সাউন্ডও হয়। কিন্তু উইন্ডোজ সেটআপের সময় সিস্টেম টেম্পারেচার ৪১ ডিগ্রি ও সিপিইউর টেম্পারেচার ৭৬ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড প্রদর্শন করে। কিন্তু পরে বিভিন্ন সফটওয়্যার ইনস্টল করতে গিয়ে বিভিন্ন সমস্যা হচ্ছে পিসি হার্ডড্রাইভ থেকে বা সফটওয়্যারের ডিস্ক থেকেও অনেক সফটওয়্যার যেমন-VLC, Fake Folder (INF Install Failure. Reason: Access is denied), Picasa 3 (Error Opening File for Writing: C:\Program Files\Google\Picasa3\picasa3.exe) GOM Player, Microsoft office ইত্যাদিসহ অনেক সফটওয়্যার ইনস্টল হচ্ছে না, বিভিন্ন ধরনের এরর দেখায়। উল্লেখ্য, এ সমস্যাটি আগেও একবার হয়েছিল। আবার নতুন উইন্ডোজের ডিস্ক কিনে সেটআপ দিলে সফটওয়্যারের ইনস্টলে সমস্যা হতো না। প্রকৃতপক্ষে সমস্যাটি কোথায়-উইন্ডোজের ডিস্কে নাকি অন্য কোথায়। আমি এর আগে বেশ কয়েকবার উইন্ডোজের ডিস্ক কিনে দুই-তিনবার সেটআপ দেয়ার পর সেই ডিস্ক থেকে উইন্ডোজ সেটআপ দিতে বিভিন্ন এরর দেখায়। এভাবে আমার অনেক উইন্ডোজের ডিস্কই কেনা হয়ে গেছে। এটা কি উইন্ডোজের ডিস্কে সমস্যা? এই সমস্যা সমাধানের উপায় কি? কোনো ফ্রেশ উইন্ডোজ পাওয়ার সম্ভাবনা আছে কি? সফটওয়্যার ইনস্টলের সমাধান দিলে খুব উপকৃত হব। আমার পিসির কনফিগারেশন ডুয়াল কোর ২.০ গিগাহার্টজ, ১ গিগাবাইট র্যািম, বায়োস্টার জি৪১ ইন্টেল চিপসেটের মাদারবোর্ড, ১৬০ গিগাবাইট হার্ডডিস্ক এবং আমি প্রথম থেকে উইন্ডোজ এক্সপি সার্ভিস প্যাক ২ ব্যবহার করছি। প্রায় আড়াই বছর ধরে আমি পিসিটি ব্যবহার করছি।
-শুভ
সমাধান : অনেকেই উইন্ডোজের ডিস্ক কেনার পর তা একবার ব্যবহার করে অবহেলায় ফেলে রাখেন এবং পরে আবার সেটআপ দিতে গিয়ে সমস্যায় পড়েন। এ ধরনের সমস্যা ডিস্কের সারফেসে দাগ বা ক্র্যাচ পড়ে যাবার কারণে কিছু ডাটা নষ্ট বা করাপ্ট হওয়ার কারণে হয়ে থাকে। মাদারবোর্ডের ডিস্কের বেলায়ও সবাই অবহেলা করে থাকেন। সবার উচিত মাদারবোর্ডের ডিস্কটির একটি ব্যাকআপ কপি বানিয়ে রাখা। সেটি দামি ও ভালোমানের সিডিতে রাইট করে এবং সেই সাথে সিডির একটি কপি হার্ডডিস্কে রেখে দেয়া উচিত। উইন্ডোজ ডিস্কটি যদি ভালোমানের হয়ে থাকে তবে সেটির একটি ব্যাকআপ রাখা ভালো। উইন্ডোজ ডিস্ক, মাদারবোর্ডের ডিস্ক ও অন্যান্য ড্রাইভার ডিস্ক সযত্নে আলাদা সিডি/ডিভিডি হোল্ডারে রেখে দেয়া উচিত। শুধু দরকারি সিডি/ডিভিডিগুলো একটি ১০ বা তার বেশি ডিস্ক ধারণ করতে পারে এমন হোল্ডার কিনে তাতে সংরক্ষণ করা উচিত। হোল্ডার কেনার সময় খেয়াল রাখতে হবে, তা যেনো নিম্নমানের না হয়। ডিস্ক হোল্ডিং ফয়েলটি যেনো নমনীয় হয় এবং হোল্ডারটি যেনো শক্ত-সামর্থ্য হয়। তাহলে ডিস্কগুলো অনেকদিন ভালো থাকবে। ব্যাকআপ রাখার জন্য ভালো কোম্পানির ভালো ও দামি ডিস্কগুলো বাছাই করুন। সস্তা ও ননব্র্যান্ডের ব্ল্যাঙ্ক ডিস্কগুলো বেশিদিন টেকে না। অপটিক্যাল ড্রাইভের ট্রেতে জমা ধুলোবালির কারণেও ইনস্টলেশনের সময় ফাইল মিসিং হতে পারে। আবার ভালোমানের উইন্ডোজ ডিস্ক না হলেও এ ধরনের সমস্যা হয়ে থাকে। বাজার ঘুরে বা বন্ধুবান্ধবের কাছ থেকে ভালোমানের উইন্ডোজ ডিস্ক সংগ্রহ করে তা রাইট করে নিন। আর সম্ভব হলে অরিজিনাল উইন্ডোজ এক্সপির ডিস্ক কিনে নিতে পারেন। সিস্টেম ইউটিলিটি ও ভালোমানের অ্যান্টিভাইরাস প্রোগ্রাম ব্যবহার করুন, এতে বারবার উইন্ডোজ সেটআপ দেয়ার ঝামেলা থেকে মুক্তি পাবেন। বারবার হার্ডডিস্ক ফরমেট করাটা ভালো নয়। স্ট্যাবল উইন্ডোজ ব্যবহার করুন, যাতে তা অনেকদিন ধরে ব্যবহার করতে পারেন। পুরনো পিসি অন্তত ছয় মাসে একবার দোকানে অর্থাৎ কমপিউটার সার্ভিসিং সেন্টারে নিয়ে ব্লোয়ার মেশিন দিয়ে পরিষ্কার করে নেয়া উচিত। এতে অল্প কিছু টাকা যাবে, কিন্তু পিসি টিকে থাকবে অনেকদিন। ঘরে পরিষ্কার করা ভালো, তবে ব্লোয়ার মেশিনের সাহায্যে আরো ভালোভাবে পরিষ্কার করা সম্ভব। ক্যাসিংয়ের ভেতরের পাশাপাশি প্রসেসরের হিটসিঙ্ক ও কুলিং ফ্যান ভালোভাবে পরিষ্কার করতে হবে।
সমস্যা : আমি একটি ল্যাপটপ বা নোটবুক কিনতে চাই, যাতে ওয়ার্ড প্রসেসিং, পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশন, ইন্টারনেট ব্রাউজিং-এ ধরনের কাজ করব। আমার বেশি পাওয়ার ব্যাকআপের দরকার। ৮ ঘণ্টা হলে ভালো হয়। বাজারে এমন কোনো ল্যাপটপ বা নোটবুক আছে কি যা আমার চাহিদা পূরণ করতে পারবে? দয়া করে এ ধরনের ল্যাপটপ বা নোটবুকের ব্র্যান্ড ও মডেল সম্পর্কে জানাবেন। এগুলো কতদিন টিকবে? ১ বছর টিকবে তো?
-রেজওয়ান
সমাধান : সর্বোচ্চ ৮ ঘণ্টা ব্যাকআপ দিতে পারবে এমন ল্যাপটপ বা নোটবুকের সংখ্যা বাজারে খুবই কম। এসার ব্র্যান্ডের কিছু ল্যাপটপ ও নোটবুক বাজারে রয়েছে, যা ৭ ঘণ্টার মতো পাওয়ার ব্যাকআপ দিতে সক্ষম। যদি ব্যাটারি ব্যাকআপ মুখ্য হয়ে থাকে তবে আপনি ল্যাপটপ বা নোটবুকের পরিবর্তে ছোট আকারের নেটবুকগুলো বেছে নিতে পারেন। এগুলো সাধারণভাবে ৭ ঘণ্টা এবং পাওয়ার কনজাম্পশন টেকনোলজি ব্যবহার করে সর্বোচ্চ ১০-১১ ঘণ্টা ব্যাটারি ব্যাকআপ দিতে পারবে। মেশিনের ক্ষমতা যত বেশি হবে সেটি তত বেশি ব্যাটারি পাওয়ার নষ্ট করবে। নেটবুকগুলো সাধারণত ইন্টেলের অ্যাটম প্রসেসরের সাহায্যে বানানো হয়, যা অনেক কম বিদ্যুৎ নষ্ট করে, তাই তা অনেকক্ষণ ব্যাটারি ব্যাকআপ দিতে সক্ষম। সেলেরন প্রসেসরযুক্ত নেটবুকও পাওয়া যায়, যা অ্যাটম প্রসেসরের তুলনায় শক্তিশালী তবে তা পাওয়ার বেশি টানে। বাজারে এখন ডুয়াল কোরের অ্যাটম প্রসেসরযুক্ত নেটবুক পাওয়া যায়, যা ছাত্রছাত্রী বা সাধারণ কাজের জন্য ব্যবহার করা যাবে অনায়াসে। তবে সমস্যা হচ্ছে নেটবুকটির স্ক্রিন আকারে বেশ ছোট। ১০ ইঞ্চি থেকে শুরু করে ১২ ইঞ্চি আকারের ডিসপ্লের নেটবুক বাজারে পাওয়া যায়। আকারে ছোট তাই এটি বহন করাটা বেশ সুবিধাজনক। আকারে ছোট হলেও শুধু অপটিক্যাল ড্রাইভ ছাড়া অন্যান্য অনেক সুবিধা এতে থাকে, যা ল্যাপটপ বা নোটবুকে থাকে, যেমন-ওয়েবক্যাম, টাচপ্যাড, কার্ড রিডার ইত্যাদি। বাজারে আসুস ইইই, এইচপি মিনি, স্যামসাং, সনি ভায়ো, গেটওয়ে, এসার এস্পায়ার ওয়ান, লেনোভো আইডিয়া প্যাড, ফুজিৎসু, তোশিবা মিনি ইত্যাদি ব্র্যান্ড ও মডেলের নেটবুক পাওয়া যায়। এগুলোর দাম ২০-৩০ হাজার টাকার মধ্যে। সবগুলোর সাথেই ১ বছরের ওয়ারেন্টি দেয়া আছে। তাই নিশ্চিন্তে ১ বছর ব্যবহার করতে পারবেন। তবে তার বেশি টিকবে কি না সেটা নির্ভর করে ব্যবহার করার ধরনের ওপর। ভালোভাবে ব্যবহার করলে তা অনেক বছর ব্যবহার করতে পারবেন কোনো সমস্যা ছাড়াই।
সমস্যা : আমি উইন্ডোজ সেভেন ব্যবহার করি। আমার পিসির কনফিগারেশন হচ্ছে-প্রসেসর : এএমডি এথলন এক্সটু ৪২০০+, র্যা ম : ২ গিগাবাইট ডিডিআর২, হার্ডডিস্ক : ৫০০ গিগাবাইট, গ্রাফিক্স কার্ড : এনভিডিয়া জিফোর্স ৯৫০০ জিটি। উইন্ডোজ সেভেনের সাথে ডিরেক্টএক্স থাকে শুনেছি। কিন্তু আমার পিসিতে ডিরেক্টএক্স কোন ভার্সন ইনস্টল করা আছে তা বুঝব কিভাবে? পিসির ডিরেক্টএক্স ভার্সন দেখার কোনো উপায় আছে কি?
-হাসান, গাজীপুর
সমাধান : উইন্ডোজ সেভেন ডিরেক্টএক্স ১১ কম্প্যাটিবল, তাই এতে শুধু ডিরেক্টএক্স ১১ ইনস্টল হবে। এক্সপির ক্ষেত্রে ডিরেক্টএক্স ৯ এবং ভিসতার ক্ষেত্রে ডিরেক্টএক্স ১০ ইনস্টল করা যায়। পিসিতে কোন ডিরেক্টএক্স ভার্সন ইনস্টল করা আছে, তা দেখার জন্য স্টার্ট মেনুতে গিয়ে সার্চবারে dxdiag লিখে এন্টার চাপলে ডিরেক্টএক্স ডায়াগনোসিস টুলস নামের একটি উইন্ডো আসবে এবং এতে পিসির বিস্তারিত বর্ণনার পাশাপাশি ডিরেক্টএক্স ভার্সনের আদ্যোপান্ত দেখা যাবে।
সমস্যা : আমার পিসির কনফিগারেশন হচ্ছে-প্রসেসর : ইন্টেল ডুয়াল কোর ১.৮ গিগাহার্টজ, মাদারবোর্ড : আসুস পি৫জিসি-এমএক্স, র্যা ম : ১ গিগাবাইট, হার্ডডিস্ক : ৮০ গিগাবাইট ও গ্রাফিক্স কার্ড : এনভিডিয়া জিফোর্স ৯৫০০জিটি। আমি উইন্ডোজ সেভেন ব্যবহার করি। মাদারবোর্ড থেকে ২ চ্যানেল অডিও আউটপুট হলেও পিসি থেকে ৪ বা ৬ চ্যানেল অডিও আউটপুট সিলেক্ট করলে শুধু সবুজ পোর্ট দিয়ে আউটপুট আসে, গোলাপি ও নীল পোর্ট দিয়ে আউটপুট আসে না। এটি হচ্ছে কেনো জানালে উপকৃত হব।
-আহমেদ সিফাত
সমাধান : আপনার প্রশ্ন থেকে বোঝা যাচ্ছে সাউন্ড কার্ডের কার্যকারিতা সম্পর্কে আপনার ধারণা কম। মাদারবোর্ডে বিল্ট-ইনভাবে ৫ থেকে ৮ চ্যানেলের সাউন্ড কার্ড দেয়া থাকতে পারে এবং সে অনুযায়ী মাদারবোর্ডের ব্যাক প্যানেলে ৩-৭টি পোর্ট থাকতে পারে। তবে তার মানে এই নয় সবগুলো থেকেই আউটপুট পাওয়া যাবে। এদের মাঝে কিছু ইনপুট পোর্টও রয়েছে। গোলাপি পোর্টটি হচ্ছে মাইক্রোফোন ইনপুট পোর্ট এবং নীল পোর্টটি হচ্ছে লাইন-ইন পোর্ট যাতে গিটার বা অন্যান্য ইনস্ট্রুমেন্টস যুক্ত করে সাউন্ড ইনপুট করা যায়। সবুজ পোর্টটি ব্যবহার করা হয় ফ্রন্ট স্পিকারে, কালো পোর্টটি রেয়ার স্পিকারে এবং কমলা পোর্টটি ব্যবহার করা হয় সেন্টার স্পিকারে আউটপুট দেয়ার জন্য। সারাউন্ড রেয়ার স্পিকারের সংখ্যা বেশি হলে তার জন্য ব্যবহার করা হয় ধুসর বা ছাইরঙা পোর্টটি। ডিজিটাল সাউন্ড কার্ডের পেছনে ডিজিটাল আউটপুটের জন্য আলাদা পোর্ট থাকে। গোলাপি বা নীল পোর্ট দিয়ে কখনোই সাউন্ড আউটপুট আসবে না কারণ সেগুলো ইনপুট পোর্ট। সাউন্ড কার্ড সম্পর্কে আরও বিস্তারিত জানার জন্য নিচের লিঙ্কের আর্টিকেল পড়ে দেখুন- http://en.wikipedia.org/wiki/Sound_card।
সমস্যা : আমি উইন্ডোজ সেভেন ব্যবহার করি। আমার সিস্টেম কনফিগারেশন হচ্ছে ইন্টেল পেন্টিয়াম ৪ ও ২ গিগাবাইট র্যা।ম। আমি কি নরটন ৩৬০ ব্যবহার করতে পারব? এ ব্যাপারে বিস্তারিত জানাবেন।
-অর্ণব
সমাধান : সিঙ্গেল কোরের পিসির জন্য নরটনের পণ্য ভালো নয়। নরটনের নতুন অ্যান্টিভাইরাস প্রোগ্রামগুলো ডুয়াল কোরের পিসিতে বেশ ভালো কাজ করে। নরটন ৩৬০ শুধু অ্যান্টিভাইরাস প্রোগ্রাম নয়, এটি একাধারে একটি সিস্টেম ইউটিলিটি সফটওয়্যারও বটে। তাই তা অনেক বেশি রিসোর্স ব্যবহার করবে যা পুরনো পিসির জন্য ভার হয়ে যাবে। আপনার পিসিতে র্যা মের পরিমাণ বেশি তাই হয়তো তেমন একটা সমস্যা করবে না, তবে সিস্টেম কিছুটা ধীরগতি হতে পারে পেন্টিয়াম ৪ প্রসেসরের কারণে। তাই নরটন ৩৬০ ব্যবহার না করে আপনার সিস্টেমের সাথে উপযুক্ত কোনো ইউটিলিটি সফটওয়্যারের পাশাপাশি অ্যাভাস্ট, অ্যাভাইরা, এভিজি ইত্যাদি অ্যান্টিভাইরাস প্রোগ্রাম ব্যবহার করুন, যা কম রিসোর্স দখল করে। একেবারে নতুন সফটওয়্যার ব্যবহার না করে সেগুলোর পুরনো ভার্সন ব্যবহার করুন। এতে সিস্টেমের সাথে তা মানানসই হবে। কারণ নতুন সফটওয়্যার বানানো হয় নতুন হার্ডওয়্যারের সাথে সামঞ্জস্য রেখে। তাই তা পুরনো পিসিতে সমস্যার সৃষ্টি করতে পারে।
সমস্যা : আমি তিন মাস আগে পিসি কিনি। যার ওয়ারেন্টি পিরিয়ড ৩ বছর। পিসির কনফিগারেশন হচ্ছে-প্রসেসর : কোর আই থ্রি ৫৩০, মাদারবোর্ড : ইন্টেল ডিএইচ৫৫টিসি-এমবি ও র্যারম : এ-ডাটা ২ গিগাবাইট ডিডিআর৩। পিসিতে আলাদা কোনো গ্রাফিক্স কার্ড নেই, উইন্ডোজ এক্সপি সার্ভিস প্যাক ৩ এবং ইসেট স্মার্ট সিকিউরিটি ৪ অ্যান্টিভাইরাস ইনস্টল করা আছে। আমার কমপিউটার চালু হয় এবং ঠিকমতো চলে। কিন্তু ১-২ মিনিট পরে হঠাৎ করে বন্ধ হয়ে যায়। সিপিইউয়ের রেড ইন্ডিকেটর অফ হয়ে যায় এবং মনিটর স্ট্যান্ডবাই মোডে চলে যায়। পিসি রিবুট হয় না। নতুন করে অপারেটিং সিস্টেমও ইনস্টল করতে পারছি না। পিসি ২-৩ ঘণ্টা অফ থাকলে মোটামুটি ১.৫ মিনিট রান করে। আমি এখন কি করব?
-মিশকাত
সমাধান : আপনার সিপিইউয়ের রেড ইন্ডিকেটর লাইটটি হচ্ছে হার্ডডিস্কের লাইট এবং নীল বা সবুজ লাইট হচ্ছে মাদারবোর্ডের পাওয়ার লাইট। মাদারবোর্ডের পাওয়ার লাইট জ্বলে থাকে কি না তা লিখেননি। তাই সমস্যাটা কোথায় তা সঠিকভাবে ধরা যাচ্ছে না পিসির সমস্যার বর্ণনা থেকে। পাওয়ার অপশনে কোনো সমস্যা হতে পারে। কন্ট্রোল প্যানেল থেকে পাওয়ার অপশনে গিয়ে দেখুন পিসির পাওয়ার অফ হওয়ার অপশনে নেভার দেয়া নাকি নির্দিষ্ট কোনো সময় দেয়া আছে? কোনো সময় দেয়া থাকলে তা নেভার করে দিন এবং বাকি সব অপশনেও নেভার করে দিন। আপনার পিসির সাথে ইউপিএস আছে কি না তা উল্লেখ করেননি। সমস্যা ইউপিএসেও হতে পারে, যার কারণে আপনি কম পাওয়ার ব্যাকআপ পাচ্ছেন। আপনার পিসির ওয়ারেন্টি আছে, তাই পিসি নিয়ে এত চিন্তিত হওয়ার কিছু নেই। আপনি পিসি যেখান থেকে কিনেছেন সেখানে নিয়ে যান। গুরুতর কোনো সমস্যা হয়ে থাকলে তারাই তা বিনামূল্যে ঠিক করে দেবে। ওয়ারেন্টিযুক্ত পিসিতে সফটওয়্যারজনিত সমস্যার ব্যাপারে তা নিজেই ঠিক করে নিতে পারেন, কিন্তু হার্ডওয়্যারজনিত কোনো সমস্যা হলে মোটেও নাক গলানো উচিত নয়। এতে ভুলবশত হার্ডওয়্যারের কোনো ক্ষতি করে ফেললে ওয়ারেন্টির ব্যাপারে বিক্রেতা ঝামেলা করবে। কারণ সেটা আপনার দোষে নষ্ট হয়েছে তাদের দোষে নয়। তাই ওয়ারেন্টিযুক্ত পিসির সমস্যার ব্যাপারে বিক্রেতার সাথে যোগাযোগ করাটাই বুদ্ধিমানের কাজ।
সমস্যা : আমার পিসির কনফিগারেশন হচ্ছে-প্রসেসর : ইন্টেল কোর আই থ্রি ৫৪০ ৩.০৬ গিগাহার্টজ, মাদারবোর্ড : ইন্টেল ডিএইচ৫৫পিজে, র্যারম : ২ গিগাবাইট ও হার্ডডিস্ক : ৫০০ গিগাবাইট। আমি গত ২১ জানুয়ারি পিসি কিনেছি এবং তখন থেকে উইন্ডোজ সেভেন আল্টিমেট ব্যবহার করছি। কিন্তু সপ্তাহ দুই চলানোর পর পিসিতে ওয়েলকাম স্ক্রিন এসে আর লোড হয় না, সেখানেই থেমে থাকে। আমি তখন যেখান থেকে পিসি কিনেছি সেখানে নিয়ে যাই। তারা বলল সফটওয়্যারে সমস্যা। এরপর তারা আবার উইন্ডোজ সেভেন ইনস্টল করে দিল। কিন্তু ২ দিন পর আবার আমার পিসি ওপেন হওয়ার পর মাউস ও কিবোর্ড কাজ করা বন্ধ করে দিল। আবার দোকানে নিয়ে গেলে তারা বলল এটা ইউজার প্রবলেম এবং তারা উইন্ডোজ এক্সপি ইনস্টল করে দিল। কিন্তু একদিন পর আবার সেই সমস্যা। এটা কি হার্ডওয়্যারের সমস্যা? আমি শিল্ড ডিলাক্স ও অ্যাভাস্ট অ্যান্টিভাইরাস ব্যবহার করি। সমাধান জানালে উপকৃত হব।
-নিয়াজ মোর্শেদ নায়েম
সমাধান : দোকান থেকে এখন ফ্রেশ উইন্ডোজ ইনস্টল করে দেয়া হয় কম। তাদের পোর্টেবল হার্ডডিস্কে থাকা উইন্ডোজের ব্যাকআপ কপি অন্য পিসির হার্ডডিস্কে ইনস্টল করে দেয়া হয়। তাই তা অনেক সময় হার্ডওয়্যারের সাথে মিল খায় না এবং অনেক সমস্যার সৃষ্টি করে। এভাবে দেয়া উইন্ডোজগুলো বেশিদিন টেকে না এবং খুব সহজেই ক্র্যাশ করে থাকে। ইউজারের কারণেও পিসির সমস্যা হয়। বেশি সফটওয়্যার ইনস্টল করা, অপ্রয়োজনীয় প্রোগ্রাম ইনস্টল করা, সিস্টেম ইউটিলিটি সফটওয়্যার ব্যবহার না করা, সফটওয়্যার ঠিকমতো আন-ইনস্টল না করা, হার্ডডিস্ক ভরাট করে রাখা, উলট-পালট সফটওয়্যার ইনস্টল করা, অজানা সফটওয়্যার ব্যবহার করা, ভালোমানের অ্যান্টিভাইরাস ব্যবহার না করা ইত্যাদি হচ্ছে ইউজারের দোষ। এ ধরনের সমস্যার কারণে পিসিতে অনেক সমস্যা দেখা দেয়, যা অনেকেই ধরতে পারেন না। আপনি একসাথে দুটি অ্যান্টিভাইরাস প্রোগ্রাম ব্যবহার করছেন এটি এক বিশাল সমস্যা। ভাইরাস থেকে মুক্তি পেতে ডাবল সুরক্ষা পাওয়ার আশায় আপনি সিস্টেমের ওপরে চাপ ফেলে তাকে ঠিকমতো কাজ করতে বাধা দিচ্ছেন। একসাথে দুটি অ্যান্টিভাইরাস প্রোগ্রাম কোনোমতেই ব্যবহার করা উচিত নয়। আপনার মূল সমস্যা হয়তো এটাই হতে পারে। তাই যেকোনো একটি অ্যান্টিভাইরাস প্রোগ্রাম ব্যবহার করুন এবং তা করার আগে কোনো বন্ধু বা অভিজ্ঞ লোককে দিয়ে ফ্রেশ উইন্ডোজ ইনস্টল করে নিন।
ফিডব্যাক : jhutjhamela@comjagat.com