• ভাষা:
  • English
  • বাংলা
হোম > বাংলাদেশ সাইবার গেমিং ফেস্টিভাল ২০১১
লেখক পরিচিতি
লেখকের নাম: কজ রিপোর্টার
মোট লেখা:৩৭৯
লেখা সম্পর্কিত
পাবলিশ:
২০১২ - জানুয়ারী
তথ্যসূত্র:
কমপিউটার জগৎ
লেখার ধরণ:
গেম
তথ্যসূত্র:
রির্পোট
ভাষা:
বাংলা
স্বত্ত্ব:
কমপিউটার জগৎ
বাংলাদেশ সাইবার গেমিং ফেস্টিভাল ২০১১

গত ২২, ২৩ ও ২৪ ডিসেম্বর ঢাকার সাতমসজিদ রোডের ব্রিটিশ কাউন্সিল এক্সাম ভেন্যু ‘অ্যাকাডেমিয়া’তে অনুষ্ঠিত হয় ‘বাংলাদেশ সাইবার গেমিং ফেস্টিভাল ২০১১’ তথা ‘বিসিজিএফ ২০১১’। তিনদিনব্যাপী এই গেমিং উৎসবে অংশ নেয় দুই শতাধিক গেমার, প্রযুক্তিপণ্য নির্মাতা ‘লজিটেক’, বিশ্বখ্যাত অ্যান্টিভাইরাস ক্যাসপারস্কি এবং বাংলাদেশ টেলিকম কোম্পানি লিমিটেড তথা বিটিসিএলের ব্রডব্যান্ড কানেকশন ‘বিকিউব’ সংযোগ দাতা একমাত্র প্রতিষ্ঠান ইমেম সিস্টেমস লিমিটেড। প্রতিযোগিতার সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিল আমব্রেলা ম্যানেজমেন্ট। প্রযুক্তিগত সহায়তায় ছিল কমপিউটার সোর্স লিমিটেড।

প্রযুক্তি জগতে গেমিংয়ের ইতিহাস পুরনো হলেও বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রতিযোগিতামূলক গেমিংয়ের ধারণা খুব একটা পুরনো নয়। বাংলাদেশে গত কয়েক বছর ধরে জাতীয় পর্যায়ে গেমিং টুর্নামেন্টের একটি প্রবণতা চলছে। এরই ধারাবাহিকতায় আমব্রেলা ম্যানেজমেন্টের ব্যানারে অনুষ্ঠিত হয় ‘বিসিজিএফ ২০১১’।



গত ২২ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার সকাল দশটায় শৈত্যপ্রবাহ উপেক্ষা করে প্রায় দুইশ’ গেমার একসাথে লালমাটিয়ার সুপরিচিত স্কুল অ্যাকাডেমিয়ার সামনে উপস্থিত হয়। রেজিস্ট্রেশনের শেষ দিন ২১ ডিসেম্বর হলেও গেমারদের অনুরোধের কারণে স্পট রেজিস্ট্রেশন ওপেন করা হয়। দুপুর ১২টা পর্যন্ত গেমারদের রেজিস্ট্রেশন হয় এবং গেমার সংখ্যা দুই শতাধিক ছাড়িয়ে গেলে আয়োজকদের অপারগতায় রেজিস্ট্রেশন বন্ধ করা হয়। খেলা শুরুর সময় সকাল ১০টা হলেও দুপুর ১২টা পর্যন্ত রেজিস্ট্রেশন চলায় খেলা শুরু হতে প্রায় সাড়ে ১২টা হয়।

শুরুর দিন বিকেল পর্যন্ত খেলা খুব ভালোভাবে চললেও কারিগরি ত্রুটির কারণে বেশ কিছুক্ষণ খেলা বন্ধ রাখতে হয়। পরবর্তী সময়ে আবার খেলা চালু হলে প্রথম দিনের রাউন্ড শেষ হয় রাত ৯টায়। ২৩ ডিসেম্বর যথারীতি সকাল ১০টায় খেলা শুরু হয়। শেষ হয় সন্ধ্যা ৭টায়। দুপুরে ১ ঘণ্টার বিরতি দেয়া হয়। ২৪ ডিসেম্বর মেলার শেষ দিনে মাইক্রোসফট বাংলাদেশ আয়োজন করে ইমাজিন কাপের ওপর একটি সেমিনার। অর্ধশত গেমারের উপস্থিতিতে সেমিনারটি অত্যন্ত সফলভাবে শেষ হয়। সেমিনারে বক্তা ছিলেন মামুন।

এভাবেই এগিয়ে যেতে থাকে বাংলাদেশ সাইবার গেমিং ফেস্টিভাল ২০১১। ২৪ ডিসেম্বর রাত ৯টায় পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে বিজয়ী প্রতিটি দলের ক্যাপ্টেনের হাতে সার্টিফিকেট তুলে দেয়া হয়। সার্টিফিকেট ও পুরস্কার তুলে দেন আমব্রেলা ম্যানেজমেন্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বাসিতুল ইসলাম। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রতিষ্ঠানটির অন্যান্য পরিচালক শরীফুল হাসান, আবিদ আশরাফ মিনার, কাজী মৈত্রী; কমপিউটার সোর্সের প্রতিনিধিরা এবং বাংলাদেশে ক্যাসপারস্কি অ্যান্টিভাইরাসের একমাত্র আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান অফিস এক্সট্রাক্টসের প্রতিনিধি। বিজয়ীদের জন্য পুরস্কার হিসেবে ছিল নগদ অর্থ ও ক্যাসপারস্কি ইন্টারনেট সিকিউরিটি ২০১১। ফার্স্ট রানার্সআপদের জন্য ছিল নগদ অর্থ আকর্ষণীয় ক্যাসপারস্কি ব্যাকপ্যাক। সেকেন্ড রানার্সআপদের জন্য ছিল নগদ অর্থসহ মাইক্রোসফট উইন্ডোজের সবুজ টি-শার্ট।

‘বিসিজিএফ ২০১১’-এর পুরো অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেছে আমব্রেলা ম্যানেজমেন্ট। আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টগুলোর সাথে পাল্লা দিয়ে জাতীয় পর্যায়ে গেমিং টুর্নামেন্ট চালু করার প্রেক্ষাপটে একদল উদ্যমী তরুণ গড়ে তুলেছে এই প্রতিষ্ঠানটি। প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক বাসিতুল ইসলাম জানান, তার দলের প্রায় সব সদস্যই নর্থসাউথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গ্র্যাজুয়েশন করেছেন। বিসিজিএফ ২০১১-এ পিসি নেটওয়ার্কিং পরিচালনা করেন দলটির আইটি ডিরেক্টর শরিফুল হাসান। তাকে সহযোগিতা করেছেন মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিকেশন অফিসার জিয়াউল হক সৌরভ। ইভেন্টে গেমিং পরিচালনা দলের সদস্য হিসেবে কাউন্টার স্ট্রাইক পরিচালনা করেন শাওন। কল অব ডিউটি পরিচালনা করেন সামী মুনতাসির। ডিফেন্স অব অ্যানসিয়েন্টস পরিচালনা করেন রাহুল। এছাড়া আমব্রেলা ম্যানেজমেন্টের অফিসিয়াল ফটোগ্রাফার শাকির ওয়াহিদ ছবি তোলার পাশাপাশি গেমিং সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করার জন্য সর্বাত্মক সহযোগিতা করেন। আর পোস্টার এবং ব্যানার ডিজাইন করেন আমব্রেলার গ্রাফিক্স ডিজাইনার জুবাইর মিতুল।

সম্পূর্ণ ভেন্যুটিতে উৎসবের তিনদিন ছিল ওয়াইফাই জোন। ওয়াইফাই জোনটি পরিচালনা করে ‘বিসিজিএফ ২০১১’-এর অফিসিয়াল আইএসপি পার্টনার বিটিসিএলের অনুমোদিত প্রতিষ্ঠান ইমেম সিস্টেমস লিমিটেড। গেমাররা তাদের হ্যান্ডসেট ও ল্যাপটপে উপভোগ করেন ১এমবিপিএস ডেডিকেটেড ব্রডব্যান্ড লাইনের ইন্টারনেট স্পিড।

গেমিং উৎসব উপলক্ষে ইভেন্টের গোল্ড পার্টনার ক্যাসপারস্কি অ্যান্টিভাইরাস তাদের ইন্টারনেট সিকিউরিটির দাম কমিয়েছিল। ৮৪৯ টাকার পরিবর্তে তা বিক্রি হয়েছিল মাত্র ৭৯৯ টাকায়। ক্যাসপারস্কির স্টলে ক্রেতাদের কাছ থেকে ব্যাপক সাড়া পেয়েছে বলে জানান ক্যাসপারস্কি কর্তৃপক্ষ।

কমপিউটার সোর্স লিমিটেড ছিল এই ইভেন্টের প্রিমিয়াম পার্টনার। এরা ৫০টি কোরআইথ্রি প্রসেসরের উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন কমপিউটার সরবরাহ করে। এই পিসিগুলো পরস্পর সংযুক্ত ছিল ‘ট্রেন্ডনেট’-এর ক্যাট-৫ ক্যাবল, হাব ও স্যুইচের মাধ্যমে। উল্লেখ্য, বিশ্বখ্যাত রাশিয়ান নেটওয়ার্কিং পণ্য ট্রেন্ডনেটের বাংলাদেশে একমাত্র আমদানিকারক ও পরিবেশক ‘এম বি সফ্ট’ ছিল এই ইভেন্টের নেটওয়ার্ক পার্টনার।

ইভেন্টের মিডিয়া অ্যান্ড প্রমোশন পার্টনার ছিল রেডিও ফুর্তি, কমপিউটার জগৎ ম্যাগাজিন ও কমজগৎ ডটকম। অনুষ্ঠান শেষে আমব্রেলা ম্যানেজমেন্টের কর্ণধার বাসিতুল ইসলাম আগামীতে এ ধরনের গেমিং ইভেন্ট আরো বড় পরিসরে আয়োজন করার পরিকল্পনার কথা জানান।

কজ ওয়েব

পত্রিকায় লেখাটির পাতাগুলো
লেখাটি পিডিএফ ফর্মেটে ডাউনলোড করুন
লেখাটির সহায়ক ভিডিও
চলতি সংখ্যার হাইলাইটস
অনুরূপ লেখা