• ভাষা:
  • English
  • বাংলা
হোম > উইন্ডোজ বিল্ট-ইন ইউটিলিটির বিকল্প কিছু ফ্রি টুল
লেখক পরিচিতি
লেখকের নাম: তাসনীম মাহ্‌মুদ
মোট লেখা:১২৭
লেখা সম্পর্কিত
পাবলিশ:
২০১২ - জানুয়ারী
তথ্যসূত্র:
কমপিউটার জগৎ
লেখার ধরণ:
ইউটিলিটি
তথ্যসূত্র:
ব্যবহারকারীর পাতা
ভাষা:
বাংলা
স্বত্ত্ব:
কমপিউটার জগৎ
উইন্ডোজ বিল্ট-ইন ইউটিলিটির বিকল্প কিছু ফ্রি টুল

কমপিউটার জগৎ-এর নিয়মিত বিভাগ ব্যবহারকারীর পাতায় ডিসেম্বর ২০১১ সংখ্যায় উপস্থাপন করা হয়েছে মাইক্রোসফট উইন্ডোজের কিছু ফ্রি টুল। এ লেখা পড়ে হয়তো অনেকেই মনে করতে পারেন, ব্যবহারকারী তার প্রয়োজনীয় সব ইউটিলিটিই পাবেন মাইক্রোসফটের বিল্ট-ইন টুল থেকে। কিন্তু বাস্তবে তা নয়। কেননা এমন অনেক ফ্রি ইউটিলিটি রয়েছে যার ক্ষমতা মাইক্রোসফটের কোনো কোনো বিল্ট-ইন ফ্রি টুলের চেয়েও ভালো ও বেশি কার্যকর। যেমন-আমরা অনেকেই উইন্ডোজ মিডিয়া প্লেয়ার বা WMP ব্যবহার করি, কিন্তু যারা ভিএলসি মিডিয়া প্লেয়ার ব্যবহার করেছেন তারা কোনোভাবেই উইন্ডোজ মিডিয়া প্লেয়ার ব্যবহার করতে চাইবেন না ভিএলসি মিডিয়া প্লেয়ারের চমৎকার ও আকর্ষণীয় ফিচারের কারণে।

তবে এ কথা অস্বীকার করার উপায় নেই, মাইক্রোসফট তার ব্যবহারকারীদের সব ধরনের প্রয়োজনীয়তার কথা বিবেচনা করে সম্পৃক্ত করেছে বেশ কিছু সহায়ক এবং ফ্রি ইউটিলিটি, যেগুলো আমরা প্রায় ব্যবহার করি। তবে এই টুলগুলোর সবই যে সেরা এবং এদের বিকল্প কোনো ইউটিলিটি নেই, তা সত্য নয়। এ সত্য উপলব্ধিতে এবার ব্যবহারকারীর পাতায় উপস্থাপন করা হয়েছে উইন্ডোজ বিল্ট-ইন ইউটিলিটির বিকল্প কিছু ইউটিলিটি, যেগুলো মাইক্রোসফটের একচ্ছত্র আধিপত্যকে খর্ব করে ব্যবহারকারীর কাছে গ্রহণযোগ্য হয়ে উঠেছে।



এক্সপ্লোরার ২ লাইট

উইন্ডোজ এক্সপ্লোরার এমন এক ইন্টারফেস, যা ফাইলের জন্য প্রদর্শন করে ফোল্ডার এবং আইকন। যদিও গত কয়েক বছর ধরে উইন্ডোজ এক্সপ্লোরারকে বিশোধন করে আসছে, তারপরও বলা যায় এই টুলটি কাজের ক্ষেত্রে বেশ ক্লামজি, কেননা এটি কাজ করে বিভিন্ন ফোল্ডারের অসংখ্য ফাইল নিয়ে। আর এই ক্ষেত্রে এক্সপ্লোরার ২ লাইট অবতীর্ণ হতে পারে এক সহায়ক টুল হিসেবে।

এই টুলের রয়েছে অসংখ্য কৌশলী ফিচার। তবে এসব ফিচারের মধ্যে সবচেয়ে প্রয়োজনীয় ও সহায়ক ফিচার হলো বুকমার্ক এবং ফিল্টারিং টুল। বুকমার্কের মাধ্যমে দ্রুতগতিতে নির্দিষ্ট কোনো ফোল্ডারের অ্যাক্সেস করা যায় এবং ফিল্টারিং টুল লুকিয়ে রাখে নির্দিষ্ট ফাইল টাইপ।

টেরাকপি

উইন্ডোজ এক্সপ্লোরার দিয়ে ফাইল কপি ও মুভ করার কাজটি যথাযথভাবে সম্পন্ন করা যায়, তবে ভিন্ন কোনো ড্রাইভে ফাইল ট্রান্সফারের ক্ষেত্রে গতি কিছুটা কমে যায়। এছাড়া ডাটা বা ফাইল ট্রান্সফারের সময় মাঝপথে অর্থাৎ ট্রান্সফার প্রসেসের মাঝপথে থামানোর কোনো পথ নেই। অথবা কোনো ফোল্ডারকে নতুন লোকেশনে ড্র্যাগিং করে কপি করা হলে বা কোনো একটি ফাইল বা একাধিক ফাইলকে কপি করা হলে তাও থামানো যায় না। তবে এ ধরনের কাজ করা যায় টেরাকপি নামের এক ফ্রি টুল দিয়ে।



টেরাকপি ইনস্টল করা হলে এটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে পপ-আপ করে যখনই কোনো ফাইল বা ফোল্ডার মুভ করা হয় এবং একটি ডায়ালগ বক্সের মাধ্যমে ট্রান্সফারের বিস্তারিত স্ট্যাটাস প্রদর্শন করে। এছাড়া এ টুলে আরো থাকে কোনো বাধাবিপত্তি ছাড়া প্রসেসকে টোয়েক করার অপশন।

সিএলসিএল

উইন্ডোজ ক্লিপবোর্ড প্রত্যেকবার একটি করে আইটেম কপি এবং পেস্ট করতে পারে, তবে এ ধরনের কয়েকটি অপারেশন কার্যকর করার ক্ষেত্রে ব্যবহারকারী আশাহত হবেন। উদাহরণস্বরূপ, ওয়েব পেজের ভিন্ন কোনো প্যারাগ্রাফ থেকে সিলেক্ট করা বাক্য কপি করুন একটি টেক্সট ডকুমেন্টে পেস্ট করার জন্য। এরপর আবার কোনো টেক্সট সিলেক্ট করে কপি ও পেস্ট করলে আগের কপি-পেস্ট ফাংশনটি কার্যকর হবে না। এ ক্ষেত্রে সিএলসিএল আপনাকে সহায়তা করতে পারবে। এটি উইন্ডোজ ক্লিপবোর্ডকে প্রতিস্থাপন করবে না, তবে যেকোনো সংখ্যক কপি করা আইটেমের স্ট্যাক তৈরি করবে (ডিফল্ট ৩০টি কপি করা আইটেম) এবং এগুলো পাওয়া যাবে Alt+C চেপে পপ-আপ লিস্ট থেকে।

মাল্টিমুন টাস্কবার ফ্রি ২.১

পিসিতে দ্বিতীয় মনিটর যুক্ত করার অর্থ হচ্ছে অধিকতর স্ক্রিন স্পেসের প্রয়োজনীয়তা অনুভূত হওয়া ও উইন্ডোজ ডেস্কটপ পূর্ণ সম্প্রসারণ করে কাজ করা। এ ক্ষেত্রে অন্যতম সমস্যা হলো টাস্কবার একটি মনিটরে আবিষ্ট থাকে। এর ফলে দ্বিতীয় ডিসপ্লেতে কোন উইন্ডো ওপেন অবস্থায় রয়েছে তা নিরূপণ করা কঠিন হয়ে পড়ে এবং তা নিরূপণের জন্য সহজ সমাধানও নেই। তবে মাল্টিমুন টাস্কবার টুলটি এ সমস্যার সমস্যার সমাধান দিয়েছে। মাল্টিমুন টাস্কবার দ্বিতীয় মনিটরে আরেকটি আলাদা টাস্কবার স্থাপন করে (তৃতীয় মনিটরে আরেকটি যদি থাকে), যা ট্র্যাক করে এর উইন্ডোকে। এটিকে ডিজাইন করা হয়েছিল উইন্ডোজ এক্সপির জন্য। মাল্টিমুন নামের টুলটি উইন্ডোজ ৭-এর নতুন ফিচারকে কাজে লাগায়নি ঠিকই, তবে যথাযথভাবে কাজ করতে পারে।

টাস্কসুইচ এক্সপি/ভিস্তাসুইচার

দীর্ঘদিন ধরে ওপেন উইন্ডোর মধ্যে সুইচ করার জন্য ব্যবহার হয়ে আসছে Alt+Tab কি দুটির সমন্বয়। অবশ্য উইন্ডোজ ৭-এ Win+Tab কি দুটির সমন্বয় ব্যবহার হচ্ছে থ্রিডির ক্ষেত্রে।

যখন অনেক প্রোগ্রাম রানিং অবস্থায় থাকে, তখন উপরে উল্লিখিত ফাংশন দুটি দক্ষ হিসেবে পরিগণিত হয় না। এমন অবস্থায় টাস্কসুইচ এক্সপি এবং ভিস্তাসুইচারের মাধ্যমে পাবেন বাড়তি সুবিধা। এজন্য আপনার অপারেটিং সিস্টেমের জন্য সঠিক ভার্সন ব্যবহার করুন। এ ক্ষেত্রে ভিস্তাসুইচার উইন্ডোজ ৭-এ ভালোভাবে কাজ করতে পারে উইন্ডোজের উইন্ডোকে ম্যানেজ করার জন্য।

লাঞ্চি

উইন্ডোজে কোনো প্রোগ্রাম চালু করার সহজতম উপায় হলো স্টার্ট মেনু। পক্ষান্তরে কোনো প্রোগ্রাম চালু করার জন্য সার্চ বক্সে যুক্ত করা হয়েছে এক অপশন। এর ফলে কোনো প্রোগ্রাম চালু করার জন্য সংশ্লিষ্ট ফোল্ডার খুঁজে বের করার পরিবর্তে সার্চ বক্সে প্রোগ্রাম নাম টাইপ করলেই হবে।

লাঞ্চি নামের এক ফ্রি টুল উপরোক্ত দুটি বিষয়কে সমন্বিত করেছে এবং যুক্ত করেছে আরো অনেক সুবিধা। উপরন্তু কিবোর্ড শর্টকাট সক্রিয় করার মাধ্যমে লাঞ্চি প্রোগ্রাম যেকোনো প্রোগ্রাম চালু করতে পারে প্রোগ্রামের প্রথম লেটার বা প্রোগ্রাম নামের দুটি লেটার টাইপ করার মাধ্যমে। তবে একইভাবে লাঞ্চি প্রোগ্রাম খুব সহজেই ওপেন করতে পারবে ডকুমেন্ট, মিউজিক প্লে এবং ওয়েবপেজ।

যাদের মাউস ব্যবহার করতে অপছন্দ, তাদের কাছে এই ইউটিলিটি হবে এক অত্যাবশ্যকীয় টুল। এই টুলটি সত্যিকার অর্থে পিসি ব্যবহারকারীদের জন্য এক সময়সাশ্রয়ী টুল, যেখানে প্রচুর প্রোগ্রাম ইনস্টল করা থাকে।

স্পেসস্নিফার

একটি ফোল্ডার আপনার হার্ডডিস্কের কতটুকু স্পেসজুড়ে আছে তা খুব সহজেই নিরূপণ করা যায় ফোল্ডারে ডান ক্লিক করে Properties বেছে নেয়ার মাধ্যমে। এর ফলে এর সাইজ যথাযথভাবে প্রদর্শিত হয়, তবে আপনার পিসির প্রত্যেক ফোল্ডারের জন্য এ কাজটি হবে বেশ বিরক্তিকর।

এমন অবস্থায় স্পেসস্নিফার টুল আপনার এ ধরনের কাজের গতি বাড়াবে। এ ক্ষেত্রে এই টুল দ্রুতগতিতে আপনার হার্ডডিস্ক স্ক্যান করে এবং এর কনটেন্ট প্রদর্শন করে আনুপাতিক বর্গাকার সাইজ হিসেবে। এরপর সাব-ফোল্ডারের আরো গভীরে ঢুকে একইভাবে তাদের কনটেন্ট ডিসপ্লে করা সম্ভব। এতে আপনি বুঝতে পারবেন কোনটি আপনার স্পেস নষ্ট করছে।

নোটপ্যাড++

নোটপ্যাড টুল উইন্ডোজে যুক্ত করা হয়েছে একটি উপযুক্ত টেক্সট এডিটর হিসেবে। এর মাধ্যমে প্রত্যাশার চেয়ে বেশি চাতুর্যপূর্ণভাবে ফাইলের কাজ করা যায়।

নোটপ্যাড++ ইউটিলিটি নোটপ্যাড ইউটিলিটির কাজের সাদামাটা ভাবকে ছুড়ে ফেলে দেয়নি বরং যুক্ত করেছে এমন ফিচার, যা আরো বেশি করে একুশ শতকের উপযোগী টেক্সট এডিটর হিসেবে উপস্থিত হয়েছে। নোটপ্যাড++-এ সম্পৃক্ত হওয়া ফিচারের মধ্যে সবচেয়ে সহায়ক ফিচার হলো ট্যাবড ইন্টারফেস, যা কয়েকটি ওপেন ফাইলকে একটি উইন্ডোতে রাখে।



প্রফেশনাল এবং শৌখিন ওয়েব ডিজাইনাররা সমভাবে প্রশংসা করবেন নোটপ্যাড++-এর স্বয়ংক্রিয় কালার কোডিং কমান্ডসহ স্পিলিট-স্ক্রিন ভিউ ফিচার, যা ফাইলের একটি অংশকে ভিউতে রাখতে পারে এবং আরেকটি অংশকে রাখতে পারে এডিটযোগ্য করে।

গ্যাডউইন প্রিন্টস্ক্রিন ৪.৬

পিসির কিবোর্ডের প্রিন্টস্ক্রিন বা PrtScn কি-তে চাপলে উইন্ডোজ ডেস্কটপে যা কিছুই থাকুক না কেন তা ক্লিপবোর্ডে কপি হয়ে যাবে। এখান থেকে তা পেস্ট করা যাবে ইমেজ এডিটরে এবং সেভ করা যাবে উপযুক্ত ইমেজ ফরমেট স্ক্রিনশুট তৈরি করার জন্য। মাঝেমধ্যে স্ক্রিনশুট নেয়ার জন্য এটি চমৎকার কাজ করে। তবে ব্যাপকভিত্তিক কাজের ক্ষেত্রে এটি তেমন কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে। তাই ইনস্টল করে নিন গ্যাডউইন প্রিন্টস্ক্রিন ৪.৬ নামের ফ্রি টুল। এই টুলটিকে প্রিন্টস্ক্রিন এর প্রতিস্থাপন হিসেবে ব্যবহার করুন। প্রিন্টস্ক্রিন কি-তে চাপলে সম্পূর্ণ ডেস্কটপ অপ্রত্যাশিতভাবে আবদ্ধ হয় শুধু বর্তমান উইন্ডো অথবা স্ক্রিনের সিলেক্ট করা অংশ। প্রিন্টস্ক্রিন স্বয়ংক্রিয়ভাবে ক্যাপচার করা স্ক্রিন সেভ করে কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে। যতবার খুশি ততবার স্ক্রিনশট নেয়া যায়।

অটোরানস

মাইক্রোসফটের সিস্টেম কনফিগারেশন ইউটিলিটি (MS Config) হিসেবে পরিচিত। এটি স্টার্ট মেনুর সার্চবক্সে রান টাইপ করে চালু করতে হয়) একটি বিল্ট-ইন টুল। কোন কোন প্রোগ্রাম উইন্ডোজের সাথে স্বয়ংক্রিয়ভাবে স্টার্ট হয় তা দেখার জন্য এই ইউটিলিটি ব্যবহার হয়। তাই এমএস কনফিগের গুপ্তরহস্য জানার জন্য কিছু কৌশল অবলম্বন করতে হয়।

অটোরান হলো মাইক্রোসফটের প্রতিস্থাপিত টুল, যা একই কাজ করে। তবে স্টার্টআপ আইটেমকে ক্যাটাগরি অনুযায়ী ভাগ করে এবং প্রতিটি আইটেম প্রদর্শন করে অধিকতর বিস্তারিতভাবে। এটি উইন্ডোজ স্টার্টআপ সমস্যার ট্রাবলশুট করে এবং প্রোগ্রাম ইনস্টলেশনকে অধিকতর সহজ-সরল করে।

ভিএলসি মিডিয়া প্লেয়ার

উইন্ডোজ মিডিয়া প্লেয়ার (WMP) জনপ্রিয় কয়েক ধরনের ভিডিও ফাইল ফরমেট প্লে করতে পারে। সুবিধাজনক কিছু কোডেক দিয়ে ব্যবহারকারীকে প্রলুব্ধ করতে সক্ষম হয়েছে এই টুল। এছাড়া আরো কিছু আকর্ষণীয় ফিচার এটি হ্যান্ডেল করতে পারে।

উইন্ডোজ মিডিয়া প্লেয়ারের তুলনায় ভিএলসি মিডিয়া প্লেয়ার প্রায় সব মিডিয়া ফাইল টাইপ প্লে করতে পারে, বহিরাগত সব ধরনের ভিডিও ফিচারের আচরণ সমর্থন করে, এমনকি ছবির মান বাড়াতে ভিডিও টোয়েকও করা যায় এর মাধ্যমে।

ডিস্ক ক্লিনার

উইন্ডোজের সব ভার্সন হার্ডডিস্ক থেকে ক্ষয়প্রাপ্ত হওয়া ডিজিটাল কনটেন্ট ডিলিট করতে পারে। এজন্য ড্রাইভে ডান ক্লিক করে Properties বেছে নিয়ে Disk cleanup বাটনে ক্লিক করুন। এটি কাজ করতে পারে না সাবলীল গতিতে বিস্তৃত হওয়া অনাকাঙ্ক্ষিত ফাইলে। তবে ডিস্ক ক্লিনার টুল এ ধরনের কাজ করতে পারে। এই ফ্রি টুল পুরনো অ্যাডোবি ফ্ল্যাশ ডাটা থেকে শুরু করে ওয়েব ব্রাউজার কুকিজ পর্যন্ত সবকিছুই বিশোধন করতে পারে। শুধু তাই নয়, এটি অপ্রয়োজনীয় ফাইলের নোট তৈরি করে, যা ডিলিট করা যাবে না ব্যবহৃত অবস্থায় থাকার কারণে। তবে এগুলো ডিলিট করা যাবে উইন্ডোজ রিস্টার্ট করলে।

ফন্ট ফ্রেঞ্জি

সিস্টেমে অনেক ফন্ট ইনস্টল করা থাকলে উইন্ডোজের পারফরম্যান্স প্রভাবিত হয়। এমন অবস্থায় ফন্ট ফ্রেঞ্জি টুল সবার কাছে পছন্দনীয় এক টুল হিসেবে বিবেচিত হতে পারে, বিশেষ করে যারা প্রচুর স্টাইলের ফন্ট পছন্দ করেন তাদের কাছে। এটি উইন্ডোজের সাথে আসা সব ফন্ট ডিজ্যাবল করতে পারে। তবে সেগুলো স্টোর করে রাখে নিরাপদে এবং এক মাউস ক্লিকের মাধ্যমে রিস্টোর করা যায় সেগুলো।

এই টুল ফন্টের স্ন্যাপশট নিতে পারে, যা সেভ ও রিস্টোর করে ভিন্ন ফন্ট কনফিগারেশন।

ডিশ ডিফ্র্যাগ

উইন্ডোজ যাতে স্বাভাবিকভাবে রান করে সেজন্য ডিশ ডিফ্র্যাগমেন্টেশন নিয়মিতভাবে করা উচিত। তবে এর বিল্ট-ইন টুল ফ্র্যাগমেন্টেড ফাইলগুলোকে পুনর্বিন্যাশ করার ক্ষেত্রে সেরা টুল তা বলা যাবে না।

সে ক্ষেত্রে ডিশ ডিফ্র্যাগ নামের এক ফ্রি টুল বেছে নেয়া যেতে পারে ভালো অপশন হিসেবে। কেননা এটি শুধু একই ধরনের ফিচারই প্রদান করে না বরং সিডিউল ডিফ্র্যাগসহ আরো কিছু বাড়তি নতুন ফিচার প্রদান করে। এসব নতুন ফিচারের মধ্যে সবচেয়ে প্রয়োজনীয় ও সহায়ক ফিচার হলো নিয়মিতভাবে ব্যবহার হওয়া ফাইলগুলোকে দ্রুতগতিতে অ্যাক্সেসের জন্য একেবারে শুরুতেই রাখে।

সিডি বার্নার এক্সপি

উইন্ডোজের অতিসাম্প্রতিক ভার্সন খুব সাবলীলভাবে সিডি এবং ডিভিডি ডিস্ক বার্ন করতে পারে। তবে ব্লু-রে মিডিয়ার ক্ষেত্রে কী করতে হবে তা অপারেটিং সিস্টেম জানে না, যদিও এক্সপির রয়েছে এক টুল, যা সিডি বার্ন করতে পারে ঠিকই, তবে ডিভিডি তৈরি করতে পারে না।

সিডি বার্নার এক্সপি উইটিলিটি ইউন্ডোজের সব ভার্সনে সবকিছুই করতে পারে অর্থাৎ সিডি বা ডিভিডি বার্নসহ আরো কিছু বাড়তি কাজ করতে পারে সাবলীলভাবে। এ ছাড়া এতে সম্পৃক্ত রয়েছে বেসিক কভার-প্রিন্টিং টুল, যা মিউজিক বার্নিংয়ের জন্য বেশ সহায়ক।

শেষ কথা

এ লেখার মূল উদ্দেশ্য হলো উইন্ডোজের সাথে যেসব ইউটিলিটি সম্পৃক্ত করা হয়েছে সেসব ইউটিলিটির চেয়েও যে ভালো ইউটিলিটি রয়েছে সে সম্পর্কে পাঠকদের অবহিত করা। মনে রাখতে হবে, এ লেখায় উল্লিখিত টুলগুলো ছাড়াও আরো অনেক টুল রয়েছে, যা মাইক্রোসফট তার ব্যবহারকারীদের কাছে উপস্থাপন করেনি।


কজ ওয়েব

ফিডব্যাক : mahmood_sw@yahoo.com
পত্রিকায় লেখাটির পাতাগুলো
লেখাটি পিডিএফ ফর্মেটে ডাউনলোড করুন
লেখাটির সহায়ক ভিডিও
চলতি সংখ্যার হাইলাইটস