লেখক পরিচিতি
লেখা সম্পর্কিত
লেখার ধরণ:
সমস্যা ও সমাধান
তথ্যসূত্র:
ট্রাবলশুটার টিম
পিসির ঝুটঝামেলা
সমস্যা :
আমি একটি ফটো প্রিন্টার কিনতে চাই। মার্কেটে গিয়ে খোঁজ নিয়ে দেখলাম ইঙ্কজেট প্রিন্টারের জন্য বিশেষ ধরনের ইঙ্ক সাপ্লাই সিস্টেম আলাদাভাবে লাগানো হচ্ছে অরিজিনাল কার্ট্রিজের বদলে। ইন্টারনেটে সার্চ করে দেখলাম এটি নাকি কন্টিনিউয়াস ইঙ্ক সাপ্লাই সিস্টেম তথা সিআইসিসি। আমার প্রশ্ন সিআইসিসি সিস্টেমের সুবিধাগুলো কি কি? ফটো প্রিন্ট করার ক্ষেত্রে এটি কেমন সাপোর্ট দেবে? প্রিন্টারের অরিজিনাল কার্ট্রিজের বদলে এই ধরনের ইঙ্ক ট্যাঙ্ক ব্যবহার করলে কি প্রিন্টারের কোনো ক্ষতি হয়? এই রকম ইঙ্ক ট্যাঙ্কের সাহায্যে উঁচুমানের ফটো প্রিন্ট করলে তার মান কেমন আসবে? আর একবার ইঙ্ক ট্যাঙ্ক ফুল করলে ফোরআর সাইজের কতটি ফটো প্রিন্ট করা যায়? প্রশ্নগুলোর উত্তর জানালে প্রিন্টার কেনার ব্যাপারে আমার বেশ উপকার হতো। আশা করি, আমার প্রশ্নের উত্তরগুলো জানাবেন।
-রাকিব হাসান আকাশ
সমাধান :
ফটো প্রিন্ট করার সময় অনেক কালি খরচ হয়। তাই প্রিন্টারের কার্ট্রিজ খুব তাড়াতাড়ি শেষ হয়ে যায়। কার্ট্রিজের খরচ বাঁচানো এবং বারবার রিফিল করার ঝামেলা কমানোর জন্য সিআইসিসি পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়। এ পদ্ধতি ব্যবহার করা হয় সেসব প্রিন্টারের ক্ষেত্রে যেগুলোতে চার রঙের জন্য চারটি আলাদা কার্ট্রিজ থাকে। কার্ট্রিজের সাথে ইঙ্ক ড্রাম বা ইঙ্ক ট্যাঙ্কের চিকন পাইপ দিয়ে যুক্ত থাকে। কার্ট্রিজের কালি শেষ হয়ে গেলে তা ড্রাম থেকে অটো ফিল হয়ে যায়। ড্রামের কালি শেষ হয়ে গেলে তার ওপরের ক্যাপ খুলে নতুন করে কালি ঢেলে দিতে হয়। সাধারণত প্রতি কার্ট্রিজে ৫ মিলি কালি থাকে আর ড্রামে থাকে ১০০ মিলি বা তার বেশি। ইঙ্ক ড্রাম বা ট্যাঙ্ক বেশ কয়েক ধরনের হয়ে থাকে। প্রিন্টের মান কেমন আসবে তা নির্ভর করে ইঙ্ক ট্যাঙ্কে কি মানের কালি ব্যবহার করা হচ্ছে তার ওপর। ভালো মানের কালি ব্যবহার করলে ভালো ফল পাবেন। এ ধরনের ড্রাম ব্যবহার করলে প্রিন্টের সময় যে ছোটখাটো সমস্যা হয় না তা নয়। কিছুটা সমস্যা হতে পারে। যেমন- মাঝে মাঝে প্রিন্টারের কার্ট্রি্রজ চিনতে না পারা, কালির পরিমাণ দেখাতে ভুল করা, প্রিন্টের সময় কিছু খুঁত আসা ইত্যাদি। সাধারণত ইপসন, লেক্সমার্ক ও অন্যান্য কয়েকটি প্রিন্টারের বিশেষ কিছু মডেলে এ সিআইসিসি পদ্ধতি ব্যবহার করা যায়। এইচপির প্রিন্টারে এটি করা যায় না এবং ক্যাননের কিছু মডেলও এটি সাপোর্ট করে না। কতগুলো ছবি প্রিন্ট করতে পারবেন তা সঠিক করে বলা যাচ্ছে না। তবে এটুকু বলা যায়, কার্ট্রিজের চেয়ে প্রায় ২০ গুণ বেশি কালি ইঙ্ক ট্যাঙ্কে জায়গা হয়। তাই ১৫-২০ গুণ বেশি প্রিন্ট করা সম্ভব। নীলক্ষেতে অনেক দোকানে এখন এ পদ্ধতি ব্যবহার করা হচ্ছে। এ ধরনের কালিসহ ইঙ্ক ট্যাঙ্ক লাগানোর জন্য স্থান ও দোকানভেদে ১৫০০-২৫০০ টাকার মতো রাখা হয়। কিছু ইঙ্ক ট্যাঙ্ক আছে, যা প্রিন্টারের সাথেই যুক্ত করে দেয়া হয় আর কিছু আছে যা প্রিন্টারের পাশে রাখতে হয়। পাশে রাখা ইঙ্ক ট্যাঙ্কের ক্ষেত্রে তা যেনো প্রিন্টার যে সমতলে রাখা হয়েছে সেভাবেই রাখা হয়। এর চেয়ে বেশি উচ্চতায় রাখলে কালি ওভারফ্লো হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। যখন কার্ট্রিজে কালি কম পড়বে তা স্বয়ংক্রিয়ভাবে ইঙ্ক ট্যাঙ্ক থেকে নিয়ে নেবে। ফটো প্রিন্ট কোয়ালিটি ফটো পেপারের ওপরও নির্ভরশীল। তাই যত ভালোমানের পেপার ব্যবহার করা হবে ফটো প্রিন্টের মান তত ভালো হবে। ফ্লোরা লিমিটেড থেকে ইপসনের প্রথম বিল্ট-ইন জেনুইন ইঙ্ক ট্যাঙ্কযুক্ত প্রিন্টার বাজারজাত করা হচ্ছে। তাদের হিসাব অনুযায়ী প্রতি সাদাকালো ও রঙিন পৃষ্ঠা প্রিন্টের খরচ হবে যথাক্রমে ১৫ ও ২৫ পয়সা। ফটো প্রিন্টিংয়ের ক্ষেত্রে এফোর, ফোরআর, পাসপোর্ট ও স্ট্যাম্প সাইজ প্রিন্টের ক্ষেত্রে খরচ পড়বে যথাক্রমে ২ টাকা ২০ পয়সা, ৫৫ পয়সা, ১০ পয়সা ও ৪ পয়সা। অন্যান্য ইঙ্ক ট্যাঙ্কের ক্ষেত্রেও কাছাকাছি খরচ হবে। এ ধরনের প্রিন্টার কেনার ক্ষেত্রে ওয়ারেন্টি এবং সার্ভিসিং সম্পর্কে ভালোভাবে নিশ্চিত হয়ে নেয়া বেশ জরুরি।
সমস্যা :
আমার ল্যাপটপের মডেল ও কনফিগারেশন হচ্ছে ডেল ইন্সপাইরন এন৪০১০, পেন্টিয়াম ডি প্রসেসর, ৪ গিগাবাইট র্যাহম ও ৫০০ গিগাবাইট হার্ডডিস্ক। ল্যাপটপটি দেশের বাইরে থেকে আনা। আমার সমস্যা হচ্ছে হার্ডডিস্কে পার্টিশন একটি। সি ড্রাইভের মধ্যেই সবকিছু রাখা। আমি চাইছি নতুন করে উইন্ডোজ ইনস্টল না করে ও ড্রাইভে থাকা অন্যান্য ফাইল না মুছে হার্ডডিস্কটি পার্টিশন করতে। এটা কি করা সম্ভব? যদি তা করা যায় তবে তা কিভাবে করব জানাবেন।
-আজিমুল ইসলাম সোহাগ
সমাধান :
হার্ডডিস্কের অপারেটিং সিস্টেম ও অন্যান্য কনটেন্ট ডিলিট না করেই পার্টিশন করা সম্ভব। তবে প্রথমে জানা দরকার হার্ডডিস্কের জায়গা বাকি আছে কতটুকু? জায়গা বেশি ভরা থাকলে তা পার্টিশন করতে কিছুটা সমস্যা হবে। ধরে নিচ্ছি আপনার হার্ডডিস্কের ৫০০ গিগাবাইটের মধ্যে ২০০ গিগাবাইট উইন্ডোজ ও ডাটা দিয়ে ভরা আছে এবং বাকি ৩০০ গিগাবাইট খালি আছে। যদিও ৫০০ গিগাবাইট হার্ডডিস্ক পুরোপুরি ৫০০ গিগাবাইট দেখায় না, কিছুটা কম দেখায়। বোঝার সুবিধার জন্য রাউন্ড অ্যামাউন্ট নিয়েই এখানে লেখা হলো। পাওয়ারকোয়েস্ট পার্টিশন ম্যাজিক (সাইমেন্টেক এটি কিনে নেয়ার পর নাম দেয়া হয়েছে নরটন পার্টিশন ম্যাজিক), প্যারাগন পার্টিশন ম্যানেজার বা এওমেই পার্টিশন অ্যাসিস্ট্যান্ট হোম এডিশন- এ তিনটি থেকে যেকোনো একটি ডাউনলোড করে নিন। উইন্ডোজ সেভেন ব্যবহার করলে প্যারাগন বা এওমেই ডাউনলোড করুন। এওমেই আকারে বেশ ছোট, ফ্রিওয়্যার এবং কাজ করে বেশ দ্রুত। গুগলে সার্চ করে সফটওয়্যারটি ডাউনলোড করে নিতে পারবেন বিনামূল্যে। সার্চ করার সুবিধার জন্য এখানে সফটওয়্যারগুলোর ইংরেজি নাম দেয়া হলো- Powerquest Partition Magic, Paragon Partition Manager ও Aomei Partition Assistant Home Edition। এখানে এওমেই পার্টিশন অ্যাসিস্ট্যান্ট সফটওয়্যারটি ব্যবহার করে হার্ডডিস্ক পার্টিশন করার পদ্ধতি লেখা হলো। পার্টিশন সফটওয়্যার ইনস্টল করার পর সি ড্রাইভটি সিলেক্ট করে Resize/Move Partition কমান্ড সিলেক্ট করুন। এরপর পরবর্তী উইন্ডোতে স্লাইডারের সাহায্যে প্রথম ড্রাইভের জায়গা নির্ধারণ করুন। মনে করুন, ২০০ গিগাবাইটের কিছু কম ভরা আছে, তাই ২০০ গিগাবাইট বা কিছু বেশি আকার দিয়ে ওকে করুন। এতে প্রথমে একটি ড্রাইভ তৈরি হবে এবং বাকি ৩০০ গিগাবাইট জায়গা আনএলোকেটেড হিসেবে দেখাবে। প্রথম ড্রাইভটির ফ্ল্যাগ বা টাইপ হবে প্রাইমারি এবং পরের সব লজিক্যাল। যে ড্রাইভে অপারেটিং সিস্টেম থাকবে তার স্ট্যাটাস সিস্টেম ড্রাইভ দেখাবে। এরপর ওপরের দিকের অ্যাপ্লাই বাটন চাপুন। পার্টিশন হয়ে গেলে রিস্টার্ট হতে পারে। রিস্টার্ট হলে মাই কমপিউটারে মাত্র একটি ড্রাইভ সি ড্রাইভ এবং এর আকার হবে ২০০ গিগাবাইট বা তার কিছু কম। কারণ পার্টিশন তৈরি করার সময় কিছুটা জায়গা নষ্ট হয়। ব্যাপারটা অনেকটা এরকম- একটি বড় খালি রুমের মাঝে দেয়াল তুলে দিয়ে তা আলাদা করলে যেমন দেয়ালের জন্য কিছুটা জায়গা লাগে ঠিক তেমন। এবার আরো কয়েকটি ড্রাইভ বানাতে হবে, তাই আবার পার্টিশন ম্যানেজার সফটওয়্যারটি চালু করুন। এখানে আনএলোকেটেড অবস্থায় থাকা ড্রাইভটিতে ক্লিক করে Create Partition কমান্ড দিন। এরপর যে উইন্ডোতে ড্রাইভের আকার নির্ধারণ করে দিন এবং এনটিএফএস ফরমেট সিলেক্ট করে ওকে চাপুন এবং অ্যাপ্লাই করুন। এভাবে বাকি ড্রাইভগুলো বানিয়ে নিন। যদি দুটি ড্রাইভই রাখতে চান, তবে পুরো আনএলোকেটেড ড্রাইভটিকে এনটিএফএস ফরমেটে ফরমেট করে ড্রাইভ বানিয়ে ফেলুন। প্রথম ড্রাইভ ৫০-১০০ গিগাবাইট হলেই হয়। এর বেশি প্রয়োজন হয় না। তাই তা ছোট করার জন্য কিছু কাজ করতে হবে। প্রথমেই ২০০ গিগাবাইটের প্রথম ড্রাইভ থেকে উইন্ডোজের ফাইল ছাড়া যেসব ফাইল আছে যেমন- মুভি, অডিও, পিকচার, গেম, সফটওয়্যার, ডকুমেন্ট ইত্যাদি সরিয়ে অন্য ড্রাইভে নিন। কোনো কিছু প্রথম ড্রাইভে ইনস্টল করা থাকলে তা সরানোর দরকার নেই। এতে তা চলার সময় সমস্যা করতে পারে ইনস্টলেশন পাথ বা ডিরেক্টরি বদলে যাওয়ার কারণে। সব কপি করে সরিয়ে নেওয়ার পর আবার পার্টিশন সফটওয়্যার চালু করে প্রথম ড্রাইভ সিলেক্ট করে প্রথমবারের মতো রিসাইজ বাটনে ক্লিক করে সাইজ ২০০ থেকে কমিয়ে ৫০-১০০ গিগাবাইট করে নিন। এরপর বাকি থাকা ১৫০ বা ১০০ গিগাবাইট স্পেসকে নতুন আরেকটি ড্রাইভ বানিয়ে নিন। এবারের বানানো ড্রাইভটির নাম ডি না হয়ে শেষ ড্রাইভের নামে হবে। কারণ আগে বানানো ড্রাইভগুলো অ্যালফ্যাবেটিক্যালি সিরিয়াল নিয়ে নিয়েছে। এটি বদল করতে চাইলে প্রতিটি ড্রাইভ লেটার রিনেম করতে হবে।
সমস্যা :
আমার পিসির কনফিগারেশন হচ্ছে ইন্টলে ডুয়াল কোর ২ গিগাহার্টজ প্রসেসর, আসুস পি৫ভিডি২-ভিএম, র্যা ম ২ গিগাবাইট, গ্রাফিক্স কার্ড এক্সএফএক্স রাডেওন এইচডি ৫৪৫০ ১ গিগাবাইট ডিডিআর৩ এবং মনিটর ১৯ ইঞ্চি এলসিডি। আমার পিসিতে কিছু গেম ১৪৪০ বাই ৯০০ রেজ্যুলেশনে চলে, আবার কিছু গেম চলে না। যেমন- এসাসিন ক্রিড ব্রাদারহুড ও রেভেলেশন চলে, কিন্তু ক্রাইসিস ২ ও এনএফএস রান ভালোভাবে চলে না। এখন আমি কি করতে পারি যাতে গেমগুলো আরো ভালো চলে। আমি অরিজিনাল ৫০০ ওয়াটের পাওয়ার সাপ্লাই লাগিয়েছি। আমার পিসিতে গ্রাফিক্স কার্ড পাল্টিয়ে এনভিডিয়া জিফোর্স ৪৩০ বা ৪৫০ লাগাতে চাই। এগুলো কি আমার মাদারবোর্ড সাপোর্ট করবে?
-মেহেদী হাসান তন্ময়
সমাধান :
ক্রাইসিস ২ ও নিড ফর স্পিড রানের সিস্টেম রিকোয়ারমেন্ট এসাসিন’স ক্রিড সিরিজের নতুন গেম দুটির তুলনায় বেশি। আপনার পিসির কনফিগারেশন অনুযায়ী ক্রাইসিস ২ ও দ্য রান মিনিমাম সিস্টেম রিকোয়ারমেন্টের উপযুক্ত। গেমের সিস্টেম রিকোয়ারমেন্টে ভালোভাবে খেয়াল করে দেখবেন মিনিমাম ও রিকমেন্ডেড নামে দুটি আলাদা কনফিগারেশনের তালিকা দেয়া থাকে। মিনিমাম সিস্টেম রিকোয়ারমেন্টের সাথে আপনার পিসির কনফিগারেশন মিলে গেলে গেমটি পিসিতে চলবে ঠিকই, তবে তা লো বা মিডিয়াম ডিটেইলসে। হাই ডিটেইলস সেট করলে গেম আটকাবে বা চলতে সমস্যা করবে। রিকমেন্ডেড সিস্টেম কনফিগারেশনের সাথে আপনার পিসির কনফিগারেশন মিলে গেলে বা তার চেয়ে ভালো মানের কমপিউটার থাকলে গেমটি ফুল রেজ্যুলেশন ও হাই ডিটেইলসে খেলা যাবে। ৫০০ ওয়াটের পাওয়ার সাপ্লাইয়ে গ্রাফিক্সকার্ডটি সাপোর্ট করবে, কিন্তু দুর্ঘটনা এড়ানোর জন্য তা ৬৫০ ওয়াট হলে ভালো হয়। কোনো গেম আপনার পিসিতে কতটা ভালো চলবে বা আপনার পিসির সিস্টেম কনফিগারেশনের সাথে কতটুকু মিল খায় তা দেখার জন্য ভিজিট করতে পারেন www.game-debate.com/games। এ সাইটে যেকোনো গেম রিভিউয়ের পরে মিনিমাম ও রিকমেন্ডেড সিস্টেম কনফিগারেশনের পাশাপাশি গেম ডিবেটের নিজস্ব আরেকটি সিস্টেম কনফিগারেশন দেয়া হয়েছে, যা বলতে গেলে মাঝামাঝি মানের কমপিউটারের কনফিগারেশন। সিস্টেম কনফিগারেশনের নিচের দিকে Can I Run ‘Game Name’ শিরোনামের বক্সে আপনার পিসির কনফিগারেশন সিলেক্ট করে দিলে আপনার পিসি গেমটি চালাতে পারবে কি না তা দেখতে পারবেন।
সমস্যা :
আমার পিসির কনফিগারেশন কোর আই থ্রি ৩.০৬ গিগাহার্টজ প্রসেসর, গিগাবাইট এইচ৫৫এম-এস২ভি, ২ গিগাবাইট ১৩৩৩ মেগাহার্টজ র্যােম ও ৫০০ গিগাবাইট হার্ডডিস্ক। আমার এ মাদারবোর্ডে কি কোর আই ফাইভ প্রসেসর লাগাতে পারব? আমার পিসিতে আরও ২ গিগাবাইট র্যা ম লাগালে তাতে কি পিসির গতি বাড়বে?
-রিদওয়ান ইসলাম শিপ্ত
সমাধান :
আপনার পিসির প্রসেসর ইন্টেল কোর আই সিরিজের প্রথম প্রজন্ম বা ফার্স্ট জেনারেশনের এবং মাদারবোর্ডটির চিপসেটও সেই আদলেই বানানো যার সকেট হচ্ছে এলজিএ১১৫৬। এ সকেটে কোর আই থ্রি থেকে কোর আই ৭ সেভেন পর্যন্ত প্রসেসর লাগানো যাবে, তবে তা প্রথম প্রজন্মের প্রসেসর হতে হবে। ইন্টেলের দ্বিতীয় প্রজন্মের কোর আই সিরিজের প্রসেসরের সকেট হচ্ছে এলজিএ১১৫৫। কোর আই সেভেনের প্রথম দিকের মডেলগুলো সাপোর্ট করবে, কিন্তু পরের দিকের মডেলগুলো সাপোর্ট করবে না। আপনার পিসির মাদারবোর্ডটি ২২০০ মেগাহার্টজের র্যা ম সাপোর্ট করে, কিন্তু আপনি ব্যবহার করছেন ১৩৩৩ মেগাহার্টজ বাস স্পিডের র্যা্ম, তাই পারফরম্যান্স কিছুটা খারাপ পাচ্ছেন। র্যািম আরও ২ গিগাবাইট লাগালে গেম আরও ভালো চলবে। এখনকার বেশিরভাগ গেমের রিকমেন্ডেড র্যা ম রিকোয়ারমেন্ট ৪ গিগাবাইট হয়ে থাকে।
সমস্যা :
আমি খুলনা ইউনিভার্সিটির সিএসসি ডিপার্টমেন্টে ভর্তি হয়েছি। আমাদের প্রথম বর্ষের ক্লাস শুরু হবে এপ্রিলের মাঝামাঝি। আমি একজন প্রোগ্রামার হতে চাই। তাই আমি চাই একটি ভালোমানের কমপিউটার কিনতে। অনেক যাচাই বাছাই করার পর এ সিদ্ধান্তে পৌঁছেছি যে ইন্টেলের তুলনায় এএমডির প্রসেসর দাম কম এবং মান ভালো। এএমডিতে ক্যাশ মেমরি বেশি দেয়া থাকে। আমি গেম খেলতে চাই, যার কারণে আমি ভালোমানের একটি গেমিং পিসি কিনতে চাই, যাতে সব গেম ভালোভাবে চলে। গেম খেলা ও প্রোগ্রামিং শেখার জন্য এএমডির ফেনম ২ এক্স৬ ১০৫৫টি বেশি ভালো হবে নাকি ১১০০টি মডেলের প্রসেসর বেশি ভালো হবে। আমার পিসির কনফিগারেশন হচ্ছে এএমডি ফেনম ২ এক্স৬ ১০৫৫টি বা ১১০০টি প্রসেসর, গিগাবাইট ৯৯০এফএক্সে-ইউডি৩ মাদারবোর্ড, ৪ গিগাবাইট টুইনমস ১৮৬৬ মেগাহার্টজ বাস স্পিড র্যা৯ম, ৫০০ গিগাবাইট ৭২০০ আরপিএম স্যামসাং হার্ডডিস্ক, গিগাবাইট রাডেওন এইচডি ৬৭৭০ বা ৬৮৫০ গ্রাফিক্স কার্ড, ৫৭০ ওয়াট গিগাবাইট সুপার পাওয়ার সাপ্লাই, ২০ ইঞ্চি (১৬০০ বাই ৯০০) বা ১৮.৫ ইঞ্চি (১৩৬৬ বাই ৭৬৮) স্যামসাং এলইডি এলসিডি মনিটর। গ্রাফিক্স কার্ড কোনটি ভালো হবে- ৬৭৭০ নাকি ৬৮৫০। ৬৫০ভিএ ইউপিএস কি ৫৭০ ওয়াটের পাওয়ার সাপ্লাই পোষাতে পারবে? নাকি আমি ৮৫০ভিএ ক্ষমতার পাওয়ার সাপ্লাই কিনব? দয়া করে তাড়াতাড়ি উত্তরগুলো জানাবেন।
-আবির
সমাধান :
দামের দিক থেকে তুলনা করলে এএমডি প্রসেসর ইন্টেলের তুলনায় কিছুটা সস্তা। কিন্তু পারফরম্যান্সের ব্যাপার দেখতে গেমে ইন্টেল এএমডির চেয়ে কিছুটা ভালো। এএমডির তুলনায় ইন্টেল বেশি ক্যাশ মেমরি ব্যবহার করে থাকে, যার কারণে তাদের প্রসেসরের দাম বেশি হয়ে থাকে। এএমডির ফেনম ২ এক্স৬ বা ছয় কোরের প্রসেসরের ১০৫৫টি ও ১১০০টি দুটি মডেলই গেম খেলার জন্য ভালো। কোনো গেম বা অ্যাপ্লিকেশন এমনকি অপারেটিং সিস্টেমও ছয় কোরের প্রসেসরকে ফুল সাপোর্ট দিতে পারে না, যার কারণে পারফরম্যান্স পাওয়া যাবে চার কোরের, বাকি দুই কোরের পারফরম্যান্স নজরে পড়বে না। তবে সামনে উইন্ডোজ এইট আসছে, তাতে হয়ত এ সমস্যা দূর করা হবে। এএমডির ফেনম ২ এক্স৬ সিরিজের সর্বশেষ প্রসেসর হচ্ছে ১১০০টি ব্ল্যাক এডিশন। প্রসেসরটির বেশ ভালো এবং দামও অনেক কম। এএমডির নতুন প্রজন্মের প্রসেসর বুলডোজার সিরিজ বাজারে এসেছে, তবে দাম অনেক বেশি। ১১০০টি মডেলের প্রসেসরটি নিশ্চিন্তে কিনতে পারেন। মাদারবোর্ড গিগাবাইট ইউডি৩ সিরিজ কম দামের মধ্যে ভালো মাদারবোর্ড। একই ধরনের মাদারবোর্ডের মধ্যে রয়েছে এমএসআই জি৬৫ সিরিজের মাদারবোর্ড। ভালো লাগলে সেটিও দেখতে পারেন। র্যারমের ক্ষেত্রে ৪ গিগাবাইট করে দুটি মোট ৮ গিগাবাইট র্যােম লাগাতে পারেন, কারণ র্যা মের দাম অনেক কম আগের তুলনায়। টুইনমস টুইস্টার গেমিং র্যাযম হিসেবে ভালো নাম করেছে। এডাটারও গেমিং র্যা ম রয়েছে, চাইলে সেটিও দেখতে পারেন। ৫০০ গিগাবাইটের হার্ডডিস্ক কেনাই উত্তম। বেশি বড় হলে রক্ষণাবেক্ষণ করাটাও ঝামেলার হয়ে থাকে। গ্রাফিক্সকার্ডের ওপরে গেমিং অনেকটা নির্ভরশীল, তাই খরচ একটু বেশি হলেও ভালো গ্রাফিক্সকার্ড কেনার চেষ্টা করুন। স্বাভাবিকভাবেই আগের মডেলের চেয়ে পরের মডেলের গ্রাফিক্সকার্ড ভালো হবে। তবে খেয়াল রাখতে হবে মডেলের সিরিয়ালের ওপর। মনিটরের ক্ষেত্রে ২২ ইঞ্চি মনিটর কেনার চেষ্টা করুন, যাতে ১৯২০ বাই ১০৮০ রেজ্যুলেশন সাপোর্ট করে। এতে গেম খেলার সময় আরো ভালো গ্রাফিক্স কোয়ালিটি পাওয়ার পাশাপাশি হাই ডেফিনিশন মুভি দেখার সময় বেশ ভালো দেখাবে। ইউপিএসের ৬৫০ভিএ ক্ষমতা বলতে তা কতক্ষণ ব্যাকআপ দিতে পারবে তা বোঝায়। ৬৫০-এর তুলনায় ৮০০ ভিএ ক্ষমতার ইউপিএস বেশিক্ষণ ব্যাকআপ দেবে। বিক্রেতার কাছে জেনে নিন ইউপিএসের ওয়াট কত? সাধারণত ৮০০ভিএ ইউপিএসের ক্ষেত্রে তা ৫৪০ ওয়াট হয়ে থাকে এবং ১২০০ভিএ-এর ক্ষেত্রে ৭৮০ হয়ে থাকে। তাই ১২০০ ওয়াটের ইউপিএস ব্যবহার করা উত্তম।
কজ ওয়েব
ফিডব্যাক : jhuthamela@comjagat.com