• ভাষা:
  • English
  • বাংলা
হোম > পিসির ঝুটঝামেলা
লেখক পরিচিতি
লেখকের নাম: কজ
মোট লেখা:১০৪১
লেখা সম্পর্কিত
পাবলিশ:
২০১৪ - আগস্ট
তথ্যসূত্র:
কমপিউটার জগৎ
লেখার ধরণ:
ট্রাবলশূটিং
তথ্যসূত্র:
ট্রাবলশুটিং
ভাষা:
বাংলা
স্বত্ত্ব:
কমপিউটার জগৎ
পিসির ঝুটঝামেলা
সমস্যা : উইন্ডোজ সেভেনের বেশ কয়েকটি ডিস্ক রাইট করেছি কিন্তু কয়েকবার ব্যবহার করার পর তাতে দাগ পড়ে গেলে তা দিয়ে উইন্ডোজ আর ইনস্টল করতে পারি না। আমার অন্য ডিস্কগুলোতেও দাগ পড়ে যায়। ডিস্ক যাতে নষ্ট না হয় বা দাগ না পড়ে, এমন কোনো উপায় আছে কি?
-রফিকুল ইসলাম, তেজগাঁও
সমাধান : ডিস্কে দাগ পড়ার কারণ হচ্ছে ডিস্ক ড্রাইভে ধুলোবালি জমে থাকা। ড্রাইভে ধুলোবালি জমা থাকলে ডিস্ক রিড বা রাইট করার সময় অনেক স্পিডে ঘোরানোর ফলে তাতে দাগ পড়াই স্বাভাবিক। দাগের কারণে ডিস্কের সেক্টরে কোনো সমস্যা হলে তখন তা চালাতে সমস্যা হতে পারে। এ সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে ডিস্ক ড্রাইভ সবসময় পরিষ্কার রাখতে হবে। পাতলা কাপড় দিয়ে ডিস্ক ড্রাইভের ট্রে পরিষ্কার করে নিতে হবে, যদি তাতে ময়লা থাকে। ডিস্ক ড্রাইভ ক্লিনার নামে এক ধরনের ডিস্ক পাওয়া যায়, যাতে ছোট ছোট ব্রাশ লাগানো থাকে। ব্রাশগুলোতে ক্লিনিং লিকুইড দিয়ে ডিস্ক ড্রাইভে দিলে তা ডিস্ক ড্রাইভের রিডিং হেড পরিষ্কার করে দেয়। এ পদ্ধতিও ব্যবহার করে দেখতে পারেন। কিন্তু এ কাজ বেশি না করাই ভালো। এতে ডিস্ক ড্রাইভের রিডিং হেডে সমস্যা হতে পারে। আপনার ডিস্কগুলো ভালোভাবে সংরক্ষণ করুন। প্রয়োজনে সিডি/ডিভিডি ফোল্ডার করুন। অপারেটিং সিস্টেমের ডিস্কগুলো যত্ন সহকারে রাখুন, যাতে ধুলোবালি না পড়ে।
সমস্যা : আমার নেটবুকে ডিভিডি ড্রাইভ নেই। তাই উইন্ডোজ বদল করতে পারছি না। নেটবুকে অপারেটিং সিস্টেম ইনস্টল করার জন্য নাকি বুটেবল পেনড্রাইভ ব্যবহার করতে হয়। উইন্ডোজ সেভেনের জন্য বুটেবল পেনড্রাইভ বানানোর পদ্ধতি জানতে চাই? এ কাজ করার জন্য কত গিগাবাইটের পেনড্রাইভ লাগবে?
-লিটন, কুষ্টিয়া
সমাধান : বুটেবল পেনড্রাইভ বানানোর জন্য প্রথমে আপনাকে কিছু কাজ করতে হবে। এ কাজ করার জন্য যা লাগবে তা হচ্ছে- ইউনিভার্সাল ইউএসবি ইনস্টলার নামের সফটওয়্যার, উইন্ডোজ সেভেনের আইএসও বা ইমেজ ফাইল, ডিভিডি রাইটার, ৪ থেকে ৮ গিগাবাইট ধারণক্ষমতার ফরম্যাট করা ইউএসবি পেনড্রাইভ। ইউনিভার্সাল ইউএসবি ইনস্টলার নামের সফটওয়্যার গুগলে সার্চ করলেই পেয়ে যাবেন। সফটওয়্যারটি ডাউনলোড করে ইনস্টল করে নিন। ভালো দেখে উইন্ডোজ সেভেনের একটি আইএসও বা ইমেজ ফাইল জোগাড় করে নিন। যে পেনড্রাইভকে বুটেবল করবেন তা কমপিউটারের ইউএসবি পোর্টে লাগিয়ে নিন। এখন সফটওয়্যারটি চালু করুন এবং লক্ষ করুন স্টেপ ওয়ানের ড্রপডাউন মেনু থেকে কোন অপারেটিং সিস্টেম ইনস্টল করবেন তা সিলেক্ট করে নিন। আপনি উইন্ডোজ সেভেনের কথা উল্লেখ করেছেন। তাই আপনাকে উইন্ডোজ সেভেন ইনস্টলার সিলেক্ট করতে হবে। স্টেপ টুতে পিসির হার্ডডিস্কের যে স্থানে উইন্ডোজ সেভেনের ইমেজ ফাইলটি আছে তা ব্রাউজ করে দেখিয়ে দিন। স্টেপ থ্রিতে এসে ড্রপডাউন মেনু থেকে পেনড্রাইভের ড্রাইভ লেটার সেট করে দিন। ড্রপডাউন মেনুর পাশের চেকবক্সে টিক চিহ্ন দিয়ে নিন। এতে ড্রাইভটি ফ্যাট৩২ ফরম্যাটে সাজানো হবে। তারপর নিচে ক্রিয়েট বাটন চাপুন এবং কার্য সম্পাদন না হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। আধ ঘণ্টার মতো সময় লাগতে পারে। পিসির কনফিগারেশনের ওপর এ সমস্য নির্ভর করবে। তাই একেকজনের ক্ষেত্রে এ সমস্যা বেশি বা কম হতে পারে। কাজ শেষ হলে কনফার্মেশন মেসেজ আসবে। তখন ওকে করে উইন্ডোটি বন্ধ করুন। এরপর পিসি রিস্টার্ট করে দেখুন উইন্ডোজ পেনড্রাইভ থেকে বুট করে কি না। যদি বুট না করে, তবে বায়োসে গিয়ে ইউএসবি বুট ডিজ্যাবল থাকলে তা এনাবল করে দিন। বুট ডিভাইস প্রায়োরিটিও বদল করে ফাস্ট বুট হিসেবে ইউএসবি ডিভাইস নির্বাচন করুন (যদি দরকার পড়ে)। এরপর বায়োস সেটিং সেভ করে বের হয়ে আসুন এবং আবার চেষ্টা করে দেখুন উইন্ডোজ বুট করছে কি না। পেনড্রাইভ থেকে বুট করলে সেটআপ স্ক্রিনের নির্দেশ অনুযায়ী উইন্ডোজ ইনস্টল করে নিন।
সমস্যা : আমি উইন্ডোজ সেভেন ব্যবহার করি। আমার পিসির সমস্যা হচ্ছে এটি যখন-তখন রিস্টার্ট হচ্ছে। অনেক সময় উইন্ডোজ লোড হওয়ার সময়ও রিস্টার্ট নেয়। এ নিয়ে দুইবার উইন্ডোজ সেটআপ দিলাম, কিন্তু কোনো কাজ হচ্ছে না। এটি কি ধরনের সমস্যা? এ সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়ার উপায় কি?
-রুবেল, যশোর
সমাধান : পিসির এ ধরনের সমস্যা অনেক কারণে হতে পারে। তবে বেশিরভাগ সময়ই এটি হয়ে থাকে ভাইরাসের কারণে। তাই ভালো ও কার্যকর একটি অ্যান্টিভাইরাস ইনস্টল করে নিন এবং পিসি স্ক্যান করুন। ভাইরাসের সমস্যা দূর হয়ে যাবে। কিন্তু স্ক্যান ফুল সিস্টেম না হয়েই যদি আবার রিস্টার্ট করেন, তবে নতুন করে উইন্ডোজ ইনস্টল করা ছাড়া কোনো গতি নেই। এ সমস্যা দূর করার জন্য নতুন অপারেটিং ইনস্টল করার সাথে সাথে অন্য কোনো সফটওয়্যার ইনস্টল না করে এবং অন্যান্য ড্রাইভে নেভিগেশন না করে ভালোমানের একটি অ্যান্টিভাইরাস প্রোগ্রাম ইনস্টল করে নিতে হবে। এরপর সেই অ্যান্টিভাইরাস প্রোগ্রাম দিয়ে ফুল সিস্টেম স্ক্যান দিতে হবে। স্ক্যান করার আগে অ্যান্টিভাইরাস আপডেট করে নিলে আরও ভালো হয়। ভাইরাস ধরা পড়লে এ সমস্যা থেকে মুক্তি পেয়ে যাবেন বলে আশা রাখি। যদি এমন হয়,‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍ন কোনো হার্ডওয়্যার যুক্ত করার ফলেও এ ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই এমন হলে সেই হার্ডওয়্যারটি খুলে ফেলুন এবং ড্রাইভার সফটওয়্যার আনইনস্টল করুন। হার্ডওয়্যারের ড্রাইভার প্রোগ্রাম সঠিকভাবে ইনস্টল না হলেও এ সমস্যা হতে পারে। এ ধরনের সমস্যা এড়িয়ে চলার জন্য কিছু নিয়ম অনুসরণ করা ভালো। নিয়মগুলো হচ্ছে- ইন্টারনেটে অপরিচিত মেইল ওপেন করা থেকে বিরত থাকুন। একের অধিক র‌্যাম ব্যবহার করলে তা যেনো একই বাস স্পিড ও একই ধারণক্ষমতার হয়, তা খেয়াল রাখবেন। পিসির কুলিং সিস্টেমের উন্নতি করতে হবে। নিয়মিত কুলিং ফ্যানের ময়লা পরিষ্কার করতে হবে। অদরকারী কোনো সফটওয়্যার ইনস্টল করবেন না। হার্ডডিস্ক নিয়মিত স্ক্যান ও ডিফ্র্যাগ করতে হবে। সিপিইউর যন্ত্রাংশে ধুলোবালি যাতে না জমে তা খেয়াল রাখতে হবে। সপ্তাহে অন্তত একদিন তা ভালোভাবে পরিষ্কার করতে হবে। পর্যাপ্ত পাওয়ার সাপ্লাই আছে কি না নিশ্চিত করতে হবে। ভোল্টেজ আপডাউনের সমস্যা থাকলে অবশ্যই স্ট্যাবিলাইজার ব্যবহার করতে হবে।
সমস্যা : আমার পিসির কনফিগারেশন হচ্ছে ইন্টেল কোরআই থ্রি প্রসেসর, ৪ গিগাবাইট র‌্যাম ও ৫০০ গিগাবাইট হার্ডডিস্ক। আমার পিসির সমস্যা হলো কাজ করার সময় হঠাৎ হ্যাং হয়ে যায়। মাঝে মাঝে কিছুক্ষণের জন্য হ্যাং হয়ে আবার ঠিক হয়ে যায়, আবার অনেক সময় ঠিক হয় না। পিসি রিস্টার্ট দিতে হয়। পিসি আগের তুলনায় অনেক সেস্না হয়ে গেছে। এ সমস্যাগুলোর কারণে পিসিতে ঠিকমতো কাজ করতে পারছি না।
-মালিহা, উত্তর কাফরুল
সমাধান : পিসি বারবার হ্যাং করার জন্য বেশ কিছু কারণ রয়েছে। প্রথমেই দেখুন আপনার পিসির র‌্যাম সস্নটে র‌্যামগুলো সঠিকভাবে বসানো আছে কি না। র‌্যাম খুলে তা পরিষ্কার করে ভালোভাবে চাপ দিয়ে লাগিয়ে নিন। যদি একের অধিক র‌্যাম ব্যবহার করে থাকেন, তবে র‌্যাম দুটি একই ধরনের কি না তা চেক করুন। যদি না হয় তবে র‌্যাম বদল করে একই ধরনের দুটি র‌্যাম ব্যবহার করুন। সিস্টেমের স্ট্যাবিলিটি বাড়ানোর জন্য একই বাসস্পিডের ও একই ধারণক্ষমতার র‌্যাম ব্যবহার করা উচিত। সবচেয়ে ভালো হয় দুটি র‌্যামই পুরোপুরি যমজ হলে। সিস্টেমের সাথে পাওয়ার সাপ্লাই মানানসই না হলে এমন সমস্যা হতে পারে। তাই অনলাইনে পাওয়ার ক্যালকুলেটরে হিসাব করে দেখুন আপনার পিসির কনফিগারেশন অনুযায়ী তাতে কতটুকু পাওয়ার সাপ্লাইয়ের দরকার। যতটুকু দরকার তার চেয়ে ১০০ থেকে ১৫০ ওয়াটের বেশি পাওয়ার সাপ্লাই কিনে নিন। ভাইরাসের কারণে এমন সমস্যা হতে পারে। তাই ভালোমানের অ্যান্টিভাইরাসের সাহায্যে পুরো সিস্টেম স্ক্যান করে নিন। পিসি সেস্না হয়ে যাওয়ার জন্য বেশ কয়েকটি কারণ রয়েছে। এগুলো হলো- অতিরিক্ত ধুলোবালি জমে পিসির যন্ত্রাংশগুলোর সাধারণ কার্যক্রমে বাধা দেয়, ধুলোবালির কারণে যন্ত্রাংশগুলো থেকে ঠিকমতো তাপ নির্গমন হতে পারে না। তাই যন্ত্রাংশ খুব গরম হয়ে যায় এবং যন্ত্রাংশের কার্যক্ষমতা কমে যায়। হার্ডডিস্কের সি ড্রাইভ বা যে ড্রাইভে অপারেটিং সিস্টেম ইনস্টল করা হয়েছে, সে ড্রাইভ বেশি ভরে গেলেও পিসি সেস্না হয়ে যায়। হার্ডডিস্কের অন্য ড্রাইভগুলো যথাসম্ভব ফাঁকা রাখা উচিত এবং নিয়মিত স্ক্যানডিস্ক ও ডিফ্র্যাগ করা উচিত। অযথা মুভি ও ভিডিও গান দিয়ে হার্ডডিস্ক ভরে রাখা উচিত নয়। পিসিতে বেশি সফটওয়্যার ইনস্টল না করাই ভালো। পিসির অপ্রয়োজনীয় ডাটা মুছে ফেলুন এবং হার্ডডিস্ক খালি রাখার চেষ্টা করুন। সিস্টেমের দেখভাল করার জন্য ভালোমানের সিস্টেম ইউটিলিটি সফটওয়্যার ব্যবহার করতে পারেন। সিক্লিনার, টিউনআপ ইউটিলিটি ইত্যাদি ব্যবহার করতে পারেন পিসির গতি বাড়ানোর জন্য। উইন্ডোজের ডিফল্ট আনইনস্টলার সফটওয়্যার আনইনস্টল করার পরও বেশ কিছু ফাইল পিসিতে রেখে দেয়। তাই সফটওয়্যার আনইনস্টল করার জন্য টোটাল আনইনস্টলার নামের সফটওয়্যার ব্যবহার করতে পারেন। পিসিতে কখনও থিম বা ডেস্কটপ ইউটিলিটি সফটওয়্যার ইনস্টল করবেন না। সৌন্দর্য বাড়ানোর সাথে সাথে তা আপনার পিসির পারফরম্যান্সে ফেলতে পারে বিরূপ প্রভাব।
সমস্যা : আমার পিসিতে ডিভিডি রাইটার কাজ করছে না। রাইটারের পাওয়ার লাইট জ্বলে এবং বাটন চাপলে ট্রে বের হয়, কিন্তু ডিস্ক দিলে তা রিড করে না। মাঝে মাঝে মাই কমপিউটার থেকে ডিস্ক ড্রাইভ উধাও হয়ে যায়। পিসি রিস্টার্ট দিলে আবার আসে।
-মিজান, মোহাম্মদপুর
সমাধান : ক্যাসিং খুলে ডিভিডি রাইটারের পেছনে লাগানো পাওয়ার ক্যাবল ও ডাটা ক্যাবল চেক করুন। যদি তা লুজ হয়ে থাকে, তবে ভালো করে লাগিয়ে নিন। তারপর পিসি স্টার্ট করে দেখুন রাইটার কাজ করে কি না। যদি তারপরও কাজ না করে, তবে বায়োসে ঢুকে দেখুন সেখানে রাইটারের নাম দেখা যায় কি না। যদি দেখা যায় তবে বুঝতে হবে উইন্ডোজে সমস্যা। আর যদি দেখা না যায়, তবে বুঝতে হবে ডিভিডি রাইটারে সমস্যা, তা বদলে নেয়া ছাড়া কোনো গতি নেই। যদি বায়োস ডিভিডি রাইটার ডিটেক্ট করে থাকে, তবে উইন্ডোজে ঢুকে ডিভাইস ম্যানেজারে গিয়ে চেক করুন তা পেয়েছে কি না। যদি পেয়ে থাকে, তবে তার ওপর রাইট বাটন ক্লিক করে প্রোপার্টিজ থেকে ড্রাইভার আপডেট করে দেখুন কী হয়। যদি কোনো কাজ না হয়, তবে ড্রাইভার আনইনস্টল করে দিন। এরপর ডিভিডি রাইটারটি থেকে পাওয়ার ও ডাটা ক্যাবল খুলে ফেলুন। তারপর পোর্টগুলো ভালোভাবে পরিষ্কার করে তা আবার লাগিয়ে নিন। এরপর নতুন করে ড্রাইভার ইনস্টল করে নিন। এরপরও যদি কাজ না করে, তবে উইন্ডোজ বদল করে দেখুন। তারপরও যদি কাজ না হয়, তবে ডিভিডি রাইটার বদলে ফেলুন।
সমস্যা : আমার পিসির সি ড্রাইভ ভরে যাচ্ছে নতুন করে উইন্ডোজ ইনস্টল করার দুই মাসের মধ্যে। এতে আমার পিসি সেস্না হয়ে যায়। সি ড্রাইভে আমি ৫০ গিগাবাইট জায়গা রেখেছি। উইন্ডোজ ইনস্টল করার পর তা ১৫ গিগাবাইটের মতো জায়গা দখল করে। আমি খুব বেশি সফটওয়্যার ব্যবহার করি না। অফিস স্যুইট ২০১৩ এবং ফটোশপ ছাড়া তেমন বড় ধরনের কোনো সফটওয়্যার ব্যবহার করি না। গেম ইনস্টল করলে তা অন্য ড্রাইভে করি, সি ড্রাইভে করি না। সি ড্রাইভে অন্য কোনো ফাইলও কপি করে রাখি না। ডেস্কটপ বা মাই ডকুমেন্টেও তেমন ফাইল রাখি না। কিন্তু কিছুদিন যেতে না যেতেই সি ড্রাইভ ভরে যায় এবং জায়গা অনেক কমে যায়। এতে পিসির গতি কমে আসে এবং পিসিতে কোনো কিছু সার্চ করতে অনেক সময় নেয়। আমি উইন্ডোজ সেভেন আল্টিমেট ৬৪ বিট অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহার করি। সমস্যার সমাধান জানালে উপকৃত হব।
-মানিক, চট্টগ্রাম
সমাধান : উইন্ডোজ সেভেনের একটি গুরুত্বপূর্ণ ফিচার হচ্ছে অটোমেটিক আপডেটিং। পিসির উইন্ডোজ আপডেট অপশন এনাবল করা থাকে ডিফল্টভাবে, যা অটোমেটিক্যালি উইন্ডোজের অ্যাপ্লিকেশন আপডেট, পিসির হার্ডওয়্যারের ড্রাইভার আপডেট ও সিকিউরিটি আপডেট ডাউনলোড করে। অনেক সময় বেশি আপডেটের ফলে সিস্টেমের স্ট্যাবিলিটি নষ্ট হয়ে যায় এবং নানা ধরনের সমস্যা দেখা দেয়। পিসি হ্যাং হওয়া, সেস্না হয়ে যাওয়া, সি ড্রাইভ অযথা ভরে যাওয়া ইত্যাদি সমস্যা দেখা দেয় অটোমেটিক আপডেটের কারণে। এ জন্য কন্ট্রোল প্যানেল থেকে উইন্ডোজ আপডেট অপশনে গিয়ে অটোমেটিক আপডেট অপশন বন্ধ করে দিতে পারেন অথবা শুধু গুরুত্বপূর্ণ আপডেটগুলো ইনস্টল হবে, তা সিলেক্ট করে দিতে পারেন। ম্যানুয়ালি কোন আপডেটটি ইনস্টল হবে আর কোনটি হবে না, তাও আপনি নির্ধারণ করে দিতে পারবেন। আগে ইনস্টল হয়ে যাওয়া আপডেটগুলোও রিমুভ করে দিতে পারেন, যদি প্রয়োজন পড়ে।
সমস্যা : কনটেন্ট লেখার সময় অনেক তথ্যের প্রয়োজন হয়। গুগলে সার্চ দিলে সবসময় প্রয়োজনীয় তথ্য পাওয়া যায় না। এছাড়া অনেক সময় ব্যয় করে তথ্যগুলো জোগাড় করতে হয়। গুরুত্বপূর্ণ তথ্যগুলো একসাথে পাওয়ার কোনো রাস্তা আছে কী?
তোফায়েল খান
সমাধান : প্রকৃতপক্ষে তথ্যের জন্য গুগলের কোনো বিকল্প নেই। যেহেতু প্রশ্ন করেছেন, ব্যক্তিগতভাবে ব্যবহার করি এমন দুটি পদ্ধতি আলোচনা নিমণরূপ।
০১. আমরা সাধারণত বেসিক সার্চের ডাটাগুলো দেখি। কিন্তু সার্চের জন্য গুগল আপনাকে আরও সুবিধা দিচ্ছে সেটা কি খেয়াল করেছেন? গুগলে সার্চ দেয়ার পর দেখুন পাশেই নিউজ বাটন দেখা যাচ্ছে। এখান থেকে আপনার বিষয়সংশ্লিষ্ট সাম্প্রতিক খবরগুলো সংগ্রহ করতে পারেন। এছাড়া পাশেই মোর নামে আরেকটি বাটন দেখতে পাবেন। এতে ক্লিক করলে আপনার সার্চসংশ্লিষ্ট বুক ও অ্যাপগুলো দেখতে পাবেন।
মোর বাটনের পাশেই সার্চ টুল নামে আরেকটি বাটন দেখতে পাবেন। এই সার্চ টুলটি ব্যবহার করে আপনি আরও সুনির্দিষ্ট তথ্য সংগ্রহ করতে পারেন।
এছাড়া আপনি গুগলের অ্যাডভান্স সার্চ অপশনটি ব্যবহার করতে পারেন। এতে আপনার কনটেন্টের জন্য আরও সুনির্দিষ্ট তথ্য সংগ্রহ করতে পারবেন। গুগল অ্যাডভান্স সার্চ টুল লিখে গুগলেই সার্চ করে দেখুন না! তারপরও লিঙ্কটি আপনাকে দেয়া হলো। http://www.google.com/advanced_search
০২. এবার একটু ভিন্ন সমাধান। গুগলের সার্চ অপশনগুলো ঘেঁটে বা অ্যাডভান্স সার্চ ব্যবহার করে তথ্য বের করতে গেলে আপনাকে প্রচুর সময় ব্যয় করতে হয়। এত সময় হয়তো আপনার হাতে নেই বা আপনি এত সময় তথ্য খোঁজার জন্য ব্যয় করতে রাজি নন। বিষয়টি সত্যিই খুব গুরুত্বপূর্ণ। সবগুলো বিষয়কে একসাথে দেখার জন্য নিচের লিঙ্কে অ্যাক্সেস করে দেখতে পারেন। http://deeperweb.com/
টুলটি আপনাকে গুগল সার্চকে বেশ কয়েকটি ক্যাটাগরিতে ডিসপ্লে করে দেখাবে।
যেমন : Wikipedia Search, Blogs Search, Resources Search, News Search, Metrics Search, Answers Search। প্রত্যেকটি বিষয়ের ওপর প্রথম চারটি করে সার্চ রেজাল্ট আপনি হোমপেজের ডান পাশে দেখতে পাবেন। তাই কোথাও ক্লিক না করে কনটেন্ট আইডিয়া পেয়ে যেতে পারেন। তারপর সেই আইডিয়ার ওপর তথ্য খোঁজা শুরু করতে পারেন। এছাড়া ওপরে ডান পাশে DeeperCloud অপশন থেকে Tags, Phrases, Sites, Zones বিষয়গুলোও দেখে নিতে পারবেন।
তথ্যের জন্য আপনি যখন ওয়েব সার্ফ করবেন, তখন প্রয়োজনীয় তথ্যগুলো ওয়ার্ড ফাইলে কপি করে রেখে দেবেন। ঠিক এই জায়গাটিতে একটি বিষয় খেয়াল রাখবেন। তথ্যটি কপি করার সময় হেডিংসহ কপি করবেন। এতে কনটেন্ট লেখার সময় যেকোনো তথ্যের প্রয়োজন হলে হেডিং দেখেই বুঝতে পারবেন কোন তথ্যটি কোথায় আছে। আপনার প্রয়োজনমতো তথ্যগুলো সাজিয়ে নিন। অবশ্যই খেয়াল রাখবেন যেনো কপি না হয়ে যায়

ফিডব্যাক : jhutjhamela24@gmail.com

পত্রিকায় লেখাটির পাতাগুলো
লেখাটি পিডিএফ ফর্মেটে ডাউনলোড করুন
লেখাটির সহায়ক ভিডিও
২০১৪ - আগস্ট সংখ্যার হাইলাইটস
চলতি সংখ্যার হাইলাইটস