লেখক পরিচিতি
লেখা সম্পর্কিত
পাবলিশ:
২০১৬ - সেপ্টেম্বর
মুঠোফোনের পর ওয়ালটন ল্যাপটপ
কায়িক শ্রম থেকে বুদ্ধিবৃত্তিক উন্নয়নের দিকে ধাবিত হচ্ছে বাংলাদেশ। প্রযুক্তি সেই ধারায় রচনা করছে সুদৃঢ় সোপান। সেই সোপানে দীর্ঘদিন ধরেই অবগাহন করছি আমরা। হাতে মুঠোফোন, কানে ইয়ারফোন, ব্যাগে নোটবুক/ল্যাপটপ। ইন্টারনেট সংযোগে এই ডিভাইসগুলো নিয়েই চষে বেড়াচ্ছি বিশ্ব চরাচর। কিন্তু এর বেশিরভাগই আমাদের নয়। ফলে যথারীতি এই ডিভাইসগুলো অনেক সময়ই আমাদের ভাষা বোঝে না। আমাদের হাসি-কান্নার রংটারও অন্যদের চেয়ে আলাদা, তাও ভিনদেশী কোনো ব্র্যান্ডের পক্ষে বোঝা সহজতর নয়। তাই বরাবরই উপেক্ষেত থাকে আমাদের পছন্দ এবং সক্ষমতাটাও। আর সেই অপূর্ণতাটা পূরণ করতে মুঠোফোন দিয়ে ইতোমধ্যেই ভোক্তার মন জয় করেছে ওয়ালটন। এবার স্বদেশী ব্র্যান্ড প্রতিষ্ঠার মিশনে যুক্ত হলো ল্যাপটপ। অবশ্য এই উদ্যোগটা সরকারিভাবেই নেয়া হয়েছিল। বাজারে ব্যাপক চাহিদা থাকার পরও জাতীয় পাখি দোয়েলের নামে দেশের নিজস্ব ল্যাপটপের নামকরণ করা হলেও স্বাধীনভাবে উড়তে পারেনি। ডানা ঝাপটাতে ঝাপটাতে এখন মৃতপ্রায়। এমন পরিস্থিতিতে ওয়ালটন ল্যাপটপ দেশের প্রযুক্তি শিল্পাঙ্গনে স্মারক উপহার বলেই মত প্রযুক্তিসংশ্লিষ্টদের। তাদের মতে, এর মাধ্যমে দেশী প্রযুক্তি ব্র্যান্ড যেমন বিকশিত হবে, তেমনি বৈদেশিক মুদ্রার অপচয় কমবে এবং দেশের উচ্চশিক্ষায় শিক্ষেত প্রযুক্তিপ্রেমীদের বাড়বে কর্মসংস্থান। স্থানীয় বাজারে নিজেদের সক্ষমতাও বাড়বে। এর মাধ্যমে আইটি পণ্য উৎপাদনে বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় দেশের কাতারে গর্বের সাথে যুক্ত হলো ‘মেড বাই বাংলাদেশ’।
শুরুটা অনেক আগে
১৯৭৭ সালে শুধু বিপণন দিয়ে যাত্রা শুরু করে ওয়ালটন। তবে দূরদর্শিতায় দেশী ব্র্যান্ড প্রতিষ্ঠায় ব্রত হয় যখন বিশ্বজুড়ে চলছিল ওয়াই২কে বিপ্লব। সেই থেকে ‘আমাদের পণ্য’ প্রত্যয়ে দেশ-মাটি-মানুষের সাধ ও সাধ্যে মিতালি রচনা করে চলছে। প্রতিযোগিতামূলক বাজারে কনজ্যুমার ইলেকট্রনিক্স, অটোমোবাইল, মোবাইল ফোন এবং হোম অ্যাপ্লায়েন্সের ফাঁকে মনোযোগী হয় হাইটেক ও মাইক্রোটেক প্রকল্পে। প্রকল্পের অধীনে ২০০৫ থেকে তাইওয়ান-বাংলাদেশের গবেষকদের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় শুরু হয় দেশের মাটিতেই ল্যাপটপ তৈরির কর্মযজ্ঞ। সেই গবেষণা থেকে এবার দেশেই তৈরি শুরু হয়েছে ওয়ালটন ল্যাপটপ। আর এ কাজে প্রতিষ্ঠানটির সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে আছে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক বিশ্বের শীর্ষ প্রতিষ্ঠান ইনটেল কর্পোরেশন ও টেকজায়ান্ট মাইক্রোসফট। এই ত্রিবেণীর সম্মিলিত প্রয়াসে গাজীপুরের কালিয়াকৈরের চন্দ্রায় অবস্থিত ওয়ালটন ল্যাপটপ প্ল্যান্টে এখন কাজ করছেন ১৪৪ প্রকৌশলী। তৈরি করছেন সর্বশেষ প্রযুক্তির ওয়ালটন ল্যাপটপ। প্রথম ধাপেই উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে এক লাখ। পর্যায়ক্রমে এখানেই তৈরি হবে ল্যাপটপ ও ডেস্কটপ কমপিউটার, মোবাইল ফোন, উঁচুমানের এলইডি টিভি ছাড়াও সব ধরনের কমপিউটার সামগ্রী। প্রথম আইটি পণ্য হিসেবে সেপ্টেম্বরের শেষ নাগাদ ক্রেতারা হাতে পাবেন ষষ্ঠ প্রজন্মের উচ্চগতির মাল্টিটাস্কিং বৈশিষ্ট্য সংবলিত ওয়ালটন ল্যাপটপ।
সময় এখন বাংলাদেশের
‘সময় এখন বাংলাদেশের’ সেস্নাগানে বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো কমপিউটার হার্ডওয়্যার উৎপাদনে যাচ্ছে ওয়ালটন। তৈরি হবে বিশ্বের সর্বশেষ প্রযুক্তির ইলেকট্রনিক্স মাদারবোর্ড। সংস্থাপন করা হয়েছে ইউরোপ থেকে আনা মাদারবোর্ড কারখানার প্রযুক্তি। গাজীপুরের চন্দ্রায় ওয়ালটন কারখানা কমপ্লেক্সে বিসত্মৃত পরিসরে চলছে মেশিনারিজ ইনস্টলেশন। ওয়ালটন সূত্র মতে, এর আগে জাপান থেকে এসেছে এসএমটি (সারফেস মাউন্টিং টেকনোলজি) এবং এআই (অটো ইনসারশন) টেকনোলজি, যা এখন উৎপাদন পর্যায়ে রয়েছে।
ওয়ালটন ল্যাপটপে সার্বিক সহায়তা দিচ্ছে ইন্টেল। ডিজাইন, ড্রইং, প্রশিক্ষণ, বিপণন ও আর্থিক ক্ষেত্রেও ওয়ালটনের পাশে থাকছে ইন্টেল। ফলে এর অভ্যন্তরীণ চিপ, প্রসেসর নিয়ে দুর্ভাবনা বা শঙ্কার অবকাশ থাকছে না। অন্যদিকে মাইক্রোসফট সরবরাহ করছে ল্যাপটপের প্রয়োজনীয় সফটওয়্যার। এই সফটওয়্যারে স্থানীয় প্রয়োজন মেটানোর কথা বিবেচনা করে দেয়া হচ্ছে বিশেষ নজরদারি। এজন্য প্ল্যান্টে কর্মরতদের প্রশিক্ষণ এবং বিপণন কৌশলগত সহায়তাও দিচ্ছে মাইক্রোসফট। সূত্র মতে, মাইক্রোসফটের জেনুইন অপারেটিং সিস্টেম উইন্ডোজ ও অ্যাপ্লিকেশন সফটওয়্যার থাকায় কোনো ধরনের অ্যান্টিভাইরাস ছাড়াই ব্যবহার করা যাবে ওয়ালটন ল্যাপটপ। বর্তমান বাজারমূল্যের তুলনায় অনেক সাশ্রয়ী দামে মাইক্রোসফটের জেনুইন অপারেটিং সিস্টেম ও সফটওয়্যার বাজারজাত করবে ওয়ালটন। জানা গেছে, আন্তর্জাতিক বাজারের শীর্ষমান নিশ্চিত করতে ইন্টেল ও মাইক্রোসফটের সাথে যৌথ উদ্যোগে কাজ করছে ওয়ালটন। ওয়ালটন ল্যাপটপে ষষ্ঠ প্রজন্মের কোরআই৩, ৫ ও ৭ প্রসেসর সরবরাহ করছে ইন্টেল। বাংলাদেশে লোকাল ব্র্যান্ড হিসেবে ওয়ালটনকেই এ ধরনের সহযোগিতা দিচ্ছে তারা।
এ বিষয়ে বাংলাদেশে ইন্টেল কর্পোরেশনের কান্ট্রি ম্যানেজার জিয়া মঞ্জুর বলেন, বিগত কয়েক বছর ধরে তথ্যপ্রযুক্তি খাতে বাংলাদেশ বেশ এগিয়ে যাচ্ছে। বিশেষ করে এ খাতে ওয়ালটনের ব্যাপক পরিকল্পনা ইন্টেলকে মুগ্ধ করেছে। ওয়ালটনের মাধ্যমে এ অঞ্চলের তথ্যপ্রযুক্তি খাতে বিপ্লব ঘটবে বলে আমরা বিশ্বাস করি। তাই আমরা ওয়ালটনের সাথে যৌথভাবে কাজ করছি।
এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশে মাইক্রোসফটের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সোনিয়া কবির বলেন, উইন্ডোজ ১০ হচ্ছে উইন্ডোজ জগতে সবচেয়ে শক্তিশালী ও খুবই নিরাপদ। নিঃসন্দেহে এটি ব্যবসায়ী ও অব্যবসায়ী সব প্রতিষ্ঠানের জন্যই ভালো বিনিয়োগ। এটি আমাদের ওইএম অংশীদারদের মাধ্যমে তৈরি উইন্ডোজ ১০ সাপোর্টেড ডিভাইসগুলোর উৎপাদনশীলতাও অনেক বাড়িয়ে দিয়েছে।
মাইক্রোসফটের দক্ষেণ-পূর্ব এশিয়ার ওইএম পরিচালক পুবুদো বাসনায়েকে বলেন, সারা বিশ্বে ছড়িয়ে থাকা পার্টনারদের সহযোগিতায় স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত বিভিন্ন ডিভাইস বিপণনের মাধ্যমে মাইক্রোসফটের বাজার সম্প্রসারিত হচ্ছে। ওয়ালটনের সাথে স্থানীয়ভাবে আইটি ডিভাইস তৈরিতে থাকতে পেরে মাইক্রোসফট সন্তুষ্ট। আশা করছি, আমাদের এই যৌথ উদ্যোগ বাংলাদেশের আইটি খাতে ইতিবাচক অবদান রাখবে।
তিনি আরও বলেন, ওয়ালটন বাংলাদেশের ইলেকট্রনিক্স ও ইলেকট্রিক্যাল অ্যাপ্লায়েন্স উৎপাদন শিল্পে নেতৃত্ব দিচ্ছে। আশা করছি, ল্যাপটপের মতো প্রযুক্তিপণ্যেও তারা দেশকে নেতৃত্ব দেবে। এ ক্ষেত্রে ওয়ালটনকে সম্ভব সব ধরনের সহযোগিতা দেবে মাইক্রোসফট।
ওয়ালটন গ্রুপের পরিচালক এসএম রেজাউল আলম বলেন, ওয়ালটন ল্যাপটপ অন্যান্য ব্র্যান্ডের তুলনায় অনেকটাই সাশ্রয়ী মূল্যে পাওয়া যাবে। ইতোমধ্যে ওয়ালটন কারখানায় মাদারবোর্ডের মতো উচ্চপ্রযুক্তির হার্ডওয়্যার তৈরির প্রক্রিয়া চলছে। পর্যায়ক্রমে প্রযুক্তিগত সক্ষমতা উন্নয়নের মাধ্যমে দেশেই তৈরি হবে সম্পূর্ণ ল্যাপটপ। তখন অন্যান্য ব্র্যান্ডের তুলনায় ওয়ালটন ল্যাপটপের মূল্য নেমে আসবে প্রায় অর্ধেকে। বিশেষ করে হার্ডওয়্যার উৎপাদন এবং দেশ-বিদেশের বাজারে তা বিপণনে ওয়ালটন দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে চায়। তাদের প্রত্যাশা, ‘মেইড ইন বাংলাদেশ’খ্যাত প্রযুক্তিপণ্য বাজারজাতকরণের মাধ্যমে বিশ্বে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি আরও উজ্জ্বল হবে।
৪ সিরিজে ওয়ালটন ল্যাপটপ
সর্বশেষ প্রযুক্তির ষষ্ঠ প্রজন্মের প্রসেসর সমৃদ্ধ ২০টি মডেলের ল্যাপটপ নিয়ে বাজারে অভিষেক ঘটছে ওয়ালটনের। রোমাঞ্চকর অনুভূতি দিতে ওয়ালটন ব্র্যান্ডের ল্যাপটপগুলোতে ব্যবহার করা হয়েছে অত্যাধুনিক ফিচার। ব্যবহারকারীদের কাজের প্রকৃতি অনুযায়ী ল্যাপটপগুলোকে বিন্যস্ত করা হয়েছে চারটি সিরিজে। এগুলো হলো- ওয়াক্স জাম্বু, কেরোন্ডা, টেমারিন্ড ও প্যাশন। এর মধ্যে ছাত্রছাত্রীদের শিক্ষামূলক কাজের উপযোগী করে তৈরি করা হয়েছে প্যাশন সিরিজের ল্যাপটপগুলো। দৈনন্দিন ও দাফতরিক কাজ করার উপযোগী করে তৈরি করা হয়েছে টেমারিন্ড সিরিজের ল্যাপটপ। আর ইঞ্জিনিয়ারিং, ডিজাইন, ড্রইং, সিম্যুলেশন ও গেমিংয়ের জন্য তৈরি করা হয়েছে কেরেন্ডো ও ওয়াক্স জাম্বু সিরিজের ল্যাপটপ। প্রাথমিক পর্যায়ে ওয়াক্স জাম্বুর ১৭.৩ ইঞ্চি ডিসপ্লের একটি মডেল, কেরোন্ডার ১৫.৬ ইঞ্চি ডিসপ্লের একটি মডেল, প্যাশনের গ্রে ও সিলভার কালারের ১৪ ইঞ্চি ডিসপ্লের তিনটি মডেল ও ১৫ ইঞ্চি ডিসপ্লের ৬টি মডেল, টেমারিন্ডের গ্রে ও সিলভার কালারের ১৪ ইঞ্চি ডিসপ্লের ৬টি মডেল ও ১৫ ইঞ্চি ডিসপ্লের তিনটি মডেল বাজারে ছাড়া হবে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
ওয়ালটন ল্যাপটপের অন্দরে
মডেলভেদে ওয়ালটন প্যাশন ও টেমারিন্ড সিরিজে রয়েছে ৯টি করে ভিন্ন ভিন্ন স্পেসিফিকেশনের ল্যাপটপ। আর কেরোন্ডা ও ওয়াক্স জাম্বু সিরিজে রয়েছে একটি করে বিশেষ মডেলের ল্যাপটপ। ল্যাপটপগুলোর পর্দার আকার ১৪ ইঞ্চি থেকে ১৭.৩ ইঞ্চি পর্যন্ত। মডেলভেদে ষষ্ঠ প্রজন্মের ইন্টেল কোরআই৩, ৫ ও ৭ প্রসেসরের ব্যবহার, ৫০০ জিবি থেকে ২ টেরাবাইট হার্ডডিস্ক ড্রাইভ, ৪ জিবি থেকে ১৬ জিবি ডিডিআর৩এল র্যাচম, ১ মেগাপিক্সেল এইচডি ক্যামেরা, বাংলা ফন্ট সমৃদ্ধ কিবোর্ড এবং দীর্ঘক্ষণ পাওয়ার ব্যাকআপ সমৃদ্ধ লিথিয়াম আয়ন ব্যাটারি। ধূসর ও গোল্ডেন সিলভার বর্ণে মিলবে এই ল্যাপটপগুলো। প্রতিটি ল্যাপটপেই ব্যবহার করা হয়েছে নজরকাড়া ফিচার। আছে ফিঙ্গারপ্রিন্ট, বায়স লক সুবিধা।
শিক্ষার্থীদের ল্যাপটপ
সাধ্য বিবেচনায় শিক্ষার্থীদের প্রয়োজনের দিকে নজর দিয়ে তৈরি প্যাশন সিরিজের ল্যাপটপগুলো ১৪ থেকে ১৫.৬ ইঞ্চি পর্দার। রুপালি রংয়ের ডব্লিউপি১৪৬ইউথ্রিএস মডেলের ল্যাপটপটিতে ব্যবহার হয়েছে ইন্টেল কোরআই৩ প্রসেসর, যার গতি ২.৩ গিগাহার্টজ। ৫০০ জিবি হার্ডডিস্ক সমন্বিত ৪ জিবি র্যাটম সমৃদ্ধ এই ল্যাপটপের দাম ২৯ হাজার ৯৯০ টাকা। ১ টেরাবাইট ধারণক্ষমতার কোরআই৫-এর দাম ৪৩ হাজার ৫৫০ টাকা। ২.৫ গিগাহার্টজ গতির প্রসেসর ও ৮ জিবি র্যাাম যুক্ত হয়ে ওয়ালটন ১৪৬ইউ৭৮ মডেলের দাম ৫৫ হাজার ৫৫০ টাকা।
দাফতরিক ল্যাপটপ
স্বাচ্ছন্দ্যে দাফতরিক বা পেশাজীবনের প্রাত্যহিক কাজের উপযোগী ওয়ালটন টেমারিন্ড সিরিজের ল্যাপটপের বিশেষ দিক হচ্ছে আল্ট্রা স্লিম ডিজাইন ও মেটালিক বডি লুক। এ ছাড়া প্যাশন ও টেমারিন্ড সিরিজের ব্যবহৃত ফিচার প্রায় একই ধরনের। এই সিরিজের মধ্যে রয়েছে ১৪ ইঞ্চি ও ১৫.৬ ইঞ্চি প্রশস্ত পর্দার ল্যাপটপ। এগুলোর দাম ২৯ হাজার ৫০০ টাকা থেকে ৫৬ হাজার টাকা।
ওয়ালটন গেমিং ল্যাপটপ
ওয়াক্স জাম্বু ও কেরোন্ডা সিরিজের ল্যাপটপের বিশেষ ফিচার হচ্ছে ষষ্ঠ প্রজন্মের ইন্টেল কোরআই৭ প্রসেসর, ৮ জিবি ডিডিআর৪ আল্ট্রা গতির র্যারম ও ১ টেরাবাইট সমৃদ্ধ হার্ডডিস্ক মেমরি, যা ব্যবহারকারীকে দেবে অসাধারণ দ্রুতগতিতে কাজ করার অনুভূতি। এ ছাড়া এই সিরিজের ল্যাপটপগুলোতে যেকোনো ধরনের অাঁচড় বা আঘাতের দাগ থেকে রক্ষা করতে ব্যবহার করা হয়েছে স্ক্র্যাচ প্রম্নফ রাবার কোটেড। গেমপ্রেমীদের জন্য ওয়াক্স জাম্বু ও কেরোন্ডা সিরেজের ল্যাপটপে থাকছে এনভিআইডিআইএ জিইফোর্সের জিটিএক্স ৯৬০এম গ্রাফিক্স প্রসেসর ও ২ জিবি ডিডিআর৫ ভি-র্যা ম। ফলে ল্যাপটপে থ্রিডি ডিজাইনার, সিমুলেশনকারী ও গেমপ্রেমীদের কাছে ডিসপ্লের ছবিগুলো আরও জীবন্ত হয়ে উঠবে। ডিজাইন, গেমিং ও ভিডিওতে পাওয়া যাবে রোমাঞ্চকর অনুভূতি। এ ছাড়া ব্যবহার হয়েছে আইপিএস টেকনোলজির ফুল এইচডি মেট এলসিডি স্ক্রিন। ফলে ব্যবহারকারী ১৭৮ ডিগ্রি অ্যাঙ্গেল থেকেও ঝকঝকে ছবি দেখতে পাবেন। ল্যাপটপের ২ মেগাপিক্সেলের ফুল এইচডি ক্যামেরা ব্যবহারকারী চাইলেই তুলতে পারবেন অসাধারণ সেলফি অথবা গ্রুপ ছবি। পাশাপাশি, ভিডিও কলেও পাবেন ঝকঝকে ছবি। এর আরেকটি বিশেষ দিক হচ্ছে এলইডি ইল্যুমিনেটেড কিবোর্ড। এতে করে কিবোর্ডের সুইচগুলোতে আলো থাকবে। হালকা আলো অথবা অন্ধাকারেও নির্বিঘ্নে গেম খেলতে পারবেন গেমার। এ ছাড়া এই ল্যাপটপগুলোর কী-তে থাকছে বাংলা ফন্ট। যাতে ল্যাপটপেও ব্যবহারকারী বাংলা ফন্ট শেখা বা লেখার কাজটি দ্রুত করতে পারেন। ওয়াক্স জাম্বু ও কেরোন্ডা সিরিজের ল্যাপটপে ব্যবহার করা হয়েছে সিক্স-সেল লিথিয়াম আয়ন ব্যাটারি। একবার ফুল চার্জ করলে একটানা চার ঘণ্টারও বেশি সময় ব্যাকআপ পাবেন ব্যবহারকারী
শুরুতেই কিস্তিমাত!
প্রান্তিক মানুষের কাছে তাদের আরাধ্য ল্যাপটপ পৌঁছে দিতে শুরুতেই এক বছরের কিস্তি ও বিক্রয়োত্তর সেবা নিয়ে বাজারে আসছে ওয়ালটন ল্যাপটপ। ল্যাপটপগুলোর দাম থাকছে ২৯,৫০০ টাকা থেকে ৮৯,৫০০ টাকার মধ্যে। বাজারমূল্য থেকে সমজাতীয় ফিচারের ল্যাপটপের চেয়ে এই মূল্য ৬ থেকে ১২ হাজার টাকা কম হবে বলে জানিয়েছে ওয়ালটন সূত্র। এরা জানিয়েছে, ক্রেতাদের সাধ্য বিবেচনায় মূল্যসাশ্রয়ের পাশাপাশি তাদের জন্য এটি কিনতে যাতে বেগ পেতে না হয়, সে জন্য ক্রেতাদের জন্য থাকবে সহজশর্তে ১২ মাসের কিস্তিতে ল্যাপটপ কেনার সুবিধা। শর্তসাপেক্ষে থাকছে এক বছরের ফ্রি বিক্রয়োত্তর সেবা। কেনা যাবে অনলাইনেও। ল্যাপটপগুলো অন্যান্য ব্র্যান্ডের তুলনায় অনেকটাই সাশ্রয়ীমূল্যে পাওয়া যাবে। দেশের প্রতিনিধিত্ব করতে এতে থাকছে বাংলা কিবোর্ড ও বিজয় বাংলা সফটওয়্যার