• ভাষা:
  • English
  • বাংলা
হোম > গেমের জগৎ
লেখক পরিচিতি
লেখকের নাম: আহমেদ ওয়াহিদ মাসুদ
মোট লেখা:৯৮
লেখকের নাম: সৈয়দ হাসান মাহমুদ
মোট লেখা:১৪৪
লেখা সম্পর্কিত
পাবলিশ:
২০০৮ - জুন
তথ্যসূত্র:
কমপিউটার জগৎ
লেখার ধরণ:
কমপিউটার গেমগেম, 
তথ্যসূত্র:
গেমের জগৎ
ভাষা:
বাংলা
স্বত্ত্ব:
কমপিউটার জগৎ
গেমের জগৎ

আয়রনম্যান



কমিকস পড়ুয়া গেমারদের জন্য সুখবর! ভাবছেন গেমের জগতে কমিকসের কথা আসলো কোথা থেকে? কমিকসের সাথে গেমের সম্পর্ক কোথায়? নিশ্চয়ই এরকম কিছু প্রশ্ন আপনাদের মনে উঁকি দিচ্ছে? তার জবাবে বলতে হয় ইদানীং যে গেমসগুলো ছোট-বড় সবার মন কাড়ছে সেগুলোর বেশিরভাগই কোনো না কোনো কমিকস চরিত্রের ওপর ভিত্তি করে বানানো৷ স্পাইডারম্যান, হাল্ক, এক্সম্যান ইত্যাদি সুপার হিরো চরিত্রের উত্পত্তি কিন্তু কমিকসের পাতা থেকে৷ মারভেল কমিকসের জনপ্রিয় সুপার হিরো স্পাইডারম্যান নিয়ে তো বেশ মাতামাতি৷ তার সাথে সামনে আসছে ইনক্রিডিবল হাল্কের নতুন গেম৷ ডিসি কমিকসের সুপার হিরো চরিত্রের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে সুপারম্যান এবং সাথে রয়েছে জাস্টিস লীগের আরো কিছু সুপার হিরো৷ এইসব কমিকনির্ভর গেম বিশেষত ছোটদের বেশি আকৃষ্ট করে৷ গেমগুলো যাতে শুধু ছোটদের মাঝেই সীমাবদ্ধ না থাকে সেদিকে গেম নির্মাতারা বিশেষভাবে দৃষ্টি দেন৷ তারা গেমগুলো সবার উপযোগী করে বানানোর চেষ্টা করে থাকেন৷



মারভেল কমিকসের আরেকটি জনপ্রিয় চরিত্র হচ্ছে আয়রনম্যান বা লৌহমানব৷ লৌহমানবের স্রষ্টা হচ্ছে ডন হেক, স্ট্যান লি, ল্যারি লেইবার ও জ্যাক কিরবি৷ গেমটি বানানো হয়েছে এই বছর মুক্তি পাওয়া মুভি আয়রনম্যানের কাহিনীর ওপর ভিত্তি করে৷ প্লে স্টেশন ২ ও এক্সবক্সের জন্য গেমটি ডেভেলপ করেছে সিক্রেট লেভেল এবং প্লে স্টেশন ২, পিএসপি, নিনটেন্ডো, উইই ও পিসির জন্য ডেভেলপ করেছে আর্টিফিশিয়াল মাইন্ড এন্ড মুভমেন্ট৷ আর সব প্লাটফর্মের জন্য পাবলিশ করেছে সেগা৷ গেমটি ডিভিডি, ডিভিডি ডিএল, ব্লু-রে ডিস্ক, অপ্টিক্যাল ডিস্ক, ইউএমডি, গেম কার্ড আকারে যথাক্রমে পিসি/প্লে স্টেশন ২, এক্সবক্স, প্লে স্টেশন ৩, উইই, প্লে স্টেশন পোর্টবল ও নিনটেন্ডোর জন্য বাজারে পাওয়া যাচ্ছে৷



গেমের প্রধান চরিত্র হচ্ছে অ্যান্থনি টনি স্টার্ক নামের ধনকুবের ব্যবসায়ী৷ তার রয়েছে বিশাল এক অস্ত্র তৈরির কারখানা এবং সে নিজে এক দক্ষ প্রকৌশলী৷ টনি ইউএস আর্মির জন্য নানারকম অস্ত্র তৈরি করে থাকে৷ তার নতুন উদ্ভাবিত জেরিকো নারে ক্লাস্টার মিসাইল বানিয়ে সে আরো বিখ্যাত হয়ে পড়ে৷ কিন্তু টেন রিং নামের সন্ত্রাসীচক্র তাকে অপহরণ করে দুর্গম এলাকায় বন্দী করে রাখে এবং তাকে তাদের জন্য অস্ত্র বানিয়ে দেয়ার জন্য জোর করে৷ অপহরণকালে টনি তার হার্টে খুব খারাপভাবে আঘাতপ্রাপ্ত হয়৷ সে বন্দী অবস্থায় সাথে সহকর্মী হিসেবে দেখা পায় আরেক বন্দী ড. ইয়াসেনের৷ তারা দুইজনে মিলে বানায় শক্তিশালী এক বর্ম যাতে শক্তির সঞ্চার করে আর্ক রিয়েক্টর নামের এক শক্তি উত্স, যা তার হার্টকেও শক্তি প্রদান করে তাকে বেঁচে থাকতে সহায়তা করে৷ ধীরে ধীরে সে আরো উন্নতি সাধন করতে থাকে তার সেই বর্ম বা আরমোর স্যুটে৷ টনি এতে সংযোজন করে উড্ডয়ন ক্ষমতা, আগুন ছোড়ার ক্ষমতা ও বর্মের আবরণকে করে তোলে অপ্রতিরোধ্য৷ এই বর্মের সাহায্যে সে শত্রু পক্ষকে বিনাশ করে বন্দীদশা থেকে মুক্তি লাভ করে৷ মুক্ত হয়ে সে তার কারখানায় ফিরে বর্মটিকে আরো হাল্কা, শক্তিশালী অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত ও সুন্দর ডিজাইন করে তোলায় ব্যতিব্যস্ত হয়ে ওঠে৷ সেই ফাঁকে তার বিজনেস পার্টনার অবাডিয়াহ স্টেন টনির বানানো অস্ত্র ইউএস আর্মি ও সন্ত্রাসীচক্র দুই পক্ষের কাছেই বিক্রি করতে থাকে৷ এইসব বিষয়ে যখন টনি অবগত হয় তখন সে তার পাচার করা অস্ত্রগুলো বিনষ্ট করার জন্য যাত্রা করে এবং তাকে সাহায্য করে তার বন্ধু লেফটেন্যান্ট কর্নেল জেমস রোডস৷ টনিকে মোকাবেলা করতে হয় টেন রিংসের সন্ত্রাসী ও তার নিজের বানানো ডিজাইনের কিছু শক্তিশালী বর্ম পরিহিত শত্রুর বিরূদ্ধে৷

গেমটির আকর্ষণীয় দিকগুলোর মধ্যে রয়েছে- এককভাবে আয়রনম্যানের ফাইটার জেট, মিলিটারি ট্যাঙ্ক ও বর্মে আচ্ছাদিত সুপার ভিলেনদের সাথে লড়াই, মুক্ত লড়াই কৌশল, স্যুটের অস্ত্রের নতুনত্ব ইত্যাদি৷ আয়রনম্যানের বর্মের ৩টি অংশ রয়েছে৷ এগুলো হলো- উড্ডয়নের জন্য ফুয়েল সংরক্ষণ ব্যবস্থা, বর্মের স্থায়িত্বতা ও অস্ত্রের গোলাবারুদ সংরক্ষণ ট্যাঙ্ক৷ যখন যেটির বেশি ব্যবহার করতে হবে তা সিলেক্ট করে নিতে হবে, এতে খেলার দক্ষতা বাড়ার সাথে সাথে বর্মের পরিপূর্ণ ব্যবহার নিশ্চিত করা যাবে৷ উড়ার ক্ষমতাটা সবচেয়ে বেশি মজা লাগবে সবার৷ কারণ এক জায়গায় স্থির হয়ে আকাশ থেকেই শত্রুর মুখোমুখি হতে পারবেন আবার কারো পিছু নেয়ার সময় খুব দ্রুত উড়ে যেতে পারবেন৷ স্যুটের ক্ষমতাকে চার ভাগে ভাগ করা হয়েছে৷ এগুলো হলো- রিপালসার, ব্যালিস্টিক, এক্সপ্লোসিভস ও আরমোর৷ রিপালসার বা আয়ন বীম টেকনোলজি যার বিধ্বংসী ক্ষমতা ও রেঞ্জের ভিত্তিতে রয়েছে ৬ রকমের আপগ্রেড৷ ব্যালিস্টিকের মধ্যে রয়েছে লাইট গ্যাটিং গান, মিনিগান ও কয়েক ধরনের পালস রাইফেল, এক্সপ্লোসিভের মধ্যে রয়েছে কয়েক ধরনের রকেট, ব্লাডহাউন্ড মিসাইল, সানসেপিয়ার মিসাইল এবং আরমোরের মধ্যে রয়েছে শক্তিশালী আঘাত হানার ক্ষমতা, এন্টিমিসাইল সিস্টেম, ইলেক্ট্রো পাঞ্চসহ অনেক কিছু৷ একের পর এক মিশন শেষ করার সাথে সাথে আয়রনম্যানের স্যুট বদলে যাবে, আনলক হবে প্রায় ছয় ধরনের স্যুট, যেমন- র্মাক ১, ২, ৩, টিন ক্যান, ক্ল্যাসিক ইত্যাদি৷ এছাড়াও আরো আনলক হবে স্যুটের নতুন আপগ্রেড এবং আর্ট ও মুভি গ্যালারি৷

গেমের খারাপ দিকগুলোর মধ্যে একঘেয়ে অ্যাকশন, বাস্তবতা ঠিকভাবে ফুটিয়ে তুলতে না পারা, গেমের মাঝে আয়রনম্যানের হার্ট ড্যামেজ হলে আবার মিশনের প্রথম থেকে খেলা শুরু করা ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য৷

গেমের গ্রাফিক্স কোয়ালিটি খুব একটা ভালোমানের বলা যায় না, কারণ এটি প্লে স্টেশন ২-এ যেরকম কোয়ালিটি দেবে পিসির ক্ষেত্রেও তাই দেবে৷ কিন্তু পিএস ৩ বা এক্সবক্সে যে চোখ ধাঁধানো গ্রাফিক্স কোয়ালিটি দেবে তা দেখলে পিসিতে খেলার চেয়ে কনসোলে খেলতে বেশি আগ্রহী হবেন৷ এই তারতম্যের কারণ এই যে ভিন্ন প্লাটফর্মের জন্য আলাদা দুটি কোম্পানি গেমটি ডেভেলপ করেছে৷ গেমে রয়েছে ১৩ টি মিশন যা শেষ করতে খুব বেশি সময় লাগবে না অর্থাৎ গেম প্লের সময়কাল খুব একটা বেশি নয়৷ গেমের শব্দশৈলী ও পরিবেশ মোটামুটি ভালোই বলা যায়৷ ভালো-মন্দ সবকিছু মিলিয়ে গেমটি ভালোই লাগবে আশা রাখি৷

ফিডব্যাক : shmt_21@yahoo.com
.......................................................................।......

ডেভিল মে ক্রাই ?

Devil May Cry সিরিজের গেমগুলো অ্যাকশনধর্মী গেম হিসেবে খুব জনপ্রিয়৷ এই সিরিজের প্রথম গেম রিলিজ পেয়েছিল ২০০১ সালে৷ কিন্তু সেটি শুধু প্লে স্টেশন ২-এর জন্য মুক্তি দেয়া হয়েছিলো৷ পরের সিক্যুয়ালটিও ছিলো পিএস২-এর জন্য৷ কিন্তু তৃতীয় পর্বটি পিসিও পিএস২ উভয় প্লাটফর্মে মুক্তি দেয়া হয়েছিল৷ গেমের কাহিনীর ধারাবাহিকতা অনুযায়ী ডিএমসি ৪ গেমের ৩য় পর্ব যা ডিএমসি-এর পরের ও ডিএমসি ২-এর আগের কাহিনী৷ কাহিনীর প্রথম পর্ব হচ্ছে ডিএমসি ৩- দান্তেস এওেকিং৷ গেমগুলো মূলত হ্যাক অ্যান্ড ম্ল্যাশ ধাঁচের (অ্যাকশনগেমের সাব ক্যাটাগরি)৷ এর সাথে কিছু পাজল বা ধাঁধার সমাধানের সুযোগ দেয়ায় তা আরো আকর্ষণীয় হয়ে উঠেছে৷



গেমের জগতে দান্তে একটি পরিচিত নাম৷ Devil May Cry DMC সিরিজের গেমগুলোর মধ্যে দান্তের সফল পদচারণা তাকে সবার মাঝে জনপ্রিয় করে তুলেছে৷ অ্যাকশন হিরোদের তালিকায় দান্তের নাম শীর্ষের দিকে স্থান দখল করে আছে এখনো৷ অর্ধ মানব ও অর্ধ ডেমন বা ডেভিলের সংমিশ্রণে সৃষ্ট এই চরিত্রের কাজ সব রকমের দৈত্য, দানব, পিশাচ, ভূত-প্রেত ইত্যাদি সমূলে উত্পাটন করা৷ DMC সিরিজের নতুন সংযোজন DMC 4 এ দান্তের বদলে খেলতে হবে নেরো নামের চরিত্রে৷ তবে কিছু লেভেলে দান্তেকে নিয়েও খেলা যাবে৷ পুরনো চরিত্র লেডি ও ট্রিশের পাশাপাশি নতুন কিছু চরিত্রের আবির্ভাব ঘটেছে গেমটিতে৷ এগুলো হচ্ছে- কাইরি, ক্রেডো, গ্লোরিয়া ও এগনাস৷

নতুন চরিত্র নেরো হচ্ছে দ্য অর্ডার অফ দ্য সোর্ড গ্রুরে তরুণ সদস্য৷ তারা ফরচুনা শহরে স্পার্ডা নামের এক পৈশাচিক দেবতার পূজা করে৷ এরা মনে করে স্পার্ডা তাদের রক্ষাকর্তা৷ পূজা চলাকালীন হঠাৎ সেখানে দান্তের আবির্ভাব ঘটে৷ দান্তে তাদের গ্রুপের প্রধান নাইটকে হত্যা করে পালিয়ে যায়৷ তারা কেউ জানে না দান্তে কে বা কি-ই বা তার উদ্দেশ্য ছিলো? এসব প্রশ্নের উত্তর পেতে নেরো দান্তেকে খুঁজে বেড়াবে৷ তাকে মৃত্যুর কড়াল থাবায় পৌঁ ছে দিতে আর দান্তে লড়বে নিজেকে রক্ষা করে নিজের বীরত্ব বজায় রাখতে৷ মূলত দান্তেকে এবার গেমের মূল ভিলেন বা বসের চরিত্র হিসেবে দেখানো হয়েছে৷

নেরোর ডান হাতে রয়েছে অদ্ভুত ধরনের পৈশাচিক শক্তি, যার ফলে সে প্রচন্ড জোড়ে আঘাত হানতে পারে৷ এ ছাড়াও সে জাদুকরী কিছু ক্ষমতার প্রয়োগ করতে পারে৷ অস্ত্রের তালিকায় নেরোর রয়েছে ব্লু রোজ নামের ডাবল ব্যারেল রিভলবার, রেড কুইন নামের সুদৃশ্য কারুকাজ করা একধারবিশিষ্ট তলোয়ার আর সাথে তার পৈশাচিক ডান হাত তো রয়েছেই৷ অস্ত্রের বাইরেও তার রয়েছে কিছু বিচিত্র ক্ষমতা যেমন- ডেভিল ট্রিগার, ডেভিল ব্রিঙ্গার ইত্যাদি, যার ফলে শত্রুপক্ষকে আরো বেশি ক্ষতি করে দারুণ দক্ষতার সাথে তাদের তাদের নির্মূল করা যাবে৷ ডিএমসি-এর মতো এবারও দান্তের রয়েছে চার রকমের যুদ্ধ-কৌশল৷ এগুলো হলো- ট্রিক্সটার, রয়াল গার্ড, গান স্লিঙ্গার ও সোর্ডমাস্টার৷ দান্তের যুদ্ধ-কৌশলে কিছুটা বাড়তি নতুনত্ব যোগ করা হয়েছে, যা খুবই সামান্য৷
.......................................................................।......

মাস ইফেক্ট

MDK2, Never Winter Nights, Jade Empire ইত্যাদি বিখ্যাত গেমের নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান BioWare তাদের বানানো আরেকটি চমত্কার গেম উপহার দিলো এই বছর৷ গেমটির নাম Mass Effcet এবং এটি পাবলিশ করেছে EA Sport ৷ এটি একটি রোল প্লেয়িং সায়েন্স ফিকশন অ্যাকশন গেম৷ গেম নির্মাতারা গেমটির আরো ২টি পর্ব বানানোর ঘোষণা দিয়েছেন, অর্থাৎ এটি হচ্ছে মাস ইফেক্ট ট্রিলজির প্রথম পর্ব৷



২১৮৩ সালের প্রেক্ষাপটে গেমারকে খেলতে হবে একজন উচ্চপদস্থ মানব সৈন্য কমান্ডার শেফার্ডের ভূমিকায়৷ তাকে নিয়ে বিচরণ করতে হবে মহাশূন্যের কিছু স্থান৷ গেমার প্রাথমিকভাবে অবস্থান করবে এসএসভি নরম্যানডি নামের বিশাল এক মহাকাশযানে৷ নরম্যানডি থেকে গেমার আরো বিচরণ করতে পারবে অন্যান্য গ্রহে, চাঁদে এবং বিশাল ব্রহ্মাণ্ডের আরো অনেক স্থানে৷ কিন্তু গেমারের মূল লক্ষ্য থাকবে শত্রুপক্ষের ঘাঁটি সিটাডেল৷

সিটাডেল হচ্ছে উন্নত জাতি প্রোথিয়ানদের তৈরি বিশাল এক স্পেস স্টেশন, যাকে অত্যাধুনিক এক জগৎ বলা যেতে পারে৷ গেমে মানবজাতি গড়ে তুলবে হিউম্যানসিস্টেমস এলায়েন্স এবং শত্রুপক্ষ সংগঠিত হবে সিটাডেল স্পেস হিসেবে৷ সিটালের প্রশাসন কেন্দ্রের নাম কাউন্সিল, যা তিনটি ভিন্ন ভিনগ্রহবাসী জাতি পরিচালনা করে৷ জাতি তিনটি হলো- আসারি, স্যালারিয়ানস ও টুরিয়ানস৷

গেমের শুরুতে থাকবে দুটি ক্লাসে বিভক্ত ক্যারেক্টার পছন্দের সুবিধা৷ ক্লাসগুলোর মধ্যে সোলজারদের ক্ষমতা হচ্ছে তারা অস্ত্র চালনায় দক্ষ, ইঞ্জিনিয়াররা নানারকম যন্ত্র ব্যবহার ও টেকনোলজির দিক থেকে দক্ষ, এডাপ্টরা বায়োটিক্স ব্যবহারে দক্ষ৷ বাকি তিন ধরনের ক্লাস হচ্ছে ইনফিলট্রেটর, সেন্টিনেল ও ভাঙ্গুয়ার্ড৷ এরা প্রথম তিন ক্লাসের সংমিশ্রিত রূপ৷ আপনি নিজে কমান্ডার শেফার্ডের চরিত্র বানিয়ে নিতে পারবেন বা ডিফল্ট ক্যারেক্টার নিয়েই মিশন শুরু করতে পারবেন৷ পোশাক-আশাক, বর্ম, অস্ত্রের ধরন সবকিছু বদলের সাহায্যে সাজিয়ে নেয়া যাবে পছন্দমতো চরিত্র৷ প্রধান চরিত্রের সাথে থাকবে আরো দুটি চরিত্র যা গেমার আংশিকভাবে ব্যবহার করতে পারবে৷ সেই সাথে আরো দুটি চরিত্র সাথে পাবেন খেলার সময় সাহায্যকারী হিসেবে৷ তাদের দুইজন মানুষ ও চারজন এলিয়েন৷

নানারকম টেকনোলজির মধ্যে রয়েছে ওমনি টুলস, বায়োটিক্স ইত্যাদি৷ ওমনি টুলসের সাহায্যে বিপক্ষ দলের শিল্ড নষ্ট করা, অস্ত্র ধ্বংস করা, রোবট হ্যাক করে নিজেদের সুবিধামতো ব্যবহার করা ইত্যাদি আরো অনেক কাজ করা যায়৷ কালো শক্তি প্রয়োগ করার জন্য ব্যবহার করা যাবে বায়োটিক্স যার সাহায্যে শিল্ড তৈরি করা, আকাশে ওড়া, শত্রুকে ঘায়েল করা ইত্যাদি করা যাবে৷ প্লেয়ারের গায়ে থাকবে দুই ধরনের স্যুট- কমব্যাট ও ঊঠঅ স্যুট৷ এই স্যুট প্লেয়ারকে দেবে অক্সিজেন সাপ্লাই, তাপমাত্রার রকমফের থেকে সুরক্ষা ও সেই সাথে বর্মের কাজও করবে৷

যা যা লাগবে গেমগুলোর জন্য :

প্রসেসর : পেন্টিয়াম ৪, ২.৪ গিগাহার্টজ৷ ৠাম : ১ গিগাবাইট৷ ভিডিও মেমরি : ২৫৬ মেগাবাইট (জিফোর্স৭সিরিজ)৷ হার্ডডিস্ক স্পেস : ১২ গিগাবাইট৷ কজ
.......................................................................।......

Warcraft III

প্রযুক্তি উন্নত হচ্ছে প্রতিদিন৷ সাথে সাথে গেমের জগৎও এগিয়ে যাচ্ছে প্রতি মাসে৷ যতই নতুন নতুন গেম বেরুচ্ছে ততই গেমের হার্ডওয়্যার রিকোয়ারমেন্টও বাড়ছে৷ তাই বলে তো আর সবাই দু-তিন মাস পর পর পিসি আপগ্রেড করতে পারেন না৷ তাই অনেকেই এখনো পড়ে আছেন পুরনো গেমের জগতে৷ পুরনো দিনের প্রচুর গেম আছে যেগুলো রিলিজ পাওয়ার পরে পুরো দুনিয়া কাঁপিয়েছিলো৷ আর তা যদি স্ট্র্যাটেজি গেম হয়, তবে তো সবার আগে আসবে Red Alert, Tiberiun Sun, Age Of Empires, Warcraft, Empire Earth ইত্যাদি গেমের নাম৷ Warcraft তেমনি একটি বিখ্যাত নাম যার নির্মাতা হjেv Blizzard Entertainment৷ আজকে এরই তৃতীয় সিক্যুয়াল অর্থাৎ Warcraft III নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে৷ এটি একটি Stratagic গেম৷ যার মূল লক্ষ্য হলো নিজস্ব একটি ঘাঁটি গড়ে তোলা এবং শত্রুদের দমন করার মাধ্যমে বিভিন্ন মিশন সম্পন্ন করা৷ এতে চারটি টিম আছে৷ এগুলো হলো Human, Night Elf, Orc এবং Undead৷

Human-এর বৈশিষ্ট্য হলো এর সবকিছুই মানুষদের নিয়ে৷ তাছাড়া এর বিল্ডিংগুলোও দেখতে সাধারণ৷ Night Elf-এর বিশেষত্ব হলো এর সবকিছুই বৃক্ষ জাতীয়৷ অর্থাৎ এই দলের বিল্ডিং, টাওয়ার ইত্যাদি সবকিছুই গাছভিত্তিক৷ Orc-রা হলো সবুজ গবলিন আর Undead-রা হলো Necromancy ভিত্তিক৷

রিসোর্স হিসেবে এতে আছে উড এবং গোল্ড৷ এ গেমটির সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো এর প্রতিটি দলই ভিন্ন রকম৷ একেক দলের সুবিধা-অসুবিধা একেক রকম৷ যেমন Night Elf-এর উড সংগ্রহ করার জন্য গাছ কাটার প্রয়োজন হয় না৷ ফলে DW-এর কমতি হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই৷ তাছাড়া এদের বিল্ডিংগুলো এক স্থান থেকে অন্য স্থানে যেতে পারে৷ আবার Undead রা একসাথে অনেকগুলো বিল্ডিং বানাতে পারে৷ তাই কনস্ট্রাকশনের জন্য অনেকগুলো ওয়ার্কার সামন করার কোনো প্রয়োজন নেই৷ Orc-দের প্রতিরক্ষা আবার বেশ শক্তিশালী৷ এসব ভিন্নতার কারণে গেমটিতে একটি অন্যরকম মজা পাওয়া যায়৷

গেমটির আরেকটি উল্লেখযোগ্য বৈচিত্র্য হলো প্রতিটি দলে চারটি করে হিরো আছে৷ প্রতিটি হিরোর আবার চারটি করে ম্যাজিক পাওয়ার আছে৷ শুধু তাই নয়, হিরোদের আবার লেভেলের ব্যাপারও আছে৷ হিরোর লেভেল সর্বোচ্চ ১০ পর্যন্ত বৃদ্ধি পায়৷ লেভেল বাড়লে হিরো নতুন নতুন ম্যাজিক পাওয়ার নিতে পারবে অথবা পাওয়ার আপডেট করতে পারবে৷

গেমটিতে শুধু যে শত্রুকেই দমন করতে হয় তাই নয়, এতে অনেক ওয়াইল্ড এনিমিও আছে৷ ম্যাপের বিভিন্ন স্থানে এরা ঘুমাতে থাকে৷ এদেরকে মারলে হিরোদের লেভেল পয়েন্ট বাড়তে থাকে৷ অর্থাৎ হিরো শক্তিশালী হয়৷

এবারে গেমের গ্রাফিক্সের কথায় আসা যাক৷ এর গ্রাফিক্সের মান এককথায় অতুলনীয়৷ অত্যন্ত কম মেমরিতেও গেমটি খেলতে কোনো সমস্যা হয় না৷ UBI Soft যেমন অত্যন্ত কম রিকোয়ারমেন্ট ও চমত্কার গ্রাফিক্স দেয়, তেমনি এ গেমেও কম ভিডিও মেমরিতে অত্যন্ত চমত্কার গ্রাফিক্স পাওয়া যায়৷ তাই এর 3D গ্রাফিক্স কোয়ালিটি কোমল এবং মনোরম৷ তবে গেমটির ইউনিটগুলোর আউটলুক কিছুটা কার্টুনের মতো লাগতে পারে৷ তবে এর গ্রাফিক্স কোয়ালিটি এতো ভালো যে আউটলুক খুব একটা চোখে লাগে না৷ তাছারা এর গ্রাফিক্সের বৈচিত্র্যও দেখার মতো৷ যেমন Night Elf যেহেতু বৃক্ষ জাতীয় তাই ম্যাপ-এর যে অংশটুকু জুড়ে এদের বেজ সে অংশটুকু সবুজ গাছে পরিপূর্ণ৷ আর যে অংশটুকু Undead-এর দখলে সে অংশটুকুর মাঝে সব গাছ পাতা ঝরা হয়৷ এমন কি সে স্থানের মাটি পর্যন্ত রুক্ষ হয়ে থাকে, যেন মৃতের চিহ্ন৷

শুধু যে গ্রাফিক্সই ভালো তাই নয়, গেমের সাউন্ড কোয়ালিটিও এককথায় অসাধারণ৷ এর 3D সাউন্ড সত্যিকার অর্থই মনোরম৷ মনে হয় যেন নিজেই যুদ্ধক্ষেত্রে ঢুকে গেছি৷ তাছাড়া জুম করে যখন কোনো ইউনিটের কাছে যাওয়া হয় তখন তার হাঁটাচলার স্পষ্ট শব্দও পাওয়া যায়৷ তাছাড়া হিরোদের ম্যাজিকের স্পেশাল সাউন্ড তো আছেই৷

তবে শুধু এই গেমের স্কারমিশ ও ক্যাম্পেইনই যে সব কিছু তা কিন্তু নয়৷ এর প্রকৃত মজা পাওয়া যায় এর বিশেষ ধরনের ম্যাপ খেলে, যে বিষয়টি গেমটিকে অন্য সব গেম থেকে আলাদা করেছে৷ বর্তমানে বাংলাদেশের সব গেম ক্যাফেতে এই গেমটি খেলা যায়৷ এই স্পেশাল ম্যাপটির নাম হলো DOTA (Diffence Of The Ancient)৷ অন্য স্ট্র্যাটেজি গেমের সাথে এর মূল পার্থক্য এই যে এই ম্যাপে শুধু হিরোকে নিয়ে খেলতে হয়৷ এতে ৮২টি হিরো আছে৷ তাছাড়া এতে অসংখ্য আইটেম ও রেসিপি আছে যা হিরোকে করে অধিক শক্তিশালী৷ এছাড়াও হিরোকে অনেক নতুন পাওয়ার দেয়৷ ম্যাপের তিনটি ভিন্ন লেনে অ্যালাই এবং এনিমি সৈন্যরা নিজেদের মতো করে এগোতে থাকে৷ এনিমিকে মারলে গোল্ড পাওয়া যায়৷ যদি এই ম্যাপটি না খেলা হয় তবে গেমের প্রকৃত মজা অনুভব করা যাবে না৷

কজ


ফিডব্যাক : wahid.masud@yahoo.com
পত্রিকায় লেখাটির পাতাগুলো
লেখাটি পিডিএফ ফর্মেটে ডাউনলোড করুন
২০০৮ - জুন সংখ্যার হাইলাইটস
চলতি সংখ্যার হাইলাইটস