ইয়াফেস ওসমান বললেন : ‘ওয়ার্ল্ড কংগ্রেসে বাংলাদেশকে যথাযথ উপস্থাপন করতে হবে’
ডিজিটাল বাংলাদেশ করতে হলে প্রথমেই দেশের প্রতিটি মন্ত্রণালয়ের কমপিউটারায়ন দরকার। পাশাপাশি দেশকে তথ্যপ্রযুক্তি ধারণ করার জন্য তৈরি করতে হবে। এমন চিন্তাভাবনা বিশ্ব আইসিটি কংগ্রেসে তুলে ধরতে হবে, যা দেখে বিশ্ব অবাক হয়ে যায়। ২৩ মে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে আইডিবি ভবনের বিজনেজ সেন্টারে প্রিপকম ফর ওয়ার্ল্ড কংগ্রেস অন আইসিটি ফর ডেভেলপমেন্ট (ডব্লিউসিআইডি) ২০০৯-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিজ্ঞান এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন।
উদ্বোধনী অধিবেশনে বক্তব্য রাখছেন সংসদ সদস্য ড. মো: আকরাম হোসেন চৌধুরী
ইন্ডিপেন্ডেন্ট ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের অধ্যাপক ড. এম আব্দুস সোবহানের সভাপতিত্বে সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন সংসদ সদস্য মো: আকরাম হোসেন চৌধুরী ও বিজ্ঞান এবং তথ্য ও যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো: নাজমুল হুদা খান। ‘আইসিটি ফর বিল্ডিং ডিজিটাল বাংলাদেশ’ শীর্ষক মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ইসলামিক ইউনিভার্সিটি ফর টেকনোলজির অধ্যাপক ড. এম এ মোত্তালিব। প্যানেল আলোচক ছিলেন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেসের (বেসিস) সভাপতি হাবিবুল্লাহ এন করিম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কমপিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড. হাফিজ মো: হাসান বাবু, মাসিক কমপিউটার জগৎ-এর সম্পাদক গোলাপ মুনীর, দোহা টেকের চেয়ারম্যান লুনা দোহা এবং রেডিও আমার-এর প্রধান বার্তা সম্পাদক আবীর হাসান।
স্থপতি ইয়াফেস ওসমান বলেন, একটি ডিজিটাল বাংলাদেশ তৈরি করার জন্য সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে। কারণ, ডিজিটাল বাংলাদেশ সবার জন্য। সরকারি বা বেসরকারি পর্যায়ে একক প্রচেষ্টা এক্ষেত্রে সাফল্য আনতে পারবে না। এই কাজটি করতে গিয়ে লক্ষ রাখতে হবে যাতে দেশে কোনো ডিজিটাল ডিভাইড তৈরি না হয়। কারণ, এই ডিভাইড বা বৈষম্য পুরো ডিজিটাল বাংলাদেশ ধারণা বা কনসেপ্টকে ব্যাহত করবে। কৃষক পর্যায়েও প্রযুক্তি যথাযথভাবে পৌঁছে দিতে হবে। প্রযুক্তি শুধু শহরকেন্দ্রিক হলে চলবে না। দেশের প্রতিটি মন্ত্রণালয়কে কমপিউটারায়ন করতে হবে। মন্ত্রণালয়গুলোর মধ্যে নেটওয়ার্কের মাধ্যমে সংযোগ স্থাপন করতে হবে। এখনই দেশকে তথ্যপ্রযুক্তি ধারণ করার জন্য তৈরি করতে হবে। এজন্য সম্মিলিত প্রয়াস প্রয়োজন। যাদের সামর্থ্য নেই, তাদের কাছেও তথ্যপ্রযুক্তি ও এর সুফল পৌঁছে দিতে হবে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, মোবাইল ফোনের প্রতি বিশেষ দৃষ্টি দেয়া প্রয়োজন। কারণ, মোবাইল ফোনের মাধ্যমেই সবার কাছে পৌঁছে যাওয়া সম্ভব। টেলিমেডিসিন ব্যবস্থাকে চমৎকার একটি বিষয় আখ্যায়িত করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, এর মাধ্যমে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের পরামর্শ বা চিকিৎসা সেবা নিতে সক্ষম হবে।
তিনি বলেন, যেসব সমস্যা আমাদের রয়েছে তা অতিক্রম করার এমন সমাধান আপনারা বের করুন, যাতে সারা বিশ্ব অবাক হয়ে যায়।
ইয়াফেস ওসমান বলেন, আমরা যদি আধুনিক পরিকল্পনা নিয়ে ডিজিটাল বাংলাদেশ করতে পারি, তাহলে দেশের ব্যবসায়-বাণিজ্যে এর প্রভাব পড়বে।
সচিব নাজমুল হুদা খান বলেন, তথ্য হলো জ্ঞানকণিকা। তাই এই তথ্য পেতে হলে শিক্ষার ওপর প্রথমে গুরুত্ব দিতে হবে। কারণ, শিক্ষাটা যদি যথাযথভাবে না হয় তাহলে ওই সব তথ্য কোনো কাজে আসবে না। তাই প্রযুক্তিকে আমাদের ব্যবহার করতে হবে এই মানসিকতা নিয়েই শিক্ষাব্যবস্থা ঢেলে সাজানো প্রয়োজন।
সচিব বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশের জন্য মানুষ এবং তথ্যপ্রযুক্তির মধ্যে সংযোগ সৃষ্টি করতে হবে। এটি হবে হরাইজন্টাল ও ভার্টিক্যাল কানেকটিভিটি। পাশাপাশি নজর দিতে হবে মাল্টিমোডালের দিকে। তিনি বলেন, আমরা তথ্যপ্রযুক্তিকে যখন স্বাগত জানাবো, তখন আমাদের মূল্যবোধ যাতে না হারায় সেদিকে লক্ষ রাখতে হবে। দেখতে হবে নারী-পুরুষের সাম্য যাতে রক্ষা করা যায়। পরিবহন নিয়ন্ত্রণে ইলেক্ট্রনিক্স ট্র্যাফিক কন্ট্রোল সিস্টেম যদি করা যায়, তাহলে মানুষ দুর্বিষহ যানজট থেকে রেহাই পাবে। তথ্যপ্রবাহ নিশ্চিত করতে কমিউনিটি রেডিও নিয়েও ভাবনার প্রয়োজন রয়েছে। প্রতিটি ঘরে সেলফোন পৌঁছে দিতে পারলে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে জাতিকে পৌঁছে দেয়া সম্ভব হবে।
উদ্বোধনী অধিবেশনে বক্তব্য রাখছেন স্থপতি ইয়াফেস ওসমান
স্বাগত বক্তব্যে ড. মো: আকরাম হোসেন চৌধুরী বলেন, এই প্রিপকম সম্মেলনে ১২টি থিমের ওপর উপস্থাপন করা ৩৪টি প্রবন্ধ থেকে নির্বাচিত প্রবন্ধগুলো আগামী সেপ্টেম্বরে চীনের রাজধানী বেজিংয়ে অনুষ্ঠেয় ওয়ার্ল্ড কংগ্রেস অন আইসিটি ফর ডেভেলপমেন্টে পাঠ করার জন্য পাঠানো হবে। তিনি বলেন, সরকারের সব কাজ আইটি নেটওয়ার্কের আওতায় আনতে হবে। এসব খাতে ইতোমধ্যেই ভ্যাট ও ট্যাক্স তুলে দেয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছে, যা ইতিবাচক। বিটিসিএলের (সাবেক টিঅ্যান্ডটি) কলচার্জ কমানোর উদ্যোগও ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার অঙ্গীকারেরই প্রতিফলন।
তিনি বলেন, অবাধ তথ্যপ্রবাহের জন্য এখন দেশে প্রয়োজন উচ্চগতির ইন্টারনেট। বিরাজমান ইন্টারনেট সেবার চার্জ অনেক বেশি, যা কমাতে হবে। এছাড়া তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক সব ডিভাইস বা যন্ত্রের দামও কমাতে হবে, যাতে করে দেশের সাধারণ মানুষও এগুলো ব্যবহার করতে পারে। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে শুরু করে সব মন্ত্রণালয়কে কানেক্ট করতে হবে। তাহলেই হয়তো কাঙ্ক্ষিত সাফল্য আসবে।
আকরাম হোসেন বলেন, শুধু শহরে সীমাবদ্ধ না রেখে গ্রামেগঞ্জেও ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রচেষ্টাকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। স্কুল-কলেজগুলোতে ইন্টারনেট ব্যবহার শিক্ষা দিতে হবে, যাতে করে বিষয়টি তারা আত্মস্থ করতে পারে।
সভাপতি ড. এম আব্দুস সোবহান বলেন, ওয়ার্ল্ড কংগ্রেস অন আইসিটি ফর ডেভেলপমেন্টের বার্ষিক সম্মেলন কয়েক বছর ধরেই চলছে। এবার হতে যাচ্ছে চীনের বেজিংয়ে। আমরা যাতে জাতীয়ভাবে সেই সম্মেলনে নিজের কথা তুলে ধরতে পারি, সে জন্যই এই প্রস্ত্ততিমূলক আয়োজন।
তিনি বলেন, চীনের আয়োজকরা জানিয়েছেন সম্মেলনে বাংলদেশকে পৃথক সেশন দেয়া হবে, যেখানে বাংলাদেশ তার কথা তুলে ধরতে পারবে। বিষয়টি বাংলাদেশের জন্য সম্মানজনক।
তিনি বলেন, প্রিপকমে যে প্রবন্ধগুলো উপস্থাপন করা হবে তার ওপর সুচিমিত্মত মতামত ওয়েবসাইটের মাধ্যমে তুলে ধরা হবে। তিনি বাংলাদেশ কমপিউটার কাউন্সিলকে (বিসিসি) আরো ক্ষমতা দেয়া প্রয়োজন বলে উল্লেখ করেন। তার মতে, বিসিসি ভবনেই ইনকিউবেটর এবং হাইটেক পার্ক স্থাপন করা যেতে পারে। এজন্য যেখানে-সেখানে জায়গা খুঁজে লাভ নেই। তিনি ওয়ার্ল্ড কংগ্রেস অন আইসিটি ফর ডেভেলপমেন্ট বিষয়ে বিস্তারিত তুলে ধরেন।
প্রধান অতিথি ও বিশেষ অতিথিদের বক্তব্য শেষে ‘আইসিটি ফর বিল্ডিং ডিজিটাল বাংলাদেশ’ শীর্ষক মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ড. এম এ মোত্তালিব। বাংলাদেশে আইসিটির উন্নয়নে কী কী করণীয় সে ব্যাপারে প্রবন্ধে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়।
মূল প্রবন্ধের ওপর প্যানেল আলোচনায় হাবিবুল্লাহ এন করিম বলেন, আমাদের দেশে আইসিটির উন্নয়ন করতে হলে ইন্ডাস্ট্রি এবং একাডেমিয়াদের একত্রে কাজ করতে হবে। এ বিষয়টি প্রবন্ধে আরো স্পষ্ট করে বলার দরকার ছিল। যেসব তথ্য-উপাত্ত ব্যবহার করা হয়েছে সেগুলোর সুনির্দিষ্ট সোর্স বা উৎস থাকা প্রয়োজন, যা উল্লেখ করা হয়নি। তিনি বলেন, কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের দিয়ে তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক গবেষণা করলে সুফল পাওয়া যেতে পারে।
আবীর হাসান বলেন, ভেন্ডরদের হাত থেকে তথ্যপ্রযুক্তি শিল্পের দায়িত্ব একাডেমিয়াদের নিতে হবে। শিল্প ক্ষেত্রে রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অর্থাৎ আরঅ্যান্ডডি করতে হবে। নইলে এটি গতিশীল না হয়ে এক স্থানেই আটকে থাকবে। তিনি বলেন, ইন্ডাস্ট্রি চায় আইসিটি খাতে থোক বরাদ্দ। কিন্তু এটি করলে সবকিছুই জলে যাবে। বাজেটে এই খাতের ৫/৬ হাজার কোটি টাকা সব মন্ত্রণালয়কে ভাগ করে দিতে হবে, একটি মন্ত্রণালয়কে নয়। এসব অর্থ যথাযথভাবে ব্যয় করতে হবে।
লুনা দোহা বলেন, তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক আধুনিক নীতির দুর্বলতার কারণে এই খাতে আমাদের অগ্রগতি হয়নি। উন্নতি করতে হলে এ বিষয়ে উচ্চ শিক্ষা, কমপিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং এবং ইংরেজি প্রশিক্ষণ দরকার। শুধু কমপিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং দিয়ে কিছু হবে না। তিনি বলেন, দক্ষ কর্মী তৈরি করতে হবে। একই সাথে নিশ্চিত করতে হবে বিদেশী বিনিয়োগ। ই-গভর্নেন্স বাস্তবায়ন ও কার্যকর করতে হবে।
গোলাপ মুনীর বলেন, মূল প্রবন্ধের সঙ্গে দ্বিমত প্রকাশ করার সুযোগ নেই। ওয়ার্ল্ড কংগ্রেস অন আইসিটি ফর ডেভেলপমেন্টকে যেভাবে বর্ণনা করা হচ্ছে তা সঠিক মনে হচ্ছে না। কারণ এটি কোনো প্রতিযোগিতা নয়। তিনি বলেন, সামনে অনেক চ্যালেঞ্জ রয়েছে। বাস্তবতার নিরিখে এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে হবে। শুধু সিস্টেম অ্যানালিস্ট এবং কমপিউটার ইঞ্জিনিয়ার দিয়ে ডিজিটাল বাংলাদেশ হবে না।
অধ্যাপক ড. হাফিজ মো: হাসান বাবু বলেন, দেশে ই-গভর্নেন্সের যে উদ্যোগ নেয়া হয়েছিল তার কিছুই ধরে রাখা যায়নি। অথচ এ খাতে প্রচুর অর্থ ব্যয় করা হয়েছে। অনেক ওয়েবসাইট উদ্বোধন হয়েছে। কিন্তু এর বেশিরভাগই আপডেট করা হয় না। আইসিটিতে এখনো আমরা অনেক পিছিয়ে আছি। তিনি বলেন, নতুন সরকারের বাজেটে আমরা তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ে প্রকৃত রূপরেখা দেখতে চাই।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ এবং বিজ্ঞান এবং তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় নামে দু’টি মন্ত্রণালয় থাকার কোনো যৌক্তিকতা নেই। এ দুটোকে এক করে কিছু করা যায় কিনা তা ভাবার সময় এসেছে।
বেজিংয়ে অনুষ্ঠেয় ওয়ার্ল্ড কংগ্রেস অন আইসিটি ফর ডেভেলপমেন্টে (ডব্লিউসিআইডি) অংশ নেয়ার প্রস্ত্ততি হিসেবে বাংলাদেশ ওয়ার্কিং গ্রুপ কংগ্রেস অন আইসিটি ফর ডেভেলপমেন্ট এই প্রিপকম সম্মেলনের আয়োজন করে। সম্মেলনের সহ-আয়োজক ছিল বাংলাদেশ এনজিও’স নেটওয়ার্ক ফর রেডিও অ্যান্ড কমিউনিকেশন, মাসিক কমপিউটার জগৎ, ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস, আপলোড ইয়োর সেলফ এবং বাংলা ওপেন সোর্স নেটওয়ার্ক। সাপোর্ট পার্টনার ছিল বাংলাদেশ কমপিউটার কাউন্সিল, মাইক্রোসফট বাংলাদেশ ও জেএএন অ্যাসোসিয়েটস লিমিটেড। সম্মেলনের আহবায়ক ছিলেন বাংলাদেশ ওয়ার্কিং গ্রুপের সদস্য অধ্যাপক ড. সৈয়দ আখতার হোসেন এবং সচিব এম. এ. হক অনু। গ্রুপের অন্য সদস্যরা হলেন এএইচএম বজলুর রহমান, এ এ মুনির হাসান এবং ফারহানা এ রহমান।
পরে ১২টি থিমের ওপর ৩৪টি প্রবন্ধ উপস্থাপন করা হয়।
টেকনিক্যাল সেশন-১-এ উপস্থাপন করা হয় আইসিটি ফর এডুকেশন, পোভার্টি ইরাডিকেশন, কমার্স এবং ডিজাস্টার প্রিভেনশনবিষয়ক প্রবন্ধ। এই সেশনে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিএসই বিভাগের অধ্যাপক ড. এম লুৎফর রহমান। মডারেটর ছিলেন চেইঞ্জ মেকারের নির্বাহী পরিচালক তামজিদুর রহমান। কো-মডারেটর ছিলেন ইক্যুইটি অ্যান্ড জাস্টিস ওয়ার্কিং গ্রুপের সচিব শামসুদ্দোহা, বিসিসির সিনিয়র সিস্টেম অ্যানালিস্ট তারেক বরকতউল্লাহ এবং দৈনিক ইত্তেফাকের আইসিটি ইনচার্জ মো: মোজাহেদুল ইসলাম।
টেকনিক্যাল সেশন-২-এ উপস্থাপন করা হয় আইসিটি ফর এগ্রিকালচার, ট্রান্সপোর্টেশন এবং গভর্নেন্সবিষয়ক প্রবন্ধ। এতে সভাপতিত্ব করেন ইন্টারন্যাশনাল রাইস রিসার্চ ইনস্টিটিউটের কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টেটিভ ড. জয়নাল আবেদীন। মডারেটর ছিলেন শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর এম জাহিদুল হক। কো-মডারেটর ছিলেন বিআইজেএফ সভাপতি মোহাম্মদ কাউছার উদ্দিন, বাংলাদেশ টেলিসেন্টার নেটওয়ার্কের সিইও মাহমুদ হাসান।
টেকনিক্যাল সেশন-৩-এ উপস্থাপন করা হয় আইসিটি ফর রিসোর্স সেভিং এবং গভর্নেন্সবিষয়ক প্রবন্ধ। এতে সভাপতিত্ব করেন ইউল্যাবের অধ্যাপক আব্দুল মান্নান। মডারেটর ছিলেন ডি.নেটের সিইও ড. অনন্য রায়হান। কো-মডারেটর ছিলেন বিসিসির সচিব এনামুল কবির, দৈনিক আমার দেশের সিনিয়র সাব এডিটর সুমন ইসলাম এবং চ্যানেল আই-এর স্টাফ রিপোর্টার পান্থ রহমান।
টেকনিক্যাল সেশন-৪-এ উপস্থাপন করা হয় আইসিটি ফর ডাটা, ইনফরমেশন শেয়ারিং, জেন্ডার ইক্যুয়ালিটি, পাবলিক হেলথবিষয়ক প্রবন্ধ। এতে সভাপতিত্ব করেন এনাম মেডিক্যাল কলেজের অধ্যাপক ড. একেএম রফিক উদ্দিন। মডারেটর ছিলেন আর্টিক্যাল ১৯ বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর তাহমিনা রহমান। কো-মডারেটর ছিলেন বাংলাদেশ অবজারভারের সিনিয়র করসপনডেন্ট কামাল আরসালান, দৈনিক সংবাদের আইটি পেজ ইনচার্জ এআরএম মাহমুদ হোসেন এবং বেসিসের কোষাধ্যক্ষ ফারহানা রহমান।
সমাপনী অধিবেশনে প্রধান অতিথি ছিলেন সংসদ সদস্য এবং ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয় বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান হাসানুল হক ইনু। নওগাঁর সংসদ সদস্য এবং বাংলাদেশ কংগ্রেস অন আইসিটি ফর ডেভেলপমেন্টের (বিডিসিআইডি) উপদেষ্টা ড. মো: আকরাম হোসেন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অধিবেশনে বিশেষ অতিথি ছিলেন বিসিসির ডেপুটি ডিরেক্টর সিস্টেম জাবেদ আলী সরকার, বিটিআরসির সাবেক চেয়ারম্যান সৈয়দ মার্গুব মোরশেদ এবং মাইক্রোসফট বাংলাদেশের কান্ট্রি ম্যানেজার ফিরোজ মাহমুদ। চীনা প্রতিষ্ঠান হুয়াউই ই-গভর্নেন্টের ওপর একটি প্রেজেন্টেশন দেয়।
এ অধিবেশনে মডারেটর ছিলেন প্রিপকম ফর ডব্লিউসিআইডি ২০০৯-এর আহবায়ক অধ্যাপক ড. সৈয়দ আখতার হোসেন। কো-মডারেটর ছিলেন বিএনএনআরসির সিইও এএইচএম বজলুর রহমান, বিডিওএসএলের সাধারণ সম্পাদক মুনির হাসান এবং প্রিপকম ফর ডব্লিউসিআইডি ২০০৯-এর সদস্য সচিব এম. এ. হক অনু। ওয়েবসাইট : www.bdcid.org
কজ ওয়েব
ফিডব্যাক : sumonislam7@gmail.com