গত কয়েক বছরে বাংলাদেশে আউটসোর্সিং নিয়ে সবার মধ্যে, বিশেষ করে তরুণ প্রজন্মের মধ্যে যথেষ্ট আগ্রহ তৈরি হয়েছে। এসময় আউটসোর্সিং নিয়ে বিভিন্ন ধরনের কর্মশালা, প্রশিক্ষণ, পত্রিকায় লেখালেখি ইত্যাদি ছিল চোখে পড়ার মতো বিষয়। বেকার সমস্যায় জর্জরিত আমাদের দেশের জন্য আউটসোর্সিং নিঃসন্দেহে একটি সুযোগ বয়ে এনেছে। পড়ালেখার পাশাপাশি বা পড়ালেখা শেষ করে অনেকেই অনলাইনে ফ্রিল্যান্সিংকে পেশা হিসেবে নিয়েছেন। কিন্তু ফ্রিল্যান্সার হতে গিয়ে সবাই প্রথম যে বিষয়টি লক্ষ করেন তা হচ্ছে বাংলাদেশে অর্থ নিয়ে আসার জটিলতা। অর্থ উত্তোলনের নানা পদ্ধতি রয়েছে, যার কোনো কোনোটি ঝামেলাবিহীন কিন্তু খুবই ব্যয়বহুল, আবার কোনো কোনোটি অল্প খরচে করা যায়। কিন্তু এগুলোর মাধ্যমে অর্থ তুলতে গিয়ে নানা বিড়ম্বনার শিকার হতে হয়। অনেক ক্ষেত্রে আমাদের দেশের ব্যাংকগুলো বিষয়টি যথাযথ উপলব্ধি করতে না পারায় তাদের কাছ থেকে আশানুরূপ সাড়া পাওয়া যায় না। সবকিছু ছাপিয়ে প্রধান যে বাধাটি শুরু থেকেই প্রত্যেকটি ফ্রিল্যান্সারকে ভোগান্তিতে ফেলেছে তা হচ্ছে, ইন্টারনেটে অর্থ লেনদেনের জন্য বিশ্বে ব্যাপকভাবে ব্যবহারের জনপ্রিয় পদ্ধতি পেপাল (PayPal)-এর সার্ভিস বাংলাদেশে না থাকায়। বাস্তবিক পক্ষে বাংলাদেশে পরিপূর্ণভাবে ই-কমার্স শুরু না হওয়ার পেছনে এটি হচ্ছে প্রধান কারণ। একজন ফ্রিল্যান্সার ওয়েব ডেভেলপার হিসেবে আউটসোর্সিংয়ের কাজগুলো করতে গিয়ে গত ৩ বছর আমি এই সমস্যাগুলো খুবই কাছ থেকে উপলব্ধি করেছি। আমার এসব অভিজ্ঞতার ওপর ভিত্তি করে এবারের প্রতিবেদনটি সাজানো হলো।
শুরুতেই দেখে নেয়া যাক, আউটসোর্সিং কাজ থেকে পাওয়া অর্থ দেশে নিয়ে আসতে বর্তমানে কী কী পদ্ধতি রয়েছে এবং এগুলোর সমস্যাগুলো কী কী।
ওয়েস্টার্ন ইউনিয়ন
কিছু কিছু ফ্রিল্যান্সিং সাইট রয়েছে যাতে ওয়েস্টার্ন ইউনিয়নের মাধ্যমে অর্থ উত্তোলন করা যায়। এর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে www.RentACoder.com। এটি খুবই সহজ এবং দ্রুত একটি পদ্ধতি। ফ্রিল্যান্সিং শুরু করার প্রথম দিকে আমি এই পদ্ধতিটি ব্যবহার করতাম। সেসময় আমাকে একটি ব্যাংক ফিরিয়ে দিয়ে জানালো ওয়েস্টার্ন ইউনিয়নের মাধ্যমে বিদেশ থেকে একটি ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশী কোনো ব্যক্তিকে অর্থ পাঠাতে পারে না। পরে অন্য আরেকটি ব্যাংক থেকে আমি অর্থ উত্তোলন করতে সক্ষম হয়েছিলাম। কিন্তু বছরখানেক পর রেন্ট-এ-কোডার বাংলাদেশীদের জন্য ওয়েস্টার্ন ইউনিয়নের সার্ভিস বন্ধ করে দেয়। ওয়েবসাইটটি থেকে পরে জানতে পারলাম বাংলাদেশ সরকার এই পদ্ধতিতে ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান থেকে কোনো ব্যক্তিকে টাকা পাঠানোর অনুমতি দেয় না।
চেকের মাধ্যমে
এ পদ্ধতিতে অর্থ উত্তোলনে ফ্রিল্যান্সারদের যথেষ্ট ভোগান্তিতে পড়তে হয়। কোনো কোনো ওয়েবসাইট থেকে এই পদ্ধতি ছাড়া অর্থ উত্তোলনের অন্য কোনো উপায় নেই। উদাহরণস্বরূপ, গুগল অ্যাডসেন্স থেকে আয়ের টাকা উত্তোলনের একমাত্র উপায় হচ্ছে চেকের মাধ্যমে। এই পদ্ধতির প্রধান সমস্যা হচ্ছে চিঠি পেতে মাসখানেক সময় লেগে যায়। তারপর সেই চেক ব্যাংকে নিজের অ্যাকাউন্টে জমা দেবার পর টাকা জমা হতে আরও কয়েক সপ্তাহ লেগে যায়। তার ওপর ১০০ ডলারের একটি চেকে ব্যাংককে ২৫ ডলারের মতো ফি দিতে হয়।
ব্যাংক থেকে ব্যাংকে ওয়্যার ট্রান্সফার
এই পদ্ধতিতে ৩ থেকে ৫ দিনের মধ্যে অর্থ সরাসরি ব্যাংকে জমা হয়ে যায়। এটি ঝামেলাবিহীন এবং নিরাপদ একটি পদ্ধতি। কিন্তু এ পদ্ধতিতে খরচ পড়ে অনেক বেশি, প্রায় ৪৫ ডলারের মতো। এই পদ্ধতিটি আউটসোর্সিং সাইটগুলোতে খুব একটা জনপ্রিয় নয়।
পেওনার ডেবিট মাস্টারকার্ড
ইদানীং প্রায় সব আউটসোর্সিং সাইটে মাস্টারকার্ডের মাধ্যমে অর্থ উত্তোলনের সুবিধা দিয়ে থাকে। বাংলাদেশী ফ্রিল্যান্সারদের কাছেও এটি বেশ জনপ্রিয়। এ পদ্ধতিতে প্রথমে ফ্রিল্যান্সারদের ঠিকানায় একটি মাস্টারকার্ড পাঠিয়ে দেয়া হয়। এরপর মাস শেষে ৩ থেকে ৫ দিনের মধ্যে কার্ডে অর্থ জমা হয়ে যায়, যা আমাদের দেশের কয়েকটি ব্যাংকের ATM থেকে যেকোনো সময় টাকা তোলা যায়। প্রতিবার টাকা উত্তোলন করতে ২ ডলারসহ উত্তোলন করা অর্থের ৩% ফি দিতে হয়। আবার এই কার্ড দিয়ে অনলাইনে ডোমেইন, সার্ভার স্পেস বা যেকোনো ধরনের পণ্য কেনাকাটাও করা সম্ভব। তবে অনলাইনে এভাবে কেনাকাটা করাটা ভাইরাস এবং স্পাইওয়্যারের কারণে বেশ ঝুঁকিপূর্ণ। যেকোনো সময় কার্ড হ্যাক হয়ে সব হারানোর আশঙ্কা থাকে।
মানিবুকারস
মানিবুকারস হচ্ছে ইন্টারনেটভিত্তিক অর্থ লেনদেনের নিরাপদ, ঝামেলাবিহীন এবং সাশ্রয়ী একটি মাধ্যম। মাত্র ৩ ডলার ফি দিয়ে বাংলাদেশে যেকোনো ব্যাংকে টাকা নিয়ে আসা যায়। এটিকে অনেক সময় পেপালের বিকল্প হিসেবে ব্যবহার করা হয়। তবে এটি পেপালের মতো অতটা জনপ্রিয় নয় এবং সব ফ্রিল্যান্সিং সাইট এটি সাপোর্ট করে না। এর আরেকটি বড় সমস্যা হচ্ছে, কোনো মার্কিন নাগরিক মানিবুকারসে রেজিস্ট্রেশন করতে পারে না। ফলে এ পদ্ধতিতে যুক্তরাষ্ট্র থেকে আয় করা সম্ভব নয়।
পেপাল
উপরে উল্লিখিত পদ্ধতির বাইরে আরও কয়েকটি পদ্ধতি রয়েছে, যার প্রত্যেকটিতে কমবেশি অসুবিধা রয়েছে। কিন্তু সব পদ্ধতির মধ্যে ইন্টারনেটে অর্থ লেনদেনের সবচেয়ে জনপ্রিয়, নিরাপদ এবং সহজ পদ্ধতিটি হলো পেপাল। বিশ্বের ১৯০টি দেশে ৯৮ ধরনের মুদ্রায় পেপালের সার্ভিস রয়েছে। ইন্টারনেটে অর্থ লেনদেনের ক্ষেত্রে ক্রেডিট কার্ড বা ডেবিট কার্ড ব্যবহার করাটা নিরাপদ নয়। প্রতিদিনই নতুন নতুন ভাইরাস এবং স্পাইওয়্যারের সৃষ্টি হচ্ছে, যা ব্যবহারকারীর অগোচরে তার কমপিউটারে লুকিয়ে থাকে এবং ক্রেডিট/ডেবিট কার্ডের তথ্য টাইপ করার সাথে সাথে তা পাচার করে দেয়। অনেক সময় যে ওয়েবসাইট থেকে পণ্য কেনা হচ্ছে, তারা ইচ্ছে করলে ক্রেতার ক্রেডিট কার্ডের তথ্য ব্যবহার করে সব টাকা নিয়ে যেতে পারে। ফলে পেপালের আগমনের পূর্বে ই-কমার্স অতটা জনপ্রিয় ছিল না। ১৯৯৮ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে পেপাল অনলাইনে অর্থ লেনদেনের ধারণাটাকেই পাল্টে ফেলে। অনলাইনে নিলাম করার জনপ্রিয় প্রতিষ্ঠান ই-বে (www.eBay.com) ২০০২ সালে পেপালকে দেড়শ’ কোটি ডলারের বিনিময়ে কিনে নেয়।
ই-কমার্সের জন্য পরিপূর্ণ সমাধান হচ্ছে পেপাল, যা অর্থ লেনদেনের ক্ষেত্রে মধ্যবর্তী মাধ্যম হিসেবে কাজ করে। ব্যবহারকারীর ক্রেডিট/ডেবিট কার্ড ও ব্যাংকের তথ্য পেপালে সংরক্ষিত থাকে, যা ইন্টারনেটে কেনাকাটা করার সময় অন্য কেউ জানতে পারবে না। একজন পেপাল ব্যবহারকারী আরেকজন পেপাল ব্যবহারকারীকে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে মিনিটের মধ্যেই অর্থ প্রদান করতে পারেন। পেপালের বিভিন্ন ধরনের নিরাপত্তা ব্যবস্থার জন্য এটি ব্যবহার করে অর্থ জালিয়াতি প্রায় অসম্ভব। এ কারণে পেপাল বিশ্বে অত্যন্ত নির্ভরযোগ্য একটি সার্ভিস হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এমন কোনো ই-কমার্স অথবা আউটসোর্সিং সাইট পাওয়া যাবে না, যা পেপাল সমর্থন করে না।
পেপাল না থাকার কুফল
সবচেয়ে দুঃখজনক বিষয় হলো বাংলাদেশে পেপালের কোনো সার্ভিস নেই। অর্থাৎ একজন বাংলাদেশী নাগরিক পেপালে রেজিস্ট্রেশন করতে পারবেন না। পেপাল না থাকার কারণে বাংলাদেশী ফ্রিল্যান্সাররা যেসব অসুবিধায় পড়ছেন সেগুলো হলো :
০১. যেকোনো আউটসোর্সিং সাইট থেকে আয় করতে না পারা। এমন অসংখ্য সাইট রয়েছে যারা শুধু পেপালের মাধ্যমে অর্থ দিয়ে থাকে। সেক্ষেত্রে নির্দিষ্ট কয়েকটি সাইটে ফ্রিল্যান্সিংয়ে আমাদেরকে সীমাবদ্ধ থাকতে হয়।
০২. অন্যান্য সার্ভিস ব্যবহার করে উচ্চমূল্যে অর্থ উত্তোলন। নিরাপত্তার কথা চিন্তা করলে ব্যাংক থেকে ব্যাংকে ওয়্যার ট্রান্সফার একটি চমৎকার পদ্ধতি। কিন্তু এই পদ্ধতিতে প্রতিবার উত্তোলনে ৪৫ ডলার খরচ পড়ে। আর পেওনার ডেবিট মাস্টারকার্ড মোট অর্থের ৩% কেটে রাখে, যা বড় অর্থ লেনদেনের ক্ষেত্রে মোটেও ভালো পদ্ধতি নয়।
০৩. অন্যান্য সার্ভিসের মাধ্যমে ক্লায়েন্টের কাছ থেকে সরাসরি অর্থ আনা যায় না। ফলে সবসময় একটি আউটসোর্সিং সাইটের ওপর নির্ভরশীল থাকতে হয় এবং তাদেরকে ১০% থেকে ১৫% ফি দিতে হয়। গত তিন বছরে আমি বিভিন্ন দেশের অসংখ্য ক্লায়েন্টের কাছ থেকে কাজ পেয়েছি। আমার এমন কয়েকজন ক্লায়েন্ট রয়েছে যারা প্রথম থেকে এখন পর্যন্ত আমাকে প্রতি মাসে কাজ দিচ্ছে। তারা এতটাই বিশ্বস্তা যে কাজ শেষে অর্থ পাওয়ার নিশ্চয়তা ছাড়াই আমি কাজ শুরু করে দিতে পারি। আবার অনেক সময় কাজ শুরুর আগেই প্রজেক্টের পুরো বা আংশিক টাকা পেয়ে যাই। মোট কথা হচ্ছে এক্ষেত্রে মধ্যবর্তী আউটসোর্সিং সাইটের সাথে আমার কোনো লেনদেন নেই। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে ওই সাইটগুলোকে ১০% ফি দিয়ে অনেক পথ ঘুরিয়ে আমাকে অর্থ আনতে হয়। এভাবে প্রতি ১০০০ ডলারে ১০০ ডলার আউটসোর্সিং সাইটকে দিতে হচ্ছে। সাথে আরো ৩০ থেকে ৫৫ ডলার দিতে হচ্ছে পেওনার বা ব্যাংক ট্রান্সফারের জন্য। কিন্তু আমার যদি একটি পেপাল অ্যাকাউন্ট থাকত তাহলে হাজারপ্রতি এ অতিরিক্ত ১৩০ থেকে ১৫৫ ডলার দেশে নিয়ে আসতে পারতাম।
০৪. পেপাল না থাকা ই-কমার্সের মাধ্যমে ব্যবসায় করার প্রথম ও প্রধান অন্তরায়। বিশ্ব অর্থনৈতিক মন্দার কবলে পড়ে এখন সবাই ই-কমার্স ওয়েবসাইটের মাধ্যমে ব্যবসায় করার দিকে ঝুঁকে পড়ছেন। আর এ পেপালের কল্যাণে আজ ই-কমার্স এতটা জনপ্রিয় এবং লাভজনক ব্যবসায় পরিণত হয়েছে। শুধু পেপাল থাকলেই যে কত ধরনের ই-কমার্স ব্যবসায় করা সম্ভব তা ভাষায় প্রকাশ করা যাবে না। উদাহরণস্বরূপ, পেপাল থাকলে ফ্রিল্যান্সাররা আউটসোর্সিং সাইটগুলোতে নতুন প্রজেক্টের জন্য বসে না থেকে নিজের ওয়েবসাইট থেকে সরাসরি সফটওয়্যারগুলো বিক্রি করতে পারতেন। অন্যান্য রফতানি ক্ষেত্রে এই পেপাল আমাদের দেশের জন্য হতে পারত যুগান্তকারী পদক্ষেপ। বাংলাদেশের পোশাক শিল্প আজ বিশ্বব্যাপী সমাদৃত। কিন্তু আমরা সেই পোশাককে মধ্যস্বত্বভোগী ছাড়া সরাসরি বিদেশী কোনো ভোক্তার হাতে পৌঁছে দিতে পারি না। অথচ পেপাল থাকলে এরকম অসংখ্য ধরনের পণ্য রফতানি করে ঘরে বসেই প্রচুর পরিমাণে বৈদেশিক মুদ্রা আয় করা যেত।
০৫. পেপাল না থাকার ফলে অনেকে আবার ভিন্ন পথ অবলম্বন করছেন। ইন্টারনেটে এমন অনেক ফোরাম রয়েছে যেখানে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকার বিনিময়ে পেপালের সার্ভিস পাওয়া যায়। এক্ষেত্রে পেপাল অ্যাকাউন্ট আছে এমন কোনো ব্যক্তিকে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ দিলে তিনি তার পেপাল অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে টাকা পেতে সাহায্য করেন। পরে তিনি ব্যাংক ট্রান্সফার বা ওয়েস্টার্ন ইউনিয়নের মাধ্যমে টাকা পাঠিয়ে দেন। এই পদ্ধতিটি মোটেও নিরাপদ এবং গ্রহণযোগ্য নয়।
বাংলাদেশে পেপালের সার্ভিস না থাকার ব্যাপারে পেপালের সাথে যোগাযোগ করা হলে তারা জানায়, পেপাল সবসময় তার সার্ভিস বিভিন্ন দেশে সম্প্রসারণে ইচ্ছুক। একটি নতুন দেশে সার্ভিস দিতে সে দেশের বিভিন্ন আইনকানুন মেনে তাদেরকে একটি জটিল পরিবর্তনের মাধ্যমে যেতে হয়। আরও নতুন দেশে পেপালকে পৌঁছে দিতে তারা কাজ করে যাচ্ছে। তবে ঠিক কত সময়ের মধ্যে বাংলাদেশে পেপালের সার্ভিস পাওয়া যাবে, এ ব্যাপারে তারা কোনো নিশ্চয়তা দিতে পারছে না।
প্রকৃতপক্ষে পেপাল কবে বাংলাদেশে সার্ভিস দেবে সে অপেক্ষায় বসে না থেকে আমাদের নিজেদেরই উচিত তার আগমনের জন্য রাস্তা প্রশস্ত করে দেয়া। আশার কথা হচ্ছে, বর্তমান সরকার বাংলাদেশে ই-কমার্স চালুর বিষয়ে ইতিবাচক মনোভাব পোষণ করছে। এক্ষেত্রে সরকারের উচিত হবে পেপালের সাথে যোগাযোগ করে সমস্যাগুলো যথাযথভাবে চিহ্নিত করা এবং যেসব আইনের কারণে পেপাল তাদের সার্ভিস এদেশে নিয়ে আসতে পারছে না, প্রয়োজনবোধে তা পরিবর্তন বা সংশোধন করা। বাংলাদেশের তরুণরা আজ এতটাই অগ্রসর যে, শুধু এই সমস্যাটির সমাধান করতে পারলে নিজেরাই বাংলাদেশে ই-কমার্সের বিপ্লব ঘটিয়ে ফেলতে পারবেন।
কজ ওয়েব
ফিডব্যাক : zakaria.cse@gmail.com