• ভাষা:
  • English
  • বাংলা
হোম > ৩য় মত
লেখক পরিচিতি
লেখকের নাম: কজ
মোট লেখা:১০৪১
লেখা সম্পর্কিত
পাবলিশ:
২০০৯ - ডিসেম্বর
তথ্যসূত্র:
কমপিউটার জগৎ
লেখার ধরণ:
মতামত
তথ্যসূত্র:
৩য় মত
ভাষা:
বাংলা
স্বত্ত্ব:
কমপিউটার জগৎ
৩য় মত



বাংলাদেশে কমপিউটার জগৎই সৃষ্টি করল আরেক দিগন্তে

আমি ১৯৯১ সাল থেকেই কমপিউটার জগৎ পত্রিকাটি নিয়মিতভাবে পড়ি এবং প্রযুক্তিপণ্য সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ে জড়িত। সেই সূত্রেই জানি, এ পত্রিকাটি দেশে তথ্যপ্রযুক্তি বিকাশে কী অপরিসীম পরিশ্রম করে যাচ্ছে। তথ্যপ্রযুক্তি ব্যাপক বিকাশের জন্য বিভিন্ন সভা-সেমিনার করে একে আন্দোলনে রূপ দেয়ার চেষ্টা করেছে যা অন্য কোনো সংগঠন করেনি, এটি বিস্ময়কর হলেও সত্য। তখন অনেক বিষয় আমাদের কাছে বিস্ময়কর ও হাস্যকর মনে হলেও এখন তা মর্মে মর্মে অনুভব করছি আমাদের সে উপলব্ধি ছিল সম্পূর্ণ ভুল। সে সময় কমপিউটার জগৎ যেসব ক্ষেত্রের প্রতি গুরুত্ব দেয়ার তাগিদ দিয়েছিল, যদি আমরা সে ব্যাপারগুলোর জন্য একটু উদ্যমী হতাম তাহলে আমাদের দেশের তথ্যপ্রযুক্তি অঙ্গনের ভিত আরো মজবুত হতো, যার ফলে দেশের সার্বিক অর্থনীতির অবস্থা আরো সমৃদ্ধ হতো।

একটি মাসিক প্রযুক্তিবিষয়ক পত্রিকা হয়ে কমপিউটার জগৎ দীর্ঘ ১৮/১৯ বছর ধরে অব্যাহতভাবে দেশের তথ্যপ্রযুক্তি বিকাশে যে ভূমিকা রেখে আসছে, তা কোনো কোনো ক্ষেত্রে অনন্য এবং বিস্ময়কর। এমনই এক উদ্যোগ লক্ষ করা গেছে এবারের মেলায়। এবারের ‘বিসিএস আইসিটি ওয়ার্ল্ড ২০০৯’ মেলায় অনুষ্ঠিত সব সেমিনার কমপিউটার জগৎ ওয়েবপোর্টাল লাইভ ওয়েবকাস্ট করেছে এবং তা আর্কাইভ হিসেবে সংরক্ষিত আছে। এবারের মেলায় কয়েকটি সেমিনারে আমি উপস্থিত ছিলাম। এসব সেমিনারে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে থেকে উৎসাহী প্রযুক্তিপ্রেমীরা তাদের মতামত তাৎক্ষণিকভাবে ব্যক্ত করেছে ইন্টারনেটের মাধ্যমে। এতে প্রতিদিন গড়ে ১৫০০-১৮০০ জন লাইভে অংশগ্রহণ করে। আমি মনে করি কমপিউটার জগৎ তার ওয়েবপোর্টালের মাধ্যমে বাংলাদেশের তথ্যপ্রযুক্তি অঙ্গনে আরেকটি মাইলফলক সৃষ্টি করল। বাংলাদেশে এ ধরনের কর্মকান্ডের উদ্যোগ ইতোপূর্বে দেখা যায়নি। এমনকি এদেশের আইসিটিসংশ্লিষ্ট সংগঠনগুলোও এ ধরনের কর্মকান্ডে কখনোই উদ্যোগী হয়নি, যা কমপিউটার জগৎ করেছে। কমপিউটার জগৎ-এর এ সাহসী উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাই। আমরা প্রত্যাশা করি কমপিউটার জগৎ দেশের তথ্যপ্রযুক্তি আন্দোলনকে আরো বেগবান করতে অতীতের মতো আরো উদ্যোগী হবে এবং বাংলাদেশের প্রযুক্তি অঙ্গনে সৃষ্টি করবে নিত্যনতুন দিগন্তে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক

...........................................................................................

কলসেন্টার লাইসেন্স বাতিল করা ও প্রাসঙ্গিক কিছু কথা

আমি কমপিউটার জগৎ-এর একজন নিয়মিত ও পুরনো পাঠক। কমপিউটার জগৎ-এ প্রকাশিত প্রতিটি বিভাগই আমি পড়ার চেষ্টা করি। আমি যেহেতু আইটি ব্যবসায়ের সাথে জড়িত তাই কমপিউটার জগতের খবর বিভাগটি আমাকে বেশি আকৃষ্ট করে সঙ্গত কারণে।

নভেম্বর ২০০৯ সংখ্যার ‘কমপিউটার জগতের খবর’ বিভাগের প্রকাশিত একটি খবর ‘কাজ শুরু না করলে কলসেন্টারের লাইসেন্স বাতিল করবে বিটিআরসি’ প্রসঙ্গে আমার কিছু ব্যক্তিগত মতামত তুলে ধরতে চাই। আশা করি তা প্রকাশ করবেন।

অতীতের অভিজ্ঞতা থেকেই আমরা জেনেছি, দেখেছি কমপিউটারের প্রশিক্ষণ দেবার নাম করে দেশী-বিদেশী অনেক প্রতিষ্ঠান এদেশের সহজ-সরল সাধারণ মানুষকে প্রতারণা করে বিপুল পরিমাণ টাকা হাতিয়ে নিয়ে গেছে। এটা সম্ভব হয়েছিল এদেশের সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীল ব্যক্তিবর্গের অতিমাত্রায় উদাসীনতা ও সংশ্লিষ্ট দায়িত্বের প্রতি অবহেলার কারণে। সে সময় কমপিউটারে প্রশিক্ষণ দেবার নাম করে ব্যাঙের ছাতার মতো যত্রতত্র গজিয়ে উঠেছিল অসংখ্য কমপিউটার প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, যেখানে ছিল না কোনো মাননিয়ন্ত্রক সংস্থা। যার ফলে প্রত্যাশা অনুযায়ী চাকরির বাজার সৃষ্টি হয়নি শুধু মানসম্মত প্রয়োজনীয় কমপিউটার অপারেটরের অভাবে। ফলে অনেককেই আশাহত হতে হয়েছিল। এর করুণ পরিণতি হিসেবে কমপিউটার শিক্ষার প্রতি সাধারণ ছাত্রদের আকর্ষণ কমে গিয়েছিল। সম্প্রতি এমন করুণ অবস্থার উত্তরণ ঘটতে থাকে এবং আবার নতুন করে আমাদের দেশের সাধারণ জনগণের মধ্যে কমপিউটারসংশ্লিষ্ট বিষয়ের প্রতি আগ্রহ সৃষ্টি হতে থাকে, কিন্তু সেখানেও আবার হোঁচট খেতে দেখা গেছে কলসেন্টার নিয়ে।

কলসেন্টারকে কেন্দ্র করে প্রশিক্ষণ কেন্দ্র গড়ে উঠেছে। সেখানেও তদারকিরর কোনো ব্যবস্থা নেই। লাইসেন্স ফি কম থাকায় বিটিআরসি’র অনুমতি নিয়েই গত দু’বছরের মধ্যে প্রায় চারশ’ প্রতিষ্ঠান কলসেন্টারের লাইসেন্স নিয়ে রেখেছে, যাদের বেশিরভাগই এখনো তাদের কার্যক্রম শুরু করেনি। লাইসেন্সধারী প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা বর্তমানে ৩০১। লাইসেন্স পাওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে এখন ৫০-৬০টি তাদের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। বিস্ময়কর ব্যাপার হলো লাইসেন্স পাওয়া অনেক প্রতিষ্ঠানই জানে না যে কলসেন্টার বিষয়টি কী।

কলসেন্টার পরিচালনার লাইসেন্স নিয়ে যেসব প্রতিষ্ঠান গত দু’বছরে তাদের কার্যক্রম শুরু করেনি ডিসেম্বরে তাদের লাইসেন্স বাতিলের উদ্দেশ্যে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন তথা বিটিআরসি নিষ্ক্রিয় কলসেন্টারের তালিকা তৈরি করেছে। বিটিআরসি’র এ উদ্যোগ অনেক দেরিতে হলেও প্রশংসার দাবিদার। আমরা তাদের এ উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাই। সে সাথে প্রত্যাশা করি, যেসব প্রতিষ্ঠান কলসেন্টারের লাইসেন্স নিয়ে তাদের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে বিটিআরসি সেসব প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম যথাযথভাবে তদারকি করবে। তাদের সুবিধা অসুবিধা পর্যালোচনা করে উপযুক্ত কার্যক্রম গ্রহণ করবে। শুধু তাই নয়, কলসেন্টার নামে যেসব প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান রয়েছে সেগুলোর মান এবং অবকাঠামো কেমন তা পর্যবেক্ষণ করবে, দেখবে প্রশিক্ষণের নামে প্রতারণা হচ্ছে কি না। প্রয়োজনে যথাযথ অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তেমূলক কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

কমপিউটার জগৎ পরিবারের মঙ্গল কামনাসহ এর উত্তরোত্তর সাফল্য কামনা করি।

আবুল কালাম
পাইকপাড়া, মিরপুর, ঢাকা
...........................................................................................

তথ্যপ্রযুক্তিকে গুরুত্ব দিতে হবে

আমাদের দেশে কিছুদিন আগে কলসেন্টার ও কমিউনিটি রেডিও নিয়ে খুব মাতামাতি হয়েছিল। কিন্তু কিছুদিনের মধ্যে তা স্তিমিত হয়ে পড়েছে। এই মাতামাতির কারণে দেশের তথ্যপ্রযুক্তিপ্রেমীরা আশা করেছিল দীর্ঘদিন পরে হলেও দেশ তথ্যপ্রযুক্তির দিকে একধাপ এগিয়ে যাবে, কিন্তু সবই আশায় গুড়েবালি। কলসেন্টার একটু হলেও আলোর মুখ দেখেছে, কিন্তু কমিউনিটি রেডিও আজো অন্ধকারে।

বর্তমান সরকার ক্ষমতায় এসেই ডিজিটাল বাংলাদেশের ডাক দিয়েছিল, যা দেশে-বিদেশে সবার কাছে সমাদৃত হয়েছে। কিন্তু, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের রেখে যাওয়া এই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টির দিকে সরকারের আজো নজর পড়েনি। অন্য বিষয়গুলো সরকার যেভাবে নজর দিচ্ছে সেভাবে তথ্যপ্রযুক্তিসংশ্লিষ্ট বিষয়গুলোর দিকে সমান নজর দিতে হবে। ডিজিটাল বাংলাদেশের মানুষকে ডিজিটালাইজড করার জন্য ইন্টারনেটের গুরুত্ব অপরিসীম। কিন্তু গুরুত্ব যতই অপরিসীম হোক না কেন এর উচ্চমূল্যের কারণে মানুষ তা খুব একটা গ্রহণ করছে না। বর্তমানে দ্রুতগতির ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট খুবই ব্যয়বহুল এবং শুধু শহরবাসীদের মধ্যেই সীমাবদ্ধ। দ্রুতগতির ইন্টারনেটকে শহরের গন্ডি ছাড়িয়ে পুরো দেশে পৌছে দিতে হবে এবং এর মূল্য অবশ্যই কমাতে হবে। না হলে ইন্টারনেটের বিশাল তথ্যভান্ডার শুধু বড়লোকের বিলাসিতা হিসেবে গণ্য হবে। ইন্টারনেটকে নিরবচ্ছিন্ন রাখার ব্যবস্থা করতে হবে। সরকার যদি উপরোক্ত বিষয়গুলোর প্রতি নজর দেয় তাহলে বাংলাদেশ দ্রুত ডিজিটাল হবে-এ আশা করাই যায়।

মো: মামুনুর রহমান
চৌধুরীহাট, হাটহাজারী, চট্টগ্রাম
পত্রিকায় লেখাটির পাতাগুলো
লেখাটি পিডিএফ ফর্মেটে ডাউনলোড করুন
লেখাটির সহায়ক ভিডিও
চলতি সংখ্যার হাইলাইটস