• ভাষা:
  • English
  • বাংলা
হোম > প্রথম এশীয়-প্রশান্ত মহাসাগরীয় আঞ্চলিক ইন্টারনেট গভর্নেন্স ফোরামে বাংলাদেশ
লেখক পরিচিতি
লেখকের নাম: মো: মিজানুর রহমান
মোট লেখা:১১
লেখা সম্পর্কিত
পাবলিশ:
২০১০ - জুলাই
তথ্যসূত্র:
কমপিউটার জগৎ
লেখার ধরণ:
ইন্টারনেট গভর্নেন্স
তথ্যসূত্র:
রির্পোট
ভাষা:
বাংলা
স্বত্ত্ব:
কমপিউটার জগৎ
প্রথম এশীয়-প্রশান্ত মহাসাগরীয় আঞ্চলিক ইন্টারনেট গভর্নেন্স ফোরামে বাংলাদেশ

আইজিএফ তথা ইন্টারনেট গভর্নেন্স ফোরাম জাতিসংঘের একটি কর্ম পদক্ষেপ। এটি ২০০৬ সালে সূচিত একটি গ্লোবাল ফোরাম, যা মাল্টি-স্টেকহোল্ডারের জন্য ইন্টারনেট গভর্নেন্স সম্পর্কিত বিদ্যমান ও বিকাশমান বিষয়গুলো নিয়ে নীতি-সংলাপের লক্ষ্যে সৃষ্টি করা হয়েছে, যাতে করে ইন্টারনেটের টেকসই অস্তিত্ব রক্ষা, দ্রুত বিকাশ, নিরাপত্তা, স্থিতিশীলতা ও উন্নয়ন নিশ্চিত করা যায়।



আইজিএফের হংকং সম্মেলনের লক্ষ্য হংকংয়ের স্টেকহোল্ডার, বিশেষত এনজিওগুলো ও যুব সম্প্রদায়ের কাছে ইন্টারনেট গভর্নেন্স ও আইজিএফ-এর এবং সেই সাথে হংকং ও এশীয় প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের বিষয়গুলো তুলে ধরা। গত ১৪-১৬ জুন, ২০১০ হংকংয়ের সাইবারপোর্টে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল প্রথম এশীয়-প্রশান্ত মহাসাগরীয় আঞ্চলিক ইন্টারনেট গভর্নেন্স ফোরামের রাউন্ড টেবিল তথা আরআইজিএফ। তাছাড়া ১২-১৪ জুন অনুষ্ঠিত হয় ইয়ুথ আইজিএফ ক্যাম্প এবং ১৭-১৮ জুন অনুষ্ঠিত হয় হংকং ইন্টারনেট গভর্নেন্স ফোরামের কনফারেন্স। আইজিএফের মূল প্রতিপাদ্য বিষয় ছিল : ‘Building Vibrant Communities, Realizing Internet Possibilitires’। প্রধান তথ্য কর্মকর্তার কার্যালয়, হংকংয়ের সার্বিক সহযোগিতায় এ সম্মেলনের মূল পৃষ্ঠপোষকতা করেছে মাইক্রোসফট এবং এশীয় প্যাসিফিক নেটওয়ার্ক ইনফরমেশন সেন্টার (APNIC)। মূল উদ্যোক্তা ছিল Dot.Asia Organisation এবং হংকং ইন্টারনেট সোসাইটিসহ সহযোগী ১২টি প্রতিষ্ঠান। ৩ দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত প্রথম এ সম্মেলনে এশীয় প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের ১৯টি রাষ্ট্র তথা বাংলাদেশ, মিয়ানমার অস্ট্রেলিয়া, কম্বোডিয়া, চীন, হংকং, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, জাপান, লাওস, নিউজিল্যান্ড, নাইজিরিয়া, পাকিস্তান, ফিলিপাইন, সিঙ্গাপুর, শ্রীলঙ্কা, থাইল্যান্ড, ভিয়েতনামের প্রায় ১৪০ জন সরকারি, বেসরকারি, সিভিল সোসাইটি ও আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধি অংশ নেন। আইকানের একটি প্রতিনিধিদল পর্যবেক্ষক হিসেবে রাউন্ড টেবিলে যোগ দেয়। বাংলাদেশ ইন্টারনেট গভর্নেন্স ফোরামের উদ্যোগে বাংলাদেশের জাতীয় সংসদের ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সভাপতি হাসানুল হক ইনুর নেতৃত্বে ৫ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল এতে অংশ নেয়। প্রতিনিধিদলের সদস্যদের মধ্যে ছিলেন- সংসদ সদস্য ড. আকরাম হোসেন চৌধুরী, সভাপতির একান্ত সচিব মো: মিজানুর রহমান, বাংলাদেশ এনজিও নেটওয়ার্ক ফর রেডিও অ্যান্ড কমিউনিকেশনসের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এএইচএম বজলুর রহমান এবং কমপিউটার জগৎ-এর সহযোগী সম্পাদক মইন উদ্দীন মাহ্‌মুদ।



সিঙ্গাপুর ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক পেংহুয়ার সভাপতিত্বে ১৫ জুন অনুষ্ঠিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে স্বাগত ভাষণে বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের নেতা হাসানুল হক ইনু এমপি বলেন, দক্ষিণ এশিয়ায় ডিজিটাল বৈষম্য দূর করতে এশীয় প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলসমূহে প্রতিবছর আঞ্চলিক ইন্টারনেট গভর্নেন্স ফোরাম আয়োজন করা উচিত। তাছাড়া তিনি জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে আইজিএফ ২০১৪ সাল পর্যন্ত চলমান রাখার বিষয়ে অনুরোধ জানান। হাসানুল হক ইনু ২০১৪ সালের মধ্যে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে সরকারের গৃহীত পদক্ষেপগুলোর বর্ণনা দেন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরো বক্তৃতা করেন হংকংয়ের প্রধান তথ্য কর্মকর্তা জেরিসি গডফেরি, আইজিএফ সচিবালয়ের নির্বাহী সমন্বয়ক মারকাস কামার, এশীয় প্যাসিফিক নেটওয়ার্ক ইনফরমেশন সেন্টারের মহাপরিচালক পল উইলিসন, ডট এশিয়ার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এডমন চান্স এবং আয়োজক কমিটির চেয়ারম্যান স্টিফেন লাউ।

আইজিএফের প্রথম সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয় জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে ২০০৬ সালে এথেন্স নগরীতে। চতুর্থ সম্মেলন অনুষ্টিত হয় ২০০৯ সালে মিসরের শার্ম আল শেখে।

ইন্টারনেট গভর্নেন্স ফোরাম মূলত স্টেকহোল্ডারদের নিজেদের পারস্পরিক আলোচনা, মতামতের মাধ্যমে ঐক্যমতে পৌঁছা।

১৫-১৬ জুন, ২০১০ রাউন্ড টেবিল বৈঠকে নিচে উল্লিখিত বিষয়সমূহ নিয়ে ৬টি প্রাণবন্ত আলোচনা হয় :

Security : Cyber-Security and Network Confidence

Openness : Challenges and Criticalness of an Open Internet Culture

Access : The Digital Divide in Asia
Managing : Critical Internet Resources

Diversity : Challenges and Opportunities for- Internationalized Domain Names

Emerging Issues : Role of Civil Society in-Internet Governance

আলোচনায় অংশ নিয়ে সংসদ সদস্য ড. আকরাম হোসেন চৌধুরী আইজিএফে সংসদ সদস্যদের আরো অধিক সম্পৃক্তকরণের ওপর গুরুত্বারোপ করেন। তিনি সামাজিক-অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে ইন্টারনেটের ব্যাপক ব্যবহারের ওপর জোর দেয়ার আহবান জানান। প্রতিনিধিদলের সদস্য বিএনএনআরসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এএইচএম বজলুর রহমান দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া ও দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলসমূহের জন্য পৃথক আঞ্চলিক আইজিএফ গঠনের আহবান জানান।



বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের সাথে আইজিএফ সচিবালয়ের নির্বাহী সমন্বয়ক মারকাস কামার, APNIC-এর মহাপরিচালক পল উইলসন, হংকংয়ের প্রধান তথ্য কর্মকর্তা জেরিসি গডফেরি, ভারতের ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার অ্যাসোসিয়েশন ও সাইবার ক্যাফে অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি পৃথক পৃথক বৈঠকে মিলিত হন এবং পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।

ইন্দোনেশিয়ায় পরবর্তী এশীয়-প্রশান্ত মহাসাগরীয় আঞ্চলিক ইন্টারনেট গভর্নেন্স ফোরাম অনুষ্ঠিত হবে।

কজ ওয়েব

ফিডব্যাক : mizan010168@yahoo.com
পত্রিকায় লেখাটির পাতাগুলো
লেখাটির সহায়ক ভিডিও
চলতি সংখ্যার হাইলাইটস
অনুরূপ লেখা