• ভাষা:
  • English
  • বাংলা
হোম > লিনআক্সে ভিডিও কনফারেন্সি
লেখক পরিচিতি
লেখকের নাম: প্রকৌশলী মর্তুজা আশীষ আহমেদ
মোট লেখা:২২
লেখা সম্পর্কিত
পাবলিশ:
২০১০ - ডিসেম্বর
তথ্যসূত্র:
কমপিউটার জগৎ
লেখার ধরণ:
লিনআক্স
তথ্যসূত্র:
লিনআক্স
ভাষা:
বাংলা
স্বত্ত্ব:
কমপিউটার জগৎ
লিনআক্সে ভিডিও কনফারেন্সি

লিনআক্স নিয়ে কাজ করতে গিয়ে অনেকেই জানতে চেয়েছেন লিনআক্সে ভয়েস চ্যাট বা ভিডিও কনফারেন্সিং বিষয়ে। এ পর্বে লিনআক্সের ভিডিও কনফারেন্সিং তথা স্কাইপে চালানো নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে।



গত দুই দশকে অপারেটিং সিস্টেমের বিপ্লব ঘটেছে। বর্তমানে সব অপারেটিং সিস্টেমই গ্রাফিক্যাল ইউজার ইন্টারফেস বা GUI-ভিত্তিক। এখন গ্রাফিক্যাল আইকনভিত্তিক সফটওয়্যার ছাড়া কিছুই চিন্তা করা যায় না। আইকনভিত্তিক অপারেটিং সিস্টেম ছাড়া ভয়েস চ্যাট বা ভিডিও কনফারেন্সিং একেবারেই অসম্ভব ব্যাপার।

গ্রাফিক্যাল ইউজার ইন্টারফেসের চেয়ে কমান্ডভিত্তিক অপারেটিং সিস্টেম অনেক শক্তিশালী। কারণ, কমান্ডগুলো সরাসরি অপারেটিং সিস্টেমের সাথে সম্পর্ক তৈরি করে। আর যারা শুধু কমান্ডের ওপর ভিত্তি করে অপারেটিং সিস্টেম চালান তারা অন্যদের চেয়ে অনেক দ্রুত কাজ করতে পারেন। কিন্তু কমান্ড দিয়ে কাজ করার সবচেয়ে বড় অসুবিধা হচ্ছে, ব্যবহারকারীদের অনেক কমান্ড মনে রাখতে হয়। এজন্য শুরুতে একটু অসুবিধা হলেও পরে তারা অনেক দক্ষ হয়ে ওঠেন।

সাধারণত লিনআক্সের পুরো ভার্সনে অ্যাপ্লিকেশন সফটওয়্যার বা মিডিয়ার কোডেক দেয়া থাকে। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রেই আংশিক ভার্সনে দেয়া থাকে না। এগুলো আলাদাভাবে ডাউনলোড করে নিতে হয়। আবার তাড়াতাড়ি অপারেটিং সিস্টেম ইনস্টল করার জন্য অনেক ক্ষেত্রেই ইউজাররা কাস্টোমাইজ অপশনে না গিয়ে সরাসরি ইনস্টল দেন। লিনআক্সে ইন্টারনেট কনফিগার করার সাথে অনেকেই পরিচিত নন বলে ইন্টারনেট কনফিগার করা বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সম্ভব হয় না। তাই আলাদাভাবে কোডেক বা অ্যাপ্লিকেশন সফটওয়্যার লিনআক্স নিজে থেকে ডাউনলোড বা ইনস্টল করে নিতে পারে না। মূলত এসব কারণে লিনআক্সে গান শোনা বা ভিডিও দেখা বা মিডিয়াজনিত অনেক সমস্যা হয়। মনে রাখতে হবে, স্কাইপে চালাতে গেলে অবশ্যই আগে কোডেক সমস্যার সমাধান করতে হবে। তা না হলে লিনআক্সে স্কাইপে নিয়ে বিপদে পড়তে পারেন। এজন্য সবার আগে ঠিকমতো ইন্টারনেট কনফিগার করে নিতে হবে।

প্রথমেই আপনাকে জেনে নিতে হবে আপনার আইপি অ্যাড্রেস কত, সার্ভারের ডিফল্ট গেটওয়ে কত, ডিএনএস সার্ভারের আইপি অ্যাড্রেস কত এবং আপনার পোর্ট কত। আর যদি আপনার আইএসপি উইনস সার্ভারের আইপি ব্যবহার করে তাহলে সেটিও জেনে নিতে হবে। প্রয়োজনীয় এসব ডাটা সংগ্রহ করা হয়ে গেলে প্রথমেই দেখে নিতে হবে সিস্টেম ট্রেতে আপনার নিক (নেটওয়ার্ক ইন্টারফেস কার্ড বা ল্যান কার্ড)-এর আপলিঙ্ক ও ডাউনলিঙ্ক আইকন দেখাচ্ছে কি না। নিকের আইকনের ওপর ডান বাটন ক্লিক করে প্রথমে ল্যান ডিজ্যাবল করে নিতে হবে।



সাধারণত সিস্টেমে একাধিক ল্যান না থাকলে নিক কনফিগার করতে তেমন কোনো সমস্যা হয় না। ইন্টারনেট কনফিগার করার উপায় ইতোপূর্বে এই পত্রিকায় দেখানো হয়েছে। কিন্তু অনেকেই কনফিগার করতে পারেননি শুধু সিস্টেমে একাধিক ল্যান থাকার কারণে, বা আইএসপির অটোমেটিক আইপি ব্যবহার করার ফলে। আইএসপি যদি অটোমেটিক আইপি ব্যবহার করে, তাহলে সিস্টেমের জন্য DHCP সার্ভার সিলেক্ট করে দিতে হবে। ল্যান ডিজ্যাবল করা হয়ে গেলে নেটওয়ার্ক টুলস চালু করতে হবে।

এবারে ইন্টারনেট ব্রাউজার চালু করে মেনুবার থেকে এডিট মেনু অপশন সিলেক্ট করে অ্যাডভান্স বাটনে ক্লিক করে নেটওয়ার্ক অপশন থেকে একইভাবে সার্ভারের আইপি অ্যাড্রেস এবং পোর্ট নাম্বার দিয়ে সেভ করে বেরিয়ে আসুন। এরপর নিকের আইকন থেকে ডান বাটনে ক্লিক করে ল্যান এনাবল করে রিস্টার্ট করতে হবে। আবার সিস্টেম চালু হলে ফায়ারফক্স দিয়ে ইন্টারনেট ব্রাউজ করে দেখুন ঠিকমতো ইন্টারনেট কনফিগার করা হয়েছে কি না।

যদি একাধিক ইন্টারনেট ব্রাউজার ব্যবহার করলে আগে ইন্টারনেট সেটআপ করে তারপর ব্রাউজার ইনস্টল করাই ভালো। আগে ম্যাক স্পুফিং করে তারপর আইপি অ্যাড্রেস দিতে হবে। ইদানীং অনেক আইএসপি এমনভাবে ইন্টারনেট সেটআপ করে, যাতে কোনো আইপি অ্যাড্রেস দেবার প্রয়োজন পড়ে না। ডায়াল আপ সার্ভিসের মতো শুধু ইউজার নেম এবং পাসওয়ার্ড দিলেই ইন্টারনেট কনফিগার করা হয়ে যায়। এ ধরনের সার্ভিস দেয়া হয় DHCP সার্ভারের মাধ্যমে। এ ধরনের ইন্টারনেট কনফিগার করতে হলে সার্ভার টাইপ DHCP সিলেক্ট করে দিলেই সিস্টেম নিজে নিজেই আইপি অ্যাড্রেস ছাড়াই ইন্টারনেটে যুক্ত হবে।



সাধারণত যেকোনো সফটওয়্যারের উইন্ডোজ ভার্সনের ক্ষেত্রে একটি লিঙ্ক থেকে ডাউনলোড করে নিলেই তা মোটামুটি উইন্ডোজের সব ভার্সনেই চালানো যায়। উইন্ডোজের পুরনো ভার্সনে অনেক ক্ষেত্রে চালাতে সমস্যা হলেও প্রায় সব সফটওয়্যার উইন্ডোজের নতুন ভার্সনে চলে। লিনআক্সে কিন্তু তা নয়। লিনআক্সের অনেক ডিস্ট্রিবিউশন আছে। আলাদা আলাদা ডিস্ট্রিবিউশনের জন্য যেকোনো স্কাইপে ভার্সন ডাউনলোড করলে তা সিস্টেমে চালানো যাবে না। প্রত্যেকটি লিনআক্স আলাদা ধরনের। এ কথা ভুলে গেলে চলবে না। তাই যে ডিস্ট্রিবিউশনের লিনআক্স সিস্টেমে ব্যবহার করা হচ্ছে, সেই ডিস্ট্রিবিউশনের স্কাইপে ভার্সন ডাউনলোড করতে হবে। যেসব লিনআক্স বেশ জনপ্রিয় তার বেশিরভাগই সাপোর্ট দিচ্ছে স্কাইপে। অবশ্য কিছু কিছু ডিস্ট্রিভিউশনের লিনআক্সের জন্য এখনও স্কাইপে সাপোর্ট দিচ্ছে না। এক্ষেত্রে ভবিষ্যতের জন্য অপেক্ষা করা ছাড়া উপায় নেই। আশার কথা হচ্ছে, জনপ্রিয় লিনআক্স ডিস্ট্রিবিউশনের মধ্যে ফেডোরা/রেডহ্যাট, ম্যান্ড্রিভা, সুসে, উবুমন্তু, কেন্টওএস, ডেবিয়ান প্রভৃতি লিনআক্সের সাপোর্ট স্কাইপে এখন দিচ্ছে।

ইন্টারনেটে যুক্ত হয়ে গেলে skype.com/ download/skype/linux/ সাইটটি ভিজিট করে স্কাইপে ডাউনলোড করে নিন। এক্ষেত্রে যে ডিস্ট্রিবিউশন সিস্টেমে চালানো হয় সেই ডিস্ট্রিবিউশন অনুযায়ী ডাউনলোড করে নিতে হবে। ইনস্টল করে নিলেই সিস্টেমে স্কাইপে চালাতে পারবেন।

ইনস্টল করার সময় সিস্টেমে কনসোল ইনস্টল করা থাকতে হবে। এগুলো স্কাইপে ইনস্টল করার সময় নিজে থেকেই ইনস্টলার ডাউনলোড করে নেবে। অন্যথা হলে ম্যানুয়ালি সিস্টেমে ডাউনলোড করে ইনস্টল করে তারপর স্কাইপে ইনস্টল করতে হবে। আর কোনো কারণে ইনস্টল করা না গেলে ভিজিট করুন support.skype.com সাইটটি। এখান থেকে স্কাইপেজনিত সব সমস্যার সমাধান দেয়া হয়। লক্ষণীয়, স্কাইপে চালানোর জন্য স্কাইপের সদস্য হতে হয়।


কজ ওয়েব

ফিডব্যাক : mortuzacsepm@yahoo.com
পত্রিকায় লেখাটির পাতাগুলো
লেখাটি পিডিএফ ফর্মেটে ডাউনলোড করুন
লেখাটির সহায়ক ভিডিও
চলতি সংখ্যার হাইলাইটস