• ভাষা:
  • English
  • বাংলা
হোম > ৩য় মত
লেখক পরিচিতি
লেখকের নাম: কজ
মোট লেখা:১০৪১
লেখা সম্পর্কিত
পাবলিশ:
২০১১ - ফেব্রুয়ারী
তথ্যসূত্র:
কমপিউটার জগৎ
লেখার ধরণ:
মতামত
তথ্যসূত্র:
৩য় মত
ভাষা:
বাংলা
স্বত্ত্ব:
কমপিউটার জগৎ
৩য় মত



চাই যুগোপযোগী সচেতনতা

ডিজিটাল বাংলাদেশ-ভিশন ২০২১, যা অতি পরিচিত একটি পদবাচ্য। এর মূল লক্ষ্য প্রযুক্তির আলোয় গোটা দেশকে আলোকিত করা। এর জন্য সবার আগে প্রয়োজন প্রযুক্তিসচেতন দক্ষ জনবল তৈরি। এ কাজটি কখনই কোনো সরকার, ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের একার পক্ষে সম্ভব নয়। এর জন্য প্রয়োজন আমার, আপনার সবার সম্মিলিত প্রয়াস। প্রযুক্তিনির্ভর সব বিষয়ই প্রতিদিন পাচ্ছে নিত্যনতুন ও ভিন্নমাত্রার বৈশিষ্ট্যের নতুনত্ব, সেখানে আমাদের এখনো নতুন বৈশিষ্ট্যযুক্ত প্রযুক্তি পণ্যটির প্রতি তৎক্ষণাৎ ধারণা পাওয়া সম্ভব নয়।

আমাদের দেশের মুদ্রণ গণমাধ্যমের কয়েকটি আইটি ম্যাগাজিন থেকে সাধারণত আমরা একটা ধারণা পেয়ে থাকি। কিন্তু হাতেকলমে বা বাস্তসম্মতভাবে কিছুটা দূরেই থাকি। কমপিউটার জগৎ আগস্ট ২০১০ সংখ্যায় কমপিউটার জগতের খবর বিভাগে প্রকাশিত হয় একটি খবর ‘গিগাবাইট রোড শো’, যা পরিচালিত হয় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মাঝে ইউএসবি ৩.০যুক্ত মাদারবোর্ডের পরিচিতি বাড়ানোর লক্ষ্যে। এ ধরনের বেশ কিছু উদ্যোগই পারে জনমনে সময়োপযোগী সঠিক ধারণা দিতে। তবে একজন প্রযুক্তিসচেতন নাগরিক হিসেবে আমি মনে করি, এ ধরনের রোড শো শুধু বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় বা কমপিউটার বিজ্ঞানের শিক্ষার্থীদের মাঝেই নয়, ছড়িয়ে দিতে হবে সব ধরনের শিক্ষার্থীদের মাঝে। আগ্রহ সৃষ্টি করতে হবে সব শ্রেণী-পেশার মানুষের মাঝে। ভুলে গেলে চলবে না, প্রযুক্তি অচেতন বা অদক্ষ মানুষ নিয়ে ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ গড়া যাবে না, এর জন্য প্রয়োজন সচেতনতা ও দক্ষতা। যার একটি উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত আজও জ্বলজ্বল করছে আমাদের সামনে নববুইয়ের দশকের কমপিউটার জগৎ-এর প্রাণপুরুষ এবং বাংলাদেশের জনমনে প্রযুক্তি সচেতনতা সৃষ্টির অন্যতম এক কর্ণধার অধ্যাপক মরহুম আবদুল কাদের। যিনি কমপিউটার সম্বন্ধে সচেতনতা সৃষ্টির জন্য কমপিউটার নিয়ে ছুটে গিয়েছিলেন প্রত্যন্ত অঞ্চলে। নদীর ওপারে কমপিউটার নিয়ে গিয়েছিলেন প্রযুক্তির আলো ছড়াতে। আজকে আমাদের সম্মিলিত প্রয়াসে এই কাজটি করা অনেক সহজ। সেই অনুপ্রেরণায় অনুপ্রাণিত হয়ে রোড শো বা প্রযুক্তির আলো ছড়ানোর উদ্যোক্তারা নতুন উদ্যমে সবার মাঝে প্রযুক্তির সঠিক আলো ছড়িয়ে দিতে যদি এগিয়ে আসে, তবেই ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার ক্ষেত্রে আরো একধাপ এগিয়ে যেতে পারব। সবশেষে বসন্তের নতুন রঙে প্রকৃতি সাজুক এবং প্রযুক্তির আলোয় একইভাবে সাজুক আমাদের নতুন বছর। সবশেষে কমপিউটার জগৎ-এর সব কলাকুশলী ও পাঠককে বসন্তের শুভেচ্ছা।

শুভ, রামপুরা, ঢাকা

............................................................................................................

গার্টনারের রিপোর্ট ও কিছু প্রাসঙ্গিক কথা

সম্প্রতি বিশ্বের শীর্ষ আইটি গবেষণা ও পরামর্শক প্রতিষ্ঠান গার্টনারের প্রকাশিত সমীক্ষা ও রিপোর্টে বাংলাদেশকে বিশ্বের প্রথম ৩০টি আইটি আউটসোসিংর্ দেশ হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। বাংলাদেশ এই প্রথমবারের মতো বিশ্বখ্যাত কোনো আইটি গবেষণা প্রতিষ্ঠানের শীর্ষ কোনো আউটসোর্সিং র্যাং কিংয়ে অন্তর্ভুক্ত হলো। এটা আমাদের দেশের জন্য এক বড় ধরনের অর্জন বলা যেতে পারে।

গত বছর বেসিস আয়োজিত সফটওয়্যার মেলায় ও আইসিটি ব্যক্তিত্বরা তাদের বক্তব্যে বলেছিলেন বহির্বিশ্বে বাংলাদেশের ব্র্যান্ডিং ইমেজ না থাকায় তারা তেমন সাড়া পাচ্ছেন না, যার ফলে বিদেশীরা সফটওয়্যার খাতে এদেশে বিনিয়োগ করতে উৎসাহী হচ্ছে না। বাংলাদেশে ব্র্যান্ডিং ইমেজের চেষ্টা করা হচ্ছে, কিন্তু তেমন সাড়া না পাওয়ায় আমরা সফটওয়্যার ইন্ডাস্ট্রিতে যথেষ্ট পিছিয়ে পড়ছি।

আইসিটি খাতে বিভিন্ন ক্ষেত্রের ওপর পরিচালিত গবেষণা কার্যক্রমে গার্টনার জগৎখ্যাত এবং তাদের প্রকাশিত রিপোর্টের প্রতি সবাই আস্থাশীল। সুতরাং তাদের প্রকাশিত এই রিপোর্ট কাজে লাগিয়ে বাংলাদেশ সরকার ও আইসিটি খাতের সফটওয়্যার ইন্ডাস্ট্রির ব্যবসায়ী সংগঠন বেসিস যদি কার্যকর পদক্ষেপ নিয়ে এগিয়ে আসে তাহলে বাংলাদেশের সফটওয়্যার ইন্ডাস্ট্রি আরো এগিয়ে যেতে পারবে বলে আমার দৃঢ়বিশ্বাস।

কিন্তু লক্ষণীয়, আমরা খুব স্বল্পতেই আত্মতৃপ্তি বোধ করি এবং গাছাড়া ভাব নিয়ে অনেক সময় নির্বিকার থাকি। এক্ষেত্রে যদি সে ধরনের কিছু ঘটে তাহলে সফটওয়্যার শিল্পে নিজেদের অবস্থান উন্নতি করতে যেমন ব্যর্থ হবো, তেমনি ব্র্যান্ডিং ইমেজ সৃষ্টিতেও পুরোপুরি ব্যর্থ হবো। সুতরাং সরকারসহ বেসিসকে এজন্য আরো তৎপর হতে হবে।

সমর বাবু, আজিমপুর, ঢাকা

............................................................................................................

নারীদের নতুন সংগঠন বিডব্লিউআইটির সাফল্য কামনা করি

বাংলাদেশ জনসংখ্যার দিক থেকে বিশ্বের অষ্টম বৃহত্তম দেশ। ক্ষুদ্র ভূ-খন্ডের এ দেশটিতে প্রতি বর্গকিলোমিটারে বসবাস করে হাজার দেড়েক মানুষ। এখানে জনসংখ্যার আধিক্যের সাথে রয়েছে মাত্রাতিরিক্ত রাজনৈতিক দল ও বিভিন্ন সংগঠন। মাত্রাতিরিক্ত রাজনৈতিক দল ও সংগঠন ব্যাঙের ছাতার মতো দেশের আনাচে-কানাচে গছিয়ে উঠেছে জনগণের বৃহত্তর কল্যাণের স্বার্থেই বলা হয়ে থাকে। আসলে তা কতটুকু সত্য বা যৌক্তিক তা এদেশের ভুক্তভোগী জনগণই জানেন বললে কমই বলা হবে। বরং বলা যায়, মাত্রাতিরিক্ত রাজনৈতিক দল ও সংগঠনের তথাকথিত কল্যাণের যাঁতাকলে এ ক্ষুদ্র ভূ-খন্ডের বিশাল জনগোষ্ঠি নিদারুণভাবে নিষ্পেষিত হচ্ছে। সুতরাং এমন এক অবস্থায় আরেকটি সংগঠনের আত্মপ্রকাশ অনেকের মনে সংশয় সৃষ্টি করলেও প্রযুক্তিপ্রেমীদের কাছে হয়তো কিছুটা আশার আলো দেখাবে।

আগেই উল্লেখ করেছি, বাংলাদেশের বিভিন্ন খাতে নানা ধরনের সংগঠন যেমন রয়েছে, তেমনি সমানতালে রয়েছে নারীদের জন্যও বিভিন্ন সংগঠন, যারা নারীদের বিভিন্ন সমস্যার সমাধান বা দাবি আদায়ে সোচ্চার। কিন্তু আইসিটি খাতে বাংলাদেশে যেসব নারী কাজ করছেন, আইসিটি খাতে যে নারীরা অবদান রাখছেন সে সম্পর্কে আমাদের দেশের মানুষের তেমন কোনো ধারণা নেই।

আমরা আশা করব, বাংলাদেশের নারীদের এই নতুন সংগঠনটি গতানুগতিক ধারা থেকে বেরিয়ে এক নতুন দৃষ্টান্ত সৃষ্টি করবে, যা এ সেক্টরে কর্মরত নারীদের প্রেরণা যোগাবে, উৎসাহ দেবে আইসিটি খাতে নারীদের জোরালো ভূমিকা রাখার ক্ষেত্রে। পরিশেষে বিডব্লিউআইটির সাফল্য কামনা করি।

রেহানা পারভীন, মিরপুর, ঢাকা


কজ ওয়েব
পত্রিকায় লেখাটির পাতাগুলো
লেখাটি পিডিএফ ফর্মেটে ডাউনলোড করুন
লেখাটির সহায়ক ভিডিও
চলতি সংখ্যার হাইলাইটস