• ভাষা:
  • English
  • বাংলা
হোম > স্বপ্নের সোনার বাংলা এবং ডিজিটাল বাংলাদেশ
লেখক পরিচিতি
লেখকের নাম: এম. লুৎফর রহমান
মোট লেখা:১
লেখা সম্পর্কিত
পাবলিশ:
২০১১ - এপ্রিল
তথ্যসূত্র:
কমপিউটার জগৎ
লেখার ধরণ:
ফিচার
তথ্যসূত্র:
প্রচ্ছদ প্রতিবেদন ৩
ভাষা:
বাংলা
স্বত্ত্ব:
কমপিউটার জগৎ
স্বপ্নের সোনার বাংলা এবং ডিজিটাল বাংলাদেশ



‘আমার সোনার বাংলা, আমি তোমায় ভালোবাসি’। কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত আমাদের জাতীয় সঙ্গীতের প্রথম চরণ আমাদের মনে কী উপলব্ধি নিয়ে আসে? জাতীয় সঙ্গীতের পরবর্তী চরণসমূহে তার আভাস পাওয়া যায়। কবি মায়া-মমতায় ভরা এমন এক দেশের কথা লিখেছেন, যে দেশের ভাষা, দৃশ্য, পরিবেশ, আকাশ, বাতাস প্রভৃতি মনে প্রশান্তি নিয়ে আসে। অভাব-অনটন নেই এমন এক শান্তির দেশ কবির কাব্যে। অভাব-অনটন, অন্যায়-অত্যাচার নেই এমন শান্তির দেশ কি আমরা পেয়েছি? কবি লিখিছেন-‘মা, তোর বদনখানি মলিন হলে, ও মা আমি নয়ন জলে ভাসি’। আমরা বাংলার মলিন মুখ দেখতে চাই না, আমরা সোনার বাংলা চাই।

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সোনার বাংলার স্বপ্ন দেখতেন। তিনি আমাদেরকে সোনার বাংলার স্বপ্ন দেখিয়েছেন। ধন ধান্যে পুষ্পে ভরা এমন এক শান্তিময় দেশের স্বপ্ন দেখিয়েছেন, যেখানে থাকবে না কোনো অভাব-অনটন, থাকবে না কোনো অন্যায়-অবিচার। লক্ষ প্রাণের বিনিময়ে আমরা স্বাধীনতা পেয়েছি, কিন্তু আমরা কি স্বপ্নের সোনার বাংলা পেয়েছি? সোনার বাংলা অর্জনের জন্য আমাদের সংগ্রাম এখনও শেষ হয়নি, স্বপ্নের সোনার বাংলা অর্জনের জন্য আমাদের আরও সংগ্রাম করতে হবে, আরও অনেক পথ হাঁটতে হবে এবং আরও অনেক দূর এগিয়ে যেতে হবে।

এ পথচলায় কমপিউটার জগৎ আমাদের দীর্ঘদিনের সাথী। বর্তমান যুগে উন্নয়নের মূলে রয়েছে তথ্যপ্রযুক্তির বহুল ব্যবহার। কমপিউটার জগৎ গত বিশ বছর ধরে তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার নিয়ে দিকনির্দেশনা দিয়ে এসেছে। স্বপ্নের সোনার বাংলা রূপায়ণে কমপিউটার জগৎ-এর এ প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকলে দেশ উপকৃত হবে।

স্বপ্নের সোনার বাংলা

আমরা স্বপ্ন দেখি। স্বপ্ন দেখি আমাদের ভবিষ্যৎকে নিয়ে। স্বপ্ন দেখি আমাদের দেশকে নিয়ে। কেমন হবে আমাদের সোনার বাংলা, কেমন হবে আমাদের ভবিষ্যতের বাংলাদেশ? আমাদের দেশ একটি কৃষিপ্রধান দেশ, কেমন হবে আগামী দিনের কৃষি ও কৃষক? শিক্ষা জাতির মেরুদন্ড, সেই শিক্ষা নিয়ে চলছে নানারকম পরীক্ষা-নিরীক্ষা, তাহলে কেমন শিক্ষা চাই সোনার বাংলায়? স্বাস্থ্যই সকল সুখের মূল, তাহলে কেমন হবে আমাদের স্বাস্থ্য এবং কেমন হবে স্বপ্নের চিকিৎসা ব্যবস্থা, কেমন হবে স্বপ্নের বাসস্থান, পরিবহন ও যোগাযোগ ব্যবস্থা? ব্যবসায় বাণিজ্য, ধর্ম, রাজনীতি, বিনোদন কোনোটাই বাদ দেয়ার নয়। আমরা স্বপ্ন দেখি সবকিছু নিয়ে, আমরা স্বপ্ন দেখি সোনার বাংলার।

কৃষিপ্রধান দেশে কৃষি ও কৃষক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, বাংলাদেশ এর ব্যতিক্রম নয়। স্বপ্নের বাংলাদেশে কিষান-কিষানীরা হবেন সুশিক্ষায় শিক্ষিত। বীজ বপন হতে শুরু করে ফসলের পরিচর্চা, জলসেচ, ফসল সংরক্ষণ, বিপণন প্রভৃতি বিষয়ে একেকজন কৃষক হবেন একেকজন বিশেষজ্ঞ। অত্যাধুনিক কৃষি যন্ত্রপাতি, কৃষি আবহাওয়া, পরিবেশবান্ধব বালাই দমন, পরিবেশবান্ধব উর্বরতা প্রভৃতি থাকবে তাদের নখদর্পণে। কৃষকরা হবেন সোনার বাংলার গর্বের ধন। সুশিক্ষিত, নম্র, ভদ্র, সচেতন ও রুচিবান কৃষকরা হবেন সোনার বাংলার গৌরব।

সোনার বাংলার খাল-বিল, নদী-নালা, পুকুর-জলাশয় থাকবে অত্যন্ত সুন্দরভাবে সংরক্ষিত। এসব জলাধার হবে জমিতে সেচের জল সরবরাহসহ পানীয়জলের অন্যতম উৎস। থাকবে প্রাকৃতিক বনায়নের মাধ্যমে নৈসর্গিক সৌন্দর্য। সোনার বাংলা হবে একটি প্রাকৃতিক উদ্যান। স্বপ্নের সোনার বাংলার অধিবাসীরা হবেন অত্যন্ত সুখী ও পরিতৃপ্ত।

স্বপ্নের দেশের সবাই হবেন সুশিক্ষিত। দেশব্যাপী ছড়িয়ে থাকা উন্নতমানের স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা, বিশ্ববিদ্যালয়সহ সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিচালিত হবে সুশৃঙ্খলভাবে। স্বপ্নের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান যেনো বাগান ও সবুজের সমারোহে সুসজ্জিত একেকটি উদ্যান; পরিচ্ছন্নতা ও পরিপাটি পরিবেশ যেনো হাতছানি দেয় শিক্ষক ও শিক্ষার্থীকে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান যেনো শান্তির আলয়, তা নাহলে কি প্রকৃত শিক্ষা সম্ভব? সোনার বাংলায় জীবনমুখী শিক্ষাসহ শেখানো হয় তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম ও নৈতিকতা। তাই অন্যায়, অত্যাচার, বিশৃঙ্খলা, অশান্তি থাকবে না সোনার বাংলায়। এখানে সবাই হবেন সুশিক্ষিত, শিক্ষার হার হবে শতভাগ।

অত্যন্ত পরিচ্ছন্ন ও পরিপাটি সোনার বাংলার অধিবাসীরা হবেন সুস্থ ও স্বাস্থ্যবান। সারাদেশে ছড়িয়ে থাকবে বিভিন্ন ধরনের হাসপাতাল ও স্বাস্থ্যকেন্দ্র। এসব প্রতিষ্ঠানে থাকবেন সুশিক্ষিত ডাক্তার ও নার্স। স্বাস্থ্যকেন্দ্র থেকে বৃদ্ধ, অসুস্থ এবং মা ও শিশুদের নিয়মিত খোঁজ-খবর নেয়া হবে। আধুনিক চিকিৎসা সরঞ্জামে সমৃদ্ধ সোনার বাংলার মানুষকে চিকিৎসার জন্য বিদেশ যাওয়ার প্রয়োজন হবে না। বরং বিদেশীরা চিকিৎসা ও শিক্ষার জন্য আসবেন স্বপ্নের সোনার বাংলায়, এই বাংলাদেশে। শিক্ষা ও চিকিৎসায় সমৃদ্ধ সোনার বাংলায় থাকবে না জনসংখ্যা বাড়ার সমস্যা। স্বপ্নের সোনার বাংলায় জনসংখ্যা বাড়ার হার শতকরা শূন্যভাগ।

দেশের গ্রাম-শহর-নগর সবখানে মোবাইল ফোন ও মোবাইল ইন্টারনেট হবে যোগাযোগের মাধ্যম। স্বপ্নের দেশে প্রতিটি বাড়িতে, প্রতিটি প্রতিষ্ঠানে থাকবে ব্র্যডব্যান্ড ইন্টারনেট সংযোগ। একসময় এসব সুযোগ-সুবিধার জন্য বিভিন্ন ধরনের তথ্যকেন্দ্রে যেতে হলেও সোনার বাংলায় এর প্রয়োজন হবে না। ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের মাধ্যমে বাড়িতে বসে এখন তথ্য আহরণ করেন সবাই। বিভিন্ন ধরনের সোস্যাল নেটওয়ার্কিংয়ের মাধ্যমে দেশে-বিদেশে সংযোগ রাখেন স্বপ্নের সোনার বাংলার অধিবাসীরা।

স্বপ্নের সোনার বাংলার রাজনীতি দেখলে আশ্চর্য না হয়ে উপায় নেই। এখানের রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ হবেন সুশিক্ষিত, মার্জিত এবং রুচিবান। নির্বাচনে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার রেকর্ড থাকবে না স্বপ্নের সোনার বাংলায়। চুরি-ডাকাতি, অন্যায়-অত্যাচার, চাঁদাবাজি-রাহাজানি ইত্যাদি দেখা যাবে না স্বপ্নের সোনার বাংলায়। গণতন্ত্রমনা রাজনীতিবিদদের কারণেই সম্ভব এত উন্নত, এত সুশৃঙ্খল রাজনৈতিক পরিবেশ। বলতে দ্বিধা নেই, এ অর্জনের কৃতিত্ব প্রতিটি নাগরিকের। স্বপ্নের সোনার বাংলা এতটাই সুন্দর, এতটাই উন্নত এবং এতটাই সুশঙ্খল যে, তা বর্ণনা করে শেষ করা সম্ভব নয়। আমরা কি পারি না সোনার বাংলা বাস্তবায়ন করতে?

সোনার বাংলা ও তথ্যপ্রযুক্তি

বাংলাদেশের স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছর পূর্তি হবে ২০২১ সালে। অনেক ত্যাগ-তিতিক্ষা ও লক্ষ প্রাণের বিনিময়ে অর্জিত বাংলাদেশের অবস্থা কেমন হবে ২০২১ সালে? জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলার স্বপ্ন কি স্বপ্নই থাকবে, না বাস্তব রূপ লাভ করবে? তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তির বহুমুখী ব্যবহারের মাধ্যমে ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে মাঝারি আয়ের দেশে এবং আগামী ত্রিশ বছরের মধ্যে উন্নত দেশে পরিণত করার লক্ষ্য স্থির করেছে বাংলাদেশ সরকার। এজন্য সরকার জাতীয় তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি নীতিমালা ২০০৯ গ্রহণ করেছে। এই নীতিমালার সঠিক বাস্তবায়নের জন্য প্রণয়ন করা হয়েছে ‘রূপকল্প ২০২১ : ডিজিটাল বাংলাদেশ’।

এই রূপকল্পে রয়েছে ১০টি উদ্দেশ্য, ৫৬টি কৌশলগত বিষয়বস্ত্ত এবং ৩০৬টি করণীয় বিষয়। করণীয় বিষয়সমূহ স্বল্পমেয়াদী, মধ্যমেয়াদী এবং দীর্ঘমেয়াদী এই তিনটি মেয়াদে ভাগ করা হয়েছে।

বর্তমান সভ্যতা ডিজিটালপ্রযুক্তির ওপর নির্ভরশীল এবং রূপকল্প ২০২১-এর সাথে রয়েছে ডিজিটাল বাংলাদেশের নিবিড় সম্পর্ক। ডিজিটাল যন্ত্রপাতির ব্যবহার বাড়িয়ে দেশকে উন্নতির শিখরে নেয়াই রূপকল্প ২০২১-এর প্রধান লক্ষ্য। ২০২১ সালের বাংলাদেশ হবে ক্ষুধামুক্ত, দারিদ্র্যমুক্ত, দুর্নীতিমুক্ত, সুশিক্ষিত, সুদক্ষ এবং সমৃদ্ধিশালী স্বপ্নের সোনার বাংলা।

ডিজিটাল বাংলাদেশ এবং তথ্যপ্রযুক্তি সেবা

আগামী দিনের বাংলাদেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি বিষয় হলো : ই-গভর্নেন্স, ই-কমার্স, ই-এডুকেশন, ই-মেডিসিন, ই-অ্যাগ্রিকালচার, অর্থাৎ তথ্যপ্রযুক্তিনির্ভর প্রশাসন, ব্যবসায় বাণিজ্য, শিক্ষা, কৃষি, চিকিৎসা ইত্যাদি। এসব প্রযুক্তির ব্যবহার ছাড়া ২০২১ সালের মধ্যে দেশকে মাঝারি আয়ের দেশে পরিণত করা সম্ভব হবে না।

সরকারি এবং অন্যান্য সেবা জনসাধারণের কাছে দ্রুত পৌঁছে দেয়ার জন্য প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ অফিস ও প্রতিষ্ঠানে উপযুক্ত জনবল ও যন্ত্রপাতি সজ্জিত তথ্যকেন্দ্র থাকতে হবে। মোবাইল ফোন, এসএমএস, ই-মেইল ও ইন্টারনেটের মাধ্যমে এসব কেন্দ্র থেকে রাষ্ট্রীয় এবং অন্যান্য সেবা জনসাধারণের কাছে পৌঁছে দেয়া হবে। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, একজন কৃষক মোবাইল ফোনে কথা বলে, এসএমএস করে অথবা ই-মেইলের মাধ্যমে ফসলের বালাই অথবা কৃষি আবহাওয়া সম্পর্কে বিশেষজ্ঞ পরামর্শ নিতে পারেন। এভাবে সেবা দেয়ার জন্য থাকবে নির্ভরযোগ্য কৃষি তথ্যকেন্দ্র, চিকিৎসা তথ্যকেন্দ্র, কর তথ্যকেন্দ্র, শিক্ষা তথ্যকেন্দ্র, আবহাওয়া তথ্যকেন্দ্র, পরিবহন তথ্যকেন্দ্র এবং এ ধরনের আরও তথ্যকেন্দ্র।

স্বপ্নের বাস্তবায়ন

আমরা কী পারব স্বাধীনতার সুবর্ণজয়মত্মীতে অর্থাৎ ২০২১ সালে স্বপ্নের সোনার বাংলার বাস্তব রূপ দেখতে। গত চার দশকের অতীত অভিজ্ঞতা থেকে আমরা কী দেখি? এ দেশ সম্পর্কে অতীতের অসংখ্য ঋণাত্মক ভবিষ্যদ্বাণীকে মিথ্যা প্রমাণিত করে, অনেক বাধা-বিপত্তি অতিক্রম করে আমরা এগিয়ে চলেছি। অতীতের অর্জন পর্যালোচনা করে দেখা যায়, ২০২১ সালে ধন ধান্যে পুষ্পে ভরা সমৃদ্ধিশালী স্বপ্নের সোনার বাংলা বাস্তবায়ন সম্ভব। তবে এ যাত্রা সহজ হবে না, এজন্য অত্যন্ত সতর্কতার সাথে পরিশ্রম করতে হবে।

সরকারি-বেসরকারি খাতের অংশীদারিত্বে একটি স্বচ্ছ, দায়বদ্ধ ও জবাবদিহিমূলক সরকার প্রতিষ্ঠা ডিজিটাল বাংলাদেশের উদ্দেশ্য। তথ্যপ্রযুক্তির অপার সম্ভাবনাকে কাজে লাগিয়ে স্বপ্নের সোনার বাংলায় ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নের মাধ্যমে সামাজিক ও অর্থনৈতিক মুক্তি অর্জনের জন্য জাতীয় তথ্যপ্রযুক্তি নীতিমালা অনুযায়ী বিশাল তথ্যপ্রযুক্তি জনবল প্রয়োজন। শুধু প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার মাধ্যমে ২০২১ সালের মধ্যে এই জনবল সৃষ্টি করা সম্ভব নয়। প্রয়োজন হবে অপ্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার মাধ্যমে দেশের জনসাধারণকে তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ে সাক্ষরতা দানের ব্যবস্থা গ্রহণ। এছাড়া বিশাল তথ্যপ্রযুক্তি অবকাঠামোনির্ভর ডিজিটাল বাংলাদেশের জন্য প্রয়োজন হবে তথ্যপ্রযুক্তি ক্যাডার সার্ভিস।

লেখক : ড. এম. লুৎফর রহমান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কমপিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগের অধ্যাপক


কজ ওয়েব
পত্রিকায় লেখাটির পাতাগুলো
লেখাটি পিডিএফ ফর্মেটে ডাউনলোড করুন
লেখাটির সহায়ক ভিডিও
চলতি সংখ্যার হাইলাইটস
অনুরূপ লেখা