• ভাষা:
  • English
  • বাংলা
হোম > ওয়ার্ল্ডশিফট
লেখক পরিচিতি
লেখকের নাম: কজ
মোট লেখা:১০৪১
লেখা সম্পর্কিত
পাবলিশ:
২০১১ - সেপ্টেম্বর
তথ্যসূত্র:
কমপিউটার জগৎ
লেখার ধরণ:
গেম
তথ্যসূত্র:
গেমের জগৎ
ভাষা:
বাংলা
স্বত্ত্ব:
কমপিউটার জগৎ
ওয়ার্ল্ডশিফট
বাজারে অনেকদিন ধরেই ভালো কোনো স্ট্র্যাটেজির দেখা মেলে না। পুরনো দিনের স্ট্র্যাটেজি গেমগুলো খেলার যে আনন্দ ছিলো এবং রোমাঞ্চকর গেমপ্লে ছিলো তা এখন জমকালো গ্রাফিক্সের আড়ালে হারাতে বসেছে। গেমপ্লে আরো আকর্ষনীয় করার বদলে গেম ডেভেলপাররা গেমের গ্রাফিক্স আকর্ষনীয় করে তোলার দিকে বেশি মনোযোগী হয়ে উঠছেন। স্ট্রাটেজি এবং একই সাথে একটি রোল প্লেয়িং গেম হিসেবে বেশ ভালোমানের একটি গেম হচ্ছে ওয়ার্ল্ডশিফট। গেমটির গ্রাফিক্স এখনকার গেমের তুলনায় আহামরি গোছের নয় তবে খারাপও বলা যাবে না। গেমটি খেলার ধাঁচ বেশ ভালো ও কিছুটা ভিন্নধর্মী। এ গেমের সাথে ওয়ার অব ডওনুওয়্যার হ্যামার ৪০০০০ সিরিজের গেমের বেশ মিল রয়েছে। গেমটি ডেভেলপ করেছে ব্ল্যাক সি স্টুডিওস। স্টুডিওটির আরেক নাম ক্রাইটেক ব্ল্যাক সি যা নামকরা নাইটস অব অনার সিরিজের নির্মাতা। গেমটি পাবলিশ হয়েছে কয়েকটি কোম্পানি থেকে এগুলো হচ্ছে- প্লেওলজিক ইন্টারন্যাশনাল, এফএক্স ইন্টার-অ্যাকটিভ, একেলা, ব্ল্যাক্স সি স্টুডিও এবং ব্ল্যাক ইঙ্ক। গেমটি সায়েন্সফিকশন ও ফ্যান্টাসি সমন্বয়ে বানানো এক অসাধারণ গেম। গেমটিকে ট্যাকটিক্যাল রোল প্লেয়িং গেম হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়েছে। এটি সিঙ্গেল প্লেয়ার ও মাল্টিপ্লেয়ার উভয় মোডেই খেলার ব্যবস্থা আছে। গেমটি শুধু উইন্ডোজ প্লাটফমের্র জন্য বের করা হয়েছে, এর কোনো কনসোল ভার্সন এখনো বাজারে আসেনি।



গেমের প্রাথমিক পটভূমি হচ্ছে একুশ শতক। সে সময়ে পৃথবীর বুকে নেমে আসবে রহস্যময় এক বস্তু যার আঘাতে ধ্বংস হয়ে যাবে সব সভ্যতা। সেই ঘটনার হাজার বছর পরের ঘটনা নিএয়ি গেমের কাহিনী গড়ে উঠেছে। সেখানে দেখানো হয়েছে মানব সভ্যতা বিলুপ্তির পথে। কারণ শার্ড জিরো নামের সে রহস্যময় বস্তু থেকে ছড়ানো প্লেগ রোগে আক্রান্ত হয়ে মানুষেরা দিন দিন সংখ্যায় কমে যাচ্ছে। তারা ধুকে ধুকে এ রোগের সাথে সংগ্রাম করে টিকে আছে। তারা পৃথিবীর বুকে পাঁচটি আলাদা মেগা-সিটি বানিয়ে সেখানে বসবাস করে। গেমে আরেকটি জাতি রয়েছে যার নাম ট্রাইব, তারা প্লেগ রোগ দ্বারা আক্রান্ত হয় না এবং তাদের আছে জাদুশক্তি। তারা বাস করে ঘন জঙ্গলে। মানব ও ট্রাইব এ দু জাতির মাঝে হঠাৎ করে আবির্ভূত হয়ে তৃতীয় আরেক জাতি যার নাম কাল্ট। এ জাতি কোথা থেকে এসেছে কি তাদের পরিচয় কিছু বলা হয়নি গেমে। গেমের ক্যামেরা মুভমেন্ট বেশ ভালোভাবে নিয়ন্ত্রণ করা যায়, গেমারের ইচ্ছামতো তা সেট করে নেয়া যাবে। গেমে বৃষ্টির সাথে সাথে বিজলি চমকে উঠার ব্যাপারটির সাথে বেশ সুন্দর একটি দৃশ্য ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। বিজলি চমকে উঠার সাথে চোখ ধাধিয়ে যাবে এবং গেমের স্ক্রিন সাদাকালো হয়ে যাবে। গেমে মানুষেরা আমর্র স্যুট ও আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে লড়াই করবে। দুটি জাতির কাজ হবে কাল্টদের নির্মূল করা। আবার অনেক্সময় মানুষ ও ট্রাইব মুখোমুখি হলে তাদের মাঝেও বাধবে বিবাদ। মানব জাতির আক্রমণ শক্তিশালী যা শত্রুপক্ষে নিমেষে ধরাশায় করতে পারে। কিন্তু ট্রাইবরা ডিফেসিভ প্লেয়ার তাদের রয়েছে হিলিং পাওয়ার ও দ্রুততা। কালটরা সামনাসামনি লড়াইয়ে ভালো এবং কিছুটা ধীরগতির।

গেমটি চালাতে লাগবে সিঙ্গেল কোরের ২ গিগাহার্টজের প্রসেসর, ৫১২ মেগাবাইট র্যালম, পিক্সেল শেডার ২.০ সাপোর্টেড ১২৮ মেগাবাইট মেমরির গ্রাফিক্স কার্ড (এনভিডিয়া জিফোর্স ৫৮০০ বা এটিআই রাডেওন ৯৬০০) ও ৩ গিগাবাইট হার্ডডিস্ক স্পেস। ভালোভাবে চালাতে চাইলে ডুয়াল কোরের প্রসেসর, ১ গিগাবাইট র্যা ম ও ২৫৬ মেগাবাইট মেমরির পিক্সেল শেডার ৩.০ সাপোর্টেড গেম হলেই হবে।
পত্রিকায় লেখাটির পাতাগুলো
লেখাটি পিডিএফ ফর্মেটে ডাউনলোড করুন
লেখাটির সহায়ক ভিডিও
চলতি সংখ্যার হাইলাইটস