• ভাষা:
  • English
  • বাংলা
হোম > ৩য় মত
লেখক পরিচিতি
লেখকের নাম: কজ
মোট লেখা:১০৪১
লেখা সম্পর্কিত
পাবলিশ:
২০১৩ - জুলাই
তথ্যসূত্র:
কমপিউটার জগৎ
লেখার ধরণ:
মতামত
তথ্যসূত্র:
৩য় মত
ভাষা:
বাংলা
স্বত্ত্ব:
কমপিউটার জগৎ
৩য় মত

অনলাইনে একাদশ শ্রেণীর ভর্তি কার্যক্রমে আরও উদ্যোগী হওয়া দরকার

ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয় ঘোষিত হওয়ার পর যেসব উদ্যোগ সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে এবং ব্যাপক জনসমর্থন পেয়েছে, সেগুলোর মধ্যে অন্যতম একটি হলো মোবাইল ফোনের মাধ্যমে ভর্তির আবেদন, যা শুরু করে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়। এরই ধারাবাহিকতায় পরে অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির কার্যক্রম সফলতার সাথে সম্পন্ন হয়, যা একদিকে যেমন সময় ও অর্থ বাঁচায়, অন্যদিকে বিভিন্ন ধরনের অনাকাঙিক্ষত ঝামেলা থেকে রেহায় দেয় ভর্তিচ্ছু ছাত্রছাত্রী ও অভিভাবকদের।

সম্প্রতি ডিজিটাল পদ্ধতিতে একাদশ শ্রেণীতে ভর্তি প্রক্রিয়ার কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এ মুহূর্তে এর আওতায় এসেছে দেশের মাত্র ১৯ শতাংশ কলেজ। আবেদন প্রক্রিয়া শুরুর মধ্যেই পাঁচ লাখের বেশি আবেদন জমা পড়েছে। অনলাইন পদ্ধতির কারণে এবার অবাঞ্ছিত চাপ মোকাবেলা করতে হচ্ছে না বলে স্বস্তিতে আছে ওই সব কলেজ কর্তৃপক্ষ।

এ পর্যন্ত দেশের ৫৫০টি কলেজে ভর্তির জন্য অনলাইনে আবেদন করেছে ৫ লাখের বেশি ভর্তিচ্ছু। এর মধ্যে ঢাকা বোর্ডের ২২৩টি কলেজে আবেদন পড়েছে ২ লাখ ৪০ হাজারের বেশি। একাদশ শ্রেণীতে ভর্তির জন্য অনলাইনে আবেদনের ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীর মধ্যে ব্যাপক সাড়া পড়েছে। কলেজগুলোও এতে আগ্রহ দেখাচ্ছে। কেননা প্রতিবছর কলেজগুলোতে ভর্তির সময় কলেজ কর্তৃপক্ষকে বিভিন্ন ধরনের অনাকাঙিক্ষত ঝামেলাসহ কিছু বাড়তি চাপ মোকাবেলা করতে হয়। কিন্তু এবার কলেজে ভর্তির জন্য অনলাইনে আবেদনপত্র গ্রহণ করার ফলে এই বাড়তি চাপ ও ঝামেলা থেকে মুক্ত থাকতে পারছে ওই সব কলেজ কর্তৃপক্ষ।

ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীরা টেলিটক কোম্পানির মোবাইল থেকে এসএমএসের মাধ্যমে এসব কলেজে ভর্তির জন্য আবেদন করতে পারছে। দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের শিক্ষার্থীরা সশরীরে রাজধানীতে না এসে পছন্দের কলেজে আবেদনের সুযোগ পাচ্ছে অনলাইনে। একজন আবেদনকারী একাধিক কলেজে কিংবা একই কলেজে একাধিক বিভাগে কিংবা একাধিক শিফটে আলাদাভাবে আবেদনের সুযোগ পাচ্ছে। প্রতিটি আবেদনের জন্য ফি দিতে হয় মাত্র ১২০ টাকা। শিক্ষা বোর্ডগুলোর কমপিউটারে স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে এসব কলেজে আবেদনকারীদের মধ্য থেকে জিপিএ ভিত্তিতে মেধাক্রম তৈরি করে দেবে। সেই মেধাক্রম ও অপেক্ষমাণ তালিকা অনুসারে যোগ্যতাসম্পন্ন আগ্রহী শিক্ষার্থীরা পছন্দের কলেজে ভর্তির সুযোগ পাবে।

কিন্তু দুঃখের বিষয়, একাদশ শ্রেণীতে অনলাইনে আবেদন করার সুযোগ সারাদেশের ছাত্রছাত্রীরা পাচ্ছে না প্রযুক্তিগত সীমাবদ্ধতাসহ নানা ধরনের জটিলতার কারণে। এছাড়া শুধু টেলিটক নেটওয়ার্কের আওতায় যেসব কলেজ আছে শুধু সেসব কলেজকেই অনলাইনে ভর্তির আওতায় আনা সম্ভব হয়েছে। কিন্তু সব এলাকায় টেলিটক নেটওয়ার্ক না থাকায় আগ্রহী হওয়া সত্ত্বেও অনেক কলেজকেই অনলাইনে ভর্তির আবেদনের আওতায় নেয়া সম্ভব হচ্ছে না।

তাই সংশ্লিষ্ট সবার কাছে আমাদের দাবি, একাদশ শ্রেণীতে ভর্তির জন্য আবেদন সারাদেশ যেনো সমভাবে অনলাইনের আওতায় আসে। এক্ষেত্রেও যেনো দেশের ডিজিটাল ডিভাইডের মতো প্রকট আকার ধারণ না করে সেদিকে আমাদের সবাইকে সতর্ক দৃষ্টি রাখতে হবে।

জসিম উদ্দীন
শেখঘাট, সিলেট

............................................................................................................

বিস্ময়ের বিস্ময় মাইক্রোসফটের প্রতিশ্রম্নতি ভঙ্গ

অপারেটিং সিস্টেমের জগতে একচ্ছত্র আধিপত্য বিস্তারকারী মাইক্রোসফট বিশ্বের বিভিন্ন দেশে সেবামূলক বিভিন্ন কর্মকা-- আর্থিক সহায়তা দেয়ার পাশাপাশি আয়োজন করে আসছে তথ্যপ্রযুক্তিসংশ্লিষ্ট ছাত্রদের জন্য ইমাজিন কাপ শীর্ষক সবচেয়ে বড় আইটি অলিম্পিক। এ প্রতিযোগিতাটি আন্তর্জাতিকভাবে প্রতিবছরই ভিন্ন ভিন্ন দেশে অনুষ্ঠিত হয়।

২০০৩ সাল থেকে এ প্রতিযোগিতাটি অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে পাঁচটি ক্যাটাগরিতে। যেমন- সফটওয়্যার ডিজাইন, অ্যামাবডেভ ডেভেলপমেন্ট, গেম ডিজাইন, ডিজিটাল মিডিয়া এবং উইন্ডোজ ফোন ৭। ২০০৩ সালে ইমাজিন কাপ প্রতিযোগিতাটি অনুষ্ঠিত হয় স্পেনে। পরবর্তী প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয় ব্রাজিলে। এভাবে পর্যায়ক্রমে ইমাজিন কাপ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয় জাপান, ভারত, দক্ষেণ কোরিয়া, ফ্রান্স, মিসর, পর্তুগাল, যুক্তরাষ্ট্র ও অস্ট্রেলিয়ায়। এ বছর ইমাজিন কাপ ২০১৩ অনুষ্ঠিত হবে রাশিয়ায়।

ইমাজিন কাপ ২০১৩-এর বাংলাদেশ চ্যাপ্টারের প্রাইমারি সিলেকশন প্রসেস সম্পন্ন করে মাইক্রোসফট বাংলাদেশ অফিস। পুরো প্রসেস শুরু হয় গত বছরের আগস্টে। ইমাজিন কাপ ২০১৩-এর বাংলাদেশ চ্যাপ্টারের চ্যাম্পিয়ন হয়ে বুয়েট দল এ আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের জন্য যোগ্যতা অর্জন করে।

ইমাজিন কাপ ২০১৩ চূড়ান্ত পর্বে বাংলাদেশী দলের অংশগ্রহণের অফিসিয়াল স্পন্সর হলো মাইক্রোসফট, যারা রাশিয়ায় যাওয়া-আসাসহ যাবতীয় খরচ বহন করবে। কিন্তু এখন বাংলাদেশীদেরকে এই ট্যুরের জন্য স্পন্সর খুঁজতে বলা হচ্ছে, যা রীতিমতো বিস্ময়করই নয় বরং দুঃখজনকও বটে। মাইক্রোসফটের মতো প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে এমন আচরণ অপ্রত্যাশিত। কেননা মাইক্রোসফট সারা বিশ্বে এ ধরনের কর্মসূচির জন্য প্রচুর অর্থ সহায়তা দিয়ে থাকে। অনেকের অভিযোগ, এখানে হয়তো কোনো দুর্নীতি কিংবা গাফিলতি হয়েছে। আর যদি তা হয়, তাহলে সেটি হবে আমাদের জন্য রীতিমতো লজ্জাকর ও দুঃখজনক ব্যাপার।

আবদুল্লাহ আল-মামুন
দুমকি, পটুয়াখালী

............................................................................................................

এইচএসসিতে বাধ্যতামূলক তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয় বাস্তবতার আলো দেখুক

দেশে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিতে দক্ষ জনবল সৃষ্টির লক্ষক্ষ্য সরকার বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করেছে, যা ধীরে ধীরে বাস্তবায়নের লক্ষক্ষ্য কাজও করে যাচ্ছে। সরকারের গৃহীত বিভিন্ন কার্যক্রমের মধ্যে সম্প্রতি যুক্ত হয় এইচএসসিতে ১০০ নম্বরের নতুন আবশ্যিক বিষয় হিসেবে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি।

এইচএসসিতে ১০০ নম্বরের নতুন আবশ্যিক বিষয় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি যুক্ত হওয়ায় শিক্ষার্থীদের এখন ১২০০ নম্বরের পরিবর্তে ১৩০০ নম্বরের পরীক্ষা দিতে হবে। উল্লেখ্য, ২০০৮ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় ড. মনিরুজ্জামান মিঞার নেতৃত্বে গঠিত কমিটি শিক্ষা বিষয়ে কিছু যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। সেই কমিটিই প্রথম বাধ্যতামূলক কমপিউটার শিক্ষা প্রচলনের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। ২০১৩ সালে এসে ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণীতে বিষয়টি বাধ্যতামূলকভাবে পড়ানো শুরু হয়েছে। ২০১৪ সালে আমরা অষ্টম শ্রেণীতেও বিষয়টি বাধ্যতামূলক হিসেবে দেখতে পাব।

অন্যদিকে চলতি জুলাই মাস থেকে একাদশ শ্রেণীতে বিষয়টি বাধ্যতামূলক করার ব্যবস্থা করা হয়েছে। অন্যদিকে নবম ও দশম শ্রেণীতে বিষয়টি বাধ্যতামূলক করার কথা ছিল, কিন্তু সেটি এবার সম্ভব হয়নি। আশা করা যায়, সবকিছু ঠিক থাকলে ২০১৫ সালে বিষয়টি নবম ও দশম শ্রেণীতে বাধ্যতামূলকভাবে পাঠ্য হবে।

বর্তমান শিক্ষা ব্যবস্থায় কমপিউটার শিক্ষাকে বাধ্যতামূলক করায় সরকার ও সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ধন্যবাদ পেতেই পারে। কিন্তু কমপিউটার শিক্ষা ব্যবস্থা বাধ্যতামূলক করলেই তো হবে না। এর জন্য দরকার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়টি সব ছাত্রছাত্রীর জন্য পড়ানোর মতো অবকাঠামোগত অবস্থা উন্নত করা। যেসব প্রতিষ্ঠানে কমপিউটার বিষয়ের কোনো শিক্ষা নেই, সেগুলোতে শিক্ষকের ব্যবস্থা করতে হবে। সব প্রতিষ্ঠানে পর্যাপ্ত কমপিউটার সরবরাহ করতে হবে। এক কথায় যাকে বলা যায়, কমপিউটার বিষয়ে পড়ানোর মতো অবকাঠামো গড়ে তুলতে হবে যা এখনো হয়ে ওঠেনি। অন্যথায় বাধ্যতামূলক কমপিউটার শিক্ষা বাস্তবতা পাবে না কোনোভাবেই। তা শুধু কাগজে-কলমেই থেকে যাবে। কিন্তু আমরা এমনটি কেউই প্রত্যাশা করি না।

মো: আল মারুফ (জয়)
বরিশাল
পত্রিকায় লেখাটির পাতাগুলো
লেখাটি পিডিএফ ফর্মেটে ডাউনলোড করুন
লেখাটির সহায়ক ভিডিও
চলতি সংখ্যার হাইলাইটস