• ভাষা:
  • English
  • বাংলা
হোম > গেমের জগৎ
লেখক পরিচিতি
লেখকের নাম: কজ
মোট লেখা:১০৪১
লেখা সম্পর্কিত
পাবলিশ:
২০১৩ - সেপ্টেম্বর
তথ্যসূত্র:
কমপিউটার জগৎ
লেখার ধরণ:
গেম
তথ্যসূত্র:
গেমের জগৎ
ভাষা:
বাংলা
স্বত্ত্ব:
কমপিউটার জগৎ
গেমের জগৎ

শ্যাঙ্ক ২
দুর্দামত্ম গতিতে ভবিষ্যতের দিকে এগিয়ে চলছে পৃথিবী। কিন্তু ওয়েস্ট অ্যারিজোনার মরুভূমি আজও পৃথিবীর উন্নত প্রযুক্তির বিলাসী জীবন থেকে মুক্ত। যান্ত্রিকতা এখানে তার আসত্মানা গেড়ে বসতে পারেনি। বাঁশি, বেহালা, ব্যাঞ্জো, জীবনের গান ভালো- সব মিলিয়ে খুব একটা খারাপ চলছিল না। ঘটনা শুরু হয় এক রক্তিম সন্ধ্যায়। একটি যাত্রবাহী বাস অ্যারিজোনার মরম্নভূমি ধরে শহরের কেন্দ্রে যাচ্ছিল। হঠাৎ একদল দস্যু বাসের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয়। তারা যাত্রীদের অধিকাংশকেই অজ্ঞাত কারণে ধরে নিয়ে যায়। বাসের শেষ যাত্রী হিসেবে দস্যুদের সামনে গেমার আবির্ভূত হয়। বহুদিন পর বাড়ি ফিরে আসা শ্যাঙ্ক আর যা কিছুই হোক না কেনো, এ ধরনের অরাজকতা আশা করেনি। বাসের দস্যুদের সাথে লেনদেন শেষে শ্যাঙ্ক ছোটে শহরের দিকে। শহরে পৌঁছে দেখে সারা শহর আগুনের লেলিহান শিখায় নিমজ্জিত এবং সেখানে ধ্বংসসত্মূপে জীবনের আভাস পাওয়া দুষ্কর। কিন্তু একটু পরেই সে খুঁজে পায় তার প্রিয়তমা স্ত্রীকে এবং জানতে পারে একজন জেনেটিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার সবাইকে নিয়ে কোনো ভয়ঙ্কর পরীক্ষা করছে শহরের কোনো এক অজানা প্রামেত্ম। শ্যাঙ্ক জানতে পারে তার পরিবার এবং আত্মীয়-স্বজনদের অনেকেই সেই ভয়ঙ্কর ইঞ্জিনিয়ারের কবলে আটকা পড়ে আছে। শ্যাঙ্ক বেরিয়ে পড়ে একটি নতুন আগুন-রাঙা ভোর নিয়ে আসতে। এভাবেই শুরু হয় এ সময়কার সবচেয়ে জনপ্রিয় টুডি থার্ড পারশন ফাইটিং গেম শ্যাঙ্ক ২।

শ্যাঙ্ক সিরিজের দ্বিতীয় গেম শ্যাঙ্ক ২ পৃথিবী বিখ্যাত ইলেকট্রনিক আর্টস এবং ক্লেই এন্টারটেইনমেন্টের যৌথ উদ্যোগে গেমারদের জন্য উন্মুক্ত করা হয়েছে। শ্যাঙ্ক ২-এ রয়েছে অনন্যসাধারণ ১৫টিরও বেশি মুডসেট, যাদের নিয়ে গেমার নিজস্ব মিশন সম্পন্ন করতে পারবে। প্রত্যেকটি ক্যারেক্টারের জন্য গেম সম্পন্ন করার পর পরের ক্যারেক্টার আনলক হবে। গেমের প্রত্যেক ক্যারেক্টারের জন্য তিন সেট উইপন সিস্টেম রয়েছে। কাটানা, তলোয়ার, সেস্নজ হ্যামার, ড্রিলার ইত্যাদি রয়েছে প্রাইমারি উইপন সেট হিসেবে। রেঞ্জড উইপন হিসেবে পাওয়া যাবে পিস্তল, এসএমজি, শটগান ইত্যাদি। এক্সিক্লওসিভ হিসেবে পাওয়া যাবে টাইম বম্ব, গ্যাস বম্ব, মল্টভ ককটেল, হ্যান্ড গ্রেনেডসহ অনেক কিছুই। এতে যুদ্ধ করতে হবে বহু পাওয়ার আর উইপনারিসমৃদ্ধ শত্রম্নদের সাথে এবং প্রতি লেভেলের শেষে আছে জমজমাট বস লেভেল কমব্যাট। স্টোরি মুড ছাড়াও শ্যাঙ্ক ২-এ আছে সারভাইভাল মুড এবং অ্যান্ডলেস মুড, যেখানে শত্রু নিধন করা যাবে যত খুশি তত। আর বন্ধুদের সাথে মাল্টিপ্লেয়ার গেমিং আর লোকাল গেমিংয়ের ব্যবস্থা শ্যাঙ্ক ২-কে প্লাটফর্ম গেমিংয়ের ক্লাসিক পর্যায়ে নিয়ে গেছে।

শ্যাঙ্ক ২ গেমটি নিঃসন্দেহে গেমারকে বর্তমান হাই ডেফিনিশন, চোখ ধাঁধানো গ্রাফিক, ডিটেইলড গেমিং থেকে ভুলে যাওয়া এক গেমিং জগতে নিয়ে যাবে, যেখান থেকে বর্তমান গেমিংয়ের যাত্রা শুরু হয়েছিল। পুরনো গেমিং স্টাইল আর বর্তমানের আভিজাত্য- সব মিলিয়ে শ্যাঙ্ক ২ ফিরিয়ে এনেছে সত্যিকারের বেস প্লাটফর্ম গেমিংয়ের আমেজ।

সিস্টেম রিকোয়ারমেন্ট
অপারেটিং সিস্টেম : উইন্ডোজ এক্স-পি/উইন্ডোজ ভিসতা/উইন্ডোজ ৭। সিপিইউ : ইন্টেল পেন্টিয়াম কোর টু ডুয়ো ১.৮৬ গিগাহার্টজ/এএমডি অ্যাথলন ৪৬০০+। র্যা ম : ৫১২ মেগাবাইট উইন্ডোজ এক্সপি এবং ১ গিগাবাইট উইন্ডোজ ভিসতা/উইন্ডোজ ৭। গ্রাফিক্স কার্ড : এনভিডিয়া জি ফোর্স ৬৮০০। ডিরেক্ট এক্স : ডিরেক্ট এক্স ৯। হার্ডডিস্ক ফ্রি স্পেস : ৩ গিগাবাইট।

প্লান্টস ভার্সেস জম্বিস
রোভিও প্রথম যখন অ্যাংরি বার্ডস গেমটি গেমারদের সামনে উন্মুক্ত করে, তখন এর তুমুল জনপ্রিয়তা গেমটিকে পৃথিবীর লিজেন্ডারি গেমগুলোর একটিতে পরিণত করেছিল এবং প্লাটফর্ম গেমিংয়ের জগতে এক নতুন যুগের সূচনা হয়। এরপর ছোট ছোট ক্যুইক টাইম প্লাটফর্ম গেম তৈরি হলেও সেগুলো অ্যাংরি বার্ডসের মতো জনপ্রিয়তা অর্জন করতে সক্ষম হয়নি। এরপর গেমিং জগতে আরেকটি লিজেন্ডারি গেমের আবির্ভাব ঘটে এবং তা হলো পস্ন্যান্টস ভার্সেস জম্বিস।

পস্ন্যান্টস ভার্সেস জম্বিস গেমটিতে আগের কোনো স্টোরি লাইন নেই এবং পরের পস্ন্যান্টস ভার্সেস জম্বিস ২-এ তেমন গল্পপ্রধান গেমিং স্ট্র্যাটেজি না থাকার সম্ভাবনাই বেশি। তাই গেমিং প্রফেশনালরা হয়তো এ গেম খেলতে বসলে প্রথমদিকে যারপরনাই হতাশ হতে পারেন। তবে গেমটি খেলতে বসলে পাঁচ মিনিট পরই তার জন্য হয়তো গেমস্ক্রিনের ওপর থেকে চোখ সরানো অসম্ভব হয়ে উঠবে। প্লান্টস ভার্সেস জম্বিসের ঘটনাক্রম বেশ সহজ। গেমারের বাড়িতে জম্বিরা আক্রমণ করবে। গেমারকে তার সবকিছু জম্বিদের কাছ থেকে রক্ষা করতে হবে। এজন্য গেমারের রয়েছে তার বাগান, যেখানে সে নানা ধরনের গাছের চারা রোপণ করতে পারেন। বিভিন্ন ধরনের গাছেরচারা সূর্যালোকের সাহায্যে বেঁচে থাকে। এজন্য রয়েছে খোলা আকাশ, সূর্যালোক উৎপাদনকারী সানফ্লাওয়ার চারা এবং রাতের বেলার জন্য মাশরুম। রয়েছে চেরি বম্ব, জম্বি খেকো গাছ, কর্ন মিসাইল, চিলি বার্নার যেগুলো জম্বিদেরকে নিমিষে ধুলোয় মিশিয়ে দিতে পারে। জম্বিরা পানি দিয়েও আসতে পারে। এর জন্য রয়েছে বিভিন্ন ধরনের জলজ উদ্ভিদ। শিল্ড করার জন্য আছে পটেটো শিল্ড, মাইন ইত্যাদি। যেসব জম্বি আকাশে উড়তে পারে তাদের জন্য রয়েছে আলাদা ব্যবস্থা। সব মিলিয়ে যে ধরনের চারা আছে তারচেয়েও বেশি ধরনের আছে জম্বিদের সাথে যুদ্ধ করার জন্য। গেমটিতে রয়েছে ক্যাম্পেইন মুড, অ্যান্ডলেস মুড, সারভাইভাল মুড। আছে নানা ধরনের পাজল গেম। আছে নিজের বাগানে নির্দিষ্ট প্রজাতির ফুল চাষ করার ব্যবস্থা। এগুলোর সাথে বিভিন্ন টেরিয়ান যুক্ত হয়ে গেমটি সব মিলিয়ে তার প্রথম প্রতিদ্বন্দ্বী অ্যাংরি বার্ডসকে ছাড়িয়ে গেছে। এরপর এর পথ ধরে আরও বহু গেম পাবলিশড হয়েছে। গেমাররা তাই অধীর আগ্রহে বসে আছেন এ বছরের শেষের দিকে পস্ন্যান্টস ভার্সেস জম্বিস ২-এর রিলিজের জন্য। আর যারা এখনও প্লান্টস ভার্সেস জম্বিস গেমটি খেলেননি, তারা যেনো কোনোভাবেই অসাধারণ এ গেমটি মিস না করেন।

সিস্টেম রিকোয়ারমেন্ট
অপারেটিং সিস্টেম : উইন্ডোজ এক্সপি/উইন্ডোজ ভিসতা/উইন্ডোজ ৭। সিপিইউ : ইন্টেল পেন্টিয়াম ৪, ১.৫ গিগাহার্টজ/এএমডি অ্যাথলন এক্সপি ১৫০০+। র্যা ম : ৫১২ মেগাবাইট। গ্রাফিক্স কার্ড : এনভিডিয়া জি ফোর্স ৬৬০০। ডিরেক্ট এক্স : ডিরেক্ট এক্স ৯। হার্ডডিস্ক ফ্রি স্পেস : ১ গিগাবাইট।

ইউনিভার্স অ্যাট ওয়ার আর্থ অ্যাসাল্ট
ক্লাসিক রিয়াল টাইম স্ট্র্যাটেজি গেমের এখন মোটামুটি আকাল চলছে বলা যায়। এ গেমটি ক্লাসিক রিয়াল টাইম গেম না হলেও দুর্দান্ত স্ট্র্যাটেজি গেম তা বলার অপেক্ষা রাখে না। পৃথিবী এখন মানবজাতি আর রোবটদের সম্মিলনে পরিচালিত হচ্ছে। তাদেরকে একত্রে বলা হচ্ছে নোভাস। বহু যুগ ধরেই মানুষ আকাশের দিকে তাকিয়ে থাকত আর বোঝার চেষ্টা করত ওই শূন্যের মধ্যে কী আছে বা আদৌ ওখানে নতুন কোনো প্রাণের ভবিষ্যৎ আছে কি না। হঠাৎ করেই একদিন একদল ভিনগ্রহী নেমে আসে পৃথিবীর ক্ষমতা দখলে নেয়ার আশায়। পৃথিবীর যুদ্ধবিধ্বস্ত অবস্থাতেও পৃথিবীর মানুষ এবং রোবটরা একত্রিত হয় ওসব ভিনগ্রহীর কবল থেকে পৃথিবীর মাটি রক্ষা করার জন্য। শেষদিকে এসে নোভাসদের শক্তি ক্ষয় হতে থাকে। এক পর্যায়ে এসে পিছু হটতে থাকে তারা। এমন সময় পৃথিবীর দায়িত্ব নিতে ফিরে এলো ভুলে যাওয়া এক সভ্যতা, যাদেরকে নোভাসরা বহু আগে শহর থেকে বিতাড়িত করেছিল কুসংস্কারপ্রবণ, বিকৃত এবং অসভ্য হিসেবে। তারা যখন ফিরে এলো তখন তাদের রয়েছে নিজস্ব সভ্যতা, শক্তি উৎপাদন এবং জাদুকরী ক্ষমতা।
দীর্ঘদিন পর একে একে পৃথিবী থেকে সব ভিনগ্রহী বিতাড়িত হয়। স্বভাবতই পৃথিবীর বুকে আবার শান্তি-সমৃদ্ধি ফিরে আসার কথা। কিন্তু সবশেষে ওই ‘কিন্তু’টা থেকে যায়। এবার পৃথিবীর সত্যিকারের ক্ষমতাধারী কে হবে- এ নিয়ে শুরু হয় জাদু আর যান্ত্রিকতার লড়াই। আর এ সবকিছু নিয়েই ইউনিভার্স অ্যাট ওয়ার আর্থ অ্যাসাল্ট।

ইউনিভার্স অ্যাট ওয়ার আর্থ অ্যাসাল্ট গেমটি বিশ্ববিখ্যাত গেমিং জায়ান্ট সেগারের সর্বশেষ স্ট্র্যাটেজিস্ট সংযোজন। এখানে অন্য স্ট্র্যাটেজি গেমগুলোর মতো অর্থ কিংবা বিভিন্ন ধরনের প্রাকৃতিক সম্পদ আহরণ করতে হয় না, বরং অত্যাধুনিক পৃথিবীতে পরে থাকা ধ্বংসসত্মূপ থেকে পাওয়া রসদ দিয়েই কাজ চালাতে হবে গেমারকে। গেমার খেলতে পারবেন ওপরের তিনটি জাতির যেকোনো একটি জাতি হিসেবে। প্রত্যেকটি জাতির রয়েছে নিজস্ব বিল্ডিং ডিজাইন, টেকনোলজি, সোলজার হিরো, নিজস্ব সেনাবাহিনী, ভেহিকল, কানেকশন সিস্টেম ইত্যাদি। প্রত্যেক জাতির রয়েছে নিজস্ব মিলিটারি আপগ্রেড, স্ট্রাকচার আপগ্রেড, ধ্বংসাত্মক টেক্সটসহ অনেক কিছু। তবে শুধু একটি দিক দিয়ে সেগার এ গেমটি সমসাময়িক স্ট্র্যাটেজি গেম কমান্ড অ্যান্ড কনকোয়ার থেকে পিছিয়ে আছে। গেমটিতে একই সাথে একাধিক জাতি নিয়ে খেলা যায় না, তবে ভিন্ন পেস্নয়ার হিসেবে তা করা যাবে। অনলাইন মাল্টিপ্লেয়ার গেমিংয়ের সুবিধা ছাড়াও এতে রয়েছে নিজের ইচ্ছেমতো ম্যাপে খেলার সুবিধা, প্রত্যেক জাতির জন্য আলাদা ক্যাম্পেইন মুড। এর দুর্দান্ত জুমিং ইন সুবিধা সর্বপ্রথম রিয়েল টাইম স্ট্র্যাটেজি গেমের জগতে নতুন মাত্রা যোগ করেছে। ইউনিভার্স অ্যাট ওয়ার আর্থ অ্যাসাল্ট গেমটি যেকোনো স্ট্র্যাটেজি গেমপ্রেমীর জন্য ‘মাস্ট প্লে’ একটি গেম।

সিস্টেম রিকোয়ারমেন্ট
অপারেটিং সিস্টেম : উইন্ডোজ এক্সপি/উইন্ডোজ ভিসতা/উইন্ডোজ ৭। সিপিইউ : ইন্টেল পেন্টিয়াম ৪, ২.৮ গিগাহার্টজ/এএমডি অ্যাথলন ২৮০০+। র্যা ম : ১ গিগাবাইট। গ্রাফিক্স কার্ড : এনভিডিয়া জি ফোর্স ৭৬০০ জিটি (২৫৬ মেগাবাইট)। ডিরেক্ট এক্স : ডিরেক্ট এক্স ৯। হার্ডডিস্ক ফ্রি স্পেস : ৬ গিগাবাইট।

সিমস ৩ (ড্রাগন ভ্যালি)
ইলেকট্রনিক আর্টসের বিখ্যাত সিমস সিরিজের সর্বশেষ সংযোজন সিমস ৩ বর্তমান বিশ্বের সবচেয়ে প্রচলিত এবং জনপ্রিয় রিয়েল টাইম রোল প্লেয়িং গেম, যেখানে গেমার সত্যিকার অর্থেই একটি নতুন ভার্চুয়াল জীবন কাটাতে পারেন। সিমস ৩-এ একজন মানুষ সারাজীবন যা যা করার কল্পনা করতে পারেন তার সবই করতে পারবেন। সিমস ৩-এর দশটিরও বেশি এক্সপানশন প্যাক রিলিজ হয়েছে, যেগুলোর প্রত্যেকটি মূল গেমের চেয়েও বেশি সমৃদ্ধ। সিমস ৩-এ সিমস ২-এর চেয়ে গ্রাফিক সমৃদ্ধ করা ছাড়াও বিভিন্ন ধরনের কাজ করার পরিধি বেড়েছে।

জীবনের সব ইচ্ছে পূরণ হওয়ার নয়। আর জীবনের হারিয়ে যাওয়া সময়গুলোও ফিরে পাওয়া অসম্ভব। না পাওয়া জীবনটাকে ইচ্ছেমতো সাজিয়ে নিয়ে কাটাতে সিমস সিরিজের জুরি কখনই ছিল না। সিমস সিরিজের এবারের আকর্ষণগুলো পরবর্তী মাসগুলোতে এক্সপানশন প্যাক হিসেবে আপডেট দেয়া হবে। তবে মূল গেমটি সম্পর্কে বলা যায়, ভার্চুয়াল লাইফ গেমিংয়ের জন্য হাফ লাইফ বা অন্য যেকোনো গেমের চেয়ে সিমস ৩ কয়েকগুণ বেশি মজাদার একটি গেম। প্রতিবারের মতো এবারও ছোট একটি শহরের ছোট একটি বাড়ি থেকে জীবন শুরু হয় সিমের অর্থাৎ গেমারের। এরপর প্রতিদিন এর খাবার, আসবাব গোছান, বই পড়া, টেলিভিশন দেখা, কমপিউটারে গেম খেলা, ই-মেইল ব্রাউজ, রান্না করা, গোসল, ঘুমানো থেকে শুরু করে প্রেম, বিয়ে শেষ পর্যন্ত ছোট ছোট বাচ্চা, চাকরি, মাছ ধরা আক্ষরিক অর্থেই যা যা একজন মানুষের করা সম্ভব সবই করা যাবে সিমস ৩-এ। এছাড়া গেমারের সিম কী চরিত্রের অধিকারী হবে বা তাদের ভালো লাগা-মন্দ লাগা সবকিছুই ট্রেইট অনুসারে নির্ধারণ করা যাবে। এক্সপানশনগুলো আরও মজাদার। একটি এক্সপানশন আছে, যার নাম সিমস ৩ সুপারন্যাচারাল। সেখানে ভৌতিক, আধা-ভৌতিক নানা কা-সহ ভ্যাম্পায়ার থেকে শুরু করে ভূত পর্যন্ত সবকিছুরই দেখা যাবে। তেমনি অন্য আরেক এক্সপানশন প্যাকে ভ্রমণ করা যাবে পৃথিবীর নানা গুরুত্বপূর্ণ এবং দর্শনীয় স্থান ও স্থাপনাতে। নিজের ইচ্ছেমতো চাকরি করা বা ছেড়ে দেয়া কিংবা চাকরিচ্যুত হওয়া সবই সম্ভব সিমস ৩ গেমটিতে। সবশেষে বলতেই হয়, গেমিং জগতে ভার্চুয়াল জীবনের স্বাদ নিতে অবশ্যই সিমস ৩ খেলে দেখা উচিত।

সিস্টেম রিকোয়ারমেন্ট
অপারেটিং সিস্টেম : উইন্ডোজ এক্সপি/উইন্ডোজ ভিসতা/উইন্ডোজ ৭। সিপিইউ : ইন্টেল কোর টু ডুয়ো ২.০ গিগাহার্টজ/এএমডি অ্যাথলন এক্স২ ডুয়াল কোর ৪০০০+। র্যা ম : ২ গিগাবাইট। গ্রাফিক্স কার্ড : এনভিডিয়া জি ফোর্স ৭৬০০ জিটি (২৫৬ মেগাবাইট)। ডিরেক্ট এক্স : ডিরেক্ট এক্স ৯। হার্ডডিস্ক ফ্রি স্পেস : ৭.৫ গিগাবাইট।

ফিডব্যাক : riyadzubair@gmail.com
পত্রিকায় লেখাটির পাতাগুলো
লেখাটি পিডিএফ ফর্মেটে ডাউনলোড করুন
লেখাটির সহায়ক ভিডিও
চলতি সংখ্যার হাইলাইটস