লেখক পরিচিতি
লেখা সম্পর্কিত
লেখার ধরণ:
প্রযুক্তি বিপ্লব
তথ্যসূত্র:
প্রযুক্তি বিপ্লব
নতুন অভ্যস্ততা এবং আরও নতুনের হাতছানি
শেষ হতে চলল ২০১৩ সাল। এ সময় অনেক কিছুরই মূল্যায়ন হচ্ছে- চিহ্নিত করা হচ্ছে মানবসভ্যতায় অবদান রাখা অনেক বিষয়। এ বছর দুটি শব্দ নিয়ে বেশ তোলপাড়ই হচ্ছে বছর শেষে এবং দুটি শব্দই আইসিটি সম্পর্কিত। একটি আগের থেকে প্রচলিত শব্দ, যেটি এ বছর খুব বেশিই ব্যবহার হয়েছে এবং রেকর্ডও ছাড়িয়েছে। এটিকে শব্দ না বলে অবশ্য সংখ্যা বলাই ভালো। কারণ আসলে ওঠা সংখ্যাই : ৮০৮, যার অর্থ ব্যর্থ। সে কারণেই বেশি দেখাশোনা হলেও শব্দটাকে জনপ্রিয় বলা যাচ্ছে না।
আর একটি শব্দ এ বছরই নতুন ঢুকল অভিধান এবং যে কাজের জন্য শব্দটা তৈরি হয়েছে সে কাজটিও খুব বেশিমাত্রায় করেছেন বিশ্বের মানুষ। কাজটা হচ্ছে স্মার্টফোন বা অত্যাধুনিক ডিজিটাল ক্যামেরা দিয়ে নিজের ছবি নিজে তোলা আর শব্দটা হচ্ছে (সেলফি)। এ বিষয়টিকে একটিমাত্র নতুন শব্দ বলে খাটো করে দেখার কোনো সুযোগ নেই। কারণ, সেলফি একটা অভ্যাস বা অভ্যসত্মতার নামান্তর হয়ে উঠতে যাচ্ছে।
আইসিটিকে জড়িয়ে আমরা আরও নানাভাবে অভ্যস্ত হচ্ছি। যেমন যুক্তরাষ্ট্রে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলোতে সবচেয়ে বেশি সক্রিয় তরুণী মায়েরা। বিশেষ করে পাঁচ বছরের কম বয়সী সমত্মান রয়েছে এমন মায়েরা স্মার্ট মোবাইল ফোন অথবা ট্যাবলেট ডিজাইনের মাধ্যমে ফেসবুক ব্যবহার করেন। সিমন্স ন্যাশনাল কনজিউমার রিসার্চের এক জরিপের ফল থেকে তথ্য সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান এক্সপিরিয়ন সম্প্রতি এ তথ্য জানায়। ওই জরিপে ২৫ হাজার প্রাপ্তবয়স্ক মার্কিন নাগরিকের অনলাইন ও অফলাইন অভ্যাস পরীক্ষা করা হয়েছিল। এ মায়েদের বেশিরভাগের বয়স ২৫ থেকে ৩৪। তবে সন্তানদের বয়স বাড়ার সাথে সাথে এ মায়েদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সময় ব্যয় কমতে থাকে বলেও জানায় এক্সপিরিয়ন।
আসলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অভ্যস্ত হওয়া মানুষের জীবনযাত্রা, মূল্যবোধ ও মত প্রকাশের ক্ষেত্রে নতুন মাত্রারোপ করেছে। আমরা দেখতে পাচ্ছি, আমাদের দেশেও চলমান রাজনৈতিক ঘটনাবলীর ওপর সবচেয়ে তাৎক্ষণিক ও কার্যকর মাধ্যম হিসেবে ফেসবুক জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। অতি সম্প্রতি সাবেক রাষ্ট্রপতি ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের কার্যক্রম নিয়ে ফেসবুক ব্যবহারকারীরা ছিলেন দারুণ সক্রিয়।
২০১৩ সালে ফেসবুক ও অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম নিজেদের প্রযুক্তিগত উৎকর্ষ বাড়িয়েছে। বদলে গেছে ফেসবুকের লাইক বাটনের চেহারা। ‘থাম্বস আপ’ চিহ্নের বদলে নতুন বাটনে লাইক করা যাচ্ছে ফেসবুকে। এ নতুন বাটনে শোভাই পাচ্ছে নীল রংয়ের ছোট আকারের লোগো ও লাইক শব্দটি। এ ছাড়া শেয়ার আইকনও যাচ্ছে বদলে। ফেসবুকে লাইক ছাড়াও প্রচলন হলো রেটিং পদ্ধতি। এর মাধ্যমে যেকোনো পেজের নামের আগে পাশে থাকা পাঁচ তারকা নির্বাচন করে রেটিং করা যাচ্ছে। বিভিন্ন ব্র্যান্ডের জনপ্রিয়তা যাচাই করতেই এ রেটিং পদ্ধতিতে দৃশ্যমানতা আনা হয়েছে। এটি মূলত চালু হয়েছিল ২০১২ সালেই। তবে সময়ের জন্য উন্মুক্ত ছিল না। যেহেতু ফেসবুকে লাইকের বিপরীতে ডিজলাইক বাটন নেই, সেহেতু রেটিং পদ্ধতিতেই অপছন্দের বিষয়টি এখন জানান দিতে পারছেন ব্যবহারকারীরা। আবার জনপ্রিয়তার উঁচু সত্মরে থাকা ব্র্যান্ডগুলোকেও চিহ্নিত করা যাবে রেটিংয়ের মাধ্যমে।
অন্যদিকে গুগল আইওএসের জন্য সার্চ অ্যাপ্লিকেশন হালনাগাদ করেছে। নতুন সংরক্ষণে যুক্ত হয়েছে ভয়েস সার্চ ‘ওকে গুগল’। অ্যাপলের ‘সিরি’র মতোই এটি কণ্ঠস্বর শনাক্ত করতে সক্ষম। এ অ্যাপ্লিকেশনে বিভিন্ন কাজের রিমাইন্ডারও সেট করা যাবে অ্যালার্মের মতো। নোটিফিকেশন সুবিধাও আছে এতে। আগে এসব সুবিধা শুধু অ্যান্ড্রয়িড অপারেটিং সিস্টেমের সার্চ অ্যাপ্লিকেশনেই ছিল। গুগল তার ফেসবুকের প্রতিদ্বন্দ্বী সামাজিক মাধ্যম গুগল প্লাসে এ বছরই যোগ করেছে ৪১টি নতুন ফিচার। এর মধ্যে সবচেয়ে আকর্ষণীয় ‘ফটো ম্যানেজমেন্ট টুল’। এতে রয়েছে ১৫ গিগাবাইট পর্যন্ত ফ্রি স্পেস ও হ্যাশ ট্যাগ। এ হ্যাশ ট্যাগই আবার আলোচিত ছবিকে শনাক্ত করার ক্ষমতাসম্পন্ন। বোঝাই যাচ্ছে, এ বছর নিজের ছবি নিজে তোলা, আর সেই ছবি চালাচালি করা এত জনপ্রিয় হয়েছে কেনো।
অ্যান্ড্রয়িডের সাফল্যও এ বছর রেকর্ড ব্রেকিং। অ্যান্ড্রয়িডভিত্তিক স্মার্টফোনের বাজার আসলে চাঙ্গা হয়েছে ২০১৩ সালেই। গুগলের অ্যান্ড্রয়িডভিত্তিক অপারেটিং সিস্টেম বিক্রি করে মাইক্রোসফটই আয় করেছে ২ বিলিয়ন ডলার। এ বছরের স্মার্টফোনের বাজারে অ্যান্ড্রয়িডনির্ভর ডিভাইস বিক্রি হয়েছে ৭৯ শতাংশ। অথচ মাইক্রোসফটের নিজস্ব অপারেটিং সিস্টেম তেমন একটা ভালো করতে পারেনি। এরা রয়েছে তৃতীয় স্থানে।
স্মার্টফোনের বাজারের জয়জয়কার রেখেই মাইক্রোসফট কিনে নিয়েছে নোকিয়া। তবে অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের সাথে নোকিয়ার যে চুক্তি তা অব্যাহত রাখছে এরা। এর মধ্যে সবচেয়ে লাভজনক চুক্তিটি হলো স্যামসাংয়ের সাথে। এ বছরই অন্যান্য স্মার্টফোন নির্মাতার চেয়ে স্যামসাংয়ের এগিয়ে থাকার কারণ নোকিয়া ও মাইক্রোসফটর সাথে দুটি চুক্তির মাধ্যমে প্রযুক্তি কেনা। স্যামসাং গ্যালিক্সিতে যে মূল প্রযুক্তি সেটা নোকিয়ার এবং অপারেটিং সিস্টেমের সরবরাহকারী মাইক্রোসফটের। আবার অ্যান্ড্রয়িডভিত্তিক ওএস না থাকায় পিছিয়ে পড়েছিল নোকিয়া। গত ১৯ নভেম্বর মাইক্রোসফট আনুষ্ঠানিকভাবে নোকিয়া অধিগ্রহণ করে।
২০১৩ সালে স্যামসাং সাফল্য পেয়েছে অন্য একটি নতুন প্রযুক্তিপণ্যে। এটা হচ্ছে স্মার্টওয়াচ। যদিও মাইক্রোসফট, অ্যাপল ও এলজি স্মার্টওয়াচের ঘোষণা আগে দিয়েছিল, কিন্তু বাজারে এ ওয়াচ আনার প্রতিযোগিতায় জিতে গেল স্যামসাংই। এরা এর নাম দিয়েছে গ্যালিক্সি গিয়ার। তিন মাস আগে বাজারে আসা এ পণ্যটি বিক্রি হচ্ছে দেদার। এরই মধ্যে লাখ দশেক গ্যালিক্সি গিয়ার বিক্রি হয়েছে। তবে গ্যালাক্সি সিরিজের স্মার্টফোন ও হ্যান্ডহেল্ড ডিভাইসের অ্যাক্সেসরিজ হিসেবেই উপযোগিতা রয়েছে এর। নতুন প্রযুক্তিপণ্য উদ্ভাবনের ক্ষেত্রে এটাই কোরিয়ান জায়েন্ট স্যামসাংয়ের প্রথম সাফল্য। এখন গ্যালাক্সি গিয়ারের আরও কর্মক্ষম অর্থাৎ অ্যান্ড্রয়িডনির্ভর অন্যান্য প্রযুক্তিপণ্যের সাথে সহজ ব্যবহারযোগ্য করার চেষ্টা চলছে। মাইক্রোসফটও তৈরি করছে তাদের সারফেস স্মার্টওয়াচকে নোকিয়া স্মার্টফোন ও ডিভাইসের সাথে সমন্বয় করতে। অ্যাপলও আইফোনের সাথে সমন্বয় করে তাদের
নিজস্ব ওএসের স্মার্টওয়াচ তৈরি করেছে।
মূলত স্মার্টফোন ও হ্যান্ডহেল্ড ডিভাইসের সাথে ব্লুটুথ যোগাযোগ সংবলিত একটি ওয়্যারলেস ডিভাইসের খুবই প্রয়োজন অনুভূত হচ্ছিল। এর আগে হেড গিয়ার নিয়ে গবেষণা হয়েছে, কিন্তু ব্যবহারোপযোগী হিসেবে খুব একটা সাফল্য পায়নি। তবে স্যামস্যাংয়ের গ্যালিক্সি গিয়ার এ ক্ষেত্রে ব্যতিক্রমী ও স্মার্টফোন ব্যবহারকারীরা পণ্যটিকে সাগ্রহেই গ্রহণ করেছে।
বেশ কয়েক বছরের মন্দা এবং প্রযুক্তিপণ্যের গবেষণা ও উন্নয়নের স্থবিরতার পর ২০১৩ সাল একটা ভিন্নতর সম্ভাবনার সৃষ্টি করেছে, বিশেষ করে শেষ চার মাসে অভাবনীয় সাফল্য দেখিয়েছে স্মার্টফোন। ফলে স্মার্টফোনভিত্তিক ইন্টারনেট ব্যবহারও বেড়েছে অভাবিত মাত্রায়। বিশ্বের অন্যান্য দেশে সাধারণ মোবাইল ফোনের চেয়ে স্মার্টফোনের বিক্রি বেড়েছে এবং মোবাইল ফোনের বাজারটা দ্রুতই স্মার্টফোনের দখলে চলে যাবে বলে মনে করছেন বাজার বিশ্লেষকেরা।
এ সময়ে বাংলাদেশের বাজারেও স্মার্টফোনের বিক্রি বেড়েছে। বিশেষ করে স্থানীয় অপারটেরেরা থ্রিজি সেবা চালু করায় স্মার্টফোন ব্যবহারকারীর সংখ্যা ক্রমাগত বাড়ছে। কিন্তু উপযোগিতা ও মূল্যমানের দিক থেকে স্মার্টফোনভিত্তিক ইন্টারনেট ব্যবহার ততটা জনপ্রিয়তা পায়নি। তবে সম্প্রতি দেখা যাচ্ছে, অনলাইন সংবাদমাধ্যমগুলোর জন্য অনেক মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহার করছে। এ ছাড়া ট্যাবলেট পিসির বিক্রিও বেড়েছে দেশীয় বাজারে।
সার্বিকভাবে ইন্টারনেটভিত্তিক সরকারি তথ্যসেবার মান বেড়েছে এবং অনেক মানুষ এর আওতায় এসেছে। এক বছরের না হোক, চার বছরের একটা হিসাব পাওয়া গেছে ইউনিয়ন তথ্য ও সেবাকেন্দ্রগুলোর। গত মাসে অ্যাক্সেস টু ইনফরমেশন কর্মসূচি জানিয়েছে, অনলাইনে তিন কোটির বেশি জন্মনিবন্ধন, বিদেশ গমনেচ্ছু ২০ লাখ মানুষের নিবন্ধন এবং সাড়ে চার লাখ জমির দলিলের নকল বা পর্চা পাওয়ার কাজ হয়েছে। এ সময়ে উদ্যোক্তাদের মোট উপার্জন হয়েছে ১৩০ কোটি টাকার বেশি। কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে ১০ হাজার মানুষের।
উল্লেখ্য, এ এটুআই কর্মসূচিতে সহায়তা দিচ্ছে ইউএনডিপি। এর পাশাপাশি এ বছর তথ্যপ্রযুক্তি পেশাজীবী গড়তে সহায়তা দিচ্ছে বিশ্বব্যাংক। পাঁচ বছর মেয়াদি লিভারজিং আইসিটি ফর গ্রোথ এমল্পয়েমেন্ট অ্যান্ড গ্রোথ (এলআইসিটি) নামের এ প্রকল্পে ৭ কোটি ডলার ঋণ দিচ্ছে বিশ্বব্যাংক। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিতে কমপিউটার প্রকৌশলে এবং বিজ্ঞান-বাণিজ্যে সণাতকদের উচ্চতর প্রশিক্ষণ দেয়া হবে। এ প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে পাঁচ বছরে ৩৪ হাজার প্রশিক্ষণপ্রাপ্তের জন্য প্রত্য কর্মসংস্থান এবং ১ লাখ ২০ হাজার জনের পরোক্ষ কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে। এ ছাড়া আর একটি প্রকল্পের আওতায় স্মার্টফোনে সরকারি তথ্য ও সেবা পাওয়ার একটি উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। আমাদের জন্য ২০১৩ সালেও তথ্যপ্রযুক্তির বেশ কিছু ভালো সংবাদ পাওয়া গেছে। আউটসোর্সিং যারা করছেন তারা যেমন সংখ্যায় বাড়ছেন, তেমনি বৈদেশিক মুদ্রায় আয়ও বাড়াচ্ছেন। বিশ্বে যে নতুন উদ্যোগগুলো চলছে, সেগুলোর মধ্যে শামিল হতে পারছেন আমাদের তরুণেরাও।
সুযোগ পেলে আমাদের নতুন প্রজন্ম মেধার পরিচয় দিতে পারছে। কিন্তু দেশে সুযোগ এখনও কম হলেও ধীরে ধীরে উন্মুক্ত হচ্ছে কর্মপরিধি। এই যে স্মার্টফোনের জন্য সরকারি সেবার প্রকল্প, সেখানে অ্যাপ তৈরির কাজ করছেন দেশীয় প্রযুক্তিবিদেরাই। এ ছাড়া নানা ধরনের অ্যাপ তৈরিতে ইতোমধ্যেই মুন্সিয়ানা দেখিয়েছেন এরা। উদ্ভাবনী কাজে পৃষ্ঠপোষকতা ও সহযোগিতা দিলে এ দেশেও যে ভালো জিনিস তৈরি হতে পারে, তা ২০১৩ সালেই খুব ভালোভাবে বুঝিয়ে দিয়েছেন দেশের প্রযুক্তিবিদেরা। সরকার এবং বিভিন্ন বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও সংগঠনের মানসিকতারও পরিবর্তন লক্ষ করা যাচ্ছে। এখন প্রয়োজন ধারাবাহিকতা বজায় রেখে চলা। তাহলেই বিশ্বব্যাপী প্রযুক্তি নিয়ে যে নতুন উন্মাদনা সৃষ্টি হয়েছে, তার সাথে তাল মিলিয়ে চলতে পারব আমরা।
স্মার্টফোন, ট্যাব এবং গিয়ারে যে নতুন প্রযুক্তি ও সেবার বাজার সৃষ্টি হচ্ছে, এই বাজারে আমাদেরও অনেক কিছু দেয়ার আছে। কারণ, আমরা উন্নয়নশীলতার ভিন্নধর্মী প্রয়োজনীয়তার মধ্যে আছি। আমাদের চ্যালেঞ্জটা অর্থনৈতিক উপযোগিতার। এ বিষয়গুলো পাশ্চাত্যের প্রযুক্তিবিদদের বুঝতে সময় লাগবে। এ সুযোগটা আমরা কাজে লাগাতে পারলে বিশ্বের নতুন প্রযুক্তি বাজারে আমরা অগ্রগামী অবস্থানে থাকতে পারব।
ফিডব্যাক : abir59@gmail.com