লেখক পরিচিতি
লেখা সম্পর্কিত
পাবলিশ:
২০১৪ - ফেব্রুয়ারী
সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইট ফেসবুক
৪ ফেব্রম্নয়ারি ২০০৪ ইন্টারনেট জগতের এক বিস্ময়ের দিন। এদিনই জনসম্মুখে উন্মোচন করা হয় ফেসবুক নামের এক সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইট। ধারণা করা হয়, ইন্টারনেট অনেক দিন আগে আবিষ্কার হলেও এই ফেসবুক আবিষ্কারের পর ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা বেড়ে গেছে কয়েকগুণ। ফেসবুকের মূল ধারণাটি আসে বোস্টনে অবস্থিত হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটির ছাত্র মার্ক জুকারবার্গের মাথা থেকে। সেই হিসেবে আমরা সবাই জানি মার্ক জুকারবার্গই ফেসবুকের প্রতিষ্ঠাতা। কিন্তু একই সাথে আরও চারজনের নাম আমাদের জেনে রাখা উচিত, যারা এ সাইটটি তৈরিতে জুকারবার্গের সাথে জড়িত ছিলেন। এডুয়ার্ডো স্যাভারিন, অ্যান্ড্রু ম্যাককলাম, ডাস্টিন মসকোভিজ ও ক্রিস হিউজ। প্রথমত এরা একসাথে যাত্রা শুরম্ন করলেও পরে বোস্টনের অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের, আইভি লিগ ও স্ট্যানফোর্ড ইউনিভার্সিটি থেকে এ ব্যাপারে সহযোগিতা পান। প্রতিবছর ১৮০ পেটাবাইট ডাটা তৈরি হয় এখান থেকে এবং ২৪ ঘণ্টায় তৈরি হয় প্রায় অর্ধেক পেটাবাইট ডাটা।
ফেসবুকের আয়
ফেসবুকের রাজস্ব আয় হয় মূলত বিজ্ঞাপন থেকে। এখানে ফেসবুকের রাজস্ব আয় মিলিয়ন ডলার আকারে প্রকাশ করা হলো।
বছর রাজস্ব প্রবৃদ্ধি
২০০৬ ৫২ ডলার -----------
২০০৭ ১৫০ ডলার ১৮৮ শতাংশ
২০০৮ ২৮০ ডলার ৮৭ শতাংশ
২০০৯ ৭৭৫ ডলার ১৭৭ শতাংশ
২০১০ ২০০০ ডলার ১৫৮ শতাংশ
২০১১ ৪২৭০ ডলার ১১৪ শতাংশ
ফেসবুকের ওপেন সোর্সের অবদান : ফ্রি ও ওপেন সোর্স সফটওয়্যারের ক্ষেত্রে ফেসবুক একইসাথে ভোক্তা এবং অংশদাতা। ওপেন সোর্সের ক্ষেত্রে ফেসবুকের অবদান হিপহপ ফর পিএইচপি, অ্যাপাচি হাডুপ, অ্যাপাচি হাইভ, অ্যাপাচি ক্যাসান্ড্রা ও ওপেন কমপিউটার প্রজেক্ট। ওরাকল ও মাইএসকিউএলের ডাটাবেজ ইঞ্জিনেও ফেসবুকের অবদান রয়েছে।
জানা-অজানা ফেসবুক সেবার কিছু তথ্য
এক. ইউজারনেম ফিচারটি যুক্ত হয় ২০০৯ সালের ১৩ জুন। এরপরই এর আগের টজখ অ্যাড্রেস www.facebook.com/facebook পরিবর্তন হয়ে www.facebook.com/ profile.php?id=20531316728 হয়।
দুই. ৬ সেপ্টেম্বর ২০০৬ নিউজ ফিড যুক্ত হয় ফেসবুকে। তবে ২৩ ফেব্রম্নয়ারি ২০১০ ফেসবুকে নিউজ ফিড প্যাটেন্ট আকারে স্বীকৃতি পায়।
তিন. ১৫ নভেম্বর ২০১০ ম্যাসেজিং পস্ন্যাটফর্ম ‘প্রজেক্ট টাইটান’ উপস্থাপিত হয়।
চার. ২০১১ সালের এপ্রিল থেকে ফেসবুক ব্যবহারকারীরা ভয়েস কল করার সুবিধা পান।
পাঁচ. স্কাইপের সাথে চুক্তি করায় ৬ জুলাই ২০১১ থেকে ব্যবহারকারীরা ফেসবুকে ভিডিও কল করার সুবিধা পান।
ছয়. ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১১ ফেসবুকে ঝঁনংপৎরনব বাটন ও ২০১২ সালের ডিসেম্বরে Follow বাটনটি যুক্ত হয়।
সাত. ২১ এপ্রিল ২০১০ ফেসবুকে লাইক বাটন যুক্ত হয়।
ফেসবুকের ব্যবহারকারী
প্রথমত এখানে ইউজার আইডি খুলতে বয়সসীমা ১৮ থাকলেও বর্তমানে তা ১৩ বছরে নামিয়ে আনা হয়েছে। সেপ্টেম্বর ২০১২-এর রিপোর্ট অনুযায়ী ফেসবুকে এক বিলিয়নের বেশি ইউজার আইডি রয়েছে, যার ৮.৭ শতাংশই নকল।
ব্যবহারকারীদের জন্য ফেসবুক কর্তৃপক্ষ সবসময়ই নিত্যনতুন ফিচার যুক্ত করার চেষ্টা করে। সাধারণ ব্যবহারকারীদের জন্য ফেসবুকের নতুন কিছু ফিচার।
০১. টাইমলাইন নিয়ন্ত্রণ : ফেসবুকে একজনের টাইমলাইনে আরেকজনের ছবি বা লিঙ্ক ট্যাগ করা যায়। প্রিয় মানুষকে চমকে দিতে এটি দারুন হলেও এতে সতর্কতা প্রয়োজন আছে। আপনার টাইমলাইনে অনুমতি ছাড়া ছবি বা লিঙ্ক ট্যাগ করার অপশন বন্ধ করে দিতে পারেন। তখন অনুমতি ছাড়া কেউ আপনার টাইমলাইনে কিছু শেয়ার করতে পারবেন না।
ট্যাগ রিভিউ করতে ফেসবুকের যেকোনো পেজের উপরে অ্যারোতে ক্লিক করুন। সেটিংসে গিয়ে নির্বাচন করুন ‘Who Can add Things to my Timeline’। এছাড়া এডিটে ক্লিক করে কারও শেয়ার করা ট্যাগ রিভিউ করে শেয়ার করতে পারবেন। টাইমলাইনের ওপর নিয়ন্ত্রণ রাখা সহজ হয়।
০২. মেসেজ চেক করা : নিউজ ফিডে নোটিফিকেশন এসে জমা হলে তার মাঝে থাকে কিছু অপ্রয়োজনীয় মেসেজ। এমন নোটিফিকেশনগুলো রাখা যায় আলাদা মেসেজ ফোল্ডারে। ফেসবুক হাইলাইট স্টোরির মতো আপনার নিউজ ফিডেও এটা গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে। এটি অবশ্য মেসেজকে ছোট করে দেখাবে। নির্বাচিত মেসেজগুলো থাকবে মূল মেসেজ ফোল্ডারে। অন্য মেসেজগুলো আলাদা ফোল্ডারে এসে জমা হবে। আলাদা মেসেজ বক্সে নতুন কোনো মেসেজ এলে নোটিফিকেশনেও তা দেখাবে না। অন্যান্য ইনবক্সে তা জমা হবে।
০৩. প্রাইভেট মেসেজ : আপনার ইউজার আইডির পর @ (Facebook.com) ফেসবুক ডটকম ঠিকানা ব্যবহার করে ই-মেইল পাঠানোর অপশন আছে। ফেসবুকে থাকা বন্ধুদের হটমেইল, ইয়াহু ও জি-মেইলে ই-মেইল করতে পারেন। ফেসবুক থেকে পাঠানো মেসেজের মতোই এতে মেইল প্রেরকের ফেসবুক প্রোফাইলের ছবি দেখাবে।
০৪. মোবাইল পুশ নোটিফিকেশন বন্ধ করা : মোবাইল ফোনে বারবার ফেসবুক থেকে নোটিফিকেশন আসা বিরক্তিকর কারণ হতে পারে। পুশ নোটিফিকেশন টার্ন বা অফ করার মাধ্যমে আপনি এ সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন। প্রাইভেসি সেটিংয়ে গিয়ে পেজের বাম পাশের তালিকায় নোটিফিকেশনে আপনি এ অপশনটি বন্ধ করে দিতে পারেন। এছাড়া অ্যান্ড্রয়িড, আইফোন ও আইপ্যাড থেকেও নোটিফিকেশন পছন্দমতো পরিবর্তন করা যায়।
০৫. অ্যাক্টিভিটি লগ : ফেসবুক অ্যাক্টিভিটি লগ হচ্ছে আপনার ফেসবুক পোস্ট ও বিভিন্ন কার্যক্রমের তালিকা। ফেসবুকে প্রথম পোস্ট থেকে শুরম্ন করে সাম্প্রতিক সব পোস্ট জানা যাবে অ্যাক্টিভিটি লগ থেকে। লাইক, শেয়ার, কমেন্টসহ টাইমলাইনে হিডেন তথ্যগুলোও দেখা যাবে এতে।
০৬. ডাউনলোড করম্নন ফেসবুক ডাটা : আপনি চাইলে জেনারেল অ্যাকাউন্ট সেটিং থেকে ফেসবুকের ডাটাগুলো ডাউনলোড করে সংরক্ষণ করতে পারবেন। টাইমলাইন ইনফো, শেয়ার করা পোস্ট, মেসেজ, ছবি ও অন্যান্য তথ্য ডাউনলোড করতে পারবেন। এছাড়া আপনি কতটুকু সময় ফেসবুক ব্যবহার করছেন, আইপি অ্যাড্রেস সবকিছু আলাদা সংরক্ষণ করতে পারবেন।
এজন্য ফেসবুক পেজের উপরে ডান পাশের মেনু থেকে সেটিং নির্বাচন করম্নন। জেনারেল অ্যাকাউন্টের শেষের দিকে ডাউনলোড ‘Copy of your Facebook Data’ থেকে আপনি প্রয়োজনীয় তথ্য ডাউনলোড করতে পারবেন। ই-মেইলে আপনাকে এ বিষয়ে তথ্য সরবরাহ করবে ফেসবুক।
০৭. প্রোফাইলের লেখা উল্টো করম্নন : আপনি চাইলে প্রোফাইলের ইংরেজি লেখা উল্টো করে দিতে পারেন। তখন প্রোফাইলের লেখাগুলোকে উল্টো করে দেখাবে। এটি করতে ভাষা নির্বাচনে গিয়ে Change language to (Upside Down) নির্বাচিত করম্নন। এরপর দেখুন বদলে গেছে লেখার স্টাইল। প্রোফাইলের সব লেখা উল্টো দেখা যাবে। হোম পেজেও কিছুটা পরিবর্তন দেখাবে। তবে লেখা উল্টো করে দেয়ায় কোনো লাভ না হলেও শুধু মজা করা যাবে।
০৮. বন্ধুত্বের খোঁজখবর : ফেসবুকে খুঁজে পেতে পারেন আপনার পুরনো কোনো বন্ধুকে। বন্ধুর তালিকায় থাকা কারও প্রোফাইলে ক্লিক করার পর ছবির নিচে ফ্রেন্ডস লেখা দেখা যাবে। তাতে ক্লিক করে জানা যাবে আপনার বন্ধুর পছন্দের তালিকায় কারা আছেন। সেখানে খুঁজে পেতে পারেন পুরনো কোনো বন্ধুকে। বন্ধুদের কারও টাইমলাইনে নতুন কিছু শেয়ার হলে তা আপনি দেখতে চাইলে সেখানে টিক চিহ্ন দিন।
০৯. পছন্দের তালিকা : ফেসবুকে আপনার পছন্দের বিষয়গুলো নিয়ে বানাতে পারেন ইন্টারেস্ট লিস্ট। এটি তৈরি করার জন্য https://www.facebook.com/bookmarks/interests পেজে গিয়ে ক্রিয়েট লিস্টে ক্লিক করে আপনার পছন্দের পেজ বা ব্যক্তিদের যুক্ত করতে পারবেন। এরপর নেক্সটে ক্লিক করম্নন। এ তথ্যটি কারা দেখতে পাবে, তা নির্বাচন করম্নন। পাবলিক, ফ্রেন্ডস, আনলক মি থেকে যাদের নির্বাচন করবেন, শুধু তারাই আপনার ক্রিয়েট লিস্টটি দেখতে পাবে।
১০. ছবি দেখার নতুন স্টাইল পছন্দ না হলে : ফেসবুকে কোনো ছবির থাম্বনেইলে ক্লিক করলে একটি অর্ধস্বচ্ছ কালো পর্দার ওপর ছবিটি দেখায়। আগে ছবিগুলো দেখাতো ওয়েব পেজের ওপর। পুরনো স্টাইলে ছবি দেখতে চাইলে ছবিটি লোড হওয়ার পর রিফ্রেশ বাটন অর্থাৎ ঋ৫ চাপুন। এবার আগের স্টাইলেই ছবি লোড হবে।
এছাড়া ফেসবুকে রয়েছে ফ্যান পেজের জন্য নতুন কিছু ফিচার, যা অনেকটা উপকারে দেবে পেজ নিয়ন্ত্রণকর্তা বা অ্যাডমিনের জন্য। ফ্যান পেজের জন্য প্রয়োজনীয় কিছু ফিচার :
০১. গেস্নাবাল ও লোকাল পেজের সমন্বয় : যদি একটি আমত্মর্জাতিক ব্র্যান্ডের ফেসবুক পেজের নিয়ন্ত্রণকর্তা হন, তাহলে নিশ্চিতভাবেই আপনি এর সুবিধা নিয়ে প্রশংসা করবেন। আপনি ও আপনার ফ্যানরা গেস্নাবাল পেজ থেকে লোকাল পেজে ট্রান্সফার হতে পারবেন ‘Switch Region’ ট্যাবের মাধ্যমে, যা কভার ফটোর নিচে পাওয়া যাবে। গেস্নাবাল পেজ বা লোকাল পেজ যেকোনো একটিতে লাইক দিলে তা উভয়ের মাঝেই সমভাবে প্রদর্শিত ও বন্টিত হবে। এছাড়া ফ্যানেরা তাদের নিজস্ব অবস্থান থেকে লোকাল পেজকে স্বয়ংক্রিয়ভাবে নেভিগেট করতে পারবেন। লোকাল পেজের গুরুত্বকে ও গেস্নাবাল পেজের থেকে লোকাল পেজকে বেশি আকর্ষণীয় করে তোলার জন্য এ পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।
০২. ফ্যান পেজের ইউজার নেম পরিবর্তন : কিছুদিন আগে রিকোয়েস্ট পাঠানোর মাধ্যমে ফ্যান পেজের নাম পরিবর্তন করতে হতো। কিন্তু বর্তমানে একজন অ্যাডমিন নিজেই এ নামটি পরিবর্তন করতে পারবেন। আপনার পেজে যদি একশ’র বেশি লাইক থাকে, তবেই আপনি তা পরিবর্তন করতে পারবেন। এজন্য ফেসবুক পেজ ওপেন থাকা অবস্থায় এডিট পেজে ক্লিক করে আপডেট ইনফোতে ‘বেসিক ইনফরমেশন’-এর ঘর পরিপূর্ণ করম্নন এবং ‘Change User Name’ এডিট করম্নন। তবে সাবধান, কেননা এ নামটি একবারই পরিবর্তন করতে পারবেন এবং আপনার ফ্যান পেজে যদি দুইশ’রও বেশি লাইক থাকে, তবে আপনি আর এভাবে নামটি পরিবর্তন করতে পারবেন না।
০৩. আইফোনের মাধ্যমে আপনার পেজ নিয়ন্ত্রণ : আইফোন ও আইপ্যাড থেকে পেজের অ্যাক্টিভিটি চেক করার জন্য এবং শ্রোতা বা ফ্যানদের কমেন্টসের প্রতিক্রিয়া জানানোর জন্য ফেসবুক ‘পেজ ম্যানেজার’ নামে একটি অ্যাপিস্নকেশন উপস্থাপন করেছে। এর জন্য ডিভাইসে ফেসবুকের প্রধান অ্যাপিস্নকেশন ডাউনলোড করে এ পেইজ ম্যানেজার ইনস্টল করতে হবে। এর মাধ্যমে একজন অ্যাডমিন স্ট্যাটাস ও ফটো আপডেট করাসহ সরাসরি পেজ কনটেন্ট নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন। এর মাধ্যমে আপনি নোটিফিকেশনের মাধ্যমে আপনার পেজের সাথে ফ্যানের যোগাযোগ প্রত্যক্ষ করতে পারবেন। আপনার পেজটিকে সর্বদা নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে এর প্রবৃত্তির হার এবং প্রতিক্রিয়ার হার বাড়াতে পারবেন। কিন্তু এ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে আপনার আইডির মেসেজগুলো দেখতে পারবেন না, তবে তা পরবর্তী সময়ে অন্য কোনো পিসি থেকে অবশ্যই তা দেখতে পারবেন।
০৪. আপনার পোস্টের প্রদর্শকের সংখ্যা গণনা করুন : আপনার পোস্ট কতজন ফ্যান প্রদর্শন করেছেন ফেসবুক এখন তার সংখ্যা শতকরা হিসেবে প্রদর্শন করবে। প্রকৃত পক্ষে ফেসবুকে ব্র্যান্ডের কোনো পণ্য কতসংখ্যক ফ্যান পর্যবেক্ষণ করেছেন, তার সঠিক হিসাব অ্যাডমিনের কাছে পৌঁছে দিতেই এ উদ্যোগ।
০৫. ফেসবুকে যুক্ত করম্নন ভিডিও টাইমলাইন : জানুয়ারি থেকে ব্যক্তিগত প্রোফাইলকে ভিডিওর মাধ্যমে বন্ধুদের সাথে শেয়ার করার জন্য ফেসবুক অফিসিয়ালি ‘টাইমলাইন মুভি মেকার’ উপস্থাপন করেছে। অর্থাৎ এখন থেকে কোনো ব্র্যান্ডের ইতিহাস ও মূল্যবোধটুকু ফ্যানদের কাছে ভিডিওর মাধ্যমে প্রকাশ করা যাবে। ফেসবুক ফ্যানদের সাথে ভিজ্যুয়াল কমিউনিকেশনের জন্য এ সুবিধা দিচ্ছে। তবে আপনার আইডিতে যদি যথেষ্ট পরিমাণ ফটো থাকে তবেই এ সেবা নিতে পারবেন। এ অ্যাপিস্নকেশনটি আপনার আইডি থেকে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ফটো সিলেক্ট করতে পারবে। আপনি যদি আপনার ভিডিওটিকে গ্রহণযোগ্য মনে না করেন তবে তা এডিটও করতে পারবেন।
ডিসেম্বর ২০১৩ অনুযায়ী এর বর্তমান অ্যালেক্সা র্যাবঙ্কিং ২। অর্থাৎ গুগলের পরেই এর অবস্থান। এটি বিশ্বব্যাপী ৭০টি ভাষায় সেবা দিয়ে যাচ্ছে। সেপ্টেম্বর ২০১৩ অনুযায়ী এর বর্তমান ব্যবহারকারীর সংখ্যা ১.১৯ বিলিয়ন। জানুয়ারি ২০০৯-এ কমপিট ডটকম মাসিক ব্যবহারকারীর সংখ্যার ওপর নির্ভর করে ফেসবুককে সবচেয়ে বেশি ব্যবহার হওয়া সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইট হিসেবে আখ্যায়িত করে। এন্টারটেইনমেন্ট উইকলি ফেসবুককে এই দশকের শেষে ‘বেস্ট অফ’ লিস্টে স্থান দেয়। ফেসবুক ইনকরপোরেশন ১৮ মে ২০১২ সালে তার স্টক পাবলিকলি লেনদেনের জন্য ‘নাসডাক’-এর সাথে চুক্তিবদ্ধ হয়। ২০১২ সালে ৫.১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার আয়ের ওপর ভিত্তি করে প্রথমবার প্রকাশ করা ‘ফরচুন ৫০০’-এর তালিকায় ৪৬২তম স্থান অর্জন করে ফেসবুক। কোম্পনি রিভিউ সাইট গস্নাসডোর ষষ্ঠ বার্ষিকী এমপস্নয়ি চয়েস অ্যাওয়ার্ডে ২০১৪ সালের জন্য পঞ্চম সেরা কোম্পানির স্বীকৃতি পায়
ফিডব্যাক : kdsubho@gmail.com