• ভাষা:
  • English
  • বাংলা
হোম > গেমের জগৎ
লেখক পরিচিতি
লেখকের নাম: কজ
মোট লেখা:১০৪১
লেখা সম্পর্কিত
পাবলিশ:
২০১৪ - মার্চ
তথ্যসূত্র:
কমপিউটার জগৎ
লেখার ধরণ:
গেম
তথ্যসূত্র:
খেলা প্রকল্প
ভাষা:
বাংলা
স্বত্ত্ব:
কমপিউটার জগৎ
গেমের জগৎ
পৃথিবীখ্যাত টিভি সিরিজ ওয়াকিং ডেড যেমন মিডিয়া জগতে বিপ্লব এনেছে, তেমনি তার স্টোরিলাইন গেমিং জগতেও বেশ যুগান্তকারী পরিবর্তন আনতে যাচ্ছে, তা এর ইনস্টলমেন্ট ফোর হান্ড্রেড ডেইস দেখেই আন্দাজ করে নেয়া যায়। প্রথমে কমিক, এরপর টিভি সিরিজ, এরপর গেমিং, যারা একেবারে কমিককাল থেকেই ওয়াকিং ডেডের ভক্ত, তারা হয়তো খানিকটা হতাশই হবেন, কারণ গেম কমিকের তুলনায় শুরু হওয়ার আগেই শেষ। তবে এতদিন ধরে দেখে আসা প্রিয় চরিত্রগুলোর ভয়ভীতি-জীবনাচরণ নিজ থেকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারার চেয়ে মজার আর কিছুই নেই। ওয়াকিং ডেড সবচেয়ে অদ্ভুত সৌন্দর্য দেখিয়েছে এর গ্রাফিক্সের কারিগরিতে আর শব্দকুশলিতে। গেমটির সম্পূর্ণ অদ্ভুত আবহ তৈরি হয়েছে এর হৃদয়বিদারক ঘটনাপ্রবাহ আর গেমারের প্রতি পদক্ষেপে নেয়া সিদ্ধান্তের সাথে চরিত্রগুলোর মাইনিউট জীবন পরিবর্তনের সাথে। সব মিলিয়ে সিরিজের পুরনো অনুরাগী কিংবা আগন্তুক দুই ধরনের গেমারই বেশ আনন্দ এবং শিহরণ অনুভব করবেন ওয়াকিং ডেড : ফোর হান্ড্রেড ডেইস গেমটিতে।
প্রথমেই বলে নেয়া ভালো, পুরো গেমটি বিভিন্ন মিনি এপিসোড নিয়ে তৈরি হয়েছে আর প্রত্যেকটি মিনি এপিসোডের আছে নিজস্ব স্বকীয়তা, যা প্রত্যেকটি ক্ষেত্রে নিত্যনতুন চমকের উপহার দিয়েছে। আর চমকের সাথে সাথেই আছে ধ্বংসপ্রাপ্ত পৃথিবীর ভয়াবহ চিত্ররূপ, মৃত প্রকৃতির ভয়ঙ্কর আকুতি, যা দেখে গা শিউরে উঠবে যেকোনো জীবিত আত্তার। প্রতিটি এপিসোডে গেমারকে নিতে হবে ক্ষমার অযোগ্য, হৃদয় ছিন্ন-বিচ্ছিন্ন করা সিদ্ধান্ত, যার একটি আরেকটিকে ছাড়িয়ে গেছে নিষ্ঠুরতায়, শুধু বেঁচে থাকার তাগিদে সাথে আরও জীবনকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য। গেমারকে সবসময় লক্ষ রাখতে হবে কার সাথে রয়ে যাওয়া ক্ষয়িষ্ণু জীবনের বাকি পথটুকু চলা সহজ হবে।
এখন ভেতরের কথাগুলো বলে নেয়া যাক। গেমটি ছোট ছোট গল্পে বিভক্ত। প্রত্যেকটি গল্প একটির চেয়ে আরেকটির ভয়াবহতাকে ফুটিয়ে তুলেছে। এই প্রচ-তার সবকিছু শেষ করে ফেলা যাবে মাত্র একটি ফুটবল ম্যাচ দেখতে যতক্ষণ লাগে ততক্ষণের মধ্যেই। আর এই দ্রুতলয়ের গেমিং গেমারকে তার সর্বোচ্চ শক্তির শেষটুকু ব্যবহার করতে বাধ্য করবে এবং গেমার পাবেন ফুটবল ওয়ার্ল্ড কাপ ফাইনাল দেখার মতোই উত্তেজনা।

গেমাররা হয়তো এখন ভাবছেন, এত তাড়াহুড়ো আর উত্তেজনার মাঝে গেমটির অনেক অংশই ঠিকমতো বুঝে উঠা যাবে না। কিন্তু ব্যাপারটা ঠিক এর উল্টো। গেমের প্রত্যেকটি চরিত্রের চারিত্রিক গভীরতা অংশকে সৌন্দর্যপূর্ণ করে গড়ে তুলেছে। নিখুঁত স্টোরিলাইন, হৃদয় আকড়ানো রোল প্লেয়িং- সব মিলিয়ে গেমটি ‘ওর্থ দ্য টাইম’। এখানে প্রত্যেকটি এপিসোডের মধ্যে উপরে বলা বিষয়গুলো ছাড়াও একটি মজার ব্যাপার আছে। গেমটির প্রত্যেকটি এপিসোডের মৌলিকতা ভিন্ন। প্রত্যেকটি এপিসোড মানব-মনের ভিন্ন ভিন্ন অনুভূতিকে বের করে নিয়ে আসে। আর প্রত্যেক অনুভূতি তার মানবিক চূড়াকে স্পর্শ করে যায়। সুতরাং গেমার এবং সিরিজপ্রেমীরা আর দেরি না করে এখনই বসে পড়ুন ওয়াকিং ডেড : ফোর হান্ড্রেড ডেইস নিয়ে নির্ঘুম কয়েক রাত কাটানোর জন্য।

গেম রিকোয়ারমেন্ট
উইন্ডোজ : এক্সপি/ভিসতা/৭, সিপিইউ : পেন্টিয়াম ৪/যেকোনো, i¨vg : ২ গিগাবাইট উইন্ডোজ এক্সপি/২ গিগাবাইট উইন্ডোজ ভিসতা/৭, ভিডিও কার্ড : ৫১২ মেগাবাইট, হার্ডডিস্ক : ৫ গিগাবাইট, সাউন্ড কার্ড, কিবোর্ড ও মাউস।
রোভিও প্রথম যখন অ্যাংরি বার্ডস গেমটি গেমারদের সামনে উন্মুক্ত করল, তখন এর তুমুল জনপ্রিয়তা গেমটিকে পৃথিবীর লিজেন্ডারি গেমগুলোর একটিতে পরিণত করল। এর ফলে প্লাটফর্ম গেমিংয়ের জগতে এক নতুন যুগের সূচনা হলো। এরপর অনেক ছোট ছোট ক্যুইক টাইম প্লাটফর্ম গেম তৈরি হলেও সেগুলো অ্যাংরি বার্ডসের মতো জনপ্রিয় হয়নি। এরপর গেমিং জগতে আরেকটি লিজেন্ডারি গেমের আবির্ভাব ঘটে এবং তা হলো প্ল্যান্টস ভার্সেস জম্বিস। আর এবার লাখো গেমারের বহুদিনের অপেক্ষার পর পপ ক্যাপ গেম নিয়ে এলো প্ল্যান্টস ভার্সেস জম্বিস ২। প্ল্যান্টস ভার্সেস জম্বিসের মতো এর দ্বিতীয় ইনস্টলমেন্টটিতেও কোনো পূর্ববর্তী স্টোরিলাইন নেই। তাই গল্পপ্রধান গেমিং স্ট্র্যাটেজি নেই বললেই চলে। তবে আছে প্ল্যান্টস ভার্সেস জম্বির টানটান উত্তেজনা। তাই এবারও বাজি ধরে বলা যায় পাঁচ মিনিট পরই যেকোনো গেমারের জন্য গেম স্ক্রিনের ওপর থেকে চোখ সরানো অসম্ভব হয়ে উঠবে। প্ল্যান্টস ভার্সেস জম্বিস ২-এরও ঘটনাক্রম বেশ সহজ। গেমারের বাড়িতে জম্বিরা আক্রমণ করবে-এরকম ছিল আগের কাহিনী। আর এবার পাইরেট শিপ থেকে মেঘালয় কোনো কিছুই বাদ যায়নি প্ল্যান্টস ভার্সেস জম্বিস ২ থেকে। গেমারকে তার সবকিছু জম্বিদের কাছ থেকে রক্ষা করতে হবে। এজন্য গেমারের কাছে আছে আগের মতোই সূর্যালোক, বিভিন্ন ধরনের গাছের চারা সূর্যালোকের সাহায্যে বেঁচে থাকে। আর এজন্য রয়েছে খোলা আকাশ, সূর্যালোক উৎপাদনকারী সানফ্লাওয়ার চারা এবং রাতের বেলার জন্য মাশরুম। রয়েছে চেরি বম্ব, জম্বি খেকো গাছ, কর্ণ মিসাইল, চিলি বারনার, যেগুলো জম্বিদেরকে নিমিষে ধুলোয় মিশিয়ে দিতে পারে। তবে মজার ব্যাপার, এবার মাঝে মাঝে জম্বিরা প্ল্যান্টস-ফুড নিয়ে আসতে পারে। পানি, আকাশপথ এবং মাটির নিচ দিয়েও আক্রমণ করতে পারে জম্বিরা। আছে জলের উদ্ভিদ, আকাশের গাছ, মাইন করার জন্য আছে পটেটো মাইন, মাইন থ্রোন ইত্যাদি। যেসব জম্বি আকাশে উড়তে পারে, তাদের জন্য রয়েছে আলাদা ব্যবস্থা। সব মিলিয়ে বিভিন্ন ধরনের চারা আছে তাদের চেয়েও বেশি ধরনের জম্বিদের সাথে যুদ্ধ করার জন্য। গেমটিতে রয়েছে ক্যাম্পেইন মোড, এন্ডলেস মোড, সারভাইভাল মোড। আছে নানা ধরনের পাজল গেম। আছে নিজের বাগানে নির্দিষ্ট প্রজাতির ফুল চাষ করার ব্যবস্থা। এবার কিছু কয়েন কালেক্ট করে নিতে পারলেই আনলক করা যাবে নিত্যনতুন পাওয়ার, যা দিয়ে জম্বিদের ইলেকট্রিকিউট করা যাবে, স্ক্রিন থেকে তুলে বাইরে ফেলে দেয়া যাবে। আছে অদ্ভুত সব প্ল্যান্টস ক্যানন আর প্রতি মুহূর্তের উত্তেজনা। গেমাররা যদি পিসিতে ডিরেক্ট ভার্সন পেতে বেশি ঝামেলা হচ্ছে বলে মনে করেন, তাহলে সরাসরি ব্লুস্ট্যাক্স কিংবা অন্যান্য যেকোনো অ্যান্ড্রয়িড এমুলেটরে খেলতে পারেন গেমটি। যারা এখনও খেলা শুরম্ন করেননি তাদের প্রতি অনুরোধ, তারা যেনো কোনোভাবেই অসাধারণ এই গেমটি মিস না করেন।

গেম রিকোয়ারমেন্ট
উইন্ডোজ : এক্সপি/ভিসতা/৭, সিপিইউ : পেন্টিয়াম ৪/যেকোনো, র্যা ম : ১২৮ মেগাবাইট উইন্ডোজ এক্সপি/২৫৬ মেগাবাইট উইন্ডোজ ভিসতা/৭, হার্ডডিস্ক : ৮০ মেগাবাইট, সাউন্ড কার্ড, কিবোর্ড ও মাউস
অনেক দিনের পুরনো এক ইতিহাস, শেষ পর্যন্ত কেউই বেঁচে ছিল না সেই ইতিহাসটুকুর শেষে। নীল নদের তীরে এসে সবাই মৃত, কোথাও এতটুকু নিঃশ্বাস নেই। দ্য র্যাডভেনের প্রথম এই অধ্যায়ে গেমারকে নিসত্মব্ধ মৃত্যুর কিংবদন্তিতে খুঁজে ফিরতে হবে সত্যকে। সম্ভবত পৃথিবীতে তৈরি হওয়া সবচেয়ে উদ্দীপনাপূর্ণ ক্লিক অ্যান্ড পয়েন্ট অ্যাডভেঞ্চার গেম লেগাসি অব অ্যা মাস্টার থিফ।

দ্য আই অব স্ফিংস- এখানেই সবকিছুর শুরু। খুঁজে ফিরতে হবে পৃথিবীর সবচেয়ে মূল্যবান রত্নচোর- র্যা ভেনকে। গেমারের বুদ্ধিমত্তার সর্বোচ্চ ব্যবহার করতে হবে। খুঁজে ফিরতে হবে খেলনা থেকে শুরু করে সম্ভ্রান্ত নারীদের গাউন পর্যন্ত। খুঁজতে হবে ন্যূনতম ক্লুর জন্য। খুঁজে ফিরতে হবে অজানা মানুষকে। খুঁজে ফিরতে হবে অপরাধকে। থাকতে হবে সমাজের উঁচু স্তরে, থাকতে হবে সম্ভ্রান্ত রুচি। মিশে যেতে হবে তাদের মাঝে আর তাদের সংস্কৃতিতে।
গেমটিতে তুলে আনা হয়েছে রিয়ালিজম বা বাস্তববাদ এবং অসম্ভব সুন্দর ক্যারিকেচার, যা দিয়ে চরিত্রগুলোকে জীবন্ত করে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। সাথে আছে কিং আর্টসের সিগনেচার- হেভি এবং রাউন্ডেড মুভমেন্টস, যা কি না সবচেয়ে অনাহূত চরিত্রকেও আকর্ষণীয় করে তোলে। গেমটির দ্বিতীয় আকর্ষণ এর স্টোরিলাইন এবং প্লটিং। প্রত্যেকটি ক্যারেক্টারকে দেয়া হয়েছে তাদের জন্য সম্ভাব্য সবচেয়ে এক্সকুইসিভ পারসোনালিটি, যা প্রত্যেক চরিত্র এবং তাদের সাথে বন্ধুত্বের মাঝে নতুনত্ব এনে দেবে। পরের অংশ সোজাসুজি সুদূর সুইস আল্পসে, যেখানে মানুষের সংস্কৃতি অনেকখানি ভিন্ন, কখন কে কি করে বসে তার ঠিকঠিকানা নেই। তার মাঝেই গেমারকে খুঁজতে হবে। আর একবার যখন মনে হবে সবকিছু খুঁজে পাওয়া শেষ, তখনই সন্দেহের তালিকাটা আরও লম্বা হয়ে যাবে। জিজ্ঞাসাবাদ করতে হবে বহু মানুষকে। আর সেটা করতে হবে কোনো ধরনের সন্দেহের উদ্রেক না করে। বিভিন্ন মিশন ঠিকমতো শেষ করার পর পাওয়া যাবে পয়েন্টস, যা দিয়ে পরে ডিটেকটিভ রেটিং পাওয়া যাবে। আর সবশেষে যা সম্পূর্ণ গেমকে অন্যান্য গেম থেকে আলাদা করেছে তা হলো দ্য লেগাসি অব অ্যা মাস্টার থিফের ইন্টারঅ্যাক্টিভ পাজলস। সেগুলোর জন্য দরকার পড়বে যত্নে জোগাড় করা টিপস অ্যান্ড হিন্টস। অনেক সময় অপেক্ষা করতে হবে সঠিক সময়ের জন্য। আবার অনেক সময় বড় ধরনের ঝুঁকি না নিলে হয়তো কোনো কিছুরই সমাধান হবে না। আর গেমের পুরোটাই নির্ভর করবে গেমারের গেমিং চরিত্রের ওপর। আর এর ওপর নির্ভর করেই সম্পূর্ণ গেমের রেটিং, অ্যাডভেঞ্চার রেটিং ও ডিটেকটিভ রেটিং গণনা করা হবে। সব মিলিয়ে পুরো গেমপ্লেতে গেমারকে থাকতে হবে নিশ্ছিদ্র। তাই গেমাররা ফুল ড্রিল গেমিং এবং ব্রেন প্র্যাকটিসের জন্য নিয়ে বসুন দ্য র্যাোভেন : লেগাসি অব অ্যা মাস্টার থিফ, আর খুঁজে ফিরেন এক কিংবদন্তিকে।

গেম রিকোয়ারমেন্ট
উইন্ডোজ : এক্সপি/ভিসতা/৭, সিপিইউ : পেন্টিয়াম ৪/যেকোনো, র্যা ম : ২ গিগাবাইট উইন্ডোজ এক্সপি/২ গিগাবাইট উইন্ডোজ ভিসতা/৭, ভিডিও কার্ড : ৫১২ মেগাবাইট, সাউন্ড কার্ড ও কিবোর্ড।

অদ্ভুত এক আরম্ভ, প্রথম প্রথম গেমটা শুরু করে কোনো কিছুর সাথেই কোনো কিছু মেলানো যাবে না। সবকিছুকে বেশ অগোছালো আর অপ্রয়োজনীয় মনে হবে। স্ট্র্যাটেজি : আরপিজি জনরার এই গেমটিতে সবকিছু আরও ট্যাক্টিক্যাল ও স্ট্র্যাটেজিক্যাল। বলা যায় এই ঘরানার সাম্প্রতিক গেমগুলো থেকে চারগুণ। ঠিক চারগুণ কেনো, তা আমি বলব না। গেমাররা নিজেরাই অনুভব করতে পারবেন। ফলেন এনচ্যানট্রেসের এই ডেব্যুটার নাম লেজেন্ডারি হিরোস। ফলে বুঝতেই পারছেন এই গেমটির সবচেয়ে অনন্য মাত্রা এর অসাধারণ সুপার হিরোদের ঘিরে তৈরি হয়েছে। আর তার সাথে যুক্ত হয়েছে নতুন উন্নত ব্যাটল স্টাইল, বিশালাকার স্ট্র্যাটেজিক্যাল ম্যাপস ও নিত্যনতুন ফ্যান্টাসি।

ফলেন ফ্যান্টাসির সবচেয়ে শক্তিশালী দিক ফ্রিডম অব ক্রিয়েশন আর ফ্রিডম অব এরিয়া। গেমার তার বিশাল এলাকায় যেভাবে খুশি, যা দিয়ে ইচ্ছে করে তার নিজস্ব ফ্যান্টাসি রাজ্য গড়ে তুলতে পারবে। আর একবার শুরু করলে একেকটি প্লে-থ্রু দুই থেকে সাত ঘণ্টা পর্যন্ত লম্বা হতে পারে, যার পুরোটা সময়ই গেমার ফলেন এনচ্যানট্রেসের সাথে মন্ত্রমুগ্ধ হয়ে থাকবে। লেজেন্ডারি হিরোস তার আগের ফলেন এনচ্যানট্রেস থেকে আরও উন্নত এবং কুশলী গ্রাফিক্স ও সাউন্ড কোয়ালিটিসমৃদ্ধ, যা সত্যিকার অর্থেই গেমটিকে শ্রেষ্ঠত্বের লড়াইয়ে বহুদূর যেতে সাহায্য করেছে। গেমে যুক্ত হয়েছে নতুন মনস্টার ডিফিকাল্টি, যা বিভিন্ন মিথলজিক্যাল প্রাণীর অ্যাপিয়ারেন্স আর পাওয়ার রেঞ্জ। ওয়েদারভিত্তিক পাওয়ার আপ যেমন গেমারকে নতুন সুরক্ষা দেবে, তেমনি শত্রুদের জন্যও আবহাওয়া অনেক সময় শাপেবর হয়ে উঠতে পারে। আছে ব্যানাশি, মিলি ইমিউন জীব, স্পেল কাস্টার আর নানা জাতের মনস্টার, যাদের নিয়ে পরবর্তী সময় নিজস্ব সেনাবাহিনীও গঠন করা যাবে। জলপথ, আকাশপথ ও স্থলপথ মিলিয়ে বেশ বিশাল আকারের বৈচিত্র্য পাওয়া যাবে সেনাবাহিনী গঠন করার সময়। সেই বিচিত্র সেনাবাহিনী নিয়ে যুদ্ধ করতে হবে তার চেয়েও বিচিত্র শত্রুদের সাথে।

মনে হবে খুব সোজা, আসলে সেরকম নয়। আগের চেয়ে ফার্স্ট লেভেল হিরোদের পাওয়ার আর যেকোনো সাধারণ সৈন্যের চেয়ে খুব একটা বেশি নয়। তাই হিরোদের জন্য অপেক্ষা না করে গেমারকে নিজ থেকেই গড়ে তুলতে হবে প্রশিক্ষিত এবং অভিজ্ঞ সেনাবাহিনী। আর সেনাবাহিনীর শক্তিমত্তার ওপরই নির্ধারিত হবে গেমারের সাম্রাজ্যের ভাগ্য। আছে সম্পূর্ণ আরপিজি ঘরানার ট্যালেন্ট ট্রি, যা দিয়ে নিজের ইচ্ছেমতো সভরেইনের পাওয়ার বণ্টন করা যাবে। সভরেইন আবার দুই ধরনেরু একদল অ্যাসাসিন আর অন্য দল ডিফেন্ডার। আছে জটিল সব গোলকধাঁধা, যেগুলোতে একবার ঢুকে পড়লে বের হওয়া বেশ কষ্টই বটে। আছে অসম্ভব সুন্দর রিক্রুটমেন্ট সিস্টেম, যা দিয়ে খুব সহজেই সম্পদ আর জনসংখ্যার মধ্যে ভারসাম্য রক্ষা করা যাবে।

আগের ভার্সনগুলো থেকে লেজেন্ডারি হিরোসের ব্যাটল প্ল্যান মারাত্মক উন্নত। গেমার প্রতিমুহূর্তেই অনুভব করবেন সেনাপতি সেজে যুদ্ধে নেতৃত্ব দেয়ার উদ্দীপনা। ক্ষণে ক্ষণে বদলে যাওয়া আবহ আর স্ট্র্যাটেজি গেমারকে সত্যিকারের চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন করবে। আর যুদ্ধের মাঝে অনিন্দ্যসুন্দর প্রাকৃতিক গ্রাফিক্সের কথা ভুললেও চলবে না। তাই স্ট্র্যাটেজিস্টরা আর দেরি না করে এখনই লম্বা একটা সময় পার করতে প্রস্ত্তত হয়ে যান ফলেন এনচ্যানট্রেস : লেজেন্ডারি হিরোসের সাথে।

গেম রিকোয়ারমেন্ট
উইন্ডোজ : এক্সপি/ভিসতা/৭, সিপিইউ : কোর টু ডুয়ো/এএমডি অ্যাথলন, র্যা ম : ১ গিগাবাইট উইন্ডোজ এক্সপি/২ গিগাবাইট উইন্ডোজ ভিসতা/৭, ভিডিও কার্ড : ৫১২ মেগাবাইট, হার্ড ডিস্ক : ৫ গিগাবাইট, সাউন্ড কার্ড, কীবোর্ড ও মাউস

ফিডব্যাক : alyousufhridoy@yahoo.com
পত্রিকায় লেখাটির পাতাগুলো
লেখাটি পিডিএফ ফর্মেটে ডাউনলোড করুন
লেখাটির সহায়ক ভিডিও
চলতি সংখ্যার হাইলাইটস