• ভাষা:
  • English
  • বাংলা
হোম > পিসি স্মার্টফোন ও ট্যাবলেটে যেভাবে পুরনো গেম প্লে করবেন
লেখক পরিচিতি
লেখকের নাম: তাসনীম মাহ্‌মুদ
মোট লেখা:১২৭
লেখা সম্পর্কিত
পাবলিশ:
২০১৪ - জুলাই
তথ্যসূত্র:
কমপিউটার জগৎ
লেখার ধরণ:
গেম
তথ্যসূত্র:
ব্যবহারকারীর পাতা
ভাষা:
বাংলা
স্বত্ত্ব:
কমপিউটার জগৎ
পিসি স্মার্টফোন ও ট্যাবলেটে যেভাবে পুরনো গেম প্লে করবেন
কমপিউটার জগৎ-এর নিয়মিত বিভাগ ব্যবহারকারীর পাতায় সাধারণত ব্যবহারকারীদের প্রতি লক্ষ রেখে বিভিন্ন লেখা প্রকাশ করা হয়ে থাকে। এসব লেখার বেশিরভাগই হয়ে থাকে সাধরণত পিসি, নোটবুক, সফটওয়্যার, ভাইরাস, হার্ডওয়্যার ইত্যাদি সংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে। তবে এবারের ব্যবহারকারীর পাতা বিভাগটিতে উপস্থাপন করা হয়েছে গেমারদের প্রতি লক্ষ রেখে। কেননা, পিসি ব্যবহারকারীদের এক বিরাট অংশই গেমার। তবে এ লেখার মূল উপজীব্য বিষয় পিসি, আইফোন/অ্যান্ড্রয়িড স্মার্টফোন এবং ট্যাবলেটে কীভাবে পুরনো গেম প্লে করা যায়। এ লেখায় দেখানো হয়েছে আধুনিক হার্ডওয়্যারে কীভাবে পুরনো সুপার নিনটেন্ডো, সেগা মেগাড্রাইভ ও কমডোর ৬৪-এর মতো জনপ্রিয় গেমগুলো প্লে করা যেতে। অবশ্য এর জন্য ব্যবহারকারীকে বেশ অর্থ খরচ করতে হবে।
ইদানীং কমপিউটারগুলো দুর্দান্ত প্রসেসিং ক্ষমতাসম্পন্ন হওয়া সত্ত্বেও আধুনিক কমপিউটার গেমগুলোর কাছে তা সীমিত ক্ষমতাসম্পন্ন হয়ে পড়েছে। ট্রিপল এ বস্নকবস্নাস্টার গেম, যেমন টম রাইডার ও লস্ট প্লানেট গেম সিপিইউর ক্ষমতার সর্বোচ্চ মাত্রায় ব্যবহার হয়। শুধু তাই নয়, গ্রাফিক্স কার্ড থেকেও প্রচুর শক্তি টেনে নেয়। পুরনো অনেক গেম আছে টেকনিক্যালি যেগুলোকে এখনকার স্ট্যান্ডার্ডের সীমিত ক্ষমতার মনে করা হতো, সেসব গেম বিবেচনা করা যেতে পারে এ ক্ষেত্রে।
যদি আপনি সুপার মারিও ওয়ার্ল্ড, কোয়েক অ্যান্ড বাবল বুবল প্রভৃতি গেমের মন্থরতার যন্ত্রণা থেকে বাঁচতে চান, তাহলে আজকের আধুনিক শক্তিশালী পিসি ব্যবহার করতে পারেন। ভাচুর্য়ালি প্রতিটি গেমিং কন্সোল এবং হোম কমপিউটার এখন পূর্ণ গতিতে সফটওয়্যারে সক্ষম হতে চেষ্টা করছে।
উইন্ডোজ পিসি, স্মার্টফোন ও ট্যাবলেটে যেভাবে পুরনো গেম প্লে করা যায় : পুরনো হার্ডওয়্যারে ইমিউলেট সমকক্ষ হতে চেষ্টা করা
কারণ যাই হোক, আপনি অরিজিনাল হার্ডওয়্যার বা একটি পোর্টেড ফরমে পুরনো গেম প্লে করতে পারবেন না। ইমিউলেটর হলো একটি প্রোগ্রাম, যা পুরনো হার্ডওয়্যারকে ইমিউলেট করে এবং আধুনিক ডিভাইসে মূল গেম কোড রান করানোর সুযোগ দেয়। মোটামুটি সব ধরনের ডিভাইসের জন্য ইমিউলেটর রয়েছে, তবে কোনো কোনোটি অন্যদের তুলনায় চমৎকার ইমিউলেশন প্লাটফরম তৈরি করে। উদাহরণস্বরূপ, অ্যান্ড্রয়িড ব্যবহারকারীরা গুগল প্লেতে প্রচুর পুরনো গেম কন্সোলের জন্য ইমিউলেটর পাবেন। অথবা অচকং হিসেবে ডিস্ট্রিবিউট হয় গেম আগ্রহীদের ওয়েবসাইট থেকে।
দুর্ভাগ্যজনকভাবে ক্ল্যাসিক প্লাটফরমের রানিং অ্যান্ড জাম্পিং ম্যাকানিক্স যথাযথভাবে টাচস্ক্রিনে ট্রান্সলেট করতে পারে না এবং অন্য কিছু কিছু ক্ষেত্রে সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। এ বিষয়টিকে সহজ করার জন্য অনেক ইমিউলেটর কিছু কন্ট্রোল ডিসপ্লে করে এবং আপনাকে সুযোগ দেবে কনফিগার করে দেখার, যদি মাল্টিপল বাটন দিয়ে ম্যাস করে দেখতে চান। মোবাইল ডিভাইসের জন্য ডেডিকেটেড কন্ট্রোলার অ্যাক্সেসরিজ রয়েছে। এগুলো অবশ্যই ট্যাবলেট ও স্মার্টফোন পোর্টেবিলিটি সমর্থন করে।
যদি আপনি ইমিউলেটর রান করাতে চান, তাহলে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, এমন কাজ পিসিতেই করা উচিত। কেননা, এ ক্ষেত্রে অনেক ফিজিক্যাল কন্ট্রোলার অপশন পাবেন এবং সবকিছু সুষ্ঠুভাবে রান করানোর ব্যাপারে নিশ্চিত থাকতে পারবেন। এ ক্ষেত্রে স্ক্রিন সাইজ সংশ্লিষ্ট মিশম্যাচ হওয়ার সম্ভাবনাও কম।
এ ছাড়া আরও অপশন বেছে নেয়া যাবে। ডেস্কটপ পিসির জন্য ইমিউলেটর দৃশ্য ভালোভাবে সুসজ্জিত। আপনার হার্ডওয়্যার প্লাটফরমে কাজ করতে পারেন এমন অনেক দক্ষ ডেভেলপার আছেন, যারা ইমিউলেটর নিয়ে কাজ করছেন। আর্কেড কেবিনেট থেকে শুরু করে আধুনিক কন্সোল পর্যন্ত সবকিছুই নিয়ে কাজ করবেন এরা। এ লেখায় অবশ্য ফোকাস করা হয়েছে পুরনো সিস্টেমের ওপর। নতুন প্লাটফরমে ইমিউলেট করার জন্য দরকার হাইএন্ড পিসি হার্ডওয়্যার।
পুরনো এমএস ডস সিস্টেমের জন্যও ইমিউলেটর রয়েছে, যা DOSBOx হিসেবে পরিচিত। এমন জিনিস আপনার জন্য অপরিহার্য, তা ভাবার কোনো কারণ নেই। কেননা, বেসিক X86 আর্কিটেকচারের কোনো পরিবর্তন হয়নি, যেখানে আধুনিক পিসির কোর হার্ডওয়্যার ১৯৭০ সালের আগের জেনারেশন শনাক্ত করতে পারে। তবে এ বিষয়টি অপারেটিং সিস্টেমের জন্য প্রযোজ্য নয়। উইন্ডোজ ৮ সমন্বিত করে প্রায় সব ধরনের হার্ডওয়্যার অ্যাবস্ট্রাকশন ও সিকিউরিটি ফিচার, যেগুলো সম্পূর্ণরূপে অজানা ছিল বিশেষ করে যখন পুরনো গেম যেমন কোয়েক আবির্ভূত হয়।
পুরনো দিনের গেম রান করতে চাইলে দরকার ডস ইমিউলেটর। মাল্টি-প্লাটফরম ডসবক্স খুব কম দামি সফটওয়্যার, ডাউনলোড সাইজ ২ মেগাবাইটের চেয়ে কম। এটি তৈরি হয় ডস ৫ এনভায়রনমেন্টে। মাউস, সিডি ও সাউন্ডবস্নাস্টার হার্ডওয়্যার সাপোর্ট সম্পূর্ণরূপে বিল্টইন। আপনি হোস্ট পিসিতে হার্ডডিস্ক হিসেবে একটি ডিরেক্টরিতে মাউন্ট করার সুযোগ পাবেন। এখান থেকে আপনি ডস প্রম্পট কমান্ড রিঅ্যাকোয়েস্ট করতে ও ইনস্টল করতে পারবেন কম্প্যাটিবল সফটওয়্যার।
পুরনো পিসিতে গেম রান করানোর জন্য ডসবক্সই একমাত্র উপায় নয়। ইচ্ছে করলে আপনি হোস্টে একটি ভার্চুয়াল মেশিন সেটআপ করতে পারেন, যেমন ফ্রি ভার্চুয়ালবক্স (VirtualBox) এবং এমএস ডস অথবা একটি কম্প্যাটিবল অপারেটিং সিস্টেম, যেমন ফ্রিডস (FreeDOS) ইনস্টল করতে পারবেন। এটি আরও জটিল একটি উপায় পুরনো পিসি গেম রান করানোর জন্য। তবে এতে কিছু সুবিধাও আছে, যার ফলে আপনার ইচ্ছেমতো বিষয়গুলো সেটআপ করতে পারবেন। ডসবক্সে লোকাল কনফিগারেশনকে সহজে সেভ করার উপায় নেই, যদিও আপনি কাস্টোম কনফিগারেশন ফাইল তৈরি করতে পারবেন, যেখানে বিভিন্ন সেটিং থাকে এবং নির্দিষ্ট করতে পারবেন কোনটি কমান্ড লাইন থেকে লোড হবে। এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্যের জন্য কম্প্রেহেনসিভ ডসবক্স উইকি (DOSBox wiki) চেক করে দেখতে পারেন।
আরেকটি উল্লেখযোগ্য ইমিউলেটর হলো ScummVM, যা বিশেষ কোনো কমপিউটারকে মোটেও সিমিউলেট করে না। তবে ওপেন করে গেম ইঞ্জিন বাস্তবায়নের জন্য একটি ওপেনসোর্স প্লাটফরম, যেখানে ১৯৯০ সালের দিকের ডজনের বেশি পয়েন্ট-অ্যান্ড-ক্লিক অ্যাডভেঞ্জার গেম সমর্থন করে। এসব গেমের মধ্যে আছে ইন্ডিয়ানা জোনস, অ্যান্ড ফ্যাট অ্যান্ড আটলান্টি, স্যাম অ্যান্ড ম্যাক্স হিট দি রোড, ফুল থ্রটল অ্যান্ড দ্য ক্ল্যাসিক সিক্রেট অব মাঙ্কি আইল্যান্ড ইত্যাদি। এসব স্কাম গেম রান করানোর জন্য দরকার ইমিউলেটর এবং মূল ডাটা ফাইল। এসব পেতে পারেন ই-বে থেকে পুরনো সিডি রম কিনে। অথবা প্রজেক্ট ওয়েবসাইট থেকে ফ্রি ডাউনলোড করে নিতে পারেন ডেমো গেম।
গেম খুঁজে বের করা
যদিও ডসবক্স এবং স্কামভিএম মূল গেম ডিস্কের সাথে ভালোই কাজ করে, তারপরও বেশিরভাগ ইমিউলেটর মূল মিডিয়া ব্যবহার করতে পারে না। কেননা, আধুনিক পিসিতে গেম কার্ট্রিজ প্লাগ করার কোনো উপায় নেই। সুতরাং একটি গেম প্লে করার জন্য আপনার দরকার হবে প্রোগ্রাম ডাটার একটি কপি, যাকে বলা হয় রম (ROM) ফাইল। ব্রিটিশ মালিকানাধীন ইবুক (ebooks) তাদের কনটেন্টের সিডি এবং ফিল্ম ডিজিটাল কপি তৈরি করার বৈধতা দিয়েছে যতদিন পর্যন্ত না উজগ টেকনোলজিকে অবরোধ করছে তারা। যার অর্থ দাঁড়াচ্ছে, যদি আপনার কোনো গেম কার্ট্রিজ থাকে, তাহলে এসব কনটেন্ট বৈধভাবে পিসিতে কপি করতে পারবেন রেট্রোড (Retrode) নামের ডিভাইস ব্যবহার করে। এটি একটি ইউএসবিভিত্তিক রিডার। এটি সুপার নিনটেন্ডো ও মেগা মেগাডাইভ ইত্যাদি কার্ট্রিজের জন্য।
এটি ব্যবহার করা খুব সহজ যেমন নয়, তেমনি দামেও সস্তা নয়। কেননা, এটি তৈরি করা হয় খুব অল্পসংখ্যক। তবে অনলাইন আর্কাইভ থেকে খুব সহজে পেতে পারেন। গুগলে বিপুলসংখ্যক ইনডেক্স করা আছে। একটি রম ফাইল ডাউনলোড করে নিন, যা হয়তো কেউ ইতোমধ্যে রিপ করে ফেলতে পারে, দুর্ভাগ্যজনকভাবে যা হবে কপিরাইট আইন ভঙ্গের শামিল।
একই বিষয় অ্যাবেনডনওয়্যারের (abandonware) ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। অ্যাবেনডনওয়্যার হলো খুব পুরনো সফটওয়্যার, যেগুলো কপিরাইট স্বত্বাধিকারীরা আর বিক্রি করে না বা সাপোর্ট দেয় না।
সহজে ক্ল্যাসিক গেম পাওয়া
পুরনো ক্ল্যাসিক গেম প্লে করার জন্য ইমিউলেটর সেট করা একমাত্র উপায় নয়। ই-বে সাইটে গিয়ে আপনি পাবেন মূল হার্ডওয়্যার। এর জন্য অবশ্য আপনাকে প্রচুর অর্থ খরচ করতে হবে। হার্ডকোর গেমারেরা সাধারণত গেমিংয়ের জন্য অর্থ খরচ করতে কার্পণ্য করেন না। এমন অনেক গেমার আছেন, যারা পুরনো গেম প্লে করতে মরিয়া হয়ে আছেন। তাদের জন্যই এ লেখা।
পুরনো গেম কমান্ডো ৬৪-এর দেয়া হয় বেশ কিছু আকর্ষণীয় গেম। একই ব্যাপারে পরিলক্ষেত হতে দেখা যায় সুপার নিনটেন্ডো গেমের ক্ষেত্রে। মেগা মেগাড্রাইভের দাম খুব তাড়াতাড়ি কমে গেছে। এর ফলে ৬৪ বিট কন্সোলের জন্য আগের চেয়ে অনেক কম খরচ হবে।
ই-বে থেকে কন্সোল কেনা খুব সহজ নয়। যদি আপনার টিভিতে শুধু এইচডিএমআই কানেকশন থাকে, তাহলে দরকার হবে একটি আরএফ বা একটি স্কার্ট কনভার্টার। পক্ষান্তরে রেট্রো গেমিং হার্ডওয়্যারে সমন্বিত ছিল ক্যাবল। ওয়্যারলেস কন্সোল কন্ট্রোলার প্লেস্টেশন থ্রি এবং এক্সবক্স ৩৬০-এর জন্য ডিফল্ট অপশন হিসেবে পরিণত হয়েছে। তবে পিসি গেমের ক্ষেত্রে কোনো কোনো পাবলিশার আপডেট করে তাদের পুরনো ভার্সন, যাতে নতুন হার্ডওয়্যারের সাথে কাজ করতে পারে। যেমন বেলরোড, টাইফুন টু, দি সিক্রেট অব মাঙ্কি আইলান্ড এবং উলফেনস্টাইন থ্রিডি প্রভৃতি নতুন টাইটেলে বিরাজ করছে এবং এর জন্য বেশ অর্থ খরচ করতে হবে আগ্রহীদের। এখানে আপনি পারেন ‘Good Old Game’-এর ফ্রি ডিআইএম অপশন, যেখানে আছে প্রায় ৭০০ টাইটেল। এতে সম্পৃক্ত আছে সিমসিটি ২০০০, থেম হাসপাতাল এবং প্রথম তিনটি টম রাইডার গেম। এই গেমগুলো উইন্ডোজ পিসি এবং ম্যাক কম্প্যাটিবল। গুড ওল্ড গেম পাবেন বেশ কম দামে।
আইফোন ও আইপ্যাডের জন্য পুরনো গেম পোর্ট করার কিছু ব্যবসায় ইতোমধ্যে শুরু হয়ে গেছে। এর আংশিক কারণ হলো অ্যাপল অ্যাপ স্টোরে ইমিউলেটর অনুমোদন করে না। কেননা, এগুলো অননুমোদিত কোড এক্সিকিউট করতে পারে। স্টোরে সার্চ করলে পাবেন উঁচুমানের প্রচুর অপশন। যেখানে সম্পৃক্ত আছে পুরনো স্কুল সনিক টাইটেল গেম থেকে শুরু করে সেগা, ডুম ইত্যাদি সব। এছাড়া আরও পাবেন টাচস্ক্রিন ভার্সনের পুরনো 2x Spectrum ক্ল্যাসিক ম্যানিক মিনার ।
পিসি ও অ্যান্ড্রয়িড ইমিউলেটর দিয়ে চেষ্টা করা
Snes9x সাপোর্ট করে নিনটেন্ডোর সেরা হিট গেমগুলো। ডিরেক্ট এক্স সাপোর্ট করার অর্থ, এটি একটি ইনস্টল-অ্যান্ড-গো ইমিউলেটর, যা গেম প্লের এভিআই তৈরি করতে পারে। যথাযথ গেম প্যাডের সাপোর্ট বিল্টইন। যার অর্থ, আপনি উইন্ডোজ থেকে ১৯৯০ সালের গেম রিক্রিয়েট করতে পারবেন।
পিসির জন্য ফিউশন ৩.৬৪
ফিউশন রান করবে ROMs সেগা মেগাড্রাইভ থেকে এবং এর ৮ বিট হলো অগ্রদূত। এটি মাস্টার সিস্টেম যেমন রান করে, তেমনি গেম গিয়ার, সেগা সিডিসহ সেগা ৩২এক্স সিস্টেমও রান করে। ভিডিও প্লে করতে সমস্যা হলেও ভি-সিঙ্কে (V-sync) রূপান্তর করার ফলে বেশ চমৎকারভাবে কাজ করে।
পিসির জন্য প্রজেক্ট ৬৪
নিনটেন্ডো এ৯৬৪ ইমিউলেট করা পিসির জন্য জটিল এর কৌশলী কন্ট্রোলারের কারণে। ই-বেতে সার্চ করে ঘ৬৪-এর বিকল্প কন্ট্রোলারের মতো ইউএসবি অ্যাডাপ্টার পাবেন মূল গেম প্যাডের জন্য। প্রজেক্ট ৬৪ ডেলিভার করে হাই ফ্রেম রেট এবং এগুলো ব্যাপকভাবে কনফিগারযোগ্য।
পিসির জন্য ভিজ্যুয়াল বয় অ্যাডভান্স
এটি সর্বশেষ আপডেট হয় ২০০৫ সালে। ভিজ্যুয়াল বয় অ্যাডভান্স হ্যান্ডহেল্ড গেমারদের সুযোগ দেয় রমে অ্যাক্সেস সুবিধা। এগুলো গেমবয়ের জন্য কার্ট্রিজ থেকে বেছে নেয়া হয়। এটি চমৎকারভাবে ব্যবহার করে আধুনিক পিসি গেমিং। এ ক্ষেত্রে ব্যবহার হয় মাত্র দুটি বাটন।
অ্যান্ড্রয়িডের জন্য SNesolid
SNesolid ২০১১ সালে অনাড়ম্বরপূর্ণভাবে গুগল প্লে থেকে ডাম্প করা হয় সেগার কাছ থেকে অভিযোগ আসার পর। তারপরও আপনি অচক খুঁজে পাবেন ওয়েব সার্চ করে। এ সময় সতর্কবার্তা আসবে। তাই একটি ভালো ম্যালওয়্যার স্ক্যানার ইনস্টল করা উচিত সাইড লোডিং অ্যাপের আগে। ব্যবহারকারীর উচিত SNes-এর দৃঢ় বাটনে কন্ট্রোলার সম্পর্কে নোট রাখা। এর সাথে আরও থাকবে দুটি সোল্ডার বাটন, যা টাচস্ক্রিনের জন্য ভালোভাবে ট্রান্সলেট করা হয়নি।
গিয়ারয়েড
SNesolid সৃষ্টিকারীদের পক্ষ থেকে Gearoid আরেকটি ইমিউলেটর। এটি হ্যান্ডহেল্ড সেগা গেম গিয়ার ইমিউলেট করে। ট্যাবলেটে ৮ বিটে হ্যান্ডহেল্ড ক্লাসিক প্লে করার ধারণা থেকে এর সৃষ্টি। দুই বাটনের কন্ট্রোল সিস্টেম নিজেকে টাচস্ক্রিনের উপযোগী করে। তত্ত্বীয়ভাবে আপনি ব্যবহার করতে পারেন ডিভাইসের এক্সেলেরোমিটার ডান-বাম কন্ট্রোল করার জন্য।
অ্যান্ড্রয়িডের জন্য ফ্রডো ৬৪
এই অ্যাপস পাওয়া যাবে গুগল প্লেতে। অ্যান্ড্রয়িড ডিভাইসে কমডোর ৬৪ গেম রান করানোর সুযোগ দেবে ফ্রডো ৬৪। এর কন্ট্রোলটি সামান্য জটিল, কীবোর্ড অস্পষ্ট। এ থেকে অব্যাহতি পেয়ে আপনি পাবেন মেনুর গভীরের আরও তিন লেবেল। এটি বেশ দ্রুত ও স্ট্যাবল। আপনি পিসিতে পুরনো ঈ৬৪ ডিস্কড্রাইভ যুক্ত করতে এবং নিজস্ব ফাইল কম্পাইল করতে পারবেন

ফিডব্যাক : mahmood_sw@yahoo.com


পত্রিকায় লেখাটির পাতাগুলো
লেখাটির সহায়ক ভিডিও
২০১৪ - জুলাই সংখ্যার হাইলাইটস
চলতি সংখ্যার হাইলাইটস