• ভাষা:
  • English
  • বাংলা
হোম > চালু হলো ই-কমার্স সেবা কেন্দ্র
লেখক পরিচিতি
লেখকের নাম: এস. এম. মেহদী হাসান
মোট লেখা:৬
লেখা সম্পর্কিত
পাবলিশ:
২০১৫ - জানুয়ারী
তথ্যসূত্র:
কমপিউটার জগৎ
লেখার ধরণ:
ই-বিজনেস
তথ্যসূত্র:
ই-কমার্স
ভাষা:
বাংলা
স্বত্ত্ব:
কমপিউটার জগৎ
চালু হলো ই-কমার্স সেবা কেন্দ্র
এক দশকের বেশি সময় ধরে বাংলাদেশে ই-কমার্স ব্যবসায় শুরু হয়েছে। নিরবিচ্ছন্ন ইন্টারনেট সংযোগ, ই-কমার্স সংক্রান্ত আইন, অনলাইনে নিরাপদ লেনদেনের ব্যবস্থাসহ নানা সমস্যায় জর্জরিত এ সেক্টর। দেশীয় ই-কমার্স খাতের উন্নয়নের লক্ষ্যে কাজ করে চলছে ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ই-ক্যাব)।
২০১৫ : ই-কমার্স বছর
দেশীয় ই-কমার্স সেক্টরের উন্নয়নকল্পে ই-ক্যাব ২০১৫ সালকে ই-কমার্স বছর হিসেবে ঘোষণা করেছে। ই-ক্যাব এ বছরে ই-কমার্সের উন্নয়নে লক্ষে বিভিন্ন কর্মসূচি নিয়েছে যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে ই-কমার্স খাতে নতুন উদ্যোক্তা উন্নয়ন, ই-কমার্স খাতের কী কী সমস্যা রয়েছে সেগুলো চিহ্নিত করে সমাধানের লক্ষ্য সংশ্লিষ্ট সরকারি প্রতিষ্ঠানের কাছে তুলে ধরা এবং তা নিরসনে যথাযথ পদক্ষেপের ব্যাপারে সহায়তা করা।
ই-কমার্স সেবাকেন্দ্র
দেশীয় ই-কমার্স সেক্টরের উন্নয়নকল্পে সম্প্রতি ই-ক্যাব চালু করেছে ই-কমার্স সার্ভিস সেন্টার। ইউনিকো সল্যুশন্স (www.unico-solutions.com) এ সেবাকেন্দ্র পরিচালনায় যাবতীয় কারিগরি সহায়তা দিচ্ছে। দেশের যেকোনো প্রান্ত থেকে যেকেউ বিনামূল্যে এ সেবাকেন্দ্রে যোগাযোগ করে ই-কমার্স ব্যবসায়সংশ্লিষ্ট বিবিধ তথ্যসহ নানা ধরনের সেবা পাবেন।
ই-কমার্স সেবাকেন্দ্র সম্পর্কে কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য
যেকোনো মোবাইল ফোন থেকে ০৯৬১৩২২২৩৩৩ নম্বরে ডায়াল করে সার্ভিস সেন্টারে সেবা পাওয়া যাবে। এক্ষেত্রে সাধারণ মোবাইল কল চার্জ প্রযোজ্য; ই-কমার্স সার্ভিস সেন্টারের ফোন সেবা প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত খোলা থাকবে; চ্যাট সার্ভিস রাত ১১টা পর্যন্ত খোলা থাকবে; সম্পূর্ণ বিনামূল্যে গাইডলাইন ও পরামর্শ সেবা পাওয়া যাবে; ম্যাচমেকিং ও বিশেষায়িত সেবার জন্য সেবা প্রার্থীর অনুমতি নিয়ে ই-ক্যাব নিবন্ধিত পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের কাছে রেফার করা হতে পারে। ই-কমার্স এবং এসএমই উভয়েই উভয়ের পরিপূরক হতে পারে।
গ্রামে বা মফস্বল শহরের একজন এসএমই উদ্যোক্তার পক্ষে ঢাকায় দোকান খুলে ব্যবসায় পরিচালনা করা অসম্ভব। কারণ, এর জন্য দরকার অনেক টাকা। কিন্তু সেই উদ্যোক্তা চাইলে খুব সহজেই একটি ই-কমার্স সাইট খুলে সারাদেশে তার পণ্য বিক্রি করতে পারেন। এজন্য তাকে বিশাল পুঁজি বিনিয়োগ করতে হবে না। ইতোমধ্যেই এ নীরব বিপস্নব শুরু হয়ে গেছে। দেশে বর্তমানে ৫শ’র মতো ই-কমার্স ওয়েবসাইট রয়েছে এবং ৩ হাজার ফেসবুক পেজ রয়েছে, যার মাধ্যমে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান এবং উদ্যোক্তারা তাদের পণ্য দেশের জনগণের কাছে বিক্রি করছে।
ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প ই-কমার্স খাতের সাথে যুক্ত হওয়ার ক্ষেত্রে বেশ কিছু সমস্যা রয়েছে। সেগুলো হচ্ছে : যথোপযুক্ত টেকনিকাল জ্ঞানের অভাব; ই-কমার্সবিষয়ক তথ্যপ্রযুক্তি তথা আইটি সেটআপ বিষয়ে ওয়ান স্টপ সেবা প্রাপ্তির দুর্বলতা; ই-কমার্স সেবা শুরু করার বিষয়ে দরকার সরকারি রেজিস্ট্রেশন (যেমন- ট্রেড লাইসেন্স, টিন, ভ্যাট রেজিস্ট্রেশন) সংক্রান্ত তথ্যের সহজপ্রাপ্যতা না থাকা; ই-কমার্স সেবা সংক্রান্ত ডেলিভারি বা লজিস্টিক সেবা (যেমন- কুরিয়ার সার্ভিস) সংক্রান্ত তথ্য ও সেবার অভাব; ই-কমার্স সেবা বিষয়ে যেকোনো অভিযোগ বা মতামত দানের সমন্বিত ক্ষেত্রের অভাব; ই-কমার্স সেবা /ব্যবসায়ে অর্থায়ন বিষয়ে পরামর্শ না পাওয়া; ই-কমার্স সেবায় আর্থিক লেনদেন সহজীকরণ (যেমন- পেমেন্ট গেটওয়ে) বিষয়ে পরামর্শ না পাওয়া। ই-কমার্স সেবাকেন্দ্রের মূল লক্ষ্যই হচ্ছে এসব প্রতিবন্ধকতা দূর করা।
২০১৫ সালকে ‘ই-কমার্স বর্ষ’ হিসেবে ঘোষণা এবং ই-কমার্স সেবাকেন্দ্র চালু উপলক্ষে গত ৩০ ডিসেম্বর ২০১৪ জাতীয় প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। এতে উপস্থিত ছিলেন বিসিএসের সাবেক সভাপতি মোস্তাফা জববার, ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডারস অ্যাসোসিয়েশনের (আইএসপিএবি) প্রেসিডেন্ট আখতারুজ্জামান মঞ্জু, ই-ক্যাবের সভাপতি রাজিব আহমেদ, ই-ক্যাবের ডিরেক্টর (গভর্নমেন্ট অ্যাফেয়ার্স) রেজওয়ানুল হক জামী, ই-ক্যাবের স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যান সারাজীতা এবং ই-ক্যাবের অর্থ সম্পাদক মোহাম্মদ আবদুল হক। অনুষ্ঠানে বক্তারা ই-কমার্স সেবাকেন্দ্রের উদ্দেশ্য ও সেবাসমূহ এবং ‘ই-কমার্স বর্ষ’ নিয়ে তাদের পরিকল্পনা সাংবাদিকদের সামনে তুলে ধরেন।
ই-ক্যাব সভাপতি রাজিব আহমেদ বলেন, দেশীয় ই-কমার্স খাতকে গতিশীল করতে হলে সবার আগে ই-কমার্সকে আমাদের গ্রামে-গঞ্জে ছড়িয়ে দিতে হবে। এ লক্ষ্য নিয়েই ই-ক্যাব ২০১৫ সালকে ‘ই-কমার্স বর্ষ’ হিসেবে ঘোষণা দিয়েছে।
বিসিএসের সাবেক সভাপতি মোস্তাফা জববার বলেন, ই-কমার্স সেবাকেন্দ্র খুবই সময়োপযোগী একটি উদ্যোগ। ই-ক্যাব ২০১৫ সালকে ‘ই-কমার্স বর্ষ’ হিসেবে ঘোষণা দিয়েছে এবং বছরব্যাপী দেশীয় ই-কমার্স খাতে বিরাজমান সমস্যাগুলো সমাধানে সবাইকে নিয়ে কাজ করে যাবে।
ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডারস অ্যাসোসিয়েশনের (আইএসপিএবি) প্রেসিডেন্ট আখতারুজ্জামান মঞ্জু বলেন, ২০১৫ সালকে ই-কমার্স বছর হিসেবে ঘোষণা দেয়া হয়েছে, যা দেশের ই-কমার্স খাতের জন্য খুবই ইতিবাচক। অনুষ্ঠানে মোবাইল ফোনে কথা বলে আনুষ্ঠানিকভাবে ই-কমার্স সার্ভিস সেন্টারের উদ্বোধন করেন মোস্তাফা জববার
বিস্তারিত জানতে :
ডবনংরঃব : www.e-cab.net
ইষড়ম : blog.e-cab.net
Facebook page :
www.facebook.com/eCommerceAB
Facebook group :
www.facebook.com/groups/eeCAB

পত্রিকায় লেখাটির পাতাগুলো
লেখাটি পিডিএফ ফর্মেটে ডাউনলোড করুন
লেখাটির সহায়ক ভিডিও
২০১৫ - জানুয়ারী সংখ্যার হাইলাইটস
চলতি সংখ্যার হাইলাইটস