অনলাইন ফ্রিল্যান্স আউটসোর্সিং-এর মতো আশা জাগানোর প্রতিবেদন চাই
আমি কমপিউটার জগৎ-এর একজন নিয়মিত পাঠক৷ এ পত্রিকার প্রায় প্রতিটি বিভাগ আমি নিয়মিতভাবে পড়ি৷ কমপিউটার জগৎ-এর জুন ২০০৮ সংখ্যার অনলাইনফ্রিল্যান্স আউটসোর্সিং ঘরে ঘরে বিপুল আয়ের উপায় শীর্ষক আশা জাগানো প্রচ্ছদ প্রতিবেদনের জন্য ধন্যবাদ৷ দীর্ঘদিন পরে কমপিউটার জগৎ-এ এ ধরনের একটি প্রচ্ছদ প্রতিবেদন ছাপা হলো যেখানে কর্মরত আছেন কিছু তরুণ মেধাবী ছাত্রছাত্রী৷ এরা কাজ করছেন সম্পূর্ণরূপে অপ্রাতিষ্ঠানিকভাবে অর্থাৎ ব্যক্তিগত উদ্যোগে৷ ব্যক্তিগত উদ্যোগে এসব কাজ অন্য মেধাবী ছাত্রছাত্রীদেরও অনুপ্রাণিত করবে তাতে কোনো সন্দেহ নেই৷
যেহেতু আমি কিছু কিছু বিদেশী আইসিটি বিষয়ক ম্যাগাজিন পড়ি, তাই আমি জানি যে ঘরে বসেই অনেকে এ ধরনের কাজ করে বিপুল পরিমাণ অর্থ আয় করছেন৷ আমাদের প্রতিবেশী দেশের অনেক ছাত্রছাত্রী৷ শুধু তাই নয়, তারা নিজেদের আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী করেছেন৷ এদের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে৷ এসব কাজের মধ্যে আছে প্রোগ্রামিং, গ্রাফিক্স ডিজাইন, ম্যাপ ডিজাইনিং, আর্কিটেকচারাল ডিজাইন ও জিআইএস সংশ্লিষ্ট৷ শুধু তাই নয়, বিজ্ঞাপন ডিজাইনসংশ্লিষ্ট কাজও রয়েছে যথেষ্ট৷ ভারতীয় কিছু আইসিটিসংশ্লিষ্ট ম্যাগাজিনেও এ ধরনের আউটসোর্সিংসংশ্লিষ্ট লেখা প্রায়শ ছাপা হয়৷ কিন্তু দুঃখের বিষয় আমাদের দেশের আইটিসংশ্লিষ্ট ম্যাগাজিনগুলোতে তেমন একটা দেখা যায় না, যা পাই তা শুধু কমপিউটার জগৎ-এ৷ আমি চাই কমপিউটার জগৎ নিয়মিতভাবে এ ধরনের আশা জাগানোর লেখা তথ্যবহুল ও বিস্তারিতভাবে তুলে ধরুক যাতে অন্য মেধাবী ও আগ্রহী ছাত্রছাত্রীরা এসব কাজে উত্সাহী হয় এবং অন্যদেরও এ কাজে সম্পৃক্ত করে৷ জানি এ ধরনের কাজ করা সহজ নয়৷ কিন্তু মানেপ্রাণে চেষ্টা করলে একদিন সফলকাম হওয়া যাবে এ বিশ্বাসে ও ধৈর্য নিয়ে সবাই চেষ্টা করবে তা আমরা সবাই প্রত্যাশা করি৷
এ ধরনের কাজ যারা করবে, তাদের টাকা উত্তোলনের ব্যাপারটি যেন ঝামেলামুক্ত ও সহজ হয় সে ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের প্রতি অনুরোধ রইল৷
শাহানা জামান
পাড়াডগার, ডেমরা, ঢাকা-১৩৬২
..............................................................................................
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সমূহে বিনামূল্যে ইন্টারনেট সংযোগ ও আমাদের করণীয়
সম্প্রতি প্রকাশিত সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সমূহে বিনামূল্যে ইন্টারনেট সংযোগ প্রদানের সংবাদে সবাই যেমন আনন্দে উল্লাসিত হয়েছেন তেমনি কিছু কিছু সচেতন অভিভাবক উদ্বিগ্নও হয়েছেন এর খারাপ দিক চিন্তা করে৷ ইন্টারনেটের বিশাল তথ্যভাণ্ডারের প্রায় শতকরা ২১ ভাগ হচ্ছে অশ্লীল, যা অতি সহজেই সবার নাগালের মধ্যে চলে আসে, এমনকি কোনো কোনো ক্ষেত্রে না বুঝে কিছু মেইল বা এটাচমেন্ট ফাইলে ক্লিক করলে খারাপ ছবি স্বয়ংক্রিয়ভাবে আসতে থাকে যা অভিজ্ঞ লোক ছাড়া বন্ধ করা সম্ভব নয়৷ কোমলমতি এই শিশুদের এসব অশ্লীল ছবির হাত থেকে মুক্তির বা নিরাপত্তার নিশ্চয়তা না দিতে পারলে, এই বিনামূল্যে ইন্টারনেট প্রদানের উল্লাস বুমেরাং হয়ে তাদের অপূরণীয় ক্ষতির কারণ হবে৷ প্রতি বিদ্যালয়ে ১ জন শিশু ক্ষতিগ্রস্ত হলে ৪০ হাজার বিদ্যালয়ের ৪০ হাজার শিশুর ক্ষতির দায় কে নেবে? শিশুরা নিশ্চয়ই আমাদের এক্সপেরিমেন্টের বিষয় হতে পারে না৷ আমরা সবাই জানি, সাইবার ক্যাফেতে ছাত্রছাত্রীদের ইন্টারনেটের খারাপ ব্যবহার সম্পর্কে৷ পত্রিকায় এ নিয়ে অনেক সংবাদ ছাপা হয়েছে৷ তাই তাদের হাতে ইন্টারনেট তুলে দেয়ার আগে অবশ্যই এডাল্ট কনটেন্ট ফিল্টার ব্যবহার করতে হবে৷ ধর্মীয় এবং সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে ইন্টারনেটের খারাপ দিক হতে শিশুদের রক্ষা করার জন্য ফিল্টার ব্যবহার বাধ্যতামূলক করতে হবে৷ প্রয়োজনে এডাল্ট কনটেন্ট ফিল্টারে সক্ষম এমন সব দেশীয় প্রতিষ্ঠানকে এ কাজে সম্পৃক্ত করতে হবে এবং তা ব্যবহারে প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে বাধ্য করতে হবে, যাতে আমাদের শিশু-কিশোররা নিরাপদে ইন্টারনেট সার্ভিস পেতে পারে৷ এতে আমরা অভিভাবকরা যেমন নিশ্চিন্ত থাকতে পারি, তেমনি আমাদের সন্তানরা যথাযথ সুফল ভোগ করতে পারবে৷ আসুন আমরা সবাই শিশুদের নিরাপদ ইন্টারনেটের জন্য যার যার অবস্থান থেকে সর্বোচ্চ ভূমিকা পালনের চেষ্টা করি৷
রেবেকা সুলতানা
মহাখালী, ঢাকা
..............................................................................................
কমপিউটার জগৎ-এ লেখা পাঠাতে চাই
গভীর কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি বিনামূল্যে কমপিউটার জগৎ প্রেরণের জন্য৷ আমি কমপিউটার জগৎ পাঠক ফোরাম সদস্য৷ নম্বর ২৩৷ কমপিউটার জ্ঞান আরো প্রসারিত হচ্ছে৷ তথ্যপ্রযুক্তি আরো অগ্রসর হচ্ছে৷ আমার পুরো পরিবার মনোযোগসহকারে কমপিউটার জগৎ পড়ে৷ কমপিউটার জগৎ পড়ে আমরা সবাই উপলব্ধি করতে পারছি কমপিউটারের ব্যবহার ও এর গুরুত্ব৷ এমনকি আমার বৃদ্ধ মা, বাবাও৷ কমপিউটার জগৎ কর্তৃপক্ষের কাছে আমার অনুরোধ, পাঠক ফোরামের সদস্যদের বিনামূল্যে কমপিউটার জগৎ দেয়া অব্যাহত থাকুক৷
এছাড়া পাঠক-সদস্যদের জন্য কমপিউটার প্যাকেজ চালু করা, তাদের মতামতের ভিত্তিতে প্রতিটি জেলায় সেমিনার করার জন্য আহ্বান জানাচ্ছি৷ তথ্যপ্রযুক্তিতে গরিব মেহনতকারীরা কিভাবে উপকৃত হতে পারে সেদিকে নজর দেয়ার জন্য কমপিউটার জগৎ বিশেষ ভূমিকা নিতে পারে৷ সবশেষে জানতে চাই কমপিউটার জগৎ-এ লেখা পাঠাতে হলে বিশেষ কোনো যোগ্যতার প্রয়োজন আছে কি? কমপিউটার জগৎ-এর উত্তরোত্তর সাফল্য কামনা করি৷
দাউদুল আলম
সদস্য নং-২৩
..............................................................................................
পাঠক ফোরাম সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চাই
আমি কমপিউটার জগৎ-এর একজন নিয়মিত পাঠক৷ কমপিউটার জগৎ-এর সতেরো বছর পূর্তিতে আমি গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করছি তথ্যপ্রযুক্তি আন্দোলনের অগ্রপথিক বলে সুপরিচিত অধ্যাপক মরহুম আবদুল কাদেরকে৷ তিনি কমপিউটার জগৎ নামে পত্রিকা সৃষ্টি করেছেন বলে আমরা আজ সেই সৃষ্টিকে নিয়ে কথা বলছি৷ উল্লাস করছি৷ তিনি পথ দেখিয়েছেন বলেই সে পথে চলার সুযোগ পেয়েছি৷
কমপিউটার জগৎ তাদের পাঠকদের নিয়ে একটি পাঠক ফোরাম গঠনের উদ্যোগ নিয়েছিল৷ সেই পাঠক ফোরামের আমি একজন সদস্য হয়েছি, যার ফলে মাসিক একটি সৌজন্য সংখ্যা আমার ঠিকানায় পৌঁছে যায় এবং কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি সৌজন্য সংখ্যার জন্য৷ বেশ কিছুদিন আগে একবার কমপিউটার জগৎ থেকে আমার সাথে ফোনে যোগাযোগ করা হয়েছিল কিন্তু এরপর আর কোনো যোগাযোগ বা ঘোষণা পাইনি৷ মনে হয় হঠাৎ থমকে গেছে পাঠক ফোরাম গঠনের উদ্যোগ৷ তারই প্রেক্ষিতে আমি আমার ব্যক্তিগত কিছু সুপারিশ/অভিমত প্রকাশ করছি-১. কমপিউটার জগৎ পত্রিকায় সদস্যদের জন্য একটি বিভাগ চালু করা৷ ২. কমপিউটার জগৎ পত্রিকার সব সদস্যের (পাঠক) নাম, ঠিকানা, ফোন নম্বরসহ একটি তালিকা প্রকাশ করা৷ ৩. সব সদস্যের সাথে যোগাযোগ করে একটি মতবিনিময়সভার আয়োজন করা (ঢাকায়)৷ ৪. সব সদস্যের মতামতের ভিত্তিতে একটি কেন্দ্রীয় কমিটি গঠন করা৷ ৫. এই কমিটি সারাদেশের মানুষকে তথ্যপ্রযুক্তি সম্পর্কে আরো সচেতন করে তুলবে এবং কমপিউটার জগৎ-এর প্রতিষ্ঠাতা অধ্যাপক মরহুম আবদুল কাদেরের স্বপ্ন বাস্তবায়নে কাজ করবে৷
পরিশেষে কমপিউটার জগৎ-এর সতেরো বছর পূর্তিতে সম্মানিত সব উপদেষ্টা, পৃষ্ঠপোষক, সম্পাদকসহ কর্মকর্তা, লেখক, পাঠক ও সদস্যদের জানাই অকৃত্রিম শুভেচ্ছা এবং আশা করছি উপরোক্ত বিষয়ে একটি কার্যকার সিদ্ধান্ত নেবেন৷
লিও এম. শাহাব উদ্দীন সাইফু
সদস্য নং-০৫১, চান্দগাঁও, চট্টগ্রাম-৪২১২