বেসিসকে আরো সক্রিয় ভূমিকা রাখতে হবে
তথ্যপ্রযুক্তির যুগে কমপিউটার বিজ্ঞান বিভাগের গ্র্যাজুয়েটদের চাহিদা বর্তমান বিশ্বে অনেক৷ বাংলাদেশে ২০০০ সালের পর থেকে ছাত্রছাত্রীদের কমপিউটার বিজ্ঞান বিভাগে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ভর্তির সংখ্যা কমতে থাকে৷ এমনকি প্রথম সারির বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে দেখা গেছে ২০০৪-২০০৫-শিক্ষাবর্ষে মাত্র ১০-১২ জন করে ভর্তি হয়েছে কমপিউটার বিজ্ঞান বিভাগে৷ তবে বর্তমানে আবার ছাত্রদের ভর্তি সংখ্যা বাড়ছে৷ কিন্তু বাজার চাহিদার তুলনায় এ সংখ্যা খুবই কম৷ অথচ বর্তমানে দেশের ভেতরেই ভালো প্রোগ্রাম ডেভেলপারদের চাহিদা বেড়েই চলেছে৷ বিদেশ তো বাদই রইলো৷ এদিকে আবার টেলিকম শিল্পে নিত্যনতুন ভ্যালু এডেড সার্ভিস দেয়ার জন্য প্রয়োজন হচ্ছে ভালো প্রোগ্রামারের কিংবা কমপিউটার বিজ্ঞান বিভাগের গ্র্যাজুয়েটদের৷
২০০৯-২০১০ সালের দিকে বাংলাদেশের যে পরিমাণ গ্র্যাজুয়েট দরকার হবে, তার মাত্র ৫০% চাহিদার যোগান দিতে পারবে আমাদের দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো৷ অথচ এক্ষেত্রে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস তথা বেসিস-এর তেমন কোনো উদ্যোগ চোখে পড়ছে না৷ তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি এবং বিজ্ঞান মন্ত্রণালয়েরও কোনো উদ্যোগ নেই৷
আসলে এই মুহূর্তে বেসিস সদস্যদের স্বার্থেই উদ্যোগ নিতে হবে, কিভাবে কমপিউটার বিজ্ঞান পড়তে ছাত্রছাত্রীদের আগ্রহ বাড়ানো যায়৷ এখনই সময় এই বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নজর দেয়া৷ নইলে বিদেশীদের ডেকে এনে এখানে কাজ করাতে হবে৷
মো: জাহিন
৪৬/১, প্রথম লেন, নবাবগঞ্জ, ঢাকা
......................................................................................
ননটেকনিক্যাল লেখা যেন কমানো না হয়
আমি কমপিউটার জগৎ-এর একজন নিয়মিত পাঠক৷ দীর্ঘ ৮-৯ বছর ধরে আমি পত্রিকাটি নিয়মিতভাবে পড়ি এবং আমার ব্যক্তিগত লাইব্রেরিতে তা সংগ্রহ করে রাখি৷ আমি মফস্বল শহরের একজন ব্যবসায়ী হলেও আইসিটি বিষয়ের প্রতি প্রচণ্ড আগ্রহ থাকায় আমার
সন্তানদেরকে কমপিউটার কিনে দেই এবং নিজের প্রতিষ্ঠানের কাজে কমপিউটার ব্যবহার করি ঠিকই, তবে কমপিউটারের টেকনিক্যাল বিষয়গুলো সম্পর্কে তেমন কোনো জ্ঞান আমার নেই৷ সত্যি কথা বলতে, আমি কমপিউটার জগৎ-এর টেকনিক্যাল পাতাগুলো পড়ি না যে পাতাগুলো আমরা সন্তানরা পড়ে৷ আমি মূলত কমপিউটার জগৎ-এর প্রচ্ছদ প্রতিবেদনসহ আলোচনাধর্মী বা কলামধর্মী লেখাগুলো পড়ি৷ ইদানিং লক্ষ করছি এ পত্রিকার নিয়মিত কয়েকজন লেখকের আলোচনাধর্মী লেখাগুলো বেশ কমে গেছে৷ কিন্তু কমপিউটার জগৎ-এর আলোচনাধর্মী লেখাগুলোই আমাকে একজন প্রযুক্তিপ্রেমী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে৷
এ পত্রিকার ননটেকনিক্যাল লেখাগুলোই আমাকে উদ্বুত্ত করেছে কমপিউটার ব্যবহারে৷ এ পত্রিকায় আলোচনাধর্মী লেখাগুলো পড়ে আমি তথ্যপ্রযুক্তির গুরুত্ব ও এর অপার সম্ভাবনার কথা বুঝতে পেড়েছি এবং তা উপলব্ধি করছি৷ কিন্তু সাম্প্রতিক কয়েক মাসের কমপিউটার জগৎ-এ দেখছি আলোচনাধর্মী লেখা ক্রমেই কমে যাচ্ছে এবং সাধারণ ছাত্রছাত্রী বা আইটি প্রফেশনালদের উপযোগী হয়ে পরেছে যা আমার মতো ভিন্ন পেশাজীবী বা ভিন্ন বিষয়ে শিক্ষিত জনগোষ্ঠীর কাছে দুর্বোধ্য৷ অথচ আমরা জানি এ পত্রিকার যাত্রা শুরু হয় জনগণের হাতে কমপিউটার চাই স্লোগান নিয়ে৷ কমপিউটারে ব্যাপক প্রসার ও সম্প্রসারণ করতে চাইলে শুধু আইটি পেশাজীবী বা আইটি বিষয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের প্রতি লক্ষ রেখে আর্টিকেল প্রকাশ করলে হবে না৷
কমপিউটার জগৎ-কে আগের মতো লক্ষ রাখতে হবে সবশ্রেণীর পাঠকের প্রতি৷ কমপিউটার জগৎ-কে সমানভাবে সেইসব পাঠকের প্রতি নজর দিতে হবে যারা আইটি বিষয়ে কম ধারণা রাখেন, যাতে করে তারা এ পত্রিকাটি পড়ে আইটির গুরুত্ব বুঝতে পাড়ে৷ যেমনটি আমি পেড়েছিলাম৷ কমপিউটার জগৎ প্রযুক্তিপ্রেমী সৃষ্টিতে আগের মতো অগ্রণী ভূমিকা রাখবে সেই প্রত্যাশা করি৷
এম. জামান
মতলব উত্তর, চাঁদপুর
......................................................................................
লিনআক্সের ওপর আরো সমৃদ্ধ লেখা চাই
আমি কমপিউটার জগৎ-এর একজন নিয়মিত পাঠক৷ গ্রাফিক্স বিভাগের লেখা প্রশংসনীয়৷ এর জন্য কমপিউটার জগৎ-কে ধন্যবাদ৷ ডিজিটাল ক্যামেরা নিয়ে এর আগে কিছু লেখা গেলেও এ বিষয়ে আরো সবিস্তারে জানতে চাই৷ আশা করি সামনে এ নিয়ে লেখা পাবো৷ ১৭ বছর পূর্তিতে পত্রিকার পৃষ্ঠাসংখ্যা বেশি থাকায় বেশ ভালো লেগেছিল৷ কিন্তু তার পরেই আগের মতো পৃষ্ঠাসংখ্যা চলে এলো৷ আশা করছি আগামীতে বেশি লেখাসমৃদ্ধ কমপিউটার জগৎ পাবো৷ গেমের পৃষ্ঠা বাড়ায় অনেক গেম সম্পর্কে জানতে পারছি তবে বেশি পুরনো গেম নিয়ে আলোচনা না করে সমসাময়িক গেম নিয়ে লেখা আশা করছি৷ লিনআক্স নিয়ে লেখা প্রশংনীয় তবে কোড-এর জন্য আলাদা একটি পেজ বরাদ্দ হলে ভালোভাবে লিনআক্স সম্পর্কে জানা যেত৷
আসমা আক্তার দোলা
মিরপুর, ঢাকা
......................................................................................
কমপিউটার জগৎ-এর সার্কুলেশন বাড়ানো হোক
আমি কমপিউটার জগৎ-এর নিয়মিত পাঠক৷ প্রতি মাসে অপেক্ষায় থাকি কখন পত্রিকা বের হবে৷ কিন্তু মাসের ১৫-১৬ তারিখের মধ্যে পত্রিকা যোগাড় করতে না পারলে তা আর সংগ্রহ করা সম্ভব হয় না৷ পত্রিকার কাটতির জন্যই এমনটি হয়৷ বিশেষ করে ঢাকার কিছু এলাকায় এ অবস্থা প্রকট৷ তাই আমরা কয়েক বন্ধু মিলে সিদ্ধান্ত নিয়েছি এখন থেকে সরাসরি এক বছরের গ্রাহক হয়ে পত্রিকা অর্ডার করবো৷ তাহলে আশা করি ডাকযোগে নিয়মিত ঠিকমতো পত্রিকা পাবো৷
গত কয়েক সংখ্যা থেকে দেখছি পত্রিকায় মোবাইল ফোনের বাজারদর অনুপস্থিত৷ মোবাইল ফোনের বাজারদর পুনরায় চালু করা হোক, তা আমরা সবাই চাই৷ সেই সাথে চায়নিজ ননব্র্যান্ড সেট সম্পর্কে জানতে চাই৷ এই সেটগুলোতে জিপিআরএস কিভাবে অ্যাকটিভ করবো, তা নিয়ে লেখা চাই৷
আল-মারুফ জয়
মিরপুর, ঢাকা
......................................................................................
কৃষি সম্পর্কিত ওয়েবসাইটের ওপর প্রতিবেদন চাই
কমপিউটার জগৎ পত্রিকা আমার কাছে এত প্রিয় যে তা লিখে প্রকাশ করতে পারবো না৷ এই পত্রিকার প্রতিটি পৃষ্ঠা আমার কাছে দীর্ঘ এক একটি স্বপ্ন, কেননা যতক্ষণ আমি এই পত্রিকা পড়ি ততক্ষণ খুব ভালো লাগে, মনে হয় আমি এর প্রতিটি কাজ নিজে হাতে করছি৷ যখন পড়া শেষ হয় মনে হয় সুন্দর স্বপ্নে হঠাৎ জেগে উঠলাম৷ কেননা, আমার কোনো কমপিউটার নেই৷ কিন্তু আমি কমপিউটারের প্রতি এত বেশি আসক্ত যে এই কমপিউটারকে কেন্দ্র করে আমার কেবল দুঃখের হাজার স্মৃতি মনে৷ একদিনে সব বলা সম্ভব নয়৷
কমপিউটার নিয়ে অনেক পরিকল্পনা আছে৷ এর মধ্যে প্রথম পরিকল্পনা হলো কমপিউটার ও কৃষককে এক করতে চাই৷ আমি এমন একটি বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখি যেখানে কমপিউটার আর ঘরে থাকবে না৷ কমপিউটার থাকবে কৃষকের মাটি, কৃষি কাজের যন্ত্র হিসেবে৷ আমি বিশ্বাস করি যাকে নিয়ে আজ আমার এত দুঃখ, কয়েক দিন পর তাকে নিয়ে আমার অবশ্যই সুখ হবে৷
কমপিউটার জগৎ-এ দেশী-বিদেশী কৃষি সম্পর্কিত ওয়েবসাইট নিয়ে প্রতিবেদন চাই৷ যদিও এই প্রতিবেদন আজকে কৃষককে কতটুকু উপকার দিবে জানি না, কিন্তু ভবিষত্তে এই প্রসার চলবে৷ তাই পথ চলা শুরু হোক আজকে থেকেই৷ দোয়া করবেন সামনে পরীক্ষা৷
ইরশাদ রহমান হেলাল
লালপুর, নাটোর