লেখক পরিচিতি
লেখা সম্পর্কিত
পাবলিশ:
২০১৭ - ফেব্রুয়ারী
ই-কমার্সে অনলাইন মার্কেটিং
গুগল অ্যাডওয়ার্ড ব্যবহার করে অনলাইন মার্কেটিং
অনলাইন মার্কেটিংয়ের বেসিক, সুবিধাসমূহ এবং প্রস্ত্তত ওয়েবসাইট থাকলে আমরা এখন অ্যাডওয়ার্ড বা গুগলের অনলাইন অ্যাডভারটাইজিং প্রোগ্রামিংয়ের সাথে পরিচিত হতে পারি।
অ্যাডওয়ার্ড কীভাবে কাজ করে
আপনার পণ্য বা সেবার সাথে সম্পর্কিত কোনো টার্ম ব্যবহার করে যখন কেউ সার্চ করবে, শুধু তখনই আপনার অ্যাড দেখা যাবে অথবা কোনো ওয়েবসাইটের সাথে আপনার পণ্যের মিল পাওয়া গেলেই সেই সাইটে আপনার অ্যাড প্রদর্শিত হবে। এখন প্রশ্ন হচ্ছে, অ্যাডট কাজ করে কীভাবে?
ক্রেতাদের সাথে সংযোগ ঘটানোর কাজটি করে কিওয়ার্ডস
অ্যাডওয়ার্ড ক্যাম্পেইন সেটআপ করার সময় সেসব শব্দ বা ফ্রেইজ পছন্দ করা হয়, সেগুলোকে বলে কিওয়ার্ডস। ধরে নেয়া হয়, এসব টার্ম ব্যবহার করে ক্রেতারা আপনার পণ্য বা সেবা খুঁজবে। কিওয়ার্ড ম্যাচ করে বানানো অ্যাড টার্মের সাথে বা কনটেন্টের সাথে মিলে গেলে তা প্রদর্শিত হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি থাকে। উদাহরণস্বরূপ বলা যায়, আপনি যদি একজন ফুল সরবরাহকারী হয়ে থাকেন, তবে ফুল নিয়ে কোনো অ্যাড চালানো হলে সেখানে কিওয়ার্ড হিসেবে ‘ভৎবংয ভষড়বিৎ ফবষরাবৎ’ ব্যবহার করতে পারেন। এরপর যখন কেউ এই ফ্রেইজ ব্যবহার করে গুগলে সার্চ করবে, তখন আপনার অ্যাডটি সার্চ রেজাল্টের ওপরে চলে আসবে অথবা ভৎবংয ভষড়বিৎ ফবষরাবৎু-র সাথে সংশ্লিষ্ট কোনো ওয়েবসাইটে আপনার অ্যাডটি প্রদর্শিত হবে।
অ্যাড অকশনে প্রবেশ
অ্যাডওয়ার্ড কীভাবে ঠিক করে কখন কোন অ্যাড দেখাবে? এই অ্যাড নির্বাচনের বিষয়টি ঠিক হয় সেকেন্ডেরও ভগ্নাংশ সময়ের মধ্যে অ্যাড অকশনের মাধ্যমে। এই অ্যাড অকশন ব্যাপারটি সংঘটিত হয় তখনই, যখন কোনো ভিজিটর গুগলে কিছু সার্চ করেন বা এমন কোনো সাইট ভিজিট করেন, যেখানে অ্যাডওয়ার্ড অ্যাড দেখানো হয়।
অ্যাডওয়ার্ড প্রতিটি অ্যাডের জন্য অকশনে অ্যাড র্যািঙ্ক নামের একটি স্কোর হিসাব করে। অ্যাড র্যাডঙ্কই মূলত ঠিক করে আপনার অ্যাডের পজিশন কী হবে বা আদৌ সে অ্যাডটি দেখানো হবে কি না। যে অ্যাডের সর্বোচ্চ অ্যাড র্যানঙ্ক থাকবে, সেটি শীর্ষে অবস্থান করবে। অ্যাড র্যা ঙ্কের তিনটি ফ্যাক্টর থাকে :
বিড : অ্যাড বিট সেট করার সময় বলে দিতে হবে আপনার অ্যাডে ক্লিক করার জন্য সর্বোচ্চ কত টাকা খরচ করতে রাজি আছেন। তবে যেকোনো সময় বিড পরিবর্তন করা যাবে।
অ্যাডের কোয়ালিটি : অ্যাডওয়ার্ড যে বিষয়টি লক্ষ রাখে, সেটি হচ্ছে আপনার অ্যাড বা অ্যাডের সাথে লিঙ্ক করা সাইটটি যেসব অ্যাডটি দেখবে তাদের জন্য কতটুকু উপকারী বা রিলিভেন্ট। অ্যাডের কোয়ালিটির ওপর নির্ভর করে স্কোরের উন্নতি করার জন্য পদক্ষেপ নিতে পারবেন।
অ্যাড এক্সটেনশন ও অ্যাড ফরম্যাটের প্রভাব : অ্যাড বানানোর সময় অ্যাডের সাথে অতিরিক্ত তথ্য যোগ করার সুযোগ আছে। যেমন- ফোন নাম্বার, আপনার সাইটের আরও স্পেসিফিক লিঙ্ক ইত্যাদি। এগুলোকে বলে অ্যাড এক্সটেনশন। গুগল ধারণা করে নেয় এক্সটেনশন এবং যে অ্যাড ফরম্যাট আপনি ব্যবহার করবেন, সেগুলো আপনার অ্যাডের ওপর কেমন প্রভাব রাখবে।
দিনের শেষে আপনি যা ব্যয় করেন সেটাই আসল
কস্ট-পার-ক্লিক (সিপিসি) বিডিংয়ে যদি কেউ আপনার অ্যাডে ক্লিক করেন এবং আপনার ওয়েবসাইটে ভিজিট করেন তবে শুধু আপনাকে পে করতে হবে। আপনি অ্যাডওয়ার্ডকে বলে দিতে পারেন আপনার অ্যাডে ক্লিকের জন্য কত ব্যয় করতে ইচ্ছুক (একে বলে ম্যাক্সিমাম কস্ট-পার-ক্লিক)।
অ্যাডওয়ার্ড বাজেটের ওপর আপনার পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ থাকবে যেন নিজের ইচ্ছে মতো করে অ্যাড সেট করা যায়। আপনি সিদ্ধান্ত নিতে পারেন প্রতিদিন গড়ে কত খরচ করতে চান। আপনার অ্যাড জনপ্রিয় হলে অ্যাডওয়ার্ড গড়ে প্রতিদিনের বাজেটের ২০ শতাংশ বেশি খরচ করার সুযোগ করে দেবে, যাতে মূল্যবান ক্লিকের একটিও মিস না হয়। কোনো একদিন এই বেশি খরচের কারণে মাসশেষে বাজেট যেন ছাড়িয়ে না যায়। তাই গুগল অন্য দিনের বাজেট কমিয়ে দেবে যেন গড়ে খরচ একই থাকে।
এখন আমরা জানব অ্যাডওয়ার্ড কীভাবে কাজ করে। এখন নিশ্চিত হতে হবে অ্যাড আপনার সাথে কেমন ফিট হবে। কোন মার্কেটিং অপশনটি আপনার জন্য সঠিক।
অ্যাডওয়ার্ডসে অ্যাড চালানো মানে ব্যবসায়ের জন্য আর্থিক বিনিয়োগ করা। তবে সফলতা লাভের জন্য টাকাই যথেষ্ট নয়। আরও কিছুর প্রয়োজন আছে। সেজন্য আপনার অ্যাডওয়ার্ডস অ্যাকাউন্টের প্রতি নজর রাখতে হবে, নিয়মিতভাবে একই সাথে পরিবর্তন আনতে হবে যতক্ষণ না আপনি বিনিয়োগ থেকে প্রত্যাশিত পরিমাণে রিটার্ন না পাচ্ছেন।
এবার দেখা যাক, কীভাবে একটি সফল অ্যাডওয়ার্ড অ্যাকাউন্ট ব্যবস্থাপনা করা যায়। অ্যাডওয়ার্ডের জন্য প্রয়োজনীয় সময় অথবা বাজেট না থাকলে গুগলের অন্যান্য কিছু সেবা আছে, যেগুলোর সাহায্যে ব্যবসায়কে সঠিক ক্রেতাদের কাছে উপস্থাপন করা যায়।
সময় বিনিয়োগ
পরিকল্পনা করুন, সপ্তাহে অন্তত একদিন গুগল অ্যাডওয়ার্ড অ্যাকাউন্টটি চেক করে দেখবেন। আপনার ইচ্ছে মতো সময় সেখানে দিন। তবে সেটা হতে পারে ৩০ মিনিট থেকে ১ ঘণ্টা প্রতি সপ্তাহে। আপনি চেক করে দেখবেন আপনার অ্যাড, কিওয়ার্ডসগুলো কেমন করছে। সেগুলোর পারফরম্যান্স আরও ভালো করার জন্য দরকারি কোনো পরিবর্তন আনতে হলে সেটা আনুন