• ভাষা:
  • English
  • বাংলা
হোম > ৩য় মত
লেখক পরিচিতি
লেখকের নাম: কজ
মোট লেখা:১০৪১
লেখা সম্পর্কিত
পাবলিশ:
২০০৭ - ডিসেম্বর
তথ্যসূত্র:
কমপিউটার জগৎ
লেখার ধরণ:
মতামত
তথ্যসূত্র:
৩য় মত
ভাষা:
বাংলা
স্বত্ত্ব:
কমপিউটার জগৎ
৩য় মত




কমপিউটার জগৎই সবচেয়ে ভালো

দেশে এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ আইসিটি ম্যাগাজিন প্রকাশ করায় কমপিউটার জগৎ-এর সাথে সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ৷ আমি গত কয়েক মাস ধরে পর্যবেক্ষণ করে দেখেছি যে, অন্যান্য ম্যাগাজিনের তুলনায় কমপিউটার জগৎই দেশের সবচেয়ে ভালো আইসিটি ম্যাগাজিন৷ এর নিয়মিত প্রবন্ধ, প্রতিবেদন ও বিভাগ খুবই আকর্ষণীয়৷ শিক্ষার্থীদের জন্য সবচেয়ে কাজের হলো মজার গণিত, আইসিটি শব্দফাঁ দ ও গণিতদাদু৷ এই সব লেখা শিক্ষার্থীদের মেধাকে তীক্ষ্ণ করতে সহায়ক হবে এবং চিন্তার ক্ষমতা বাড়াবে৷

একটি জাতীয় দৈনিকে কয়েক মাস আগে ড. কায়কোবাদ একটি প্রবন্ধ লিখেছেন৷ সেখানে তিনি বলেছেন, আমাদের সমস্যা সমাধানের ক্ষমতা বাড়াতে হবে৷ দেশের অগ্রগতির জন্য এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়৷ আমাদেরকে গণিত শিখতে হবে৷

লেখাটি ভালো লেগেছে এবং আমি চাই কমপিউটার জগৎ এই বিভাগটির প্রতি যথাযথ দৃষ্টি রাখবে, যা আমাদের দেশে দীর্ঘমেয়াদী প্রভাব ফেলবে৷ আমি কমপিউটার জগৎ-এর সাফল্য কামনা করি৷ আশা করি পত্রিকা কর্তৃপক্ষ পাঠকদের চাহিদা অনুধাবন করবেন৷

রাজিন সালেহ
নটর ডেম কলেজ, ঢাকা ....................................................................................................................................

একটি আবেদন

আমি পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্র৷ আমার বাবা একজন সরকারি চাকরিজীবী৷ আমার মা একজন গৃহিণী৷ আমরা তিন ভাইবোন৷ আমরা সবাই পড়াশোনা করি৷ আমার বাবার স্বল্প আয়ে আমাদের সবার লেখাপড়ার খরচ এবং সংসার চালাতে কোনোরকমে চলে যায়৷ তাই আমাদের কোনো বাড়তি চাহিদা আমার বাবার পক্ষে দেয়া সম্ভব নয়৷ আমাদের একটি কমপিউটারের খুব প্রয়োজন৷ বর্তমানে শিক্ষাক্ষেত্রে কমপিউটার অসাধারণ ভূমিকা পালন করে আসছে৷ আমাদের খুব ইচ্ছা কমপিউটার শেখা এবং এটি সম্বন্ধে বেশি বেশি জানা৷ অনুগ্রহপূর্বক আমাদেরকে একটি কমপিউটার দিলে আমরা আপনার কাছে চিরকৃতজ্ঞ থাকবো৷

তুষার
৫/১/এ মনেশ্বর রোড, ঢাকা ....................................................................................................................................

আইপি টিভি : কর্তৃপক্ষ ভেবে দেখুন

নভেম্বর সংখ্যার প্রচ্ছদ প্রতিবেদন বিনোদনের নতুন মাত্রা আইপি টিভি অত্যন্ত তথ্যবহুল হয়েছে৷ আগে থেকেই এ ব্যাপারে কিছুটা জানা ছিল, এখন বিষয়টি সম্পর্কে বিস্তারিত জানা গেলো৷ আইপি অডিও ভিডিও প্রযুক্তি যে ইন্টারনেট বিনোদনকে একটি নতুন মাত্রায় নিয়ে যাবে সে ব্যাপারে কারো দ্বিমত থাকার কথা নয়৷ উন্নত বিশ্বে যে আইপি টিভি বা রেডিও বহুলভাবে ব্যবহার হচ্ছে তা হয়তো সঠিক নয়৷ এই প্রযুক্তি সম্ভবত এখনো তেমনভাবে ছড়িয়ে পড়েনি৷ ফলে অনেক দেশই সঙ্গত কারণেই এ ব্যাপারে সচেতন নয়, যেমন বাংলাদেশ৷ যেহেতু বিষয়টি সম্পর্কে যথাযথ কর্তৃপক্ষ এখনো তেমনটি জানেন না, তাই এ সম্পর্কিত নীতিমালা না থাকাটাই স্বাভাবিক৷

কমপিউটার জগৎ-এর মাধ্যমে যখন বিষয়টি সম্পর্কে বিস্তারিত জানা গেলো, তাই কর্তৃপক্ষের উচিত হবে দ্রুত এ ব্যাপারে কার্যকর ব্যবস্থা নেয়া৷ তা না হলে এর অপব্যবহারের পাশাপাশি গ্রাহক হয়রানিসহ নানা ধরনের জটিলতা দেখা দিতে পারে৷ ইতোমধ্যেই এটিএন বাংলা, এনটিভি, চ্যানেল আইসহ কয়েকটি বেসরকারি টিভি চ্যানেল ইন্টারনেটের মাধ্যমে দেখা যাচ্ছে৷ আমাদের ধারণা ছিলো এটাই হয়তো আইপি টিভি৷ কিন্তু এখন কমপিউটার জগৎ বলছে, জাম্প টিভির মাধ্যমে তারা এ সেবা দিচ্ছে, অর্থের বিনিময়ে৷
পুরো প্রতিবেদন থেকে অনেকেই হয়তো আইপি টিভি স্থাপনে উত্সাহিত হয়ে উঠবেন৷ এটা অবশ্যই ইতিবাচক একটা ব্যাপার হবে৷ ক্যাবল অপারেটরদের খামখেয়ালীপনা যে একদিন বন্ধ হবে তা বুঝা যাচ্ছে৷ কমপিউটার জগৎ সবসময়ই নতুন কিছু আমাদের উপহার দিয়ে আসছে৷ পত্রিকাটির এই ধারা অব্যাহত থাকবে আশা করছি৷

তালহা ইসলাম
আজমপুর, উত্তরা, ঢাকা ....................................................................................................................................

আইপি টিভি স্টেশন করতে চাই

৪/৫ লাখ টাকার মধ্যে স্বল্প পরিসরে আইপি টিভি স্টেশন স্থাপন করা যাবে জেনে খুশি লাগছে৷ ইচ্ছে হচ্ছে এখনই এ খাতে বিনিয়োগ করে ফেলি৷ কিন্তু ব্যবসায় হিসেবে এটা কেমন হবে ঠিক বুঝতে পারছি না৷ নভেম্বরের প্রচ্ছদ প্রতিবেদন বিনোদনের নতুন মাত্রা আইপি টিভি পড়ে অনেক কিছুই জানতে পারলাম, কেবল বিনিয়োগ থেকে লাভ কিভাবে আসবে তা ছাড়া৷ আইপি টিভি করতে তথ্য মন্ত্রণালয়ের অনুমতি কিভাবে নিতে হবে কমপিউটার জগৎ-এর মাধ্যমে তা জানার আশা রইল৷ বিষয়টি আমাদের কাছে নতুন৷ সেন্টার স্থাপন ব্যয়ও কম৷ তাই আবার ঘরে ঘরে আইপি টিভি সেন্টার যেনো ব্যাঙের ছাতার মতো গজিয়ে না ওঠে সেটাও লক্ষ্য রাখতে হবে যথাযথ কর্তৃপক্ষকে৷ নিশ্চিত করতে হবে জনগণের সুফল, হয়রানি নয়৷ অপসংস্কৃতির প্রসার নিশ্চয়ই কাম্য হতে পারে না৷

নিখিল চন্দ্র দাস
বাঁশখালী, চট্টগ্রাম ....................................................................................................................................

তথ্যপ্রযুক্তি খাতে চাকরির সুযোগ বাড়ছে জেনে হতাশা কেটেছে

নভেম্বর সংখ্যায় তথ্যপ্রযুক্তি খাতে চাকরির সুযোগ বাড়ছে বিষয়ক রিপোর্টটি পড়ে একজন তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক শিক্ষার্থী হিসেবে ভালো লাগছে৷ সত্যি, একটা সময় আমার মতো আরো অনেকের মধ্যেই তথ্যপ্রযুক্তি খাতের ভবিষ্যৎ নিয়ে উদ্বেগ উত্কণ্ঠা দেখা দিয়েছিলো৷ মোটকথা মনে হচ্ছিল, অন্য বিষয়ক না পড়ে, কমপিউটার ও ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ে পড়তে এসে ভুলই করে ফেলেছি৷ কমপিউটার জগৎ-এর রিপোর্ট পড়ে এই খাতের প্রকৃত অবস্থা জানতে পারলাম৷ এখন অনেকটা ভারমুক্ত মনে হচ্ছে৷ আবার আশা জাগছে৷ মনে হচ্ছে, ভালো ফলাফল করতে পারলে ভালো সুযোগ মিলবেই৷ সারা বিশ্বেই দেখা দিচ্ছে আইটি কর্মী সঙ্কট৷ তাই এখনই আমাদের উচিত তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক লেখাপড়ায় এগিয়ে আসা৷

বিশেষজ্ঞদের ধারণা, ২০১০ সাল নাগাদ বাংলাদেশের তথ্যপ্রযুক্তি খাতে পেশাজীবীর সঙ্কট হবে৷ তাই আইটি খাতে শিক্ষার্থীদের সংখ্যা বাড়ানোর উদ্যোগ নেয়া জরুরি৷ নইলে বিদেশ থেকে আইটি কর্মী ভাড়া করে আনতে হবে৷ এটা দেশের জন্য সুখকর বিষয় হবে না৷ রিপোর্টে যুক্তরাষ্ট্রের তথ্যউপাত্ত বেশি দেখানো হয়েছে৷ এ ব্যাপারে বাংলাদেশের প্রকৃত চিত্রটা জানার ইচ্ছা জানাই কমপিউটার জগৎ-এর কাছে৷ ধন্যবাদ৷

উম্মে সালমা ইয়াসমিন
নিকেতন, ঢাকা ....................................................................................................................................

অনলাইনে স্তন ক্যান্সার চিকিত্সা সেবা | অবশ্যই সাধুবাদ পাবে

বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ এডুকেশন সোসাইটি (বিএফইএস)-এর আমাদের গ্রাম প্রকল্পের আওতায় অনলাইনে গ্রামীণ নারীদের স্তন ক্যান্সার চিকিত্সা সেবা দেয়ার যে পরিকল্পনা হাতে নেয়া হয়েছে তা অবশ্যই সাধুবাদ পাবে৷ গ্রামের নারীরা এমনিতেই অনেক সুবিধা থেকে বঞ্চিত৷ তাদেরকে এ ধরনের সেবা দিতে পারা অবশ্যই একটি মহৎ কাজ হবে৷ কমপিউটার জগৎ-এর নভেম্বর সংখ্যায় এ বিষয়ক রিপোর্টে অনেক কিছুই জানতে পারলাম৷

সারাদেশেই এ ধরনের সেবার সম্প্রসারণ ঘটানো জরুরি৷ কেবল সরকারি উদ্যোগের দিকে তাকিয়ে না থেকে, বেসরকারিভাবে আরো প্রতিষ্ঠানের উচিত এ ধরনের সেবায় এগিযে আসা৷ আমাদের গ্রামের আরো কিছু প্রকল্পের কথা জানতে পেরে ভালো লাগলো৷ জ্ঞানকে একজন থেকে অন্যজন, এক পরিবার থেকে অন্য পরিবার এবং এক গ্রাম থেকে অন্য গ্রামের মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে দেয়া অসাধারণ একটি ব্যাপার৷ সুষ্ঠু ও পরিকল্পিতভাবে এ কাজটি করতে পারলে গ্রামের সাধারণ মানুষও নিজেকে আলোকিত মানুষে পরিণত করতে সক্ষম হবে৷ পাল্টে যাবে দেশের অর্থনীতির চিত্র৷ নিশ্চিত হবে খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান ও চিকিত্সা সুবিধা৷ বাংলাদেশে একদিন নিশ্চয়ই সেই দিন আসবে৷

পারমিতা পোদ্দার
হরিরামপুর, মানিকগঞ্জ
পত্রিকায় লেখাটির পাতাগুলো
লেখাটি পিডিএফ ফর্মেটে ডাউনলোড করুন
২০০৭ - ডিসেম্বর সংখ্যার হাইলাইটস
চলতি সংখ্যার হাইলাইটস