• ভাষা:
  • English
  • বাংলা
হোম > টার্মিনেটর স্যালভেশন
লেখক পরিচিতি
লেখকের নাম: সৈয়দ হাসান মাহমুদ
মোট লেখা:১৪৪
লেখা সম্পর্কিত
পাবলিশ:
২০০৯ - জুলাই
তথ্যসূত্র:
কমপিউটার জগৎ
লেখার ধরণ:
গেম
তথ্যসূত্র:
গেমের জগৎ
ভাষা:
বাংলা
স্বত্ত্ব:
কমপিউটার জগৎ
টার্মিনেটর স্যালভেশন


জেমস ক্যামেরুনের পরিচালিত বিখ্যাত হলিউডি সায়েন্স ফিকশন মুভি টারমিনেটরের সাথে সবাই কমবেশি পরিচিত। টারমিনেটর শব্দটি কানে আসতেই চোখে ভেসে উঠে মানবসদৃশ রোবট আর্নল্ড শোয়ার্জনেগারের চেহারা। এ সিরিজের ৪টি মুভি রয়েছে। এগুলো হচ্ছে-The Terminator, Terminator 2 : Judgment Day, Terminator 3 : Rise of the Machines ও Terminator Salvation। প্রথম তিনটি মুভিতেই আর্নল্ড মুখ্য ভূমিকায় ছিলেন, কিন্তু ৪র্থ মুভি স্যালভেশনে স্যাম ওয়ার্থেংটনকে নেয়া হয়েছে সাইবোর্গ বা টারমিনেটরের ভূমিকায়। এ সিরিজের আরেকজন মুখ্য চরিত্র জন কননোরের ভূমিকায় অভিনয় করেছেন ক্রিশ্চিয়ান বেল। ব্যাটম্যান সিরিজের নতুন ব্রুস ওয়েনের ভূমিকায় ব্যাটম্যান বিগিনস দিয়ে ব্যাটম্যান মুভিতে তার যাত্রা শুরু। ব্যাটম্যানের সাড়া জাগানো নতুন মুভি ডার্ক নাইটেও তিনি অভিনয় করেছেন। Terminator : The Sarah Connor Chronicles নামে ২০০৮ সাল থেকে চলছে টিভি সিরিয়াল এবং বাজারে এ সিরিয়ালের সিজন ১ ও ২ পাওয়া যাচ্ছে। এ টিভি সিরিয়ালের কাহিনী গড়ে উঠেছে মুভি টারমিনেটর ২-এর পরের কাহিনীর রেশ ধরে।



টারমিনেটর চরিত্র নিয়ে বের হয়েছে কমিকস, বই, ও অসংখ্য গেমস। তার মধ্যে কয়েকটির নাম হচ্ছে- The Terminator, Terminator 2 : Judgement Day, Terminator 3 : Rise of the Machines, Terminator 3 : War of the Machines, Terminator 3 : The Redemption, The Terminator 2029, RoboCop versus The Terminator, The Terminator : Rampage, The Terminator : Future Shock, The Terminator : Future Shock, SkyNET, The Terminator : Dawn of Fate, The Terminator : I’m Back!, Terminator Revenge ইত্যাদি। কিন্তু এদের বেশিরভাগই হচ্ছে আর্কেড গেম বা কনসোলের জন্য বানানো গেম। টারমিনেটর সিরিজের ৪র্থ মুভি স্যালভেশনের কাহিনীর ওপরে ভিত্তি করে বানানো হয়েছে একটি থার্ড পারসন শূটিং গেম, যার নাম টারমিনেটর স্যালভেশন। এটি ডেভেলপ করেছে GRIN এবং পাবলিশ করেছে Equity Games ও Evolved Games নামের প্রতিষ্ঠান। এটি প্লে স্টেশন ৩, এক্সবক্স ৩৬০, মাইক্রোসফট উইন্ডোজ ও আইফোন ওএসের জন্য অবমুক্ত করা হয়েছে।





টারমিনেটর সিরিজের কাহিনী অনুযায়ী ২০২৯ সালে রোবটদের আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এমনভাবে ছেয়ে যাবে যে, এগুলো মানব সভ্যতাকে ধ্বংস করে পৃথিবীতে নিজেদের আধিপত্য বিস্তার করার কাজে লিপ্ত হবে। অত্যাধুনিক এ রোবটদের বলা হয় সাইবোর্গ। তারা মানুষের বেশ ধরে সবার চোখকে ফাঁকি দিতে পারে, তাদের রয়েছে মানুষের মতো বুদ্ধিমত্তা এবং খুবই শক্তিশালী। তারা তাদের জাতিকে টিকিয়ে রাখার জন্য মানবজাতির বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে। তাদের মূলে রয়েছে স্কাইনেট নামের একটি প্রতিষ্ঠান। সাইবোর্গদের লক্ষ্য ব্যর্থ করার জন্য মানবজাতি গড়ে তোলে রেজিস্টেন্স ফাইটার নামের একটি সংগঠন। যাদের নেতা হচ্ছে জন কননোর। জন কননোরের হাতেই ধ্বংস হবে সাইবোর্গ জাতি। সাইবোর্গরা তা জানতে পেরে ভবিষ্যৎ থেকে দারুণ ক্ষমতাবান সাইবোর্গ আততায়ী পাঠাবে অতীতে। তাদের লক্ষ্য হচ্ছে অতীতে গিয়ে জন কননোরের মা সারাহ কননোরকে মেরে ফেলা যাতে জন কননোরের অস্তিত্ব না থাকে। বার বার তারা ব্যর্থ হতে থাকে, কারণ কননোর পরিবারকে বাঁচানোর জন্য ভবিষ্যৎ থেকে পাঠিয়ে দেয়া হয় আরেকজন সাইবোর্গ। টারমিনেটর ২ মুভিতে জনের বয়স যখন ১১ বছর তখনও তাকে মারার জন্য পাঠানো হয় সাইবোর্গ। টিভি সিরিয়ালে টারমিনেটরের কাহিনী বিশদভাবে তুলে ধরা হয়েছে। টারমিনেটর সিরিজের মূল কাহিনী বোঝার জন্য টিভি সিরিয়ালগুলোর কপি সংগ্রহ করে দেখতে পারেন।

কজ ওয়েব

ফিডব্যাক : shmt_21@yahoo.com
পত্রিকায় লেখাটির পাতাগুলো
লেখাটি পিডিএফ ফর্মেটে ডাউনলোড করুন
চলতি সংখ্যার হাইলাইটস