• ভাষা:
  • English
  • বাংলা
হোম > জেন’স জু
লেখক পরিচিতি
লেখকের নাম: সৈয়দ হাসান মাহমুদ
মোট লেখা:৫৪
লেখা সম্পর্কিত
পাবলিশ:
২০১০ - জানুয়ারী
তথ্যসূত্র:
কমপিউটার জগৎ
লেখার ধরণ:
গেম
তথ্যসূত্র:
গেমের জগৎ
ভাষা:
বাংলা
স্বত্ত্ব:
কমপিউটার জগৎ
জেন’স জু

এই মিনি গেমটিতে গেমারকে চিড়িয়াখানা পরিচালনা করতে হবে এবং সেই সাথে পশুপাখির দেখাশোনা করতে হবে। গেমের মূল চরিত্র হচ্ছে একজন ধনী ও প্রতিষ্ঠিত মেয়ে-যার নাম জেন। সে একাধারে ৬টি হোটেল ও রিয়েল এস্টেট বিল্ডিং এবং বেশ কিছু কাপড়ের দোকানের মালিক। সে একবার আফ্রিকায় বেড়াতে গিয়ে দেখে, সেখানকার বনজঙ্গল কেটে শিল্পকারখানা বানানো হয়েছে। যার ফলে বহু বন্য জীবজন্তুর আবাসভূমি মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, সেই সাথে পরিবেশ দূষণের মাত্রা বেড়ে যাওয়ায় বহু বন্যপ্রাণী অসুস্থ হয়ে যাচ্ছে এবং এলাকা ছেড়ে অন্যত্র চলে যাচ্ছে। এসব ব্যাপার জেনের মনে দাগ কাটে এবং পরিবেশ দূষণ থেকে প্রাণীদের বাঁচাতে ও তাদের দেখাশোনা করার জন্য প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হয়। তাই সে বিভিন্ন চিড়িয়াখানার মান উন্নয়ন ও আরো বেশি বেশি পশুপাখি সংরক্ষণ করার জন্য একটি চ্যারিটি ফান্ড গঠন করে। কিন্তু তাতে তেমন একটা লাভ হয় না, ফলে সে তার আঙ্কেলকে সাথে নিয়ে নিজেই ইউরোপে একটি ছোট চিড়িয়াখানা গড়ে তোলে। সেখানে বিভিন্ন বন্যপ্রাণীর বাচ্চা লালন-পালন করতে থাকে।



গেমারকে জেন ও তার আঙ্কেলকে নিয়ে এসব প্রাণীর দেখাশোনা করতে হবে। মূলত এটি একটি টাইম ম্যানেজমেন্ট ধাঁচের গেম, যেখানে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে বিভিন্ন কাজ করে একটি বেঁধে দেয়া পয়েন্ট অর্জন করতে হবে। গেমে চিড়িয়াখানায় বানর, হাতি, জেব্রা, জিরাফ, সিংহ, পেঙ্গুইন, অস্ট্রিচ, ময়ূর, সীল মাছ, পান্ডা, জলহস্তী ইত্যাদিসহ আরো অনেক জীবজন্তুর লালন-পালন করতে হবে। প্রতি মিশন বা স্টেজ শুরু হবে প্রতিদিন সকালে, তখন প্রথম কাজ হবে প্রাণীগুলোকে তাদের নিজ নিজ ঘর থেকে বাইরে বের করা, তারপর তাদের বিভিন্ন চাহিদা মোতাবেক কাজ করে দেয়া। যেমন-তাদের খাবার দেয়া, থাকার জায়গা নোংরা হলে তা পরিষ্কার করা, গোসল করানো, ঘর ভেঙ্গে গেলে মেরামত করে দেয়া, বৃষ্টি ও ঝড় আসলে তাড়াতাড়ি ঘরের ভেতরে নেয়া, মাঝে মাঝে কাক এসে পশুপাখিদের বিরক্ত করলে তাড়িয়ে দেয়া, জীবজন্তুর খেলাধুলার ব্যবস্থা করা, কোনো পশু অসুস্থ হয়ে গেলে পশু হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা করা ইত্যাদি কাজ করতে হবে। এখানে বলে রাখা ভালো, একেক প্রাণীর খাদ্যাভ্যাস ও আচার আচরণে বেশ ভিন্নতা লক্ষণীয়। কেননা, একেক প্রাণীর খাবারের মেনু আলাদা, যেমন- বানরের জন্য কলা, হাতির জন্য বাদাম ও ঘাস, সিংহের জন্য মাংস, পেঙ্গুইনের জন্য মাছ এবং এ ছাড়া যেসব প্রাণীর বাচ্চাকাল থেকে লালনপালন করতে হবে তাদের সবার জন্য বোতলে করে দুধ খাওয়ানোর ব্যবস্থাও রাখতে হবে। বানর বেশ চটপটে ও নিজের আঙ্গিনা সবচেয়ে দ্রুত অপরিষ্কার করে ফেলবে। এছাড়া বার বার খেতে চাইবে। হাতি একটু ধীর বুদ্ধিসম্পন্ন প্রাণী, তাই তার চাহিদা জানাতে বেশ সময় লাগাবে আর সিংহের তো কথাই নেই, তার কোনো কাজ করতে দেরি করলেই হলো, বনের রাজা বেজায় ক্ষেপে যাবে। তখন আগে তাকে আদর করে শান্ত করে তার কাজ করে দিতে হবে। তাই সিংহের চাহিদা মোতাবেক তার কাজগুলো আগে করাই ভালো। যখনই কোনো প্রাণীর কোনো কিছু দরকার হবে, তখনই সে প্রাণীর মাথার ওপর একটি ক্যাপশন আসবে এবং সেখানে সে যা চাচ্ছে তার ছবি দেয়া থাকবে। প্রতিটি চাহিদা পূরণের জন্য নির্দিষ্ট কিছু সময় দেয়া থাকবে এবং সেই সময়ের আগে কাজটি করতে পারলে পয়েন্ট পাওয়া যাবে এবং খুব দ্রুত সে কাজ করতে পারলে আলাদা বোনাস পয়েন্ট পাওয়া যাবে।

এছাড়া বেশ কিছু মিশন পর পর পাজল গেম খেলতে দেয়া হবে, যেখানে একটি স্থানের ছবি দেয়া থাকবে এবং সেখান থেকে পরিবেশের ক্ষতি করে এরকম ১৫টি জিনিস খুঁজে বের করতে হবে। গেম খেলে যে টাকা ও পয়েন্ট পাওয়া যাবে তা দিয়ে চিড়িয়াখানার সৌন্দর্যবর্ধন করতে হবে। এভাবে খেলতে খেলতে বিশ্বের সব মহাদেশে জেনের চিড়িয়াখানার একটি করে শাখা তৈরি হবে। গেমটি ইনস্টল করার পর মাত্র ৮০ মেগাবাইট জায়গা দখল করবে ও গেমটি খেলার জন্য পেন্টিয়াম টু মানের পিসি ও ১২৮ মেগাবাইট র্যাশমের প্রয়োজন পড়বে।

কজ ওয়েব

ফিডব্যাক : shmt_15@yahoo.com
পত্রিকায় লেখাটির পাতাগুলো
লেখাটি পিডিএফ ফর্মেটে ডাউনলোড করুন
লেখাটির সহায়ক ভিডিও
চলতি সংখ্যার হাইলাইটস