• ভাষা:
  • English
  • বাংলা
হোম > কিউ ক্লাব
লেখক পরিচিতি
লেখকের নাম: অনিমেষ ‍আহমেদ
মোট লেখা:১৬
লেখা সম্পর্কিত
পাবলিশ:
২০১০ - জানুয়ারী
তথ্যসূত্র:
কমপিউটার জগৎ
লেখার ধরণ:
গেম
তথ্যসূত্র:
গেমের জগৎ
ভাষা:
বাংলা
স্বত্ত্ব:
কমপিউটার জগৎ
কিউ ক্লাব
ইদানীং বাংলাদেশে পুল খেলার প্রবণতা বেশ ভালোই গড়ে উঠছে। অনেক জায়গাতেই এখন


পুল ক্যাফে বা পুল পার্লার দেখা যাচ্ছে। যুবাদের পাশাপাশি ছেলে-বুড়ো অনেকেই এই খেলার দিকে ঝুঁকে পড়ছেন। অনেক ক্ষেত্রে গ্রুপ করেও খেলতে দেখা যায়। যারা ঘরে বসেই এই খেলা খেলতে চান তাদের জন্যও উপায় আছে।

পুল খেলতে যাদের ভালো লাগে তাদের পুল ক্যাফেতে না গেলেও চলবে এখন থেকে। ঘরে কমপিউটারে বসেই এই খেলা শুধু উপভোগই করা যাবে না চাইলে খেলাও যাবে। টেবিল বোর্ডে কিউ দিয়ে অনেক বলের মধ্যে আগে থেকেই খেলার নিয়মানুযায়ী নির্ধারিত স্ট্রাইকিং বল দিয়ে সজোরে আঘাত করতে হবে। তবে কত পয়েন্ট পাবেন তা নির্ভর করছে কি ধরনের বা কোন দেশের নিয়মানুযায়ী খেলছেন তার উপরে। পুল খেলা সম্পর্কে আপনার উত্তর যদি হ্যাঁ হয়, তাহলে সবার জন্য আদর্শ গেম হচ্ছে কিউ ক্লাব।



পুল খেলা নিয়ে অনেক ধরনের গল্প প্রচলিত আছে। পুল খেলাকে অনেকে আভিজাত্যের প্রতীক বলে মনে করেন। পুল খেলার অনেক ধরন আছে। দেশ এবং স্থানভেদে এই খেলার অনেক ধরন আছে। কোথাও এর নাম স্নুকার, কোথাও নাইন বল, আবার কোথাও বিলিয়ার্ড ইত্যাদি। তবে নানা ধরনের পুল খেলার মধ্যে স্নুকার খুব জনপ্রিয় বলে অনেকেই একে স্নুকার গেম বলে থাকেন। কিন্তু গেমটির আসল নাম হচ্ছে পুল বা কিউ স্পোর্ট।

তবে একে কমপিউটার গেম হিসেবে ভুল ভাববেন না। এটি খাঁটি স্পোর্টস গেম। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে পুল গেম নিয়ে প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। সেখানে খেলোয়াড়দের উপযুক্ত সম্মানীর ব্যবস্থাও থাকে। ইদানীং আমাদের দেশেও ব্যক্তিগত পর্যায়ে পুল গেমের টুর্নামেন্টের আয়োজন করা হচ্ছে। তবে যারা সরাসরি পুল গেম খেলতে পারেন না তাদের জন্য আছে এই কমপিউটার গেম কিউ ক্লাব।

এবারে আসা যাক এই গেমের নানান ফিচারে। অনেক ধরনের ফিচারে পরিপূর্ণ এই গেমের নির্মাতা হচ্ছে মাইডাস ইন্টারঅ্যাকটিভ। মাইডাস ইন্টারঅ্যাকটিভ শুধু গেম তৈরিই করে না, পাশাপাশি গেম পাবলিশিংয়ের কাজও করে। তবে এরা স্পোর্টস গেম নির্মাতা হিসেবেই সুপরিচিত। এরা সাধারণত থ্রিডি গেম নির্মাতা প্রতিষ্ঠান হিসেবে সুপরিচিত। এদের অন্যান্য গেমের মতোই এই গেমে চোখ ধাঁধানো আলোর ব্যবহার করা হয়েছে। শক্তিশালী আলোর বিপরীতে যাদের সমস্যা হয় তাদের এই গেম না খেলাই ভালো হবে।

এই গেমের সবচেয়ে আকর্ষণীয় বিষয় হচ্ছে এর চ্যাটিং। এখানে কিউ স্পোর্টসের অনেক ক্লাব আছে। এই ক্লাবগুলোর মধ্যে নানারকমের র্যা ঙ্কিং আছে। একজন নবীন গেমার চাইলেই র্যাসঙ্কিংয়ের উপরে থাকা কোনো ক্লাবে গিয়ে খেলতে পারবেন না। প্রতিটি ক্লাব ম্যানেজ করে থাকে একেকজন ক্লাব ম্যানেজার। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এসব ক্লাব ম্যানেজারের মন যুগিয়ে চলতে হয়।

প্রথমে ক্লাবের মেম্বারদের সাথে খেলে খেলে নিজের রেটিং বাড়িয়ে নিতে হয়। এই রেটিং মাপা হয় কার কতটা স্টার আছে তার উপরে ভিত্তি করে। সর্বোচ্চ রেটিং হচ্ছে ৫ স্টার। সর্বোচ্চ রেটিং না হলে কেউ ক্লাব ম্যানেজারের সাথে খেলতে পারবেন না। আর ক্লাব ম্যানেজারের সাথে চ্যাট করে তার সাথে খেলে তাকে হারিয়ে দেবার পরেই পরের ক্লাবের জন্য প্রমোশন নিতে হবে। আর টুর্নামেন্ট খেলে শিরোপা জমানোরও ব্যবস্থা আছে। সবকিছু মিলিয়ে এই গেম কিউ স্পোর্টসের বাস্তবতা ফুটিয়ে তুলেছে চমৎকারভাবে।

পুরনো গেমগুলোর সুবিধা হচ্ছে যেকোনো সিস্টেমে এসব গেম চালানো যায়। এই গেমটিও এমন। এর রিকোয়ারমেন্টস খুবই কম। পেন্টিয়াম বা সমমানের সিস্টেমেও এই গেম চমৎকার চলবে।

যা যা প্রয়োজন :

প্রসেসর : পেন্টিয়াম বা তদুর্ধ, এএমডি কে ৬ বা তদুর্ধ। গ্রাফিক্স কার্ড : ১৬ মেগাবাইট বা তদুর্ধ। র্যা ম : ১৬ মেগাবাইট বা তার বেশি।
কজ ওয়েব

ফিডব্যাক : onimeshcse@yahoo.com
পত্রিকায় লেখাটির পাতাগুলো
লেখাটি পিডিএফ ফর্মেটে ডাউনলোড করুন
লেখাটির সহায়ক ভিডিও
পাঠকের মন্তব্য
১৯ এপ্রিল ২০১০, ১:০৪ PM
চলতি সংখ্যার হাইলাইটস