• ভাষা:
  • English
  • বাংলা
হোম > আলোচিত বিশটি গেমস
লেখক পরিচিতি
লেখকের নাম: সৈয়দ হাসান মাহমুদ
মোট লেখা:১৪৪
লেখকের নাম: সৈয়দ হাসান মাহমুদ
মোট লেখা:৫৪
লেখা সম্পর্কিত
পাবলিশ:
২০১০ - ফেব্রুয়ারী
তথ্যসূত্র:
কমপিউটার জগৎ
লেখার ধরণ:
গেম
তথ্যসূত্র:
গেমের জগৎ
ভাষা:
বাংলা
স্বত্ত্ব:
কমপিউটার জগৎ
আলোচিত বিশটি গেমস

কেটে গেল একটি বছর। বহমান এ সময়স্রোতের সাথে তাল মিলিয়ে গেমিং দুনিয়ার তালিকায় স্থান করে নিয়েছে অসংখ্য গেম। তার সবগুলোর খবর ক’জনেরই বা জানা। জানা-অজানা এ গেমের ভিড়ে ২০০৯ সালে গেমিং জগৎকে দাপিয়ে বেড়ানো আলোচিত ২০ গেম নিয়ে আলোচনা করেছেন সৈয়দ হাসান মাহমুদ ও সৈয়দ হোসেন মাহমুদ।

ডেভেলপার- Rocksteady Studios
পাবলিশার- Eidos Interactive
ক্যাটাগরি- থার্ড পারসন অ্যাকশন



গেমের কাহিনী গড়ে উঠেছে ডিসি কমিকসের অন্যতম চরিত্র ব্যাটম্যান ও তার প্রধান শত্রু জোকারকে নিয়ে। আরকাম অ্যাসাইলাম হচ্ছে গোথাম সিটির এক দুর্গম দবীপে অবস্থিত দুর্ভেদ্য কারাগার। এ কারাগারে শহরের নামকরা সন্ত্রাসীদের কারাভোগের পাশাপাশি তাদের মানসিক চিকিৎসার ব্যবস্থা রয়েছে। গেমের শুরুতে ব্যাটম্যান জোকারকে ধরে এনে বন্দী করবে আরকামে কিন্তু সেটাই হবে তার ভুল। হারলে কুইনের সাহায্যে জোকার পুরো আরকাম অ্যাসাইলামের নিয়ন্ত্রণের ক্ষমতা নিজের হাতে নিয়ে নেবে এবং মুক্ত করে দেবে অপরাধীদের। অ্যাসাইলামে টাইটান নামের এক কেমিক্যালের ওপরে গবেষণা হচ্ছিল যা বেন নামের এক অপরাধী তার শারীরিক আকৃতি ও শক্তি বাড়ানোর জন্য ব্যবহার করতো। জোকার সে কেমিক্যালের সাহায্যে বেনের মতো আরো কিছু দানব ও পয়জন আইভির গাছের চারাকে রাক্ষুসে গাছ বানানোর পরিকল্পনা এবং পুরো দবীপ কব্জা করার চিন্তা করে। ব্যাটম্যান হিসেবে গেমারের কাজ হচ্ছে অসাধারণ কলাকৌশল, শারীরিক দক্ষতা, তীক্ষ্ণ বুদ্ধিমত্তা ও উন্নত টেকনোলজি ব্যবহার করে জোকারের পরিকল্পনা ভেস্তে দেয়া। গেমে অন্য চরিত্রগুলোর মাঝে রয়েছে- ওরাকল, কমিশনার গর্ডন, পয়জন আইভি, বেন, জিসাজ, স্ক্যায়ারক্রো, রিডলার, ক্লেফেসসহ আরো অনেকে।

ডেভেলপার- Gearbox Software
পাবলিশার- 2K Games
ক্যাটাগরি- ফাস্ট পারসন শূটিং



প্যানডোরা নামের এক গ্রহকে ঘিরে জন্ম নিয়েছে এ গেমের কাহিনী। প্যানডোরায় প্রাপ্ত মূল্যবান খনিজ পদার্থের লোভে অন্যান্য গ্রহ থেকে ছুটে আসে গুপ্তধন শিকারিরা। পুরো গ্রহ তছনছ করে তারা সব কিছু নিয়ে যায়, কিন্তু কয়েকটি দল ফিরে যেতে পারে না। তারা এ গ্রহেই বাস করে এবং অন্য কেউ গ্রহে আসলে তাদের মেরে ফেলে। গুজব রয়েছে গ্রহে রয়েছে এক বিশাল সিন্দুক যাতে রয়েছে মহামূল্যবান গুপ্তধন এবং তা ২০০ বছর পর পর খুলে যায়। সেই সিন্দুকের খোঁজে অনেকেই আসবে এ গ্রহে, তার মধ্যে একজন হচ্ছে গেমার নিজে। গেমারকে গার্ডিয়ান অ্যাঞ্জেল পথ দেখাবে সিন্দুকের অবস্থান বের করার জন্য এবং সিন্দুকের তিনটি চাবি খুঁজে বের করার উপায় বলে দেবে। অন্যান্য প্রতিপক্ষ ও গ্রহের সন্ত্রাসীদের হাত থেকে বেঁচে গেমারকে তার লক্ষ্যে পৌঁছাতে হবে। কিন্তু সে ষড়যন্ত্রের শিকার হবে, তার আগেই আরেকজন সেই সিন্দুকের তালা খুলে দেবে। গুপ্তধনের পরিবর্তনে সেখান থেকে বেরিয়ে আসবে বিশালাকৃতির এক দানব। গেমারের শেষ কাজ হবে সেই দানবকে পরাজিত করে তাকে আবার সিন্দুকে বন্দী করা। গেমে অস্ত্র ও গোলাবারুদের বৈচিত্র্য ও প্রার্চুয অবাক করার মতো। গ্রহের বাসিন্দাদের মধ্যেও আনা হয়েছে বিশাল বৈচিত্র্য। পুরো গ্রহের ছায়াপট টানা হয়েছে অসাধারণ উদ্ভাবনী চিন্তাশক্তি থেকে।

ডেভেলপার- Infinity Ward
পাবলিশার- Activision
ক্যাটাগরি- ফাস্ট পারসন শূটিং



মডার্ন ওয়ারফেয়ার ২ বা কল অব ডিউটি ৬ বা শুধু সিওডি ৬ নামে পরিচিত এ গেমটি নামকরা গেম সিরিজ কল অব ডিউটির নতুন সংযোজন। এ সিরিজের ৪র্থ পর্ব মডার্ন ওয়ারফেয়ারের কাহিনীর ধারাবাহিকতায় বের করা হয়েছে এ গেমটি। প্রথম গেমের পাঁচ বছর পরের পটভূমিতে গড়ে উঠেছে এ গেমের কাহিনী। গেমটি সিঙ্গেল ও মাল্টিপ্লেয়ার উভয় মোডেই খেলা যায়। সিঙ্গেল প্লেয়ার মোডে খেলার সময় পাঁচটি চরিত্র নিয়ে খেলা যাবে। ক্যাম্পেইন মোডে দুটি ভাগে ভাগ রয়েছে। প্রথম ভাগে গেমারকে খেলতে হবে টাস্ক ফোর্স ১৪১ নামের একটি মাল্টিন্যাশনাল কাউন্টার-টেররিস্ট গ্রুপের সদস্য হিসেবে, যাদের লক্ষ্য হচ্ছে ভ্লাদিমির মাকারোভ নামের এক সমরনায়ককে হত্যা করা। দিবতীয় ভাগে গেমারকে ইউনাইটেড স্টেটস আর্মি রেঞ্জারের ভূমিকায় রাশিয়ার হাত থেকে আমেরিকাকে সুরক্ষা প্রদানের কাজ করতে হবে। এ ছাড়াও আফগানিস্তান, রিও ডি জেনিরো, সাইবেরিয়া ও ওয়াশিংটন ডিসিতেও মিশন খেলতে হবে। গেমের খেলার ধরন আগের সিরিজগুলোর মতোই, তবে পার্থক্য আনা হয়েছে গেমের গ্রাফিক্সের কারুকাজ ও শব্দশৈলীতে। গত বছরের সেরা গেমগুলোর মাঝে এটি অন্যতম।

ডেভেলপার- Relic Entertainment
পাবলিশার- THQ
ক্যাটাগরি- রিয়েল টাইম স্ট্র্যাটেজি



আধুনিক যুদ্ধবিদ্যার ওপরে বানানো স্ট্র্যাটেজি গেমের সংখ্যা খুব একটা বেশি নয়। তবে যে কয়েকটি গেম বের হয়েছে তার মধ্যে এটি অন্যতম। ফাইটার প্লেন, ট্যাঙ্ক, মিলিটারি বাহিনী নিয়ে গেম খেলার সুযোগ করে দেবার জন্য কোম্পানি অব হিরোস গেম সিরিজটি বেশ জনপ্রিয়। এ সিরিজের নতুন সংযোজন হচ্ছে টেলস অব ভেলোর। এতে যোগ করা হয়েছে নতুন কিছু ইউনিট, ম্যাপ, মাল্টিপ্লেয়ার মোড ইত্যাদি। এ গেমের তিনটি আলাদা প্লট বা এপিসোড রয়েছে। এগুলো হচ্ছে- টাইগার এস, কসওয়ে ও ফ্যালাইসে পকেট।। গেমে তিন ধরনের মোড রয়েছে। প্রথমটি হচ্ছে অ্যাসাউল্ট, যা ওয়ারক্রাফট ৩ বা ডিফেন্স অব দ্য অ্যান্সিয়েন্টস গেমের মতো মাল্টিপ্লেয়ার মোডের খেলা। গেমের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে শত্রুপক্ষের ঘাঁটি সমূলে উৎপাটন করা। দিবতীয় মোডটি হচ্ছে স্টোনওয়াল, এতে ছোট একটি শহর দেয়া হবে, যা রক্ষা করতে হবে বিপরীত বাহিনীর আক্রমণ থেকে। ট্যাঙ্ক, পদাতিক বাহিনী ইত্যাদির সমন্বয়ে প্রায় ১৬টি আক্রমণ ঠেকাতে হবে। শেষ মোডটি হচ্ছে প্যানজার্করিজ। এটি অনেকটা অ্যাসাউল্ট মোডের মতোই, তবে পার্থক্য হচ্ছে হিরোর পরিবর্তে এখানে দেয়া হবে ট্যাঙ্ক। গেমে অনেক ধরনের ট্যাঙ্কের উপস্থিতি গেমটির মূল আকর্ষণ।

ডেভেলপার- Relic Entertainment
পাবলিশার- THQ
ক্যাটাগরি- রিয়েল টাইম স্ট্র্যাটেজি



রেসিং গেমগুলোর মাঝে এ সিরিজের গেম রেসিং গেমভক্তদের দারুণ পছন্দের। গেমটিতে গেমারকে চারটি মহাদেশ ভ্রমণ করতে হবে। গেমটির রেসগুলোর মধ্যে রয়েছে- রালি, রালিক্রস, ট্রেইলব্লাজার, ল্যান্ডরাস ও রেইড। পাঁচ ধরনের গেমের পাশাপাশি এতে যুক্ত করা হয়েছে আরো তিন ধরনের রেস। এগুলো হচ্ছে- গেটক্রাশার, ডোমিনেশন ও লাস্টম্যান স্ট্যান্ডিং। কিছু রেস খেলার সময় গাড়ি চালাতে হবে কাঁচাপাকা রাস্তায়। রাস্তা কিছু কিছু জায়গায় অনেক সরু, তাতে সাবধানতার সাথে গাড়ি না চালালে খাদে পড়তে হবে। মজার ব্যাপার হচ্ছে রেসারের পাশের সিটে বসা থাকবে কো-ড্রাইভার, যার কাজ হচ্ছে পেসনোট দেখে রাস্তার বর্ণনা দেয়া। তার বলা পথ ও দিক অনুযায়ী ড্রাইভারকে গাড়ি চালাতে হবে। এতে ব্যবহার করা হয়েছে ইগো ইঞ্জিনের আরো উন্নত রূপ, যা মাল্টিকোরের প্রসেসরের জন্য বেশ ভালো কাজ করতে সক্ষম এবং সেই সাথে গেমে গাড়ি টিউন করার সময় বেশ কার্যকর ফল ও বাস্তবসম্মত পরিবেশ পাওয়া সম্ভব হয়েছে। এ ইঞ্জিন রেস ড্রাইভার গ্রিড বানানোর কাজেও ব্যবহার করা হয়েছিল। গ্রিডে দেয়া হয়েছিল ফ্ল্যাশব্যাক নামের বিশেষ এক সুবিধা, যা দিয়ে গেমকে খেলার মাঝখানে রিওয়াইন্ড করা যেতো এবং এ অপশনটির ফলে গেমারদের ব্যাপক সাড়া পাওয়া গিয়েছিল। তাই সে ব্যাপারটিও ডার্ট ২-তে রাখা হয়েছে।

ডেভেলপার- Bethesda Game Studios
পাবলিশার- Bethesda Softworks
ক্যাটাগরি- রোল প্লেয়িং শূটিং



ফলআউট গেম সিরিজের তৃতীয় পর্ব হিসেবে মুক্তি পেয়েছে নতুন এ গেমটি। গেমটিতে অ্যাকশন, অ্যাডভেঞ্চার এবং পাশাপাশি রয়েছে শূটিং গেমের মজা। গেমের পটভূমি হচ্ছে ২২৭৭ সাল, যা ফলআউট ২ গেমের কাহিনীর ৩৬ বছর পরের ঘটনা। ইউনাইটেড স্টেটস ও জাপানের মাঝে নিউক্লিয়ার যুদ্ধের ২০০ বছর পরের সময়ে গেমারকে নিয়ে খেলা শুরু করতে হবে। নিউক্লিয়ার ফলআউটের কবল থেকে বাঁচার জন্য সবাই মাটির নিচে সুরক্ষিত বিশাল আকৃতির ভল্টে স্থান নেয়। গেমের প্রধান চরিত্র হচ্ছে ১০১ নাম্বার ভল্টের বাসিন্দা। তারা কেউ ভল্টের বাইরে যায় না। কিন্তু তার বাবা হঠাৎ করেই নিরুদ্দেশ হয়ে যায় এবং সে জানতে পারে তার বাবা ভল্টের বাইরে চলে গেছেন। তাই বাবার খোঁজে সেও বেরিয়ে পড়বে অজানার উদ্দেশ্যে। বাবার পেছনে ছুটতে ছুটতে সে এসে পৌঁছবে ওয়াশিংটন ডিসির ধ্বংসাবশেষে। পথিমধ্যে তাকে মুখোমুখি হতে হবে নানারকমের বিপদের এবং মোকাবেলা করতে হবে অদ্ভুত সব জীবজন্তুর, যারা নিউক্লিয়ার ফলআউটের প্রভাবে বিকৃতরূপ ধারণ করেছে। সব বাধা পেরিয়ে তাকে হাসিল করতে হবে তার লক্ষ্য। ফাস্ট পারসন শূটিং গেমের সাথে সাথে ভয়ানক পরিবেশ বানানোর মধ্য দিয়ে গেমটি শূটিং ও হরর গেমের দারুণ এক মিশ্রণ হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। নতুন ধারার গেমপ্লে, রোমাঞ্চকর ও ব্যতিক্রমধর্মী কাহিনী গেমটিকে এনে দিয়েছে সাফল্য।

ডেভেলপার- Slightly Mad Studio
পাবলিশার- Electronic Arts
ক্যাটাগরি- সিমুলেশন রেসিং গেম



নিড ফর স্পিড সিরিজে শিফট-এর সংযোজন ইলেক্ট্রনিক আর্টসের জন্য বিশাল এক সাফল্য বয়ে এনেছে। গেমের গ্রাফিক্সে বাস্তবতার ছোঁয়া, নানারকমের গাড়ির সমাহার, গেমপ্লে, মেনুর ডিজাইন, নতুন কিছু রেসিং স্টাইল-সবকিছু মিলিয়ে গেমটি আগের তুলনায় বেশ ভালোমানের ও অন্যান্য রেসিং গেমকে টেক্কা দেবার মতো করে বানানো হয়েছে। টিউন করে গাড়ির পারফরমেন্স বাড়ানোর জন্য অ্যালাইনমেন্ট, অ্যারোডায়নামিক্স, টায়ার, ব্রেক, ডিফারেনশিয়াল, গিয়ার, নাইট্রাস ইত্যাদির পরিবর্তন করা যাবে। গাড়ির তালিকায় রয়েছে পুরো ৭২টি গাড়ি, যার মধ্যে রয়েছে- বুগাত্তি ভেয়রন, মার্সিডিস বেঞ্জ এলএসআর ম্যাকলারেন, কোয়েনিগসেগ সিসিএক্স, পাগানি জোন্ডা, করভেট জেড০৬, ফোর্ড জিটি, হোন্ডা এস২০০০, মাজডা আরএক্স-৭, নিশান স্কাইলাইন জিটি-৩৪ আর, টয়োটা এই৮৬, বিএমডব্লিউ এম৩ জিটি২ ইত্যাদি। সত্যিকারের ট্র্যাকের আদলে ও কিছু কাল্পনিক ট্র্যাকের সমন্বয়ে প্রায় ১৮টির মতো বাস্তবসম্মত রেসিং ট্র্যাক দেয়া হয়েছে। রেস খেলার সময় ড্রিফটিং, ড্রাফটিং, ল্যাপে অন্যদের চেয়ে এগিয়ে থাকা, অন্য প্রতিযোগীকে ধাক্কা দিয়ে ট্র্যাক থেকে বের করে দেয়া, ওভারটেকিংয়ের সময় প্রতিপক্ষকে ঠেলে সরিয়ে দেয়া, স্লাইডিং না করে গতি কমিয়ে সুন্দরভাবে বাঁক নেয়া ইত্যাদির বিনিময়ে পয়েন্ট পাওয়া যাবে। নির্দিষ্টসংখ্যক পয়েন্ট অর্জন করার পর পাওয়া যাবে স্টার, যা আপনাকে পরের টিয়ার লেভেল ও রেসিং ইভেন্ট আনলক করতে সহায়তা করবে।

ডেভেলপার- Radical Entertainment
পাবলিশার- Activation
ক্যাটাগরি- অ্যাকশন/হরর



গেমের প্রেক্ষাপট রচিত হয়েছে নিউইয়র্কের হাডসন নদীর তীরবর্তী ম্যানহাটান শহরকে কেন্দ্র করে। পুরো শহর এক অদভুত ভাইরাসের কবলে পড়ে বিনষ্ট হতে থাকবে। এ ভাইরাসে আক্রান্ত লোকজন পিশাচে পরিণত হবে। গেমারকে খেলতে হবে অ্যালেক্স মারসারের চরিত্রে। গেমের শুরুতে অ্যালেক্স নিজেকে আবিষ্কার করবে জেনটেক নামের এক জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানির মর্গে। সে কিছুই মনে করতে পারবে না, সে কে এবং কিভাবে এখানে এলো? সেখান থেকে পালিয়ে সে নিজের পরিচয় খোঁজার চেষ্টা করতে থাকবে। এরপর সে ধীরে ধীরে নিজের স্বাভাবিক ক্ষমতাগুলো আবিষ্কার করবে এবং সেগুলো তার পরিচয় খোঁজার কাজে লাগাবে। অ্যালেক্স দারুণ শারীরিক শক্তির অধিকারী, তার রূপ বদলানোর ক্ষমতা রয়েছে, নিজের জীবনীশক্তি ফিরিয়ে আনার ক্ষমতা আছে ও লাফিয়ে বিশাল দূরত্ব অনায়াসে পার করা তার কাছে কিছুই নয়। বিল্ডিং বেয়ে দৌড়ে ওঠা, আকাশে বাজপাখির মতো ভেসে বেড়ানো, দ্রুতগতিতে দৌড়ানো, ভারি বস্তু তোলা ও তা অনেক দূরে ছুড়ে ফেলা, সব কিছুই তার আয়ত্তে। মারামারি করার জন্য তার রয়েছে কিছু অসাধারণ কৌশল। গেমারকে এসব পিশাচের বিরুদ্ধে লড়াই করতে হবে ও তার এ অবস্থার জন্য দায়ী ব্যক্তির খোঁজ করতে হবে। এ ধাঁচের আরো কয়েকটি গেমের মধ্যে রয়েছে- এসাসিন’স ক্রিড, জিটিএ ইত্যাদি গেম। এসব গেমের সাথে খেলার ধাঁচ কিছুটা মিল থাকলেও এ গেমের কাহিনী ও খেলার ধরন অনেক আলাদা, যা দেবে নতুন এক রোমাঞ্চ।

ডেভেলপার- Rockstar Toronto
পাবলিশার- Rockstar Games
ক্যাটাগরি- অ্যাকশন/অ্যাডভেঞ্চার



গ্রান্ড থেফট অটো ৪ গেমের প্রধান চরিত্র হচ্ছে নিকো বেল্লিক। সে তার ভাগ্যের অমেবষণে সুদূর ইউরোপ থেকে আমেরিকার লিবার্টি সিটি নামের এক শহরে আসে। নিকো তার ভাই রোমানের কাছে শুনেছিলো যে লিবার্টি সিটি স্বপ্নের শহর। এখানে যে আসে সে আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ হয়ে যায়। এখানে টাকা কামানো খুবই সহজ, আকাশে বাতাসে উড়ে বেড়ায় টাকা। রোমানের গালগল্প শুনে নিকো লোভে পড়ে যায় এবং নিজ দেশ ছেড়ে টাকা কামিয়ে বড়লোক হবার আশায় আমেরিকায় ছুটে আসে। কিন্তু সেখানে এসে দেখে সবই মিছে। তার ভাই তাকে মিথ্যা কথা বলে এখানে আনিয়েছে নিজের কাজে সাহায্য করার জন্য। ঘটনাচক্রে দু’ভাই জড়িয়ে পড়বে আন্ডারওয়ার্ল্ডের মাফিয়াদের সাথে এবং ধীরে ধীরে গেমের কাহিনী এগিয়ে চলবে নানান উত্থানপতনের মাধ্যমে। গেমটি খেলার ধরন এ সিরিজের অন্যান্য গেমের মতোই। গেমার নিকোকে শহরে ঘোরাঘুরি, মারামারি, শপিং করাসহ আরো অন্য অনেক কাজ করাতে পারবে। গেমে বিভিন্ন আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করার পাশাপাশি খালি হাতেও মারামারি করা যাবে। রাস্তায় চলন্ত বা থেমে থাকা মোটরসাইকেল, ট্রাক, ভ্যানগাড়ি, অ্যাম্বুলেন্স, কার, জীপ, বোট এমনকি হেলিকপ্টারও হাইজ্যাক করা যাবে। গেমটি অবমুক্ত হবার প্রথম দিনেই প্রায় ৩.৬ মিলিয়ন কপি বিক্রি হয়েছে, যা এ সিরিজের আগের গেমগুলোর বিক্রির রেকর্ড ভেঙ্গে দিয়েছে।

ডেভেলপার- Capcom
পাবলিশার- Dimps/Capcom
ক্যাটাগরি- ওয়ান টু ওয়ান ফাইটিং



পুরনো দিবমাত্রিক ধারা থেকে বের হয়ে এ গেমটিকে চোখ ধাঁধানো ত্রিমাত্রিক গ্রাফিক্সের বাহারে সাজিয়ে আনা হয়েছে। দ্বৈত দ্বন্দ্বযুদ্ধের গেমগুলোর মাঝে এ সিরিজের গেম খুবই নামকরা। কনসোল ও আর্কেডে এ গেমের প্রচলন বেশি তবে পিসিতেও তা কম জনপ্রিয় নয়। গেমের কাহিনীতে সেথ নামের এক অজ্ঞাত ব্যক্তি মারামারির প্রতিযোগিতার আয়োজন করে এবং পৃথিবীর আনাচেকানাচে লুকিয়ে থাকা বিখ্যাত সব যোদ্ধাকে আমন্ত্রণ করে। একে একে সব যোদ্ধা এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে ঠিকই কিন্তু তারা কি ভয়ঙ্কর এক জালে জড়িয়ে পড়ছে তা জানে না। গেমের চরিত্রগুলো হচ্ছে- রিয়ু, কেন, চান লি, ই. হোন্ডা, ব্লাঙ্কা, জানগিফ, ডালসিম, বালরগ, সাগাত, ভেগা, গোয়েল, মি, বাইসন। এতে রয়েছে নতুন চারটি চরিত্র, তারা হচ্ছে- আবেল, ক্রিমসন ভাইপার, রুফুস ও এল ফুয়েরতে। গেমে বস চরিত্রে রাখা হয়েছে- সেথ, আকুমা ও গোওকেন এ তিনজনকে। গেমের আরো কয়েকটি চরিত্রের মাঝে রয়েছে ড্যান, ফেইলং, সাকুরা, ক্যামি, গেন ও রোজ। এতে আর্কেড, ভারসেস, চ্যালেঞ্জ ও ট্রেনিং মোডে খেলার পাশাপাশি অনলাইনে গেম খেলার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। গেমে সুপার কম্বোর পাশাপাশি আলট্রা কম্বোর ব্যবহার বেশ কার্যকর। কম্বো মারার সময় কিছু ক্ষেত্রে গেমের স্টেজকে ত্রিমাত্রিকভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে এবং সেই সাথে রয়েছে অসাধারণ আলোকসজ্জা। গেমের গ্রাফিক্সের সাথে শব্দশৈলী দারুণ মানানসই।

ডেভেলপার- Capcom
পাবলিশার- Capcom
ক্যাটাগরি- থার্ড পারসন শূটিং



গেমের কাহিনীর পটভূমি হচ্ছে আফ্রিকা। প্রথমেই দেখা যাবে গেমের নায়ক ক্রিস রেডফিল্ড আফ্রিকার কিজুজু প্রদেশে পৌঁছেছে এবং সেখানে সে মিলিত হয় শীভা অ্যালোমারের সাথে, তারপর দু’জনের ওপর একটি মিশনে যাওয়ার ভার পড়ে। মিশনটি হচ্ছে আফ্রিকার ব্লাক মার্কেট বা কালোবাজারে নতুন উদ্ভাবিত একধরনের বায়ো-অরগানিক অস্ত্র বিক্রি প্রতিরোধ করা এবং এ কাজে তাদের সহায়তা করার জন্য বেশকিছু ডেল্টা ফোর্সের সদস্যও নিয়োগ করা হয়। কিন্তু ক্রিস ও শীভা ডেল্টা ফোর্সের সদস্যদের সাথে মিলিত হবার জন্য শহরে গিয়ে দেখতে পায় এক ধরনের ছোট পরজীবী পোকায় আক্রান্ত হয়ে শহরের সব লোক অস্বাভাবিক আচরণ করছে। পোকাটি মানুষের দেহে বাস করে তাদেরকে নিজের অধীনে নিয়ে নিয়েছে। আক্রান্ত মানুষ অন্যান্য সুস্থ মানুষকে আক্রমণ করে তাদের মেরে ফেলার চেষ্টা করছে বা নিজেদের দলে শামিল করার চেষ্টা করছে। বেশিরভাগ ডেল্টা ফোর্সের সৈন্য তাদের হাতে প্রাণ হারিয়েছে। গেমে বিভিন্ন আলাদা মিশন থাকলেও মূল লক্ষ্য হচ্ছে আক্রান্ত মানুষদের মেরে ফেলা এবং সেই সাথে নিজেদের তাদের হাত থেকে সুরক্ষিত রাখা। গেমারকে ক্রিস বা শীভা যেকোনো একজনকে নিয়ে খেলতে হবে এবং অন্যজন স্বয়ংক্রিয়ভাবে খেলবে। গেমটি গ্রাফিক্স ও কাহিনীর দিক দিয়ে খুবই চমকপ্রদ হলেও গেম-প্লে একটু ঝামেলার।

ডেভেলপার- EA Black Box
পাবলিশার- EA Play
ক্যাটাগরি- লাইফ ও সোসাল সিমুলেশন



স্ট্র্যাটেজিক লাইফ সিমুলেশন গেমওয়ার্ল্ডগুলোর মধ্যে অন্যতম জনপ্রিয় একটি গেম হচ্ছে দ্য সিমস। এই ধরনের গেমের সূচনা করেছিলেন গেম ডিজাইনার উইল রাইট। এই সিরিজের অসাধারণ জনপ্রিয়তার জন্য এর মূল গেমের পরে অনেক এক্সপানশন প্যাক বের হয়েছে। এছাড়া দ্য সিমস ২-এর প্রায় আটটি এক্সপানশন প্যাক বের হয়েছে। দ্য সিমস ৩ এই সিরিজেরই নতুন ও আরো উন্নত গেম। গেমে সিমস বলতে গেমের প্রতিটি ভার্চুয়াল ক্যারেকটারকে বুঝায়। গেমে মানবজীবনের দৈনন্দিন কার্যকলাপ, কথোপকথন, ইচ্ছা-অনুভূতি, সুখ-দুঃখ, পারস্পরিক সম্পর্ক, ঘরোয়া জীবন, অফিশিয়াল জীবন, খাদ্যাভ্যাস ইত্যাদি তুলে ধরা হয় একদল ভার্চুয়াল মানব-মানবী বা সিমসদের দিয়ে। গেমার এই সিমসদের জগৎকে নিয়ন্ত্রণ করবে এবং সিমসদের বিভিন্ন কাজের আদেশ দেবে তাদের আরাম-আয়েশ ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধার খেয়াল রাখবে। গেমে মানুষের মতোই সিমসরাও মরণশীল। গেমার ইচ্ছে করলে তার জীবনকাল নির্ধারণ করে দিতে পারবেন। এই সময়ের মধ্যে সেই সিমস শিশু থেকে তরুণ, যুবক, মধ্যবয়স্ক এবং পরিশেষে বৃদ্ধ হয়ে প্রাণ ত্যাগ করবে। দ্য সিমস ৩ গেমটিতে যোগ করা হয়েছে ওপেন ওয়ার্ল্ড কনসেপ্ট, যার ফলে এখন গেমার তার একটি নির্দিষ্ট সিমস পরিবারের ঘরের চার দেয়ালে সীমাবদ্ধ থাকবে না, পুরো শহরে ঘুরে বেড়াতে পারবে।

ডেভেলপার- Volition Inc.
পাবলিশার- THQ
ক্যাটাগরি- থার্ড পারসন শূটিং



রেড ফ্যাকশন গেম সিরিজের সাথে হয়তো অনেক গেমারই পরিচিত নন। রেড ফ্যাকশন গেরিলা গেমটি এই সিরিজের ৩য় গেম। তবে আগের গেম দুটো ছিলো ফাস্ট পারসন শূটিং গেম, কিন্তু এই গেমটি বানানো হয়েছে থার্ড পারসন শূটিং গেম হিসেবে। এতে গেমারকে এলিস ম্যাসন নামের একটি চরিত্র নিয়ে খেলতে হবে এবং সে হচ্ছে রেড ফ্যাকশন সংস্থার একজন সদস্য। গেমের পটভূমি গড়ে উঠেছে মঙ্গল গ্রহকে কেন্দ্র করে। এলিস ম্যাসনের মূল লক্ষ্য হবে মঙ্গলগ্রহের বিভিন্ন ঘাঁটি দখল করে তা রেড ফ্যাকশনের করায়ত্ত করানো। গেমে পুরো মঙ্গলগ্রহকে ছয়টি ভাগে ভাগ করা হয়েছে, যার সবই আর্থ ডিফেন্স ফোর্স নামের অপর আরেক সংস্থার দখলে রয়েছে। গেমারকে প্রতিটি ঘাঁটি দখল করার জন্য আর্থ ডিফেন্স ফোর্সের ওপর গেরিলা অভিযান চালিয়ে তাদের পরাজিত করতে হবে। আবার কিছু ক্ষেত্রে দখল করা ঘাঁটিতে শত্রুপক্ষের আক্রমণ প্রতিহত করতে হবে শক্ত হাতে ও বুদ্ধির সাথে, যাতে সেই ঘাঁটি আবার শত্রুর দখলে চলে না যায়। গেমে এলিসকে নিয়ে হেঁটে হেঁটে এক এলাকা থেকে অন্য এলাকায় যাতায়াত করার পাশাপাশি রাস্তায় চলাচলরত যানবাহন ছিনতাই করে তা চালানো যাবে। গেমটি প্রায় ছয়টি আলাদা মোডে খেলা যাবে, এতে অনলাইন মাল্টিপ্লেয়ার ডেথম্যাচ, ক্যাপচার দ্য ফ্ল্যাগ মোডের পাশাপাশি ২ থেকে ৪ জন প্লেয়ারের জন্য রয়েছে অফলাইন মাল্টিপ্লেয়ার গেম মোড।

ডেভেলপার- TimeGate Studios
পাবলিশার- SouthPeak Interactive
ক্যাটাগরি- ফাস্ট পারসন শূটিং



সেকশন ৮ গেমটি একটি সায়েন্স ফিকশন শূটিং গেম। গেমের পটভূমি হচ্ছে পুরো মহাকাশ। এখানে দেখা যাবে আর্ম অফ অরিয়ন নামের এক গোপন সংস্থা সরকারের অগোচরে বিভিন্ন গ্রহের সাথে সরকারের যোগাযোগ বিঘ্নিত করার কাজে লিপ্ত হয়েছে। তখন সরকার থেকে ৮ জন দক্ষ ও বিশেষ সুরক্ষাকবচ পরিহিত একটি সৈন্যদলকে এই সমস্যা সমাধান করতে পাঠাবে। এই আটজনের মধ্যে অ্যালেক্স করডে নামের সৈন্যকে নিয়ে গেম খেলতে হবে। এখানে গেমের ক্যারেক্টারটি বেশ উন্নতমানের আর্মর বা সুরক্ষাকবচ পরিহিত অবস্থায় থাকে। এই সুরক্ষাকবচ প্লেয়ারকে আঘাত থেকে বাঁচাতে সহায়তা করে ও চলাফেরাতেও এনে দেয় অনেক সুবিধা। এই সুরক্ষাকবচের দুটি অপশন রয়েছে। এগুলো হচ্ছে- ওভারড্রাইভ ও ভার্টিক্যাল থ্রাস্টার। ওভারড্রাইভ অপশন ব্যবহার করে প্লেয়ারের দৌড়ের গতি অনেক বাড়িয়ে নেয়া যায় এবং ভার্টিক্যাল থ্রাস্টার অপশন ব্যবহার করলে অনেক উঁচুতে লাফ দেয়া সম্ভব। এছাড়া গেম খেলে যে পয়েন্ট অর্জিত হয় তার কিছু অংশ ব্যবহার করে ‘বার্ন-ইন’ অপশনটি ব্যবহার করা যায়। এই অপশন দিয়ে গেমার ইচ্ছে করলে ম্যাপের নির্দিষ্ট অংশে আকাশ থেকে স্যাটেলাইট দিয়ে মাটিতে আঘাত করতে সক্ষম এবং এই অপশনটি বিশাল আকারের শত্রুবাহিনীকে শেষ করার জন্য খুবই কার্যকর। গেমটির অন্যতম আকর্ষণ হচ্ছে এর মাল্টিপ্লেয়ার গেম মোডটি। কারণ এই মোডে ৪০ জন একসাথে গেম খেলতে পারে।

ডেভেলপার- The Creative Assembly
পাবলিশার- Sega
ক্যাটাগরি- টার্নভিত্তিক স্ট্র্যাটেজি



এম্পায়ার টোটাল ওয়ার গেমটি একটি স্ট্র্যাটেজি ক্যাটাগরির গেম, তবে মজার ব্যাপার হচ্ছে গেমটিতে একই সাথে টার্ণভিত্তিক স্ট্র্যাটেজি ও রিয়েল টাইম ট্যাকটিস এই দুই ধরনের গেম-প্লের সমন্বয় সাধন করা হয়েছে। গেমটি তৈরি করা হয়েছে সতেরো শতক থেকে উনিশ শতকের মাঝের বিভিন্ন ঘটনাকে কেন্দ্র করে এবং গেমে বিভিন্ন দেশ দখল, অর্থনীতি, রাজনীতি, ধর্ম ও কলোনি স্থাপনের ব্যাপারগুলো প্রাধান্য পেয়েছে। এখানে গেমারকে অনেক জাতি থেকে একটি জাতি বাছাই করে নিয়ে ইউরোপ, উত্তর আফ্রিকা, আমেরিকা ও ভারতবর্ষ দখল করতে হবে। গেমটি মনোযোগ দিয়ে খেললে এবং গেমের বিভিন্ন সংলাপ ও আলোচনা লক্ষ করলে সেই সময়কার বিভিন্ন সভ্যতা সম্পর্কে ব্যাপক জ্ঞান অর্জন করা যাবে। কারণ এটি আঠারো শতকের অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে বানানো হয়েছে এবং গেমে দেখানো বিভিন্ন ঐতিহাসিক যুদ্ধ ও বিভিন্ন ঘটনা বাস্তবের সাথে যথাসম্ভব মিল রেখেই বানানো হয়েছে। গেমটি তুলনামূলকভাবে অন্য গেমগুলো থেকে একটু কঠিন ও জটিল, তাই গেমের শুরুতেই টিউটরিয়াল ক্যাম্পেইন খেলার ব্যবস্থা রয়েছে। গেমে বিশাল সব যুদ্ধক্ষেত্রে গেমারকে যুদ্ধে অবতীর্ণ হতে হবে এবং গেমের গ্রাফিক্স খুবই চমৎকার যে মনে হবে মধ্যযুগীয় সেই ঐতিহাসিক যুদ্ধ আপনি চোখের সামনে দেখছেন মনিটরের সামনে বসে। এছাড়া ইচ্ছে করলে যুদ্ধক্ষেত্রকে জুম-ইন ও জুম-আউট করা ছাড়াও ৩৬০ ডিগ্রি কোণে ঘোরানো যাবে।
ডেভেলপার- Bugbear Entertainment
পাবলিশার- Empire Interactive
ক্যাটাগরি- মোটর রেসিং



আলটিমেট কারনেজ গেমটি ফ্লাটআউট সিরিজের ৩য় পর্ব। গেমটি এ সিরিজের দিবতীয় গেম ফ্লাটআউট-২-এর সাথে অনেক মিল রেখে বানানো। তবে এই গেমের গাড়ির কন্ট্রোল করার ব্যাপারটি আগের গেমগুলোর তুলনায় ভালো। গেমের প্রথমেই তিনটি আলাদা ক্লাসের গাড়ি বাছাই করতে দেবে। এগুলো হচ্ছে জাংক ইয়ার্ড কার, সেকেন্ড হ্যান্ড কার ও ব্র্যান্ড নিউ কার। তবে খেলা শুরু করতে হবে জাংক ইয়ার্ড কারগুলো দিয়ে এবং কয়েকটি রেস খেলার পর সেকেন্ড হ্যান্ড কার ও আরো পরে আনলক হবে ব্র্যান্ড নিউ কার। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই রেসিং ট্র্যাকগুলো অনেক বড় আকারের ও প্রতিটি ট্র্যাক তিনবার ঘুরে আসতে হয়, যার ফলে রেস খেলতে অনেক সময় লাগে। প্রতি ট্র্যাকে গাড়ি দিয়ে গুতিয়ে ভাঙ্গার জন্য প্রায় আট হাজারের বেশি কাঠামো ও অবজেক্ট দেয়া আছে। এই গেমের মজার দিক হচ্ছে এখানে যত গুতোগুতি ও ভাংচুর করা যায় তত বেশি পয়েন্ট অর্জন করা সম্ভব। সাধারণভাবে রেস খেলে জেতা বেশ কষ্টকর, কারণ প্রথম দিকের গাড়িগুলোর মান ভালো নয়। তাই এগিয়ে থাকার জন্য বুস্ট ব্যবহার করতে হবে আর নস মিটার ফুল করার রাস্তার পাশে যা কিছু পাওয়া যাবে সব ভাঙতে হবে। তাই গেমটিতে রেস খেলার সাথে সাথে রয়েছে অন্যরকম স্বাদ।

ডেভেলপার- EA Canada, HB Studios
পাবলিশার- EA Sports
ক্যাটাগরি- স্পোর্টস



ফিফা ২০১০ গেমটি ওয়ার্ল্ড কাপ ফুটবল নয়, ফিফা ওয়ার্ল্ড কাপ মোডসহ নতুন আরেকটি গেম এবছরে অবমুক্ত হবে। যদিও একই ধরনের গেম বারবার খেলতে একঘেয়ে লাগার কথা, কারণ ফুটবল খেলার যে নিয়ম তা তো আর বদলানো যায় না, তাই গেমগুলোর গেমপ্লে একই ধরনের হয়ে থাকে, কিন্তু পার্থক্য করা হয় গ্রাফিক্সের কারুকাজ কতটা প্রাণবন্ত করে তোলা যায় তার ওপরে ভিত্তি করে। তার সাথে নতুন কিছু ফিচার যুক্ত করেও আনা হয় বৈচিত্র্য। নতুন এ গেমের ফিচারগুলোর মধ্যে রয়েছে- উন্নতমানের ভিজ্যুয়াল ও অ্যানিমেশন সিস্টেম, প্লেয়ারের নড়াচড়ার ও ক্রীড়াকৌশলের প্রাণবন্ততা, প্রত্যেক প্লেয়ারের আলাদাভাবে দক্ষতা পরিমাপের ব্যবস্থা, পেনাল্টির সময় বল সূক্ষ্মভাবে নিয়ন্ত্রণ করা, অনলাইন গেমিং ও সেই সাথে ইন্টারনেট থেকে নানারকম আপডেট ও অন্যান্য কিছু জিনিস ডাউনলোড করার ব্যবস্থা, দারুণ আর্টিফিশিয়াল ইনেটলিজেন্সের ব্যবহার, আবহাওয়ার বদল, নানারকম ক্যামেরা ভিউ, গেম রিপ্লে ইত্যাদি। এই গেমে লীগের সংখ্যা হচ্ছে ৩১ এবং টিমের সংখ্যা প্রায় ৫০০, যার মধ্যে ৪১ হচ্ছে বিভিন্ন দেশের জাতীয় টিম। এই গেমে মাত্র একটি নতুন লীগ সংযোজন করা হয়েছে এবং সেটি হচ্ছে রাশিয়ান প্রিমিয়ার লীগ।

ডেভেলপার- Asobo Studio
পাবলিশার- Codemasters
ক্যাটাগরি- ওপেন ওয়ার্ল্ড রেসিং



ফুয়েল হচ্ছে ওপেন ওয়ার্ল্ড রেসিং গেম, অর্থাৎ গেমটি রেসিং ট্র্যাকের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। গেমে রেস শুরুর স্থান থেকে ফিনিশ পয়েন্টে যাওয়ার অনেক রাস্তা রয়েছে, যার যে রাস্তায় খুশি সে রাস্তা দিয়েই ফিনিশিং পয়েন্টে যাওয়া যাবে। মজার ব্যাপার হচ্ছে শুধু যেকোনো রাস্তা নয় ইচ্ছে করলে পাহাড়, জলাভূমি, ক্ষেত, বন-জঙ্গল সব জায়গা দিয়েই গাড়ি চালানো যাবে। সাধারণত এধরনের গেমগুলোকে অফরোড রেসিং গেম নামেও অভিহিত করা হয়ে থাকে। গেমটি ওপেন ওয়ার্ল্ড হলেও এর একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ ক্ষেত্রফল রয়েছে এবং তা হচ্ছে প্রায় ৫৫৬০ স্কয়ার মাইল বা ১৪৪০০ স্কয়ার কিলোমিটার। গেমে ছয়টি আলাদা ধরনের যানবাহন ব্যবহার করা হয়েছে। এগুলো হচ্ছে বাইক, চার চাকার বাইক, মাসল কার, স্টেশন ওয়াগন, বড় চাকার গাড়ি ও ট্রাক। তবে এই সবধরনের বাহন নিয়ে খেলতে চাইলে প্রথমে ক্যারিয়ার মোডে গেম শেষ করতে হবে। গেমে প্রদত্ত মোট যানবাহনের সংখ্যা ৭৫। প্রতিটি রেস খেললে ফুয়েল ও স্টার পাওয়া যাবে এবং রেসগুলোকে তিনটি আলাদা ডিফিকাল্টি লেভেলে খেলা যায়। গেমে মোট ২১৬ স্টার রয়েছে, যার সব যোগাড় করার জন্য তিনটি আলাদা ডিফিকাল্টি লেভেলেই সব রেস খেলতে হবে। প্রাপ্ত স্টারগুলো ব্যবহার করে নতুন রেস, গাড়ি ও এলাকা আনলক করার সুবিধা দেয়া হয়েছে।

ডেভেলপার- Beenox
পাবলিশার- Activision
ক্যাটাগরি- ফাস্ট পারসন শূটিং

০০৭ কোড নেমের অধিকারী দুর্ধর্ষ গুপ্তচর জেমস বন্ডের নাম শুনেনি এমন লোক খুঁজে পাওয়া মুশকিল। ইয়ান ফ্লেমিংয়ের অমর সৃষ্টি এ চরিত্রটি সবার কাছে খুবই প্রিয়। এ চরিত্রের রোমহর্ষক অ্যাডভেঞ্চার নিয়ে বানানো হয়েছে অনেক মুভি এবং সেই সব মুভির কাহিনীর ওপরে ভিত্তি করে বানানো হয়েছে অনেক গেম। মুভির কাহিনী বাদ দিয়ে বানানো আরো অনেক গেম রয়েছে, যা বিভিন্ন সময়ে ভিন্ন ভিন্ন কোম্পানি বের করেছে। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকটি হচ্ছে- এ ভিউ টু কিল, লিভ অ্যান্ড লেট ডাই, দ্য ডুয়াল, জেমস বন্ড জুনিয়র, ০০৭ রেসিং ইত্যাদি। নতুন এ গেমটির কাহিনী গড়ে উঠেছে ডেনিয়েল ক্রেগ অভিনীত দুটি বন্ড মুভি- ক্যাসিনো রয়াল ও কোয়ান্টাম অব সোলেসের ওপরে ভিত্তি করে। মূল গেমের পাশাপাশি মাল্টিপ্লেয়ার মোডে ১২ জন একসাথে এ গেম খেলতে পারবে। অনলাইন গেমিংয়ে এটি চারটি ভিন্ন মোডে খেলা যায়। এগুলো হচ্ছে- বন্ড ভার্সেস, টিম কনফ্লিক্ট, গোল্ডেন গান ও বন্ড ইভেশন। অস্ত্রের তালিকায় রয়েছে- অ্যাসল্ট রাইফেল, এথ্রি র্যায়কার, স্টেয়ার ওগ, ওয়ালথার পি৯৯ ও ২০০০। অস্ত্রগুলোর নামকরণ করা হয়েছে বিভিন্ন বন্ড মুভির নামানুসারে। গাড়ির তালিকায় রয়েছে জেমস বন্ডের পছন্দের অস্টন মার্টিনের গাড়ি। গেমের গ্রাফিক্সের কাজে ব্যবহার করা হয়েছে কল অব ডিউটি ৪-এ ব্যবহার করা গেম ইঞ্জিন।
পত্রিকায় লেখাটির পাতাগুলো
লেখাটি পিডিএফ ফর্মেটে ডাউনলোড করুন
লেখাটির সহায়ক ভিডিও
পাঠকের মন্তব্য
০৯ এপ্রিল ২০১০, ২:০৪ AM
খুবই সুন্দর ।
চলতি সংখ্যার হাইলাইটস