নতুন বের হওয়া গেমগুলোর মাঝে অ্যাকশন ও সায়েন্স ফিকশনভিত্তিক গেমের ছাপ বেশি লক্ষ করা যাচ্ছে। বছরের শুরুতেই যেসব গেম রিলিজ পেয়েছে তার মধ্যে বেশিরভাগই অ্যাকশন ও অ্যাডভেঞ্চারে ঠাসা। নতুন ধরনের গেমিং স্টাইল ও নতুন ধরনের অ্যাডভেঞ্চারের বার্তা নিয়ে এসেছে একটি দারুণ গেম, যার নাম ডার্ক ভয়েড। গেমটি বাজারে এনেছে জাপানের নামকরা গেম নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ক্যাপকম এবং গেমটি ডেভেলপ করার কাজ করেছে এয়ারটাইট গেমস নামের প্রতিষ্ঠান। গেমটি একযোগে কনসোল ও উইন্ডোজের জন্য অবমুক্ত করা হয়েছে।
অন্যান্য সায়েন্স ফিকশন গেমের কাহিনীর মতো ভবিষ্যতের পটভূমিতে না সাজিয়ে এ গেমের কাহিনীতে দেয়া হয়েছে নতুন এক মোড়। গেমের কাহিনীর শুরুটা হবে দিবতীয় বিশ্বযুদ্ধকে কেন্দ্র করে। যুদ্ধক্ষেত্রে গোলাবারুদ ও রসদ যোগান দেবার জন্য বিশাল কার্গোতে তা আনা-নেয়া করার দায়িত্ব উইলিয়াম অগাস্টাস গ্রে নামের এক কার্গো পাইলটের ওপর ন্যস্ত। মালামাল আনা-নেয়ার সময় রহস্যময় বারমুডা ট্রায়াঙ্গলের ওপর দিয়ে যাওয়ার সময় পোর্টালের মাধ্যমে পৃথিবী থেকে অন্য এক জগতে স্থানান্তরিত হয়ে যায়। সে জগতের নাম ভয়েড। সে ভয়েডে পৌঁছে মুখোমুখি হবে দুটি দলের। একটি হচ্ছে রোবট জাতীয় ভিনগ্রহবাসী দল ওয়াচারস ও অপরটি হচ্ছে বিপন্ন মানব জাতি যারা সেখানে সারভাইভার নামে পরিচিত। সে বেছে নেয় সারভাইভারদের দল এবং লড়াই করতে থাকে ওয়াচারদের বিরুদ্ধে নিজের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার জন্য। উইলিয়াম পরে জানতে পারে যে ভয়েড নামের এ জগৎটি ওয়াচারদের বাসভূমি ও পৃথিবীর মাঝখানের এক জায়গা। এখানে তারা আটকা পড়ে গেছে এবং তারা এলাকার দখল নিয়ে লড়াই করছে। নিকোলা টেসলা নামের এক বন্ধুর সাহায্যে উইলিয়াম ওয়াচারদের অত্যাধুনিক টেকনোলজি রপ্ত করে সেসব তাদের বিরুদ্ধে ব্যবহার করার সুযোগ পাবে। যতই সে ওয়াচারদের সাথে লড়াই করে এগুতে থাকবে ততই তার নিজ বাসভূমে ফিরে আসার পথ সুগম হতে থাকবে।
গেমটি একটি থার্ড পারসন অ্যাকশন গেম। গেমের বিশেষ কিছু বৈশিষ্ট্যের মধ্যে রয়েছে- আকাশে ও মাটিতে আলাদাভাবে লড়াই করার ব্যবস্থা, উইলিয়ামের পিঠে থাকা জেটপ্যাকের সাহায্যে খুব দ্রুত যুদ্ধক্ষেত্র পরিবর্তন করার সুবিধা, গতানুগতিক শূটিং গেমিং স্টাইলের পাশাপাশি সিনেমেটিক হ্যান্ড টু হ্যান্ড কমব্যাট স্টাইল, এলিয়েন শিপ চালনা ও তার সাহায্যে আকাশে ভেসে যুদ্ধ করা, ইচ্ছেমতো যেখানে খুশি ওড়ার ক্ষমতা ও কঠিন শত্রু বা বস মোকাবেলা করা ইত্যাদি। সবচেয়ে আকর্ষণীয় যে ব্যাপারটি রয়েছে তা হচ্ছে নতুন গেমিং স্টাইল ভার্টিক্যাল কমব্যাট। এতে পাহাড়ের ঢাল বা খাড়া কোনো অবস্থানে ঝুলে ঝুলে ওঠার সময়ও লড়াই করা যাবে। আকাশে উড়ন্ত অবস্থায় লড়াই করার ব্যাপারটি অনেকটা আয়রনম্যানের কাছাকাছি। কিন্তু এ গেমে ব্যাপারটি আরো অনেক বেশি আকর্ষণীয় ও এতটাই অভিনব করে তোলা হয়েছে, যা নিজের চোখে না দেখলে বিশ্বাস করতে কষ্ট হবে। গেমের কাহিনী ও স্টাইল হলিউড অভিনেতা ব্রাড পিটের এতটাই নজর কেড়েছে যে সে তার প্রোডাকশন প্ল্যান বি এন্টারটেইনমেন্টের ছত্রছায়ার গেমটির ওপরে একটি মুভি বানানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
কজ ওয়েব
ফিডব্যাক : shmt_21@yahoo.com