ডিজিটাল বাংলাদেশ ইন অ্যাকশন থিম নিয়ে শেষ হলো - মেধা-মনন প্রকাশের মেলা বেসিস সফটএক্সপো ২০১০
বাংলাদেশের আইসিটি সেবা খাতের মেধা ও মনন প্রকাশের সবচেয়ে বড় বার্ষিক আয়োজন ‘বেসিস সফটএক্সপো ২০১০’ ঢাকার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হয় ১০-১৪ ফেব্রুয়ারি। বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস তথা বেসিস আয়োজিত এ মেলার থিম ছিল ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ ইন অ্যাকশন’। দেশী সফটওয়্যার শিল্প ও এ শিল্পসংশ্লিষ্ট সেবাকে দেশ-বিদেশের বাজারে পরিচিত করার সাথে সাথে তথ্যপ্রযুক্তির ব্যাপারে সাধারণ মানুষকে উৎসাহী করতে কয়েক বছর ধরে বেসিস এ ধরনের মেলার আয়োজন করে আসছে, যার কলেবর উত্তরোত্তর বাড়ছে। বেসিস আয়োজিত ৫ দিনব্যাপী এবারের এ মেলার আয়োজন সপ্তমবারের মতো।
বেসিসের উদ্যোগে সফটওয়্যার মেলা প্রায় প্রতিবছরই আয়োজিত হয়। ২০০২ সালে শেরাটনের হোটেল প্রাঙ্গণে প্রথমবারের মতো আয়োজন করা হয়েছিল বাংলাদেশের প্রথম সফটওয়্যারমেলা। এরই ধারাবাহিকতায় প্রায় প্রতিবছরই আয়োজিত হয়ে আসছে এ মেলা। এ মেলায় দেশী-বিদেশী প্রতিষ্ঠান যেমন নিজেদের সফটওয়্যার প্রদর্শন করে, তেমনি মেলায় আসা দর্শনার্থীদের নিজেদের সার্বিক কর্মকান্ডের পাশাপাশি সেবার বিভিন্ন দিক উপস্থাপন করে।
দেশের বৃহত্তম সফটওয়্যার মেলা ‘বেসিস সফটএক্সপো ২০১০’ আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। বিশেষ অতিথি ছিলেন বাণিজ্যমন্ত্রী অবসরপ্রাপ্ত লে. কর্নেল ফারুক খান, তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান। এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন বেসিসের সভাপতি হাবিবুল্লাহ এন করিম, এফবিসিসিআই সভাপতি আনিসুল হক, গ্রামীণফোনের সিইও ওডভার হেসজেডাল ও ন্যাশনাল ইভেন্টস কমিটির চেয়ারম্যান এ তৌহিদ।
পাঁচ দিনব্যাপী ‘বেসিস সফটএক্সপো ২০১০’ মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেন, ইন্টারনেট ব্যবহারের ক্ষেত্রে আমরা এখনো পিছিয়ে আছি। বিশ্বে গড়ে ১০০ জনের মধ্যে ৬০ জন মোবাইল ফোন ব্যবহার করে। বাংলাদেশে এ সংখ্যা ৪০ জন। আবার বিশ্বে ১০০ জনের মধ্যে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা ৩০ জন। বাংলাদেশে এ সংখ্যা ১০০ জনের মধ্যে মাত্র দশমিক তিনজন। এ জায়গাটার উন্নতি করা দরকার। তিনি আরো বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়তে তিনটি বিষয়ের প্রতি নজর দেয়া উচিত। প্রথমত দক্ষ জনশক্তি বাড়াতে হবে, দ্বিতীয়ত অভ্যন্তরীণ বাজার বাড়াতে হবে এবং তৃতীয়ত যুব সমাজকে প্রতিষ্ঠানের প্রতি আনুগত্য ও প্রতিশ্রুতি বাড়িয়ে কাজ করতে হবে।
বিশেষ অতিথি বাণিজ্যমন্ত্রী ফারুক খান বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ শুধু রাজনীতির স্লোগান নয়, এর মাধ্যমে বাংলাদেশকে তথ্যপ্রযুক্তির ক্ষেত্রে উন্নত একটি দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে হবে।
বিজ্ঞান এবং তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী ইয়াফেস ওসমান জানান, ঢাকার কারওয়ান বাজারের আইসিটি ইনকিউবেটরকে আইটি পার্ক হিসেবে ঘোষণা দেয়ার নীতিগত সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। তিনি আরো বলেন, প্রথমে দেশের যেকোনো একটি জেলাকে ডিজিটাল জেলা হিসেবে ঘোষণা করে উচিত, যা দেখে ডিজিটাল বাংলাদেশ ধারণার নমুনা বোঝা যাবে।
এফবিসিসিআই সভাপতি আনিসুল হক বলেন, দেশের ৯৫ ভাগ সফটওয়্যার ব্যবসায়ী এখনো সংগ্রাম করছে। অন্যান্য শিল্পের মতো সফটওয়্যার শিল্পের জন্যও একটি ভালো অবকাঠামো প্রয়োজন। তিনি আরো বলেন, দেশের পলিসি মেকারদের পিসি সফটওয়্যার ব্যবহার করতে হবে। ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়তে তিনটি বিষয়ের মধ্যে সমন্বয়ের প্রয়োজন। যেমন- আইটি পার্ক, দক্ষ জনশক্তি এবং পর্যাপ্ত অর্থসংস্থান।
অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন ডেনমার্কের রাষ্ট্রদূত এইনার এইচ ইয়েনসেনস, গ্রামীণফোনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ওডভার হেসজেডাল, ন্যাশনাল ইভেন্টস কমিটির চেয়ারম্যান এ তৌহিদ।
বেসিস সফটএক্সপো ২০১০-এর প্লাটিনাম স্পন্সর গ্রামীণফোন এবং গোল্ড স্পন্সর রিভ সিস্টেম। সফটএক্সপোর উদ্যোক্তা বেসিস, কো-অর্গানাইজার মিনিস্ট্রি অব সায়েন্স অ্যান্ড আইসিটি, কো-স্পন্সর আইসিটি বিজনেস প্রমোশন কাউন্সিল, স্ট্র্যাটেজি পার্টনার এফবিসিসিআই ও এমসিসিআই। মেলায় ১০১টি স্টল ও ১১টি প্যাভিলিয়ন ছিল। এসব স্টল ও প্যাভিলিয়নে মেলায় অংশগ্রহণকারী প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন প্রযুক্তিপণ্য, সেবা ও কর্মকান্ড আগ্রহীদের সামনে উপস্থাপন করা হয়। দেশী ও বিদেশী মিলিয়ে প্রায় ৭৭টি প্রতিষ্ঠান মেলায় অংশ নেয়। অংশগ্রহণকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ছিল মাল্টিন্যাশনাল সফটওয়্যার ভেন্ডর ও আইসিটি কোম্পানি। ইন্টারন্যাশনাল আইসিটি অ্যাসোসিয়েশন, দেশীয় সফটওয়্যার উন্নয়ন প্রতিষ্ঠান, বহুজাতিক ও দেশীয় প্রতিষ্ঠানের সফল আইসিটি প্রকল্প, সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর ই-গভর্নেন্স প্রকল্প অন্যতম।
মেলার আকর্ষণসমূহ
বেসিস সফটএক্সপো ২০১০-এ যেসব সেবা বা সফটওয়্যার পণ্য মেলার দর্শকদের আকৃষ্ট করতে সক্ষম হয়, তাদের মধ্যে অন্যতম একটি ছিল কমপিউটার জগৎ-এর ওয়েব পোর্টাল কমজগৎ ডট কম। বিসিএস মেলার মতো করে বেসিস সফটএক্সপোর উল্লেখযোগ্য প্রতিটি অনুষ্ঠান, সেমিনার সরাসরি ইন্টারনেটে প্রকাশ করে কমজগৎ ডট কম। কমজগৎ ডট কম ওয়েবসাইটের মাধ্যমে ‘ইউ আর লাইভ’ স্লোগানে প্রতিদিন মেলার সেমিনারগুলো ইন্টারনেটের মাধ্যমে সম্প্রচার করা হয়, যা বাংলাদেশসহ বিশ্বের যেকোনো প্রান্ত থেকে উপভোগ ও অংশ নেয়া যায়। লাইভ ওয়েবকাস্টের আর্কাইভও থাকছে ওয়েবসাইটের ভিডিও সেকশনে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ইন্টারনেট ব্যবহারকারীরা মেলা ও সেমিনার সরাসরি দেখে অনলাইনে মন্তব্যও পাঠিয়েছেন প্রচুর।
কমজগৎ ডট কম প্যাভিলিয়নে উৎসুক দর্শকের ভিড়
বেসিস সফটএক্সপো ২০১০-এর গোল্ড স্পন্সর হলো আন্তর্জাতিক আইপি টেলিফোনি সলিউশন প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান রিভ সিস্টেমস। প্রতিষ্ঠানটি আগামী তিন বছর অর্থাৎ ‘বেসিস সফটএক্সপো ২০১২’ পর্যন্ত মেলার গোল্ড স্পন্সর হিসেবে কাজ করার জন্য চুক্তিবদ্ধ হয়। এ মেলায় রিভ সিস্টেমস তাদের ডেভেলপ করা বিভিন্ন সফটওয়্যারসহ নিজেদের নানা ধরনের কার্যক্রম দর্শকদের সামনে উপস্থাপন করে।
লিডস করপোরেশন লিমিটেড মেলায় তাদের ডেভেলপ করা কয়েকটি সফটওয়্যারের বৈশিষ্ট্য ও গুণাগুণ দর্শকদের মাঝে তুলে ধরে। এসব সফটওয়্যারের মধ্যে অন্যতম একটি হলো ব্যাংক আল্টিমাস, যা দিয়ে এসএমএস, এটিএম বুথ, অনলাইন ব্যাংকিং পরিচালনা করা যাবে। এছাড়া পুঁজিবাজারের জন্য ‘ক্যাপিটাল মার্কেট’ নামে আরেকটি সফটওয়্যার নিয়ে এসেছে, যা দিয়ে ব্রোকার হাউস ও মার্চেন্ট ব্যাংকের কাজ করা যাবে। জীবন বীমার জন্য লাইফ ইন্স্যুরেন্স এবং ওষুধ ও খাদ্য উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের জন্য সেন্টার পয়েন্ট নামের দুটি সফটওয়্যারের গুণাগুণ তুলে ধরে লিডস করপোরেশন।
জেনুইটি সিস্টেমের প্যাভিনিয়নে উৎসুক দর্শনার্থীরা
জেনুইটি সিস্টেমস মেলায় উপস্থাপন করে সফটসুইস, মোবাইল ডায়ালার ও কলসেন্টারের সফটওয়্যার সেবা ও প্রশিক্ষণ কর্মসূচি। এ মেলায় ক্যুইজ প্রতিযোগিতার মাধ্যমে প্রতি দু’ ঘণ্টায় ১০০ জনকে পুরস্কৃত করা হয়।
ডিভাইন আইটি লিমিটেড তাদের প্যাভিলিয়নে উপস্থাপন করে নিজেদের ডেভেলপ করা বিভিন্ন ধরনের সফটওয়্যার। ডিভাইন আইটি মেলায় বেশ কয়েকটি সফটওয়্যার উপস্থাপন করে। এসটিএম ভিশন লিমিটেড মেলায় তাদের প্যাভিলিয়নে উপস্থাপন করে ব্যবসায় বাণিজ্যের জন্য টালি সফটওয়্যার। ইন্টিগ্রেটেড বিজনেস সিস্টেম মেলায় নিয়ে এসেছে সুপার মাইক্রো ব্র্যান্ডের পরিবেশবান্ধব রেক সার্ভার।
মেলায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের কমপিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগের একদল শিক্ষার্থীর ডেভেলপ করা দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীদের জন্য কমপিউটারের মাধ্যমে শব্দ চেনার একটি প্রযুক্তি উপস্থাপন করা হয়।
ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ডেভেলপ করা ছবি থেকে লেখা সংশোধন করার প্রকল্প প্রদর্শন করা হয়। বাংলাদেশ ওপেনসোর্স নেটওয়ার্ক মেলায় জনপ্রিয় মুক্ত সফটওয়্যার ওপেন অফিস ডট অর্গ, ফ্রিল্যান্সার, উবুন্টু, ফায়ারফক্স ও জুমলা ইত্যাদির বিভিন্ন দিক তুলে ধরে। এদের স্টলে উবুন্টুর সর্বশেষ সংস্করণের সহায়ক গাইড পাওয়া যায়। স্যাটকম কমপিউটার্স লিমিটেড তাদের স্টলে প্রদর্শন করে হাসপাতাল ব্যবস্থাপনা সিস্টেম, শেয়ার ব্যবস্থাপনা সিস্টেম, সংবাদপত্র ও প্রকাশনা ব্যবস্থাপনা সিস্টেম, এন্টারপ্রাইজ রিসোর্স প্ল্যানিং ও রেজাল্ট প্রসেসিং সফটওয়্যার। এইচপি পণ্যের বিপণনকারী প্রতিষ্ঠান মাল্টিলিঙ্ক এ মেলায় উপস্থাপন করে তাদের ডেভেলপ করা বিভিন্ন সফটওয়্যার।
টেকনোবিডি এ মেলায় ওয়েব হোস্টিংয়ে বিশেষ অফার দিয়েছে। ৫০ গি.বা. ব্যান্ডউইডথসহ ১ গি.বা হোস্টিং অফার করে মাত্র ১৫০০ টাকায়।
ইকরা সফট মেলায় অফার করে ১০টি প্রফেশনাল ডেডিকেটেড প্যাকেজ। এ মেলায় ত্রয়ী বিজনেস সলিউশনস তাদের প্যাভিলিয়নে প্রদর্শন করে অ্যাকাউন্টিং ইনভেন্টরি ও ম্যানুফ্যাকচারিং প্রসেস ব্যবস্থাপনা প্রোডাক্ট সফটওয়্যার যা ‘ত্রী’ নামে ইতোমধ্যে বেশ পরিচিতি লাভ করে। স্টার কমপিউটার সিস্টেমস লিমিটেড উপস্থাপন করে তাদের ডেভেলপ করা বিভিন্ন সফটওয়্যার ও সলিউশন।
সফটএক্সপো ২০১০-এর অন্যান্য আয়োজন
বেসিস আয়োজিত পাঁচদিনের এ মেলায় ১২ তারিখে বেসিস ও গ্রামীণফোনের যৌথ উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হয় এক জমকালো সিইও নাইট। শতাধিক প্রতিষ্ঠানের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাকে (সিইও) নিয়ে অনুষ্ঠিত হয় এই সিইও নাইট নামের শীর্ষক অনুষ্ঠান। এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বিজ্ঞান এবং তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী ইয়াফেস ওসমান। বিশেষ অতিথি ছিলেন বিটিআরসি চেয়ারম্যান অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল জিয়া আহমেদ, মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি এম আনিস-উদ-দৌলা, গ্রামীণফোনের সিইও ওডভার হেসজেডাল এবং বেসিস সভাপতি হাবিবুল্লাহ এন করিম।
এ অনুষ্ঠানে ইনোভেশ সার্চ অ্যাওয়ার্ড ও বেস্ট আইটি ইউজ অ্যাওয়ার্ড দেয়া হয়। সেন্টার ফর রিসার্চ অন বাংলা ল্যাঙ্গুয়েজ প্রসেসিংয়ের জন্য তৈরি কমপিউটারে বাংলা শোনা এবং রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের কমপিউটার বিজ্ঞান বিভাগের একদল শিক্ষার্থীর তৈরি দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীদের জন্য সহজে অক্ষর চেনা প্রকল্প দুটি পুরস্কৃত হয়।
সিইও নাইটে তথ্যপ্রযুক্তির সেরা ব্যবহারকারী হিসেবে ছয়টি প্রতিষ্ঠানকে পুরস্কৃত করা হয়। পুরস্কার বিজয়ী প্রতিষ্ঠানগুলো হলো-ধর্ম মন্ত্রণালয়ের হজ ব্যবস্থাপনা সিস্টেম (প্রযুক্তি সেবাদাতা বিজনেস অটোমেশন লি.); এপিক গার্মেন্টস ম্যানুফ্যাকচারিং কোম্পানি লিমিটেড (সিএসএল সফটওয়্যার রিসোর্স লি.); ইনফরমেশন ইঞ্জিনিয়ার্সের নোভার্টিজ বাংলাদেশ লিমিটেড (ইনফরমেশন ইঞ্জিনিয়ার্স); সাউথইস্ট ব্যাংক ও জীবনবীমা কর্পোরেশন (লিডস কর্পোরেশন) এবং সায়েন্স রিসোর্সেস ডেভেলপমেন্ট লিমিটেড (ই-জেনারেশন)।
সমাপনী অনুষ্ঠান
রবিবার রাতে মেলা শেষ হলেও শনিবার সন্ধ্যায় অর্থাৎ ১৩ ফেব্রুয়ারি হয়েছে সমাপনী অনুষ্ঠান। এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বাণিজ্যমন্ত্রী ফারুক খান। বিশেষ অতিথি ছিলেন বিজ্ঞান এবং তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সচিব একেএম আব্দুল আউয়াল মজুমদার ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত সচিব গোলাম হুসেইন। আরো উপস্থিত ছিলেন গ্রামীণফোনের টেকনিক্যাল বিভাগের ডেপুটি চিফ টেকনিক্যাল অফিসার অ্যান্ড ডিরেক্টর তানভীর মোহাম্মদ।
সমাপনী অনুষ্ঠানে বেসিস সফটএক্সপো ২০১০-এর ওয়েবসাইটের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়। শুধু তাই নয়, সফটএক্সপো ২০১১ পর্বের তারিখও নির্ধারণ করা হয় এদিন। অষ্টমবারের সফটওয়্যার মেলা বেসিস সফটএক্সপো ২০১১ অনুষ্ঠিত হবে ফেব্রুয়ারি মাসের ১ থেকে ৫ তারিখে। স্থান বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্র।
সমাপনী অনুষ্ঠানে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের কমপিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রফেসর ড. মুহাম্মদ জাফর ইকবালকে বেসিস আইসিটি চ্যাম্পিয়ন অ্যাওয়ার্ড দেয়া হয়। তথ্যপ্রযুক্তিতে বিশেষ অবদান রাখার জন্য এবং আইসিটি খাতের মানবসম্পদ উন্নয়নের লক্ষ্যে বেসিসের সাথে যৌথভাবে কাজ করার জন্য বেসিস তাকে এ অ্যাওয়ার্ড দেয়।
বেসিস সভাপতি হাবিবুল্লাহ এন করিম কমপিউটার জগৎ প্রতিনিধির সাথে আলাপে বলেন, বাংলাদেশের সফটওয়্যার শিল্পের ব্যাপক প্রসারের ক্ষেত্রে অন্যতম প্রতিবন্ধক হলো নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ ব্যবস্থা যেমন নেই, তেমনি নেই নিরবচ্ছিন্ন ইন্টারনেট সংযোগ। ব্যাকআপ সাবমেরিন ক্যাবল সংযোগ জরুরিভিত্তিতে অপরিহার্য। তিনি আরো বলেন, দেশীয় ব্র্যান্ড ইমেজ সৃষ্টির জন্য দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা থাকা দরকার। এজন্য বেসিস, সরকার ও অন্যান্য চেম্বার যেমন নিজ নিজ ক্ষেত্র থেকে চেষ্টা করবে, তেমনি থাকতে হবে তাদের মধ্যে সমন্বয় ও যৌথ প্রয়াস। তিনি আরো বলেন, দেশীয় সফটওয়্যার শিল্প বিকাশের ক্ষেত্রে সরকারকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হবে। সরকারকে হতে হবে দেশীয় সফটওয়্যারের সবচেয়ে বড় ক্রেতা। সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানসমূহকে দেশীয় সফটওয়্যার ব্যবহারের জন্য উদ্বুদ্ধ করতে হবে। তাছাড়া দেশীয় সফটওয়্যারের জন্য বাড়তি মূল্য সুবিধা দিতে হবে।
কজ ওয়েব
ফিডব্যাক : mahmood_sw@yahoo.com