• ভাষা:
  • English
  • বাংলা
হোম > বায়োশক ২
লেখক পরিচিতি
লেখকের নাম: সৈয়দ হাসান মাহমুদ
মোট লেখা:১৪৪
লেখা সম্পর্কিত
পাবলিশ:
২০১০ - মার্চ
তথ্যসূত্র:
কমপিউটার জগৎ
লেখার ধরণ:
গেম
তথ্যসূত্র:
গেমের জগৎ
ভাষা:
বাংলা
স্বত্ত্ব:
কমপিউটার জগৎ
বায়োশক ২

নতুন ধাঁচের কাহিনী ও ব্যতিক্রমী গেমিং পরিবেশ সৃষ্টির জন্য বায়োশক নামের ফার্স্ট পারসন গেমটি বেশ জনপ্রিয় হয়েছিল। প্রথম পর্ব ব্যাপক সাড়া পাওয়ায় এ বছরে বের হয়েছে গেমটির দিবতীয় পর্ব। বায়োশক ২-এ বছরের সেরা শূটিং গেমের তালিকায় নিজের স্থান করে নেবে তা নিঃসন্দেহে বলা চলে। নতুন এ গেমটি বানাতে অনেকগুলো প্রতিষ্ঠান কাজ করেছে। গেমটি যৌথভাবে ডেভেলপ করেছে- 2K Marin, 2K Australia ও 2K China। মাল্টিপ্লেয়ার মোডের উন্নতিকরণ করেছে ডিজিটাল এক্সট্রিমস ও লেভেল ডিজাইনিংয়ের গুরু দায়িত্বে ছিল আরকেন স্টুডিও। গেমটি পাবলিশ হয়েছে 2K Games-এর ব্যানারে।



প্রথম পর্বের ধারাবাহিকতায় দিবতীয় গেমের কাহিনী শুরু হবে, তবে তা প্রথম পর্বের প্রায় ১০ বছর পরের কাহিনী। মূল গেমের কাহিনী গড়ে উঠেছে গভীর সাগতলের রহস্যময় এক রাজ্য রাপচারকে ঘিরে। প্লেন ক্রাশের কবল থেকে বেঁচে যাওয়া এক যাত্রী জ্যাকের ইতিকতা নিয়ে গেমের কাহিনী রচিত হয়েছে। গেমটি ফাস্ট পারসন রোল প্লেয়িং গেমের পাশাপাশি একটি সারভাইভাল ধাঁচের গেম। কারণ এতে জিনগতভাবে পরিবর্তিত ও বিকৃত কিছু মানুষ ও অদ্ভুত জীবের হাত থেকে নিজেকে রক্ষা করতে হবে এবং নানারকম অস্ত্রের সাহায্য নিয়ে তাদের মোকাবেলা করতে হবে। গেমের প্রধান বিপরীত চরিত্রে রয়েছে বলপূর্বক রাপচার দখল করে থাকা কুচক্রী মহিলা সোফিয়া ল্যাম্ব। সে রাপচারে বসবাসরত সবার ওপরে নিজের হুকুম চালাতে চায়। গেমের প্রথম পর্বে ১৯৫৮ সালে সোফিয়া গেমের নায়ক জ্যাকের মৃত্যুর কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছিল। তাই এ গেমে জ্যাকের পুনর্জন্ম হবে এবং প্রতিশোধ নেয়ার জন্য তাকে হন্যে হয়ে খুঁজে বেড়াতে হবে সোফিয়াকে ও সুরক্ষিত করতে হবে নিজের মেয়েকে যাকে সোফিয়া লুকিয়ে রেখেছে।

গেমে জ্যাককে ব্যবহার করতে দেয়া হয়েছে অদ্ভুত সব অস্ত্র ও ক্ষমতা যা অন্যান্য গেমে তেমন একটা দেখা যায় না। গেমে তাকে বেঁচে থাকার জন্য ও লড়াই করার উপকরণ হিসেবে সংগ্রহ করতে হবে প্লাসমিড, ইভ ও টোনিক নামের তরল পদার্থ যা তার দেহে জিনের পরিবর্তন ঘটিয়ে তাকে বিশেষ কিছু সুবিধা দেবে। প্লাসমিডের সাহায্যে সে পাবে হাত থেকে বিদ্যুৎ উৎপন্ন করে তা দিয়ে শত্রুকে শক দেয়ার ক্ষমতা, হাতের ইশারায় কোনো বস্তু উঠিয়ে তা ছুড়ে দেয়ার ক্ষমতাসহ আরো অনেক কিছু। ইভ সংগ্রহ করতে হবে প্লাসমিডের ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য। টোনিকের সাহায্যে চলাফেরার গতি, আঘাত করার ক্ষমতা ও নিজের ক্ষত সারানোর ক্ষমতা বৃদ্ধি করা যাবে। গেমটি বানানোর কাজে নির্ভর করা হয়েছে আনরিয়েল ইঞ্জিন ২.৫ এবং সেই সাথে সাহায্য নেয়া হয়েছে আনরিয়েল ইঞ্জিন ৩-এর। ফাস্ট পারসন শূটিং গেম বানানোর আদর্শ এ গেম ইঞ্জিনের পাশাপাশি এতে ব্যবহার করা হয়েছে হ্যাভোক ফিজিক্স। তাই গেমের গ্রাফিক্সে বাস্তবতার ছোঁয়া ও পরিবেশের দৃশ্য কতটা দৃষ্টিনন্দন হতে পারে, তা পাঠকরা আন্দাজ করে নিতে পারছেন কি? ভূতুড়ে পরিবেশের সাথে গেমের সাউন্ড ইফেক্টগুলো এতটাই মিলে গেছে যে খেলার সময় হঠাৎ কোনো শব্দ শুনে পিলে চমকে উঠতে বাধ্য হতে হবে।


কজ ওয়েব

ফিডব্যাক : shmt_21@yahoo.com
পত্রিকায় লেখাটির পাতাগুলো
লেখাটি পিডিএফ ফর্মেটে ডাউনলোড করুন
লেখাটির সহায়ক ভিডিও
চলতি সংখ্যার হাইলাইটস