• ভাষা:
  • English
  • বাংলা
হোম > নিনজা ব্লেড
লেখক পরিচিতি
লেখকের নাম: সৈয়দ হাসান মাহমুদ
মোট লেখা:১৪৪
লেখা সম্পর্কিত
পাবলিশ:
২০১০ - মার্চ
তথ্যসূত্র:
কমপিউটার জগৎ
লেখার ধরণ:
গেম
তথ্যসূত্র:
গেমের জগৎ
ভাষা:
বাংলা
স্বত্ত্ব:
কমপিউটার জগৎ
নিনজা ব্লেড

জাপানী গেমের সংখ্যা প্রচুর বেশি। তবে তার মধ্যে খুব কমসংখ্যক গেমই রয়েছে যা ইংরেজিতে অনূদিত হয়। কারণ তাদের বানানো গেমগুলো জাপানের বাইরে তেমন একটা জনপ্রিয় নয়। কাহিনী ও গেমপ্লে গতানুগতিক জাপানী গেমগুলোর চেয়ে কিছুটা আলাদা হলে তা অন্যান্য দেশের জন্য অনুবাদ করে অবমুক্ত করা হয়। নিনজা ব্লেড নামের গেমটি এমনি একটি জাপানী গেম যার ব্যতিক্রমধর্মী গেমপ্লের কারণে তা জাপানের বাইরেও বেশ জনপ্রিয়তা লাভ করতে সক্ষম হয়েছে। গেমটি ডেভেলপ করেছে নভিই ডিস্ক এবং পাবলিশ হয়েছে মাইক্রোসফট গেম স্টুডিওর ব্যানারে। গেমের ক্যারেক্টার ডিজাইন করেছেন বিখ্যাত জাপানী গেম নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ক্যাপকমের কেইজি নাকাওকা এবং সাউন্ডট্র্যাকের দবায়িত্বে ছিলেন জেম ইমপ্যাক্ট স্টুডিওর নোরিহাইকো হিবিনো। প্রথমে গেমটি এক্সবক্স ৩৬০-এর জন্য অবমুক্ত করা হয়েছিল এবং তার অনেক পরে তা উইন্ডোজের জন্য বের করা হয়েছে।



গেমের কাহিনীতে ফুটে উঠেছে বর্তমানের জাপানের চিত্র। গেমে দেখানো হয় ২০১০ সালে জাপানের ছোট এক গ্রামে কিছু অদ্ভুত আকৃতির জীব আক্রমণ করে। বেঁচে যাওয়া গ্রামবাসীর সুরক্ষার জন্য ও তাদের ওপরে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালানোর উদ্দেশ্যে রিসার্চ সেন্টারে নিয়ে যাওয়া হয়। পরীক্ষায় বিজ্ঞানীরা আবিষ্কার করেন যে একধরনের হুক ওয়ার্মে বা কৃমির মতো পরজীবীর ফলে মানুষের জীবনের পরিবর্তন ঘটে যাচ্ছে। তারা এ পরজীবীর নাম দেন আলফা-ওয়ার্ম। এটি মানুষের রক্তে মিশে তার শরীরের আকৃতি বদলে ফেলে ও তাকে করে তোলে অস্বাভাবিক শক্তিধর। আলফা-ওয়ার্মের দবারা আক্রান্ত ব্যক্তির বোধশক্তি নষ্ট হয়ে যায় এবং সে ধ্বংসযজ্ঞে মেতে ওঠে। আলফা-ওয়ার্ম ও তাতে আক্রান্ত ব্যক্তিদের নির্মূল করার জন্য দক্ষ একদল সৈন্য মোতায়েন করা হয়। তাদের মধ্যে কিছু মারা যায় ও কিছু আলফা-ওয়ার্ম দবারা আক্রান্ত হয়ে পিশাচে পরিণত হয়। বেঁচে যায় শুধু একজন এবং তাকে নিয়েই গেমারকে খেলতে হবে এবং খুঁজে বের করতে হবে আলফা-ওয়ার্মের মূল উৎস। গেমের প্রধান চরিত্র হচ্ছে কেন ওগাওয়া নামের মার্শাল আর্টে পারদর্শী এক দুর্ধর্ষ যোদ্ধা। কেনের রক্তে রয়েছে বিশেষ এক ক্ষমতা যা তাকে যোগায় অতিমানবিক শক্তি ও আলফা-ওয়ার্মের সংক্রমণ রোধ করে তাকে সুরক্ষা দেয়।

কেনের অস্ত্রের তালিকায় রয়েছে চার ধরনের তলোয়ার। প্রথমটি সাধারণ ওনি স্লেয়ার ব্লেড, দু’হাতে নিয়ে লড়াই করার জন্য হালকা টুইন ফ্যালকন নাইভস, শক্রুর বর্ম বা দেয়াল ভাঙ্গার জন্য ভারি স্টোনরেন্ডার ও বোনাস হাতিয়ার মুনলিট সোর্ড যা আনলক করে নিতে হবে। অষ্টম লেভেলে কেন পাবে অসীম শক্তিধর অস্ত্র নিনজা ব্লেড। কেন তার বাবার কাছ থেকে পাওয়া এক বিশেষ চক্রাকার হাতিয়ার ব্যবহার করতে পারবে, যার নাম নিনজুতসু। এ চক্রের সাহায্যে সে ঝড়ো বাতাস সৃষ্টি করে আগুন নেভাতে পারবে, আগুন সৃষ্টি করে শত্রুকে জ্বালাতে পারবে এবং বৈদ্যুতিক শক সৃষ্টি করে পিশাচদের নাস্তানাবুদ করতে পারবে। গেমে অর্জিত পয়েন্টের বিনিময়ে অস্ত্র আপগ্রেড করে তা আরো শক্তিশালী করা যাবে। অস্ত্রগুলো বুদ্ধিমত্তার সাথে ব্যবহার করতে হবে, কারণ তাদের একেকটির ক্ষমতা একেকরকম ও তা ভিন্ন ভিন্ন কাজের উপযোগী।

গেমটি অন্যান্য জাপানী গেমের মতো নয়। অন্যান্য জাপানী অ্যাকশন গেমের ক্ষেত্রে হ্যাক অ্যান্ড স্ল্যাশ ধাঁচটির দেখা মেলে বেশি। কিন্তু এতে হ্যাক অ্যান্ড স্ল্যাশের পাশাপাশি স্লো মোশন ও সিনেমেটিক অ্যাকশন কৌশল ব্যবহার করা হয়েছে। তাই গেমটিকে নির্মাতারা অ্যাকশন গেমের পরিবর্তে সিনেমেটিক অ্যাকশন গেম বলতে বেশি স্বাচ্ছ্যন্দ বোধ করছেন। একটানা গেমটি খেলার সময় মনেই হবে না গেম খেলছেন, মনে হবে জাপানী কোনো অ্যাকশন ফ্লিম উপভোগ করছেন। গেমটি চালানোর জন্য ন্যূনতম পেন্টিয়াম ৪, ৩.২ গিগাহার্টজের প্রসেসর, ১ গিগাবাইট মেমরির র্যা ম, ডিরেক্ট এক্স ৯.০ সাপোর্টেড ২৫৬ মেগাবাইট মেমরির গ্রাফিক্স কার্ড (জিফোর্স ৮৬০০ জিটিএস/রাডেওন ২৬০০ এক্সটি বা তদুর্ধ) এবং ৫ গিগাবাইট হার্ডডিস্ক স্পেস


কজ ওয়েব

ফিডব্যাক : shmt_21@yahoo.com
পত্রিকায় লেখাটির পাতাগুলো
লেখাটি পিডিএফ ফর্মেটে ডাউনলোড করুন
লেখাটির সহায়ক ভিডিও
চলতি সংখ্যার হাইলাইটস